দ্বিতীয় ইনিংসে জোড়া সেঞ্চুরি করলেও ভারতের(India Team) বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। দীর্ঘদিন ১৪ বছর ভারতের বিরুদ্ধে এক ইনিংসে জোড়া সেঞ্চুরি করার রেকর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজ(West Indies) করল ঠিকই। কিন্তু কুলদীপ(Kuldeep Yadav), বুমরাদের(Jasprit Bumrah) দাপটের সামনে এই ম্যাচেও হারের সামনেই ক্যারিবিয়ান ব্রিগেড। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইট ওয়াশ করাটা এখন শুধুই ভারতের কাছে সময়ের অপেক্ষা। জয়ের জন্য চতুর্থ দিন ভারতের প্রয়োজন আর ৫৮ রান। তৃতীয় দিনের শেষে ভারতের রান ১ উইকেটে ৬৩। দিনের শেষে ক্রিজে রয়েছেন কেএল রাহুল(KL Rahul) ও সাই সুদর্শন(Sai Sudarshan)। এদিন কুলদীপ(Kuldeep Yadav) এবং বুমরার দাপটে শেষপর্যন্ত ৩৯০ রানেই শেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংস। দুই বোলারের ঝুলিতেই তিনটি করে উইকেট। দুই ইনিংস মিলিয়ে কুলদীপের(Kuldeep Yadav) একারই শিকার ৮ উইকেট।
স্পিনারদের দাপটে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথম ইনিংসে বিধ্বস্ত করেছিল ভারত। ২০১৫ সালের পর এই প্রথম ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ফলো অনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। সেখানে শুরুর দিকে পরপর দুই উইকেট তুলে নিলেও, সাই হোপ(Shai Hope) এবং ক্যাম্পবেলের(John Campbell) হাত ধরে বড় পার্টনারশিপ গড়ার কাজটা শুরু করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই উইকেটের বেশি আর তুলতে পারেনি ভারতীয় দলের(Indian Team) বোলাররা।
তৃতীয় দিনের শুরু থেকেও দুরন্ত ফর্মে ছিলেন দুই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। অবশেষে সেই রবীন্দ্র জাদেজার(Ravindra Jadeja) বোলিংয়েই ভাঙে সেই পার্টনারশিপ। ১১৫ রানে সাজঘরে ফেরেন জন ক্যাম্পবেল। তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ২১২। কিন্তু তখনও ক্রিজে ছিলেন শাই হোপ। অবশেষে সিরাজের হাত ধরেই চাপমুক্তি ভারতের। হোপ ফিরতেই, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটাররা আর বেশিক্ষণ মাঠে দাঁড়াতে পারেননি। ৩৯০ রানেই শেষ ক্যারিবিয়ান ব্রিগেড। ভারতের বিরুদ্ধে লিড তখন মাত্র ১২৮ রানের।
ম্যাচের রাশ শুরু থেকেই ছিল ভারতের দখলে। তবে এই ইনিংসে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন যশস্বী জয়সওয়াল(Yashasvi Jaiswal)। ৮ রানেই সাজঘরে ফিরে গিয়েছেন তিনি। ক্রিজে রয়েছেন কেএল রাহুল ও সাই সুদর্শন। রাহুল ২৫ রানে এবং সাই সুদর্শন ৩০ রানে অপরাজিত রয়েছেন।







