দুর্গা পুজো শুরু হতে এখনও কয়েকটা দিন বাকি, কিন্তু তার আগেই ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) ক্লাবে শুরু উৎসব। নতুন রুপে সেজেছে ইস্টবেঙ্গল মাঠ। আবারও যেন সেই চেনা ছবি ফিরল ময়দানের লাল-হলুদ ক্লাব তাঁবুতে। ইউনাইটেড স্পোর্টসকে ২-১ গোলে হারিয়ে আবারও কলকাতা লিগ(CFL) ইস্টবেঙ্গলেরই(Eastbengal)। প্রিয় দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরই মাঠে ইস্টবেঙ্গল গ্যালারীতে জ্বলল লাল-হলুদ মশাল। ফাটল আঁতস বাজি। পুজোর আগেই সমর্থকদের বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাসে গা ভাসালেন ফুটবলাররাও।
এদিন ইউনাইটেড স্পোর্টসের(United Sports) বিরুদ্ধে নেমেছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য ইস্টবেঙ্গলের (Eastbengal) প্রয়োজন শুধুমাত্র ড্রয়ের। কিন্তু লাল-হলুদ ব্রিগেড শুরু থেকেই ছিল আক্রমণাত্মক মেজাজে। ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের হাতে উঠেছিল চ্যাম্পিয়নের ট্রফিটা। না সেটা এবারের নয়, গতবারের চ্যাম্পিয়ন ট্রফিটা হাতে পেয়েছিল তাদের। আর সেটাই যে ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকদের উত্তাপের পারদ আরও কয়েকগুন বাড়িয়ে দিয়েছিল। এই মঞ্চেই তাদের সামনে ছিল আরও একটা চ্যাম্পিয়নশিপের হাতছানি। ডেভিড(David Lalhansanga), শ্যামল বেসরাদের (Shyamal Besra) হাত ধরে সেই স্বপ্নটাও পূরণ হল ইস্টবেঙ্গলের। লালকমল ভৌমিকের (Lalkamal Bhowmik) ইউনাইটেডকে হারিয়ে ফের একবার কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল।
এদিন ইস্টবেঙ্গল (Eastbengal) শুরু থেকেই ছিল আক্রমণাত্মক। ইউনাইটেডকে প্রথম থেকেই চাপে ফেলার কৌশল ছিল লাল-হলুদ কোচের। তবে পাল্টা লড়াইটা লালকমলের ইউনাইটেডও কিন্তু বেশ ভালোভাবেই দিচ্ছিল। শুরুর দিকে কয়েকটা সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলেও, ম্যাচের বযস যখন ৩৭ মিনিট আর কোনও ভুল করেননি ডেভিড লালহানসাঙ্গা। তাঁর দুরন্ত গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। তবে শুরুর দিকে সায়নরা বহু সুযোগ নষ্ট না করলে, প্রথমার্ধেই হয়ত ব্যবধান অনেকটা বাড়িয়ে ফেলত পারত ইস্টবেঙ্গল।
তবে বিরতির পর খেলাটা ছিল আক্রমণ-প্রতিআক্রমণের। ছক বদলে ইউনাইটেড(United Sports) ক্রমশই চাপ বাড়াতে থাকে ইস্টবেঙ্গলের (Eastbengal) বক্সে। মহম্মদ রফিকরা তখন যেন গোল পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। এরইমাঝে আবার লালকার্ড দেখেন ইউনাইটেড কোচ লালকোমল ভৌমিক। খেলার একেবারে শেষের দিকে সমতায় ফেরে ইউনাইটেড স্পোর্টস। চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে ইস্টবেঙ্গলের ড্র হলেও চলত। কিন্তু গোল হজমের পর ফের যেন আবারও তেঁতে যান বিনো জর্জের ছেলেরা। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে শ্যামল বেসরার (Shyamal Besra) গোল। আর তাতেই ম্যাচের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করে ফেলে ইস্টবেঙ্গল। ইউনাইটেড চেষ্টা চালালেও, ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়বার সমতায় ফেরার জন্য তা যথেষ্ট ছিল না।
রেফারির বাঁশি বাজতেই মাঠে শুরু সেলিব্রেশন। গ্যালারী জ্বলল মশাল। মাঠে নেমে পুটবলারদের সঙ্গে তখন উচ্ছ্বাসে মেতেছেন সমর্থকরাও। ৪১ তম কলকাতা লিগ যে তখন ইস্টবেঙ্গলের।







