দিয়ামনতাকসের পরিবর্ত ফুটবলার দলে নিতে খুব একটা বেশি দেরি করেনি ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। হিরোশি ইবুসুকিকে(Hiroshi Ibusuki) দলে নিয়েছে লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্ট। অস্কার ব্রুজোঁর(Oscar Bruzon) পছন্দের তালিকা থেকেই দলে তুলে নেওয়া হয়েছে এই জাপানি ফুটবলারকে। তাঁকে নিয়ে যে ইস্টবেঙ্গল কোচ স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত থাকবেন তা বলার অপেক্ষা রাখে ন। বিবিন্ন এলিট ক্লাবে খেলার পাশাপাশ এরিয়াল বল খেলার দুরন্ত দক্ষতা রয়েছে এই জাপানি ফুটবলারের। আর সেটাই নাকি তাঁকে পছন্দ করার জন্য অস্কারের প্রধান কারণ ছিল।
হিরোশির(Hiroshi Ibusuki) দলে আসা নিয়ে অত্যন্ত খুশি অস্কার ব্রুজোঁ। তিনি জানিয়েছেন, হিরোশি একজন দক্ষ সেন্টার ফরোয়ার্ড। তাঁর চেহারাটা যেমন অ্যাডভান্টেজ তেমনই আবার এরিয়াল বলেও লড়াইয়ের দক্ষতা রয়েছে তাঁর। বিশ্বের নানান এলিট ক্লাবে খেলার যেমন তাঁর অভিজ্ঞতা রয়েছে তেমনই একজন সেরা ফিনিশারও তিনি।
ইস্টবেঙ্গল এই ফুটবলারের নাম ঘোষণার পর থেকেই নানান কথাবার্তা শুরু হয়ে গিয়েছে। তাঁর প্রোফাইল কিন্তু বেশ চমকপ্রদ। তাঁর এ-লিগ খেলা নিয়ে আলোচনা চলছে। শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়ায় নয়, হিরোশির কিন্তু স্পেনের সেরা লা লিগাতেও খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আর সেই সমস্ত প্রোফাইলও কিন্তু সকলকে চমকে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
হিরোশি বিদেশের ক্লাবে খেলার অভিষেকটাই হয়েছে কিন্তু গিরোনা দিয়ে। লা লিগায় বার্সেলোনা, রিয়্যাল মাদ্রিদ এবং অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মতো দলকে বহুবার আটকে দিয়েছে গিরোনা। সেই গিরোনার জার্সিতে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। শুধুমাত্র গিরোনাই নয়। সেভিয়ার সিনিয়র দলের পাশাপাশি খেলেছে রিজার্ভ দলের হয়ে। এছাড়াও ভ্যালেন্সিয়ার বি দলের হয়েও লা লিগাতে খেলেছেন তিনি।
এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড ইউনাইটেড, ওয়েস্টার্ন ইউনাইটেডের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। জাপানি এই ফুটবলারের প্রোফাইল যে বেশ লোভনীয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দেখে নেওয়া যাক হিরোশি ইবিসুকার পারফরম্যান্স।
গিরোনা – ৬ ম্যাচ গোল – ০
সেভিয়া – ১ ম্যাচ গোল – ০
ভ্যালেন্সিয়া বি – ৩৩ ম্যাচ – গোল – ৭
অ্যাডিলেড ইউনাইটেড – ৭১ ম্যাচ গোল – ২৮
ওয়েস্টার্ন ইউনাইটেড – ২৫ ম্যাচ গোল – ১০
কয়েকদিন আগেই ইস্টবেঙ্গলের নতুন বিদেশি দলে নেওয়ার সিদ্ধান্তটা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। গত বিশ্বকর্মা পুজোর দিনই এই জাপানি ফুটবলারের নাম ঘোষণা করে দিয়েছে লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্ট।