মিগুয়েলের(Miguel) দুরন্ত গোলে এগিয়ে গেলেও, শেষরক্ষা হল না। সুপার কাপের(Super Cup) প্রথম ম্যাচ থেকেই যেন চাপে পড়ে গেল অস্কার ব্রুজোঁর ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। বিদেশিহীন ডেম্পোর(Dempo) সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র লাল-হলুদ ব্রিগেডের। ছয় বিদেশী নামিয়েও সাফল্য অধরাই রয়ে গেল অস্কার ব্রুজোঁর। ডেম্পোর সঙ্গে এই ফলাফলের পর ইস্টবেঙ্গলের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন ওঠাটাই স্বাভাবিক। কারণ পরের ম্যাচগুলোতে যে প্রতিপক্ষ আরও কঠিন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ডেম্পোর বিরুদ্ধে পাঁচ বিদেশি নিয়ে দল সাজিয়েছিলেন অস্কার ব্রুজোঁ(Oscar Bruzon)। অন্যদিকে বিদেশীহিন ডেম্পো(Dempo)। কিন্তু এদিন শুরু থেকেই যেন খানিকটা ক্যাসুয়াল ছিল ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। ডেম্পোকে যেন হাল্কা ভাবে নিয়েছিল তারা। তারই খেসারত দিল ম্যাচের ২৭ মিনিটে। দেবজিতের বিশ্রী ভুলে শুরুতেই এগিয়ে যায় ডেম্পো। এদিনও লাল-হলুদের তেকাঠির নীচে দেবজিতের ওপর ভরসা রেখেছিলেন অস্কার। কিন্তু তাঁর পরিকল্পনা ব্যর্থই। হিরোশি(Hiroshi Ibusuki) থেকে হামিদ(Hamid Ahadad), রশিদ(Mohammed Rashid), মহেশরা এরপর আক্রমণ বাড়ালেও গোলের মুখ কিন্তু খুলতে পারেননি। ডার্বির পর এদিনও কিন্তু নজর কাড়তে পারলেন না হিরোশি। তাঁর ধীর গতির ফুটবল বারবারই সমস্যায় ফেলেছে ইস্টবেঙ্গলকে। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ গোলেই।
বিরতির পর জোড়া বদল অস্কারের(Oscar Bruzon)। নুঙ্গা এবং মিগুয়েলকে মাঠে পাঠান তিন। অর্থাৎ ম্যাচে ফিরতে ছয় বিদেশিকেই মাঠে নামিয়ে দিয়েছিলেন অস্কার। শুরু থেকে চাপও বাড়িয়েছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। ৪৬ মিনিটে মহেশের গোল। কিছুক্ষণের মধ্যেই মিগুয়েলের একেবারে সাইড লাইন থেকে দুর্ধর্ষ গোল। এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু তাদের সুযোগ নষ্টের খেলা ছিল অব্যহত।
মহেশ থেকে কেভিন, বিপিন এবং মিগুয়েলরা যে সব সুযোগ পেয়েছিলেন, তা কাজে লাগাতে পারলে ইস্টবেঙ্গল বড় ব্যবধান রাখতেই পারত। কিন্তু কখনও বারে লেগে, তো কখনও লক্ষ্য ভ্রষ্ট। বরং ম্যাচের একেবারে অন্তিম লগ্নে ডেম্পোর গোল। তিন পয়েন্ট হাতছাড়া। আর এটাই লাল-হলুদের চিন্তা বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট। পরবর্তী রাউন্ডে যেতে গেলে সব ম্যাচ জেতা ছাড়া ইস্টবেঙ্গলের আর উপায় নেই। সেইসঙ্গে গোল পার্থক্যের দিকেও নজর দিতে হবে।







