এগিয়ে থেকেও হার ভারতের, খালিদের দলের এশিয়া কাপের আশা প্রায় শেষ

ঘরের মাঠে এগিয়ে থেকেও শেষরক্ষা হল না। সিঙ্গাপুরের কাছে ১-২ গোলে হেরে এশিয়া কাপে(Asia Cup) যোগ্যতা অর্জনের আশা প্রায় শেষই করে ফেলল ভারত(India)। শেষ মুহূর্তে গত ম্যাচের নায়ক রহিম আলিকে(Rahim Ali) নামিয়েও কোনও চমক দেখাতেই ব্যর্থ খালিদ জামিল(Khalid Jamil)। একরাশ হতাশাই ঘরের মাঠে ভারতের(India) সঙ্গী। ম্যাচের ১৪ মিনিটের মধ্যে লালিয়ানজুয়ালা ছাঙতের(Lallianzuala Changte) গোলে এগিয়ে যায় ভারত। এরপর থেকেই আরও চাপ বাড়াতে থাকে মেন ইন ব্লুজ ব্রিগেড। এই ম্যাচ জিততে পারলে যে খানিকটা হলেও বাড়তি অক্সিজেন পাবে খালিদ জামিলের(Khalid Jamil) ছেলেরা। প্রথম গোলের কিছুক্ষণের মধ্যে ফের সুযোগ। কিন্তু ছেত্রী(Sunil Chetri) সুযোগ হাতছাড়া করেন। ২৯ মিনিটের মাথায় ফের একটা সুযোগ। এবারও ব্যর্থ লিস্টন কোলাসো(Liston Colaco)। তবে ভারতের আক্রমণ থামেনি। মহেশের শটটা সেভ না হলে ব্যাবধান বাড়িয়ে ফেলতেই পারত ভারতীয় দল। চাপ বাড়াচ্ছিল সিঙ্গাপুরও। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে সং উইঅংয়ের গোলে সমতায় ফেরে সিঙ্গাপুর। বিরতির পরও ভারতের সুযোগ নষ্টের খেলা ছিল অব্যহত। তারই খেসারত দিতে হল ম্যাচের ৫৮ মিনিটের মাথায়। আবারও সেই উইঅংয়ের গোলেই এগিয়ে যায় সিঙ্গাপুর। এরপরও যে সুনীল(Sunil Chetri), লিস্টনরা(Liston Colaco) সুযোগ পাননি তা নয়। কিন্তু চিত্রটা বদল হয়নি। বারবারই সুযোগ হাতছাড়া করতে দেখা গিয়েছে তাদের। সময় ক্রমশ শেষের দিকে। মরিয়া খালিদ(Khalid Jamil) তখন একের পর এক ছক বদলাতে ব্যস্ত। আর তাতেই একের পর এক ফুটবলার বদল করে চলেছেন তিনি। কিন্তু সাফল্য অধরাই রয়ে গিয়েছিল ভারতীয় দলের। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে সুনীল, লিস্টনদেরও তুলে নেন খালিদ জামিল। সেই জায়গায় মাঠে আসেন গত ম্যাচে ভারতের নায়ক রহিম আলি। কিন্তু সময় ততক্ষণে চলে গিয়েছে। ম্যাচ কার্যত ভারতের হাতছাড়া। চেষ্টা ভারতীয় ফুটবলাররা করলেও গোলের মুখ তারা খুলতে পারেনি। ঘরের মাঠে সুযোগ থাকলেও সিঙ্গাপুরের কাছে ১-২ গোলে হেরে, সমস্ত আশাও কার্যত শেষ করে ফেলল খালিদ জামিলের মেন ইন ব্লুজ ব্রিগেড।
ব্রাজিলকে হারিয়ে টোকিও স্টেডিয়ামে ইতিহাস তৈরি জাপানের

কানায় কানায় ভর্তি টোকিও(Tokyo) স্টেডিয়াম। সেখানেই ইতিহাস তৈরি করল জাপান(Japan)। প্রথমবার ফুটবলের মঞ্চে ব্রাজিলকে(Brazil) হারাল তারা। পিছিয়ে থেকেও এক দুরন্ত কামব্যাক। পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে এক নতুন ইতিহাস বিশ্ব ফুটবলে লিখল জাপানি ব্রিগেড। ১৪ বারের সাক্ষাতে এই প্রথমবার ব্রাজিলকে হারাল জাপান(Japan Football Team)। প্যাক্ট আপ টোকিও স্টেডিয়াম জুড়ে এদিন ছিল উচ্ছ্বাসের ছবি। অন্যদিকে বিশ্বকাপের আগে এমন একটা হার ব্রাজিল(Brazil) শিবিরের কাছে যেন অশনি সংকেতের ছবি। জাপানের(Japan) বিরুদ্ধে ফিফা ফ্রেন্ডলি(Fifa Friendly) খেলতে নেমেছিল ব্রাজিল। ধারেভারে স্বাভাবিক ভাবেই এগিয়ে ছিল সেলেকাও ব্রিগেড। শুরু তেকে ব্রাজিলের(Brazil) দাপটই ছিল এদিনের ম্যাচে। কিন্তু এই ম্যাচের যে আসল ক্লাইম্যাক্স অপেক্ষা করছিল বিরতির পর, সেটাই বুঝিয়ে দিল জাপান(Japan)। এদিনের ম্যাচের প্রথমার্ধ যদি হয় ব্রাজিলের। তবে বিরতির পর জাপানের সামনে দুর্ধর্ষ ব্রাজিল ব্রিগেড মাথা তুলে দাঁড়াতেই পারল না। ব্রাজিলের এই পারফরম্যান্সটাই যেন ভয় ধরাচ্ছে তাদের অধিনায়ক ক্যাসেমিরোকে(Casemiro)। হারের পর দলের পারফরম্যান্সকেই দুষছেন তিনি। সেইসঙ্গে এঅ হার যে তাদের বিশ্বকাপের আগে একটা সতর্ক বার্তা তাও বলতে দ্বিধা করেননি এই ক্যাসেমিরো। ম্যাচ শেষে ক্যাসেমিরো(Casemiro) জানান, এই হার সত্যিই মেনে নেওয়ার মতো নয়। সামনেই রয়েছে বিশ্বকাপ। তার আগে এই হার থেকে শিক্ষা নিয়েই এগোতে হবে আমাদের। ম্যাচের প্রথমার্ধের গোটাটাই ছিল ব্রাজিলের দখলে। ম্যাচের ২৬ মিনিটে পওলো হেনরিকের(Paulo Henrick) গোল। ৬ মিনিটের মধ্যে ফের ব্রাজিলের গোল। এবার স্কোরশিটে নাম গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লির(Gabriel Martinelli)। প্রথমার্ধ শেষ হয় ২-০ গোলেই। বিরতির পর ব্রাজিলের(Brazil) লক্ষ্য ছিল ব্যবধান বাড়ানো। কিন্তু জাপান(Japan) যেভাবে কামব্যাক করেছিল তাতে কার্যত সকলেই হতবাক। আর সেইসঙ্গে জাপানের টুয়েলভথ ম্যান হাউসফুল টোকিও স্টেডিয়ামের অসংখ্য সমর্থকরা। ফ্যাব্রিসিও ব্রুনোর(Frabrisio Bruno) ভুল পাস। আর সেটাই কাজে লাগাতে ভুল করেননি তাকুনি মনামিনো(Takuni Manamino)। ম্যাচের ৫২ মিনিটে তাঁর গোলে প্রথম ব্যবধান কমায় জাপান। ৯ মিনিটের মধ্যে ফের গোল। তবে এবার জাপানের তারকা নয়। সেই ব্রুনোই ফের ভিলেন। তাঁর স্লাইডারে ব্রাজিলের জালে বল জড়িয়ে যায়। সমতায় ফেরে জাপান। দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিলের খেলায় যেন সেই উত্তেজনাটাই ছিল না। একের পর এক মিস পাস। সেইসঙ্গে খানিকটা ঝিমোনো ফুটবল। সেই সুযোগটাই কাজে লাগাতে ভুল করেনি জাপান। উয়েদার(Ueda) হেড। প্রথমবার বার সেভ। কর্ণার পায় জাপান। সেই উয়েদার ফের একটা হেড। আর তাতেই বাজিমাত জাপানের। ৩-২ গোলে এগিয়ে যায় তারা। ব্রাজিল চেয়েও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। ম্যাচ শেষ হতেই জাপানি ব্রিগেডের ইতিহাস গড়ার উচ্ছ্বাস। ১৪ বারের সাক্ষাতে এই প্রথমবারই তো ব্রাজিলকে হারালো তারা। ফিফা ফ্রেন্ডলি হলেও, এই দিনটা যে জাপানি ফুটবলের কাছে একটা উজ্জ্বল দিন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
রশিদ, বিষ্ণুর গোলে শিল্ড ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল

ড্র করলেই ফাইনালে জায়গা পাকা ছিল ইস্টবেঙ্গলের(Eastbengal)। কিন্তু অস্কারের স্পষ্ট নির্দেশ ছিল ম্যাচ জিততেই হবে। রশিদ(Mohammed Rashid) এবং বিষ্ণুর(PV Bishnu) দুরন্ত গোল। নামধারীকে(Namdhari Fc) ২-০ গোলে হারিয়ে আইএফএ শিল্ড(IFA Shield) ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল। তবে বেশ কিছু সহজ সুযোগ নষ্ট না হলে গোলের সংখ্যাটা ইস্টবেঙ্গল বাড়াতেই পারত। ম্যাচের শুরু থেকে শেষপর্যন্ত খেলার দখল ছিল ইস্টবেঙ্গলের(Eastbengal) পক্ষেই। মাঝেমধ্যে নামধারী কয়েকটা আক্রমণ চালালেও লাল-হলুদের জালে জড়ানোর জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। নামধারীর বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে কয়েকটা পরিবর্তন এনেছিলেন ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) কোচ অস্কার ব্রুজোঁ(Oscar Bruzon)। দেবজিতের বদলে এদিন গোলে খেলানো হয়েছিল প্রভসুখন গিলকে(Prabhsukhan Gill)। সেইসঙ্গে হামিদকে রাখা হয়নি প্রথম একাদশে। এদিন শুরু থেকেই নামধারীর বিরুদ্ধে গোল পেতে মরিয়া ছিল ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। শুরু থেকেই ছিল আক্রমণের ঝড়। কখনোও বিপিন, কখনও মিগুয়েলদের আক্রমণে বারবার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছিল নামধারীর রক্ষণ। ম্যাচের বয়স যখন ২৪ মিনিট সেই সময় লাল-হলুদ প্রথম সাফল্য। গোল দিলেন রশিদ। গোলটা মিগুয়েলেরই হতে পারত। কিন্তু তাঁর হেড বারে লেগে ফিরে আসে। তবে বল জালে জড়াতে ভুল করেননি মহম্মদ রশিদ(Mohammed Rashid)। তাঁর দূর পাল্লার শটে প্রথম লক্ষ্যভেদ। এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। আর সেইসঙ্গেই প্রতিপক্ষ রক্ষণের ওপর চাপ বাড়াতে শুরু করেন অস্কারের ছেলেরা। ৪ মিনিটের মধ্যেই ডেভিডের(David) দুরন্ত ভলি। সেহাজদেপের পায়ে লেগে আত্মঘাতী গোলই হতে চলেছিল। কিন্তু কোনওরকমে রক্ষা পায় নামধারী। এরপর অবশ্য আর বিষ্ণু(PV Bishnu) কোনওরকম ভুল করেননি। ৪১ মিনিটের মাথায় সেই ডেভিডের বাড়ানো বল থেকেই ফের নামধারীর জালে বল জড়িয়ে দেয় ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। এবার গোলদাতার নাম পিভি বিষ্ণু(PV Bishnu)। বিরতির পর ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) ছিল আরও আক্রমণাত্মক। সেটা অবশ্য ম্যাচের পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যায়। ম্যাচের বয়স যখন ৬০ মিনিট সেই সময় ৯টি শট গোল লক্ষ করে নিয়ে ফেলেছিলেন ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা। বিরতির চাপ বাড়াতে অস্কার(Oscar Bruzon) একের পর একর পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়াতে হামিদকে(Hamid Ahadad) মাঠে পাঠান অস্কার। ডেভিডের পরিবর্তে আসেন তরুণ জেসিন টিকে। ইস্টবেঙ্গল সুযোগও পাচ্ছিল। কিন্তু কাজে লাগাতে পারছিল না। ম্যাচের একেবারে শেষের দিকে জিকসন সিং, লালরিনডিকা এবং সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়কে একসঙ্গে মাঠে নামিয়ে দেন অস্কার ব্রুজোঁ। গোটা দ্বিতীয়ার্ধে নামধারির একটা দুটো বাদ দিলে আক্রমণ ছিল শুধুই ইস্টবেঙ্গলের। শেষপর্যন্ত ২-০ গোলেই ম্যাচ শেষ হয়। ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। সেখানেই লাল-হলুদের সামনে পড়তে পারে মোহনবাগান। এই ম্যাচ জিতে গেলেও, সুযোগ নষ্ট নিয়ে কিন্তু ইস্টবেঙ্গল কোচের খানিকটা চিন্তা রয়েই গেল।
“রঞ্জি খেলতে পারলে, ওডিআইতেও খেলতে পারব”, ভারতীয় ম্যানেজমেন্টকে একহাত নিলেন সামি

রঞ্জি ট্রফি(Ranji Trophy) খেলতে বাংলা শিবিরে যোগ দিয়েছেন মহম্মদ সামি(Mohammed Shami)। আর সেখানেই অজিত আগরকরকে(Ajit Agarkar) একহাত নিলেন ভারতীয় দলের এই তারতা পেসার। তাঁর ফিটনেস নিয়ে আগরকরের কাছে কোনওরকম খবর না থাকার কথা জানানে হয়েছিল। সেই জবাবটাই এবার দিলেন মহম্মদ সামি(Mohammed Shami)। তাঁর থেকে ফিটনেসের তথ্য নাকি চাওয়াই হয়নি ভারতীয় দলের তরফ থেকে। সেইসঙ্গে ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলার বিষয়েও মুখ খুললেন ভারতীয় দলের এই তারকা ক্রিকেটার। সামির(Mohammed Shami) এমন মন্তব্যের পরই ভারতীয় ক্রিকেট মহল জুড়ে হৈচৈ। কয়েকদিন আগে হয়ে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি(Champions Trophy) তো বটেই, এমনকি অস্ট্রেলিয়ার(Australia) বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজেও ভারতীয় দলে জায়গা হয়নি মহম্মদ সামির। সেখানেই অজিত আগরকরের সাফ জবাব ছিল যে মহম্মদ সামি(Mohammed Shami) এখন কতটা ফিট তা নাকে জানেন না তিনি। আর এতেই ক্ষুব্ধ ভারতীয় দলের এই তারকা পেসার। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগই করা হয়নি। সাজা সাপ্টা উত্তর দিয়ে দিলেন মহম্মদ সামি। ইডিনে বুধবার রঞ্জি ট্রফিতে(Ranji Trophy) যাত্রা শুরু করবে বাংলা। প্রতিপক্ষ উত্তরাখন্ড। সেই ম্যাচের আগেই সামির মন্তব্যে ক্রিকেট মহল জুড়ে হৈচৈ। মহম্মদ সামি জানিয়েছেন, “ভারতীয় দলের তরফে আমার ফিটনেস সম্বন্ধে কোনও কিছু জানার জন্য চেষ্টাই করা হয়নি। আমি নিশ্চই নিজে থেকে জানাবো না আমার ফিটনেস আপডেট। আমি যদি চার দিনের রঞ্জি ট্রফির(Ranji Trophy) ম্যাচ খেলতে পারি, তূবে কেন ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলতে পারব না”। সামির এমন মন্তব্য কিন্তু ভারতীয় দল নির্বাচন ঘিরেও বহু প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। ২০২৩ বিশ্বকাপের পর থেকেই চোটের জন্য ভারতীয় দলের বাইরে ছিলেন মহম্মদ সামি। আইপিএল দিয়ে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন তিনি। কিন্তু এরপরও ভারতীয় দলের দড়জা খোলেনি। মাঝে টি টোয়েন্টি দলে এলেও, এখনও পর্যন্ত টেস্ট এবং ওডিআই দলের হয়ে খেলার সুযোগ পাননি। বারবারই তাঁর ফিটনেস সমস্যা নিয়ে কথা উঠছে। সেখানেই মহম্মদ সামির(Mohammed Shami) যুক্তি, “আমি যদি ফিটই না থাকি, তবে তো এই সময় আমার এনসিএ-তে থাকার কথা। কিন্তু ব্যাপারটা তো তেমন নয়। আমি রঞ্জি ট্রফি খেলতে নামছি। এবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দল ঘোষণার পর থেকেই প্রাক্তন থেকে বিশেষজ্ঞরা গৌতম গম্ভীর এবং অজিত আগরকরের(Ajit Agarkar) দল নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছে। মহম্মদ সামির এই মন্তব্যটা সেই সমালোচনার আগুনেই ঘি ঢালল তা বলার অপেক্ষা রাখে না”।
কুলদীপ, জাদেজাদের হাত ধরে হোয়াইট ওয়াশ সম্পূর্ণ ভারতের

ভারতের(India Team) জয়টা ছিল এদিন সময়ের অপেক্ষা। মঙ্গলবার সকালে মাত্র দেড় ঘন্টার মধ্যেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের(West Indies) বিরুদ্ধে জয় তুলে নেন ভারতীয় দল। টেস্টের শেষ দিন ভারতের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল মাত্র ৫৮ রান। ক্রিজে ছিলেন কেএল রাহুল(KL Rahul)। তাঁর অর্শতরানে ভর করেই চূড়ান্ত সাফল্য ভারতের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৭ উইকেটে জয়ের পাশাপাশি হোয়াইট ওয়াশটাও সম্পূর্ণ করে ফেলল টিম ইন্ডিয়া। সেইসঙ্গে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পয়েন্টটাও যে অনেকটা বাড়িয়ে ফেলল ভারতীয় দল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও ম্যাচের নায়ক কুলদীপ যাদব(Kuldeep Yadav)। দুই ইনিংস মিলিয়ে কুলদীপের(Kuldeep Yadav) পারফরম্যান্সটাই যে ভারতের জয়ের নেপথ্যে প্রধান কারণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দ্বিতীয় টেস্টের দুই ইনিংস মিলিয়েই দুরন্ত ফর্মে ছিলেন কুলদীপ যাদব(Kuldeep Yadav)। কার্যত ভারতীয় দলের এই ম্যাচ জয়ের অন্যতম নেপত্য কারিগড় কুলদীপ যাদবই। দুই ইনিংস মিলিয়ে তিনি একাই তুলে নিয়েছিলেন আট উইকেট। সেই কারণে ম্যাচের সেরাও হয়েছেন তিনিই। তবে প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি পেলেও এই ইনিংসে কিন্তু বড় রান করতে ব্যর্থ অধিনায়ক শুভমন গিলও। বল হাতে কুলদীপ যাদব(Kuldeep Yadav) একাই কাজটা করে দিয়েছিলেন। বাকিটা সামলে দেন কেএল রাহুল(KL Rahul)। চতুর্থ দিন থেকেই ক্রিজে ছিলেন এই তারকা ব্যাটার। পঞ্চম দিনের শুরুতেই সাজঘরে ফিরে যান সাই সুদর্শন(Sai Sudarshan)। কেএল রাহুলের সঙ্গে ক্রিজে থাকতে পারেননি শুভমন গিলও(Shubman Gill)। তিনি ফেরেন ১৩ রান করেই। তবে ভারতের জয় পেতে অবশ্য খুব একটা অসুবিধা হয়নি। কেএল রাহুলের চওড়া ব্যাটে ভর করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সহজেই ম্যাচ জিতে নেয় টিম ইন্ডিয়া। তবে ৯ উইকেটেই যদি এই ম্যাচ ভারতীয় দল জিততে পারত, তবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে যে ভারতের পয়েন্ট আরও খানিকটা বেশি হত তা বলার অপেক্ষা রাখে না।