সন্দীপ নন্দীর পরামর্শেই গিলের পরিবর্তে দেবজিত, ড্রেসিংরুমে ফিরেই হুঁশিয়ারি অস্কারের

সৌভিক মোহন্ত মোহনবাগানের(MBSG) কাছে হারের পর ড্রেসিংরুমে ফিরেই গোলকিপার কোচ সন্দীপ নন্দীকে(Sandip Nandy) হুঁশিয়ারি অস্কার ব্রুজোঁর(Oscar Bruzon)। হঠাত্ সবাইকে ছেড়ে সন্দীপ নন্দী(Sandip Nandy) কেন। কারণ গিলকে তুলে দেবজিতকে(Debjit Majumder) খেলানোর পরামর্শটা তো সন্দীপ নন্দীরই ছিল। আর সেটাই তো ইস্টবেঙ্গলের(Eastbengal) ডার্বি হারের অন্যতম প্রধান কারণ। প্রশ্ন তুলছেন সকলে। ম্যাচ শেষে ড্রেসিংরুমে ফিরেই সন্দীপ নন্দীকে ভবিষ্যতে আরও ভেবে পরিকল্পনার হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলেন কোচ অস্কার ব্রুজোঁ(Oscar Bruzon)। কার্যত গোলকিপার কোচের বিরুদ্ধে ক্ষোভই উগরে দিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) কোচ। তাঁকে যে আরও বুঝতে হবে সেই কথাও সাফ বুঝিয়ে দিয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের হেডস্যার। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে হঠাত্ই দেখা যায় ডাগ আউটে প্রস্তুতি সারছেন দেবজিত(Debjir Majumdar)। সেই সময়ই অস্কারকে(Oscar Bruzon) তাঁকে খেলানোর কথা বলতে যান সন্দীপ নন্দী(Sandip Nandy)। কিন্তু প্রথমে তা নাকোচ করে দেন লাল-হলুদ কোচ। কিন্তু সন্দীপ নন্দী তাঁকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেই যাচ্ছিলেন। একটা সময় দেখে বোঝাই যাচ্ছিল বেশ বাগবিতন্ডা হচ্ছিল দুজনের মধ্যে। পরে অবশ্য দেবজিতকে(Debjit Majumdar) খেলানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। টাইব্রেকারে নামেন তিনি। কিন্তু একটিও বল আটকাতে পারেননি। এরপরই সন্দীপ নন্দীকে সোজা সাপ্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে দিয়েছেন অস্কার ব্রুজোঁ। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যপারে আরও ভাবনার কথাই বলেছেন অস্কার(Oscar Bruzon)। ভবিষ্যতে এমন সিদ্ধান্ত নিতে গেলে যে আরও ভেবে চিন্তেই নিতে হবে সেই কথাও লাল-হলুদের গোলকিপিং কোচকে বুঝিয়ে দিয়েছেন অস্কার। তবে ফুটবলারদের খেলায় খুব একটা অসন্তুষ্ট নন ইস্টবেঙ্গল কোচ। পারফরম্যান্সের প্রশংসাই নাকি করেছেন তিনি। সেইসঙ্গে এই পেনাল্টির ফলাফলও যতদূর সম্ভব ভুলে যাওয়ার বার্তাও দিয়েছেন লাল-হলুদের স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজোঁ(Oscar Bruzon)। তবে ইস্টবেঙ্গলের হারের পর থেকে কিন্তু এই দেবজিতকে খে্লানো নিয়েই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন প্রাক্তন থেকে বিশেষজ্ঞরাও।
দেশের একমাত্র পুলিশ মন্ত্রকের মহিলা রাগবি দল ক্যালকাটা পুলিশেরঃ নেপথ্যের নায়ক দুই পুলিশ কর্তা!

সুদীপ পাকড়াশীঃ শান্তনু চ্যাটার্জি। কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল। আর স্বরূপ গোস্বামী। রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পার্সোনাল সিকিউরিটি অফিসার। দুজনেরই কর্মব্যস্ততা নিয়ে কিছু বলার প্রয়োজন হয় না। তবু এই দুই পুলিশ কর্তাই ব্যতিক্রমী হয়ে উঠলেন। চুড়ান্ত ব্যস্ততার মধ্যেও দুজনেই ছুটে চলেছেন আর এক লক্ষ্যে। তাদের ক্যালকাটা পুলিশ ক্লাবকে খেলার জগতে আরও সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে। শান্তনু চ্যাটার্জি ক্যালকাটা পুলিশ ক্লাবের সচিব। গত ১২ বছর ফুটবল দলের দায়িত্বে। আর স্বরূপ গোস্বামী তৈরি করেছেন ছেলে এবং মেয়েদের রাগবি দল। দেশে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী মিলে যতগুলো প্রতিরক্ষা দফতর আছে তার মধ্যে মেয়েদের একমাত্র রাগবি দল তৈরি করেছে ক্যালকাটা পুলিশ ক্লাব। এই ২০২৫-এ-ই। এবং তৈরি হওয়ার মাস চারেকের মধ্যেই মেয়েদের রাগবি দল কলকাতার তিনটে গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টের দুটোয় রানার্স হয়ে রূপো আর একটিতে ব্রোঞ্জ! আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আছে। পদকজয়ের তিনটে টুর্নামেন্টের মধ্যেই কলকাতার অন্যতম সেরা ও প্রাচীন দল সিসি অ্যান্ড এফসি-কে হারানো! আর মেয়েদের দল মানে কারা তারা? ২৫ জন মেয়েদের মধ্যে দুই বা তিনজন অভিজ্ঞ। বাকিদের সবাই নতুন, আনকোরা! কেউ ছিলেন ফুটবলের মূলস্রোতে। কেউ খেলছিলেন ক্রিকেট। কেউ স্বপ্ন দেখছিলেন অ্যাথলিট হওয়ার। তাদেরকে লালন করেছেন স্বরূপ গোস্বামী। নিজে ছিলেন প্রাক্তন জাতীয় রাগবি খেলোয়াড়। ১২ বছর মুলস্রোতে খেলেছেন। তার অধিনায়কত্বে ভারত দক্ষিণ-পুর্ব এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়নও হয়েছে পাকিস্তানকে হারিয়ে। পুলিশের চাকরি তাকে সাময়িকভাবে রাগবি থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু প্যাশনকে কিভাবে সরাবে? তাই সৃষ্টি সুখের উল্লাসে স্বরূপ গোস্বামী ওই আনকোরা মেয়েদের তৈরি করেছেন রাগবি খেলোয়াড়ে। শুধু রাগবি খেলোয়াড় বানানো নয়, অধিকাংশ মেয়েরা এখন কলকাতা পুলিশে চাকরিও পেয়েছেন। কলকাতার রাগবিতে চমকে দেওয়ার পর স্বরূপ গোস্বামীর তৈরি করা মহিলা দল আর ছেলেরা এবার চলেছে মুম্বই। ৩১ অক্টোবর আর ১ নভেম্বর মুম্বই জিমখানায় হচ্ছে টেন-এ-সাইডের একটি আন্তর্জাতিক রাগবি টুর্নামেন্ট। সেখানে প্রথমবার ক্যালকাটা পুলিশ ক্লাবের মেয়েরা অংশ নেবে। এ-ও তো কম বড় প্রাপ্তি নয়। এখন স্বরূপ গোস্বামীর স্বপ্ন তার ছেলেমেয়েরা বাংলা এবং জাতীয় দলে সুযোগ পান। গতবছর মুম্বইতে রাগবির ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রিমিয়ার লিগ হয়েছে। সেখানে কলকাতার ফিউচার হোপ ফাউন্ডেশনের মেয়েরা নিলামে ডাক পেয়েছেন। স্বরূপ গোস্বামীর লক্ষ্য তার মেয়েরাও ডাক পাক নিলামে। “যতটা আশা করেছিলাম ওদের কাছ থেকে তার থেকে অনেক বেশি দিয়েছে মেয়েরা। মাত্র কয়েকটা মাসের ট্রেনিংয়ে ওরা ৩টে টুর্নামেন্টে যা পারফরম্যান্স করেছে সেটা ভাবিনি। এখন আমার লক্ষ্য ওরা রাজ্য ও জাতীয় দলে ডাক পাক। রাগবি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলুক। আর এর জন্য শুধু আমি নয়, আমাদের কোচ অমিতাভ রক্ষিতেরও প্রচুর অবদান আছে,” বললেন স্বরূপ গোস্বামী। অমিতাভ রক্ষিতও একজন প্রাক্তন জাতীয় রাগবি খেলোয়াড়। ২০০২-০৩-এ শ্রীলঙ্কায় এশিয়ান রাগবি চ্যাম্পিয়নশিপে জাতীয় দলের সদস্য ছিলেন। ২০০৫ থেকে কোচিংয়ে এসেছেন। এবছরই তাকে ক্যালকাটা পুলিশ ক্লাব রাগবি দলের কোচের দায়িত্বে এনেছে। ৬২ বছর বয়সী এই কোচ জানালেন, “শান্তনু চ্যাটার্জি আর স্বরূপ গোস্বামীর অক্লান্ত পরিশ্রমেই রাগবি দল প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। জলপাইগুড়ি থেকে অনেকটা ভেতরে, প্রত্যন্ত গ্রাম সরস্বতীপুর থেকে মেয়ে আনা হয়েছে। শ্যাওড়াফুলি থেকে এসেছে মেয়েরা। প্রথমে এদের মধ্যে একটু ভয় হিল। রাগবি তো বডি-কন্টাক্ট খেলা। তারপর ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়েছে। খেলার টেকনিক শিখেছে। হ্যাঁ, এদের পেছনে প্রচুর সময় দিতে হয়েছে। স্বরূপ গোস্বামী আর শান্তনু চ্যাটার্জির উৎসাহ আর উদ্যোগে এরা কিন্তু পুলিশে চাকরিও পেয়েছে। চাকরির সুবাদে বিনামূল্যে গুণগত মানের চিকিৎসার সহায়তা পাচ্ছে এরা। তারপর প্রত্যেকদিন ট্রেনিংয়ের পর উন্নতমানের টিফিন পায় এরা।” বললেন অমিতাভ রক্ষিত। ক্যালকাটা পুলিশ কলকাতার প্রাচীন ক্লাবগুলোর একটি। ১৯৩২-এ তার পথ চলা শুরু। তার ফুটবল, ক্রিকেট, হকি দলের ধারাবাহিকভাবে সংশ্লিষ্ট লিগগুলোতে খেলার ইতিহাস নতুন নয়। সিএবি পরিচালিত বাংলার ক্রিকেট লিগে এবং কলকাতার প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে ক্যালকাটা পুলিশ ক্লাবের পরিচিতি নজরকাড়া। ক্রিকেটে দল ওপরের দিকে খেললেও, সদ্যসমাপ্ত কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে ক্যালকাটা পুলিশের পারফরম্যান্স আশাপ্রদ নয়। শেষম্যাচে ইস্টার্ন রেলের সঙ্গে ড্র, একইসঙ্গে লিগ থেকে সাদার্ণ সমিতির নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার ফলে, ক্যালকাটা পুলিশ ক্লাব কোনওরকমে অবনমন বাঁচিয়েছে। গতমরশুমে ফুটবল দলের ছবিটা অবশ্য অনেকটা ভাল ছিল। ক্যালকাটা পুলিশ একটুর জন্য সুপার-সিক্সে উঠতে পারেনি। লিগ টেবিলে সাতে শেষ করেছিল। কিন্তু এই মরশুমের ফলাফলে খুব একটা বিচলিত নন, ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শান্তনু চ্যাটার্জি যিনি ২০১১৩ থেকে ফুটবল দলের দায়িত্বে রয়েছেন। আগামি মরশুমের দিকে তাকিয়ে তার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রবল ব্যস্ততার মধ্যেও। কাজে আপাতত প্রথম উদ্যোগ নিজেদের একটা মাঠ জোগাড় করা। মেট্রো রেলের কাজ চলায় কালিঘাট এবং ক্যালকাটা পুলিশের মাঠ এখন রেলের দখলে। শান্তনুবাবুর দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ ফুটবল দলের জন্য বাজেট বাড়ানোর চেষ্টা করা। বললেন, “আমি ক্লাবের সচিব হতেপারি। কিন্তু টাকা জোগাড়ে আমাদের কমিটির প্রত্যেক অফিসারের অবদান সমান। আমরা প্রত্যেকে ব্যস্ততার ফাঁকে সময় বার করে নিজেদের প্যাশনকে বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করি। গত মরশুমে দলগঠন দেরিতে শুরু হয়েছিল। এবার আগে শুরু করব যাতে আগামি মরশুমের কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে সুপার-সিক্সে খেলতে পারি।”
ব্যারেটো, সুনীলদের পর বিশাল-আপুইয়াদের হাত ধরে ২২ বছরের শাপমোচন, শুভেচ্ছা গোয়েঙ্কার

দীর্ঘ ২২ বছরের অপেক্ষার অবসান। আপুইয়ার(Apuia) গোলে কামব্যাক এবং বিশালের(Vishal Kaith) বিশ্বস্ত হাতে ভর করে ডার্বি জিতে আইএফএ শিল্ড(Ifa Shield) মোহনবাগানের(Mohunbagan)। আর সেইসঙ্গেই ২২ বছরের শিল্ড জয়ের খরাও কাটাল মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট(Mohunbagan Supergiant)। এমন একটা সাফল্যের পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর দলকে শুভেচ্ছা জানালেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা(Sanjiv Goenka)। ২২ বছরের অপেক্ষার অবসানের কথা লিখতেও ভুলললেন না তিনি। ২০০৩ সালে শেষবার আইএফএ শিল্ড জিতেছিল মোহনবাগান। সেবার দলে ছিলেন আরেক ব্রাজিলিয় ব্যারেটো। এবারও জিতলেন। তার স্বাক্ষী আরেক ব্রাজিলিয় রবসন রবিনহো। ব্যারেটো(Barreto), সুনীলদের(Sunil Chetri) পর বিশাল, আপুইয়াদের হাত ধরেই ফের একবার শিল্ডে উজ্জ্বল মোহনবাগান(Mohunbagan)। দীর্ঘদিন পর আবারও সিনিয়র পর্যায়ে এবার আয়োজিত হয়েছিল আইএফএ শিল্ড(Ifa Shield)। নানান টাল বাহানার পর যোগ দিয়েছিল মোহনবাগান। প্রথম দিন থেকেই মোলিনার মুখে ছিল একটাই কথা জিততে হবে। আর যখন ফাইনালটাই বদলে গিয়েছিল ডার্বির(Kolkata Derby) মঞ্চে, তখন তো হোসে মোলিনা(Jose Molina) বলেই দিয়েছিলেন এই ম্যাচটাই তাঁর কেরিয়ারে আপাতত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ২২ বছরের অপেক্ষার অবসানের সুযোগ এসেছিল। কিন্তু সেইসঙ্গে মোহনবাগানের সামনে এসেছিল একের পর এক চ্যালেঞ্জ। যুবভারতীতে একের পর এক সুযোগ নষ্ট। তারপর হামিদের গোলে পিছিয়ে পড়া। গ্যালারীতে থাকা মোহন জনতা তখন একেবারে চুপ। তাদের মুখে প্রথম হাসিটা ফোটালেন আপুইয়া(Apuia)। প্রথমার্ধের ৪৪ মিনিটের মাথায় তাঁর দুরন্ত গোল থেকে জয়ে ফিরল মোহনবাগান(Mohunbagan)। কিন্তু তখনও অনেকটা পথ চলা বাকি ছিল। আক্রমণে-পাল্টা আক্রমণের খেলায় শেষপর্যন্ত ম্যাচ গড়ায় টাই ব্রেকারে। সেখানেই বিশাল কাইথের বিশ্বস্ত(Vishal Kaith) হাত। মোহনহবাগানের(Mohunbagan) ২২ বছরের আক্ষেপ মেটাল। খরা কাটাল শিল্ডের। আবারও সবুজ-মেরুন তাঁবুতে এল শিল্ড। মোহনবাগানের(Mohunbagan) পারফরম্যান্স দেখে আপ্লুত সঞ্জীব গোয়েঙ্কাও(Sanjiv Goenka)। টুইট করে তিনি লেখেন, “ডার্বি জয় সবসময়ই বিশেষ। আর সেটা যদি ফাইনাল হয়, তবে তো আরও বিশেষ। ২১ তম আইএফএ শিল্ড জিততে ২২ বছরের অপেক্ষার অবসান”। A derby win is special… a derby win in a final even more so. The 22-year wait for our 21st IFA Shield is over. #MBSG #JoyMohunBagan pic.twitter.com/mHtH69G64k — Dr. Sanjiv Goenka (@DrSanjivGoenka) October 18, 2025 সুপার কাপের আগে এই আইএফএ শিল্ড জয় যে মোহনবাগানের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে দিচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মাঝে দুদিনের বিশ্রাম। এরপরই শুরু সুপার কাপের প্রস্তুতি।
দলকে শিল্ড জিতিয়ে সমর্থকদের ধন্যবাদ বিশাল কাইথের

শুরু থেকে শেষপর্যন্ত হাড্ডহাড্ডি লড়াই। শেষপর্যন্ত বিশাল কাইথের সোনার হাতেই ঐতিহ্যের শিল্ড জয় মোহনবাগানের(Mohunbagan)। ডুরান্ডের মধুর প্রতিশোধ সম্পূর্ণ। আর ম্যাচ শেষে সেই বিশাল কাইথই(Vishal Kaith) ধন্যবাদ জানাচ্ছেন সবুজ-মেরুন সমর্থকদের। বয়কটের ডাক দেওয়া সমর্থকরা যে সব ভুলে তাদের সমর্থন করতে এসেছিলেন, সেটাই নাকি শক্তি বাড়িয়েছিল মোহনবাগানের। ইস্টবেঙ্গলের(Eastbengal) মতো চির প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে আইএফএ শিল্ড হাতে তুলতে পেরে আপ্লুত বিশাল কাইথও(Vishal Kaith)। আপুইয়ার(Apuia) গোলে সমতায় ফেরা। আর ম্যাচের শেষ মুহূর্তে বিশাল কাইথের দুরন্ত একটা সেভ। যুবভারতী মেতে ওঠে উল্লাসে। জয় গুপ্তা যখন শট নিতে যায় সেই সময় টাই ব্রেকারে স্কোর ৩-৩। এবারের ইস্টবেঙ্গলের অন্যতম চমক ছিলেন এই জয় গুপ্তা। কিন্তু তাঁকেই আটকে দিলেন মোহনবাগানের তারকা গোলকিপার বিশাল কাইথ(Vishal Kaith)। কেন তাঁকে পেনাল্টি স্পেশ্যালিস্ট বলা হয় সেটা বোধহয় আবারও বুঝিয়ে দিলেন। তবে ম্যাচ শেষ বিশালের মুখে একটাই কথা। ডার্বিটা তাদের জিততেই হত। গোলের নীচে দাঁড়ানোর সময় একটাই কথা মাথায় ঘুরছিল, দলকে যেভাবেই হোক জেতাতে হবে। ম্যাচ শেষে বিশাল কাইথ(Vishal Kaith) জানান, যখন টাই ব্রেকার হচ্ছিল সেই সময় আমার মাথায় একটাই কথা ঘুরছিল। যেমনভাবেই হোক গোল বাঁচাতে হবে। আর সেটাই করতে পেরেছি। জিততে হবে এই ভেবেই এদিন মাঠে নেমেছিলাম। এদিন সমর্থকরা আমাদের ডাকে সারা দিয়ে মাঠে এসেছিলেন। তারা আমাদের পাশে থেকেছেন। সমর্থকদের অত্যন্ত ধন্যবাদ। তারা আমাদের পাশে থেকেছে বলেই তো এমনটা হয়েছে। এই জয় যেমন সমর্থকদের, তেমনই কোচ থেকে কর্তা সকলকে উতসর্গ করতে চাই। শেষ ম্যাচেও মোহনবাগানের সমর্থকরা তাদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছিল। কিন্তু এটা যে ডার্বি জয়। রাগ থাকলেও, শনিবার রাত ৯ টার পর থেকে সে সবই মিটে গেল তা বলাই যায়। এখন সকলেই যে মেতে মোহনবাগানের ডার্বি, সঙ্গে শিল্ড জয়ের আনন্দে।