শিল্ড ফাইনালের টিকিট মূল্য ঘোষণা, উত্তরবঙ্গের পাশে দাঁড়াতে মোহন জনতাকে আহ্বান সচিবের

আইএফএ শিল্ড(IFA Shield) ফাইনালে কী ডার্বি হবে! তা নিয়ে এখনই নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে ডার্বি(Kolkata Derby) হলে, সেখানে যাতে মোহনবাগান(MBSG) সমর্থকরা আসেন তারই আহ্বান জানালেন আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত(Anirban Dutta)। শিল্ড ফাইনালের(Ifa Shield Final) টিকিট থেকে প্রাপ্ত অর্থ উত্তরবঙ্গের(North Bengal) বিপর্যয় কবলিত এলাকার মানুষদের সাহায্যার্থে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইএফএ। দলকে সমর্থন তো বটেই, এমন একটা উদ্যোগ এবং অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর জন্যই মোহনবাগান(MBSG) সমর্থকদের মাঠে আসার আহ্বান জানালেন সচিব অনির্বাণ দত্ত। একইসঙ্গে এদিন ঘোষণা হয়ে গেল আইএফএ শিল্ড ফাইনালের টিকিটের দামও। ১০০ থেকে ১২৫০ টাকা পর্যন্ত রয়েছে টিকিট। সেইসঙ্গে বক্স টিকিট থাকছে ১৫ হাজার টাকার। তবে টিকিট থেকে প্রাপ্ত বেশীরভাগ অংশটাই চলে যাবে উত্তরবঙ্গে বিধ্বস্ত অসহায় মানুষদের পাশে। মোহনবাগানের(MBSG) এএফসি ম্যাচে না খেলা নিয়ে এই মুহূর্তে প্রবল ক্ষুব্ধ মোহনবাগান সমর্থকরা। প্রথম ম্যাচে স্টেডিয়ামের বাইরে বিক্ষোভও দেখিয়েছিল তারা। এমনকি মোহনবাগানের ম্যাচও বয়কট করেছিলেন সমর্থকরা। গত ম্যাচেই ম্যানেজমেন্টের উদ্দেশ্যে একরাশ ক্ষোভ উঘরে দিয়েছিলেন সমর্থকরা। এরপর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল, মোহনবাগান শিল্ডের(IFA Shield) ফাইনালে উঠলেও কী তারা আসবেন! এমন প্রশ্ন আইএফএ সচিবের কাছেও গিয়েছিল। তবে সচিব অনির্বাণ দত্ত(Anirban Dutta) আশাবাদী। তাঁর মতে ফাইনালর টাকা নিয়ে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল তাঁকে সম্মান জানাতে নিশ্চই আসবেন মোহনবাগান সমর্থকরা। আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত(Anirban Dutta) জানিয়েছেন, “সেভাবে আমরা ভাবিনি। আমার মনে হয় এটাতো শুধু ম্যাচ নয়, এটা আইএফএ শিল্ডের ফের ফিরে আসার একটা মঞ্চ। শিল্ডটা মোহনবাগান সমর্থকরাই চেয়েছিল যে মোহনবাগান এই প্রতিযোগিতাটা খেলুক। তাদের কথাতেই আমরা দুদিন স্লট বাড়িয়েছিলাম। আর দু নম্বর হল একটা সামাজিক দিকও রয়েছে। যারা অসুবিধার মধ্যে তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। আমার মনে হয় মোহনবাগান সমর্থকরা মাঠে আসবেন। উত্তরবঙ্গের এই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াবে তারা”। আইএফএ শিল্ড শুরু হওয়ার আগেই ফাইনাল বাদে বাকি সব ম্যাচ বিনা টিকিটে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আইএফএ। এদিনই সেই ফাইনালেরই টিকিটের মূল্য ঘোষণা করা হয়ে গেল। ১০০, ১৫০, ২০০, ৩৫০, ৫০০, এবং ১২৫০ টাকায় পাওয়া যাবে টিকিট। এছাড়া বক্স টিকিটের দাম রাখা হচ্ছে ১৫ হাজার টাকা। সেখান থেকে প্রাপ্ত পুরো অর্থটাই চলে যাবে উত্তরবঙ্গে বিপর্যয় কবলিত এলাকার অসহায় মানুষদের জন্য।
শুভমনের সেঞ্চুরি, জাদেজার হাত ধরে চালকের আসনে ভারত

যশস্বী জয়সওয়ালের(Yashasvi Jaiswal) দ্বিশতরান হাতছাড়া হলেও, ভারতের(India Team) কিন্তু বড় রানে পৌঁছতে খুব একটা বেশি অসুবিধা হয়নি। দ্বিতীয় দিন শুভমন গিলের(Shubman Gill) চওড়া ব্যাটে ভর করে রানের পাহাড়ে পৌঁছে যায় টিম ইন্ডিয়া। দিনের শেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৪ উইকেটে ১৪০। সবকিছু ঠিকঠাক চললে এই ম্যাচেও যে ভারতীয় দল বড় ব্যবধানে জিততে চলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রথম দিনই ভারতের বড় রানের ঝলকটা পাওয়া গিয়েছিল। সেদিন ১৭৩ রানে অপরাজিত ছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল(Yashasvi Jaiswal)। সঙ্গে ছিলেন শুভমন গিল(Shubman Gill)। তবে দ্বিতীয় দিন শুরুতেই সাজঘরে ফিরতে হয় যশস্বীকে। রান আউট হয়ে ১৭৫ রানে থামতে হয়েছিল তাঁকে। তবে ভারতের রানেরগতি থমতে থাকেনি। শুভমন গিলের(Shubman Gill) চওড়া ব্যাটে ভর করেই বড় রানের পথে এগিয়ে যেতে শুরু করে টিম ইন্ডিয়া। একা হাতেই কার্যত রান এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজটা শুরু করেন শুভমন গিল। এদিন কেরিয়ারের আরও একটা সেঞ্চুরি ইনিংস পেলেন শুভমন গিল(Shubman Gill)। ক্যারিবিয়ান বোলারই এদিন শুভমন গিলের সামনে সেভাবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি। ১২৯ রানে শেষপর্যন্ত ক্রিজে অপরাজিত ছিলেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক। ভারত ৫১৮ রানে পৌঁছনোর পরই ইনিংস ঘোষণা করেন ভারত অধিনায়ক। প্রথম ম্যাচে ইনিংসে জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া। এই ম্যাচেও সেই লক্ষ্যেই যে রয়েছে ভারতীয় দল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই কথা ভেবেই ডিক্লেয়ারও দিয়েছিলেন শুভমন গিল। এবার পরীক্ষাটা ছিল বোলারদের। ভাঙা পিচ। আর সেখানেই ভারতে হয়ে দাপুটে পারফরম্যান্স রবীন্দ্র জাদেজার(Ravindra Jadeja)। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা তিন উইকেট তিনি একাই তুলে নিয়েছেন এদিন। বুমরাহ(Jasprit Bumrah), সিরাজরা অবশ্য উইকেট তুলতে পারেননি। এদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ভারতের স্পিন আক্রণই ছিল বিধ্বংসী ফর্মে। দিনের শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৪ উইকেটে ১৪০।
বড় জয় নামধারীর, ড্র করলেই ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল

শিল্ড ফাইনালে কী তবে ডার্বি নিশ্চিত। নামধারী ৩-০ গোলে জয়ের পরই সেই সম্ভাবনা কার্যত নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। ইস্টবেঙ্গলকে এখন শুধু নামধারীর বিরুদ্ধে ড্র করতে হবে। তবেই মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ফাইনালে নামবে ইস্টবেঙ্গল। নামধারী বনাম শ্রীনিধির ম্যাচের দিকে যে ইস্টবেঙ্গলের নজর ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। নামধারী জিতলেও, পরের ম্যাচে গোল পার্থক্য এগিয়ে থেকেই নামছে ইস্টবেঙ্গল। শ্রীনিধির বিরুদ্ধে ৩-০ গোলে জিতল নামধারী। তবে একটা চিন্তা কিন্তু তাদের রয়েই যাচ্ছে। প্রথমার্ধে গোল পেলেও, দ্বিতীয়ার্ধে গোলের মুখ খুলতে পারেনি নামধারী। শ্রীনিধির রক্ষণকে টপকাতে বারবারই দ্বিতীয়ার্ধে বেগ পেতে হয়েছে তাদের। সেই জদিকে যে ইস্টবেঙ্গলের নজর রয়েছে বেশ ভালোভাবেই তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে এই পারফরম্যান্সটা যে নামধারীর আত্মবিশ্বাস বেশ অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিন শুরু থেকেই শ্রীনিধির বিরুদ্ধে বেশ আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিল নামধারী স্পোর্টস অ্যাকাডেমি। শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তুলেছিল তারা। ম্যাচের ৯ মিনিটের মাথাতেই প্রথম সাফল্য। ল্যামাইন মরোর গোলে এগিয়ে যায় নামধারী। এর ২ মিনিটের মধ্যেই ফের আক্রমণ। গুলেমিরের গোলে ফের ব্যবধান বাড়িয়ে ফেলে নামধারী অ্যাকাডেমি। প্রথমার্ধের ৩৯ মিনিটে ভূপিন্দর সিংয়ের গোলে তিন গোলের বৃত্ত সম্পূর্ণ করে ফেলে নামধারী। বিরতির পর অবশ্য ম্যাচে ফেরে শ্রীনিধি। তাদের জমাট রক্ষণ আর টপকাতে পারেনি নামধারী অ্যকাডেমি। শেষপর্যন্ত ৩-০ গোলে ম্যাচ জিতেই মাঠ ছাড়ে নামধারী অ্যাকাডেমি।