সৌভিক মোহন্ত
১৩ ডিসেম্বর শহরে লিওনেল মেসি(Lionel Messi)। তাঁকে নিয়ে এখন থেকেই উন্মাদনার পারদ চড়তে শুরু করেছে তিলোত্তমায়। সেইসঙ্গে ভগবানের সঙ্গে সাক্ষাতের অপেক্ষায় দিন গুনছেন ভক্ত শিবে পাত্র(Shibe Patra)। যে মেসিকে(Lionel Messi) এতদিন শুধুমাত্র টিভিতে দেখেছেন। যাঁর ছবি দেখেছেন শুধুমাত্র। সেই মেসির সঙ্গেই যে এবার তাঁর সাক্ষাত হতে চলেছে। উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্ত(Shatadru Dutta) তাঁকে কথা দিয়েছেন। মেসিকে নিজে হাতে চা(Tea) খাওয়াতেই চান শিবে পাত্র(Shibe Patra)। মেসিকে একেবারে সামনে থেকে দেখতে পাবেন তিনি। এই আননন্দটা যেন ধরে রাখতে পারছেন না শিবে পাত্র। লিওকে ঘিরে রয়েছে নানান পরিকল্পনা। তবে একটা সবচেয়ে বড়। সেটা হল তাঁর ভগবান মেসিকে সামনে থেকে দেখতে পাওয়া। পাশে বসতে পারা।
মেসির(Lionel Messi) জন্মদিন মানেই ইছাপুরের পাত্র বাড়িতে হৈচৈ। মেসির(Lionel Messi) যত তম জন্মদিন, সেই পাউন্ডের কেক কাটা হয়। আসলে মেসিকে যে নিজের পরিবারের সদস্য ভাবেন শিবে পাত্র। মেসির যত বছরের জন্মদিন হয়, ঠিক তত গুলো পদই রান্না করা হয় সেদিন শিবে পাত্রের(Shibe Patra) বাড়িতে। আর সেই কর্মযজ্ঞে তাঁকে সাহায্য তাঁর স্ত্রী এবং কন্যা নেহা পাত্র দাস (Neha Patra Das)। বাড়ির রং থেকে চায়ের দোকানের রং। সবটাই লিও মেসির আর্জেন্তিনার জার্সির রঙয়ে। অনেকেই তাদের নিয়ে হাসাহাসি করেছেন। কিন্তু এই চা বিক্রিতা শিবে পাত্রের তাঁর ভগবানের প্রতি ভালোবাসা ছিল একেবারেই খাদহীন। মেসিকে যেমন নিজে হাতে বানানো চা খাওয়াতে চান তিনি। তেমনই মেসিকে জানাতে চান তিনি মেসিকে নিয়ে ঠিক কতটা পাগল। কলকাতায় মেসির জনপ্রিয়তা কী।

লিওনেল মেসির(Lionel Messi) অন্ধ ভক্ত তিনি। দোকান থেকে বাড়ি, যেদিকেই তাকানো যায় শিবে পাত্রর(Shibe Patra) সবকিছুটা জুড়েই শুধুমাত্র লিওনেল মেসি। ক্রীড়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তের হাত ধরেই দীর্ঘদিন ধরে দেখে আসা স্বপ্নটা এবার সফল হতে চলেছে তাঁর। আননন্দের সীমা বাঁধ ভেঙেছে। মাঝে একটা মাস। শিবে পাত্র এখন থেকেই দিন গুনছেন। এমনটা হবে নাই বা কেন, তাঁর কাছে যে মেসি ভগবান। আর সেই ভগবানের সাক্ষাত পাওয়ার সুযোগটাই তো তাঁর কাছে সবচেয়ে প্রিয়।
মেসির সঙ্গে দেখা করতে পারার কথা জানার পর থেকেই উচ্ছ্বসিত শিবে পাত্র। তিনি বলছিলেন, “যে সময় আমি জানতে পারলাম সেই সময় থেকেই আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি উচ্ছ্বসিত। দেখা করানোর কথা আমাকে বলেছে। ভগবানের সঙ্গে যদি দেখা হয় সেটাই আমার কাছে সবচেয়ে আনন্দের একটা মুহূর্ত। আমি মেসির জন্য বহু অনুষ্ঠান করেছি। তাঁকে কিছু জিনিস দেওয়ারও ইচ্ছা রয়েছে আমার। আর যিনি অর্থাৎ শতদ্রু দত্ত এই ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন, তিনি একদিন আমাদের বাড়িতে ভাত, ডাল, আলু পোসত খাবেন বলেছেন”।

শুধুমাত্র শিবে পাত্র নন। উচ্ছ্বসিত তাঁর মেয়ে নেহা পাত্র দাসও। যখন থেকে এই খবরটা পেয়েছে, আবেগতাড়িত তারাও। বাবার কষ্টটা একেবারে চোখের সামনে থেকে দেখেছেন। অবশেষে বাবার স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। তিনিও আপ্লুত।
নেহা পাত্র(Neha Patra Das) জানাচ্ছেন, “মেসি আসবে সেটা জানার পরই দাদাকে মেসেজ করেছিলাম। এই বছর মেসির জন্মদিনেও আমরা শতদ্রু দা-কে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। মেসি আসার ফাইনাল খবর পাওয়ার পর দাদার সোশ্যাল মিডিয়া পেজে গিয়েও পোস্ট করেছিলাম আমি। এরপরই একদিন দেখি শতদ্রু দা আমাকে মেসেজ করে বাবার ফোন নম্বর চেয়েছেন। সেটা দেখেই আমি চমকে গিয়েছিলাম। বিশেষ যখন বুঝতে পারছিলাম যে বাবার স্বপ্নটা এবার হয়ত পূরণ হতে চলেছে। বাবার সঙ্গে কথা হয়। এরপরই দাদা পোস্ট করেছিলেন যে তিনি আমাদের বাড়িতে আসবেন। এই দেখা করানোর ব্যপারটা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। আমরা সেখানে যাব। আমার বাবা যেহেতু চা বিক্রেতা, তাই মেসিকে বাবা নিজে হাতে চা খাওয়াবেনই”।







