দেবীপক্ষের পূণ্য লগ্নে ইস্টবেঙ্গলের(Eastbengal) হাতে চ্যাম্পিয়নের ট্রফি। আইনি জটিলতা কাটার পর গত শনিবারই আইএফএ-র(IFA) তরফে গতবারের কলকাতা লিগ (CFL) চ্যাম্পিয়ন হিসাবে ইস্টবেঙ্গলের(Eastbengal) নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে অপেক্ষাটা ছিল সেই লিগ চ্যাম্পিয়ন ট্রফিটা হাতে পাওয়ার। সোমবার সেটাই হল। মহালয়ার পরের দিনই ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) মাঠে লাল-হলুদ ফুটবলারদের হাতে উঠল চ্যাম্পিয়নের ট্রফি। শহরের মেয়র ফিরহাদ হাকিমের(Firhad Hakim) হাত দিয়েই সেই ট্রফি ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের হাতে তুলে দিল আইএফএ।
এবারের কলকাতা লিগেও(CFL) দুরন্ত ফর্মে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। সোমবার ড্র করতে পারলেই তারা চ্যাম্পিয়ন। গতবারের ট্রফি হাতে ওঠার দিনই যদি এবারের ট্রফিও ইস্টবেঙ্গল চ্যাম্পিয়ন হয়, তবে পুজোর আগে ইস্টবেঙ্গল শিবিরে যে ডাবল সেলিব্রেশন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তাঁবুতে এখন থেকেই ফিল গুড আবহাওয়া।
ডায়মন্ডহারবার এফসির(DHFC) আলিপুর জেলা আদালতে মামলা করার পরই ইস্টবেঙ্গলকে(Eastbengal) চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করার পদ্ধতি আটকে গিয়েছিল। আইএফএ-র বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে আলিপুর জেলা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ডায়মন্ডহারবার এফসি। এরপরই আইএফএ-র ইস্টবেঙ্গলকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করার পথে অন্তর্বর্তী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আদালত। তবে পাল্টা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা।

গত শুক্রবারই শুনানিতে আইএফএ-র পক্ষে রয় দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট(Kolkata High Court)। ডায়মন্ডহারবারের অভিযোগের ভিত্তি আলিপুর আদালতের নিষেধাজ্ঞা সঠিক নয় বলেও ঘোষণা করেছিল তারা। সেইসঙ্গে আইএফএ-কে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল গতবারের চ্যাম্পিয়নের নাম ঘোষণা করে দেওয়া।
২৪ ঘন্টার মধ্যেই ইস্টবেঙ্গলের নাম ঘোষণা করে দিয়েছিল আইএফএ(IFA)। সেই থেকেই লাল-হলুদ ফুটবল মহলে শুরু হয়ে গিয়েছিল উচ্ছ্বাস। চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি পেতে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করেছিল।
অবশেষে মহালয়ার পরের দিন অর্থাৎ দেবীপক্ষের পূণ্য লগ্নেই লাল-হলুদ ফুটবলারদের হাতে উঠল চির প্রতিক্ষীত সেই কলকাতা লিগ ট্রফি। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের হাত দিয়েই উঠল সেই ট্রফি। এবার শুধুই এবারের ট্রফি হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে ইস্টবেঙ্গল।







