সম্ভাবনা ছিলই। অপেক্ষাটা ছিল মোহনবাগানের(MBSG) জয়ের। ইউনাইটেড স্পোর্টসের বিরুদ্ধে ২-০ গোলে মোহনবাগান(MBSG) জয়ের পরই জমজমাট শিল্ড(IFA Shield) ফাইনাল। আগামী শনিবার যুবভারতীতে আইএফএ শিল্ড(IFA Shield) ফাইনালে ডার্বি(Derby)। ডুরান্ডের পর ফের একবার মুখোমুখি মোহনবাগান(MBSG) ও ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। বুধবার শিল্ডের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ইউনাইটেড স্পোর্টসকে ২-০ গোলে হারাল হোসে মোলিনার(Jose Molina) সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। মোহনবাগানের হয়ে গোল করেন দিমিত্রি পেত্রাতোস(Dimitri Petratos)। দ্বিতীয়ার্ধে আরেকটি গোল আত্মঘাতী।
ধারেভারে এগিয় থেকে নামলেও, এদিন মোহনবাগানকে(MBSG) আটকানোর জন্য প্রস্তুত ছিল লালকমল ভৌমিকের ইউনাইটেড স্পোর্টসও(United Sports)। লালকমলের(Lalkamal Bhowmik) রক্ষণাত্মক ছকের সামনে এদিন বারবারই কিন্তু মোহনবাগানের(MBSG) আক্রমণকে হোঁচট খেতে হচ্ছিল। দিমিত্রি(Dimitri Petratos), রবসনরা(Rosbon Robinho) বারবার ইউনাইটেডের বক্সে পৌঁছে গেলেও গোলের মুখ কিন্তু খুলতে পারছিলেন না। সেইসঙ্গে এদিন মোহনবাগানের রক্ষণে আশিস রাই(Ashis Rai) এবং মেহতাব সিং(Mehtab Singh) খানিকটা যেন ফর্মের বাইরেই ছিলেন।
মোলিনার(Jose Molina) ছক অনুযায়ী প্রথম থেকেই আক্রমণের ঝড় তোলার পরিকল্পনা ছিল মোহনবাগানের(MBSG)। সেইজন্য শুরু থেকেই দিমিত্রি(Dimitri Petratos), কামিন্স(Jason Cummins) এবং রবসনকে মাঠে নামিয়ে দিয়েছিলেন মোলিনা। কিন্তু বারবারই ইউনাইটেডের রক্ষণ তাদের আটকে দিচ্ছিল। সেইসঙ্গে মোহনবাগানের বহু সুযোগ হাতছাড়া। রবসন রোবিনহো বেশ কয়েকটি সুন্দর বল বাড়ালেও কখনও কামি্ন্স তো কখনও দিমিত্রি পেত্রাতোস(Dimitri Petratos), কিয়ান নাসিরিরা নিজেদের পজিশনে পৌঁছতে পারছিলেন না। অন্তত প্রথম আধ ঘন্টা তো মোহনবাগানের(MBSG) ফরোয়ার্ডদের সেভাবে সুবিধাই করতে দেয়নি ইউনাইটেড স্পোর্টস।
বরং ম্যাচের ২০ মিনিটের মেহতাব সিংয়ের বল বাঁচানোর প্রচেষ্টা মোহনবাগানকে বিপদে ফেলে দিতেই পারত। রক্ষণাত্মক ফুটবল খেললেও ইউনাইটেড এদিন মাঝেমধ্যেই কাউন্টার অ্যাটাকে যাচ্ছিল। সেখানে সুজল মিন্ডার শট একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
পাল্টা আক্রমণে দিমিত্রির(Dimitri Petratos) সাজানো পাস কিয়ান নাজিরি মিস না করলে ৩৭ মিনিটের মধ্যেই গোলের মুখ খুলে ফেলতে পারত মোহনবাগান। কিন্তু তা হয়নি। তবে শেষপর্যন্ত সেই দিমিত্রি পেত্রাতোসের(Dimitri Petratos) গোলেই এগিয়ে যায় মোহনবাগান। ১-০ গোলেই শেষ হয় প্রথমার্ধ।
বিরতির পর আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়াতে দিমিত্রিকে তুলে জেমি ম্যাকলারেনকে মাঠে নামান মোহনবাগান কোচ। ক্রমশই চাপ বাড়াতে শুরু করে মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধ শুরু তিন মিনিটের মধ্যেই গোল পায় মোহনবাগান। তবে আত্মঘাতী গোল। ম্যাচের ভবিষ্যৎ কার্যত তখনই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল।
পিছিয়ে থাকলেও ইউনাইটেডও কিন্তু খুব সহজে ম্যাচ ছেড়ে দেওয়ার দল এদিন ছিল না। মাঝেমধ্যেই কাউন্টার অ্যাটাকে মোহনবাগান বক্সে হানা দেয় তারা, তবে কখনও অলড্রেড তো কখনও টেকচামদের দক্ষতায় রক্ষা পায় মোহনবাগান।
সুযোগ পেলেও মোহনবাগান অবশ্য আর ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। রেফারির শেষ বাঁশি বাজতে মাঠেই শুরু ফুটবলারদের উল্লাস। আগামী ১৮ অক্টোবর এবার ফাইনাল। আবার চির প্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে। মধুর প্রতিশোধ মোহনবাগান নিতে পারে কিনা সেটাই দেখার।







