শুরুতেই একটু ভুল হয়ে গেল!
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কোচ মাহেলা জয়বর্ধনে। তা হলে রোহিত কী করে কোচ হয়ে দলকে জেতাবেন!
প্রশ্ন এখাানেই। গতবছর দলের অধিনায়কত্ব তাঁর হাত থেকে চলে গিয়েছে। ম্যানেজমেন্ট হার্দিক পান্ডিয়াকে রোহিতের জায়গায় তাঁকে বসিয়ে দিয়েছেন। সেই থেকে তিনিই দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। রোহিত আছেন। কদিন থাকবেন তা অজানা। কারন নাগাড়ে ব্যর্থ রোহিতকে নিয়ে চলা কি সম্ভব হবে। আবার মাঠের বাইরে বসিয়ে রাখাও কঠিন। তাই প্রথম একাদশে তিনি এখনও আছেন। আইপিএলে মুম্বইয়ের ৬টি ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতে খেলেছেন রোহিত (একটি ম্যাচে চোটের কারনে বাইর ছিলেন) । তাঁর সর্বোচ্চ রান ১৮। তবু ম্যানেজমেন্ট তাঁর উপর ভরসা রেখে খেলিয়ে চলেছেন। সেই তিনি কী করে কোচ হয়ে গেলেন।
রবিবার দিল্লির অরুন জেটলি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ২০৫ রান। ছোট মাঠ। এই মাঠে আর অন্তত ২০ রান দরকার ছিল। ২২৫-২৩০ রান বোর্ডে তুলতে পারলে মু্ম্বই কিছুটা নিশ্চিন্তে থাকতে পারত। সেটা না হওয়ায় শুরুতে চাপেই ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়ারা। এখানেই রোহিতের কাছ থেকে মিলল টুইস্ট। তিনি কোচ মাহেলা জয়বর্ধনে বলেন সাব ক্রিকেটার হিসেবে লেগ স্পিনার করন শর্মাকে নামাতে। এর আগে আরসিবি থেকে আসা করন কোনও ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। হঠাৎ করে তাঁকে এমন ম্যাচে নামিয়ে দেওয়া সঠিক হবে! কিন্তু রোহিতের কথা উড়িয়ে দিতে পারলেন না মাহেলা। রোহিতের বদলে সাব ক্রিকেটার হিসেবে নেমে পড়লেন করন।
ঠিক ছিল পাওয়ার প্লে-র পর করনকে আক্রমনে আনা হবে। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর মু্ম্বই ইন্ডিয়ান্সের ডাগআউটে বসে হার্দিককে উদ্দেশ্য করে রোহিত লেগ স্পিনারকে আনার কথা বলছেন। বারবার হাত ঘুরিয়ে নিজে লেগস্পিন করছিলেন। পাশে বসা মাহেলাও হাত নেড়ে সেকথাই বলছিলেন। ৯ নম্বর ওভারে করন এসে সুবিধা করতে পারলেন না। এরপরই রোহিতের এক চালে দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচ থেকে হারিয়ে গেল। তখনও পর্যন্ত তারা ভাল জায়গায় ছিল। ১০ ওভারে ১ উইকেট ১১৯ রান। বাকি ১০ ওভারে দরকার ৮৭ রান। হাতে ৯টি উইকেট। উইকেটে জাঁকিয়ে বসেছেন করুন নায়ার ও অভিষেক পোড়েল। তা হলে কি ম্যাচ বের করে নিল দিল্লি। পাঁচে পাঁচ করে তারা লিগ টেবিলে একনম্বরে চলে এল! এবার রোহিত বল বদলের কথা হার্দিককে বললেন। এবারের আইপিএলে ঠিক হয়েছে ১১ ওভার হওয়ার পর ফিল্ডিং সাইড চাইলে বল বদল করতে পারে। তার জন্য অবশ্য আম্পায়ারের অনুমতি প্রয়োজন। তিনি মন করলে বল বদল হতে পারে। শিশিরের কারনে বল গ্রিপ করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। বল বদল হলে এটা হবে না। হার্দিক আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বললেন। বল দেখালেন। আম্পায়াররা মুম্বইয়ের কথায় সায় দিতে বল বদল হল। ব্যস, এখানেই সব শেষ। করন শর্মা বল হাত কাজ শেষ করে দিলেন। তিনি তুলে নিলেন তিন উইকেট। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা নায়ারকে ফিরিয়ে দিলেন বাঁহাতি সপিনার স্যান্টনার। বোলিংয়ের পাশপাশি মু্ম্বই ফিল্ডিংও দুর্দান্ত করল। তিনটি রান আউট দিল্লিকে আরও চাপে ফেলে দিল। তারা শেষপর্যন্ত ১২ রানে ম্যাচ হেরে গেল। এবারের আসরে এটিই দিল্লির প্রথম হার।
দিল্লিকে নিয়ে কথা কিছু নেই। আসল কথা রোহিতের টোটকায় মুম্বইয়ের বাজিমাতের গল্প। দারুন শুরু করে ব্যাটে বড় রান করতে না পারলেও বুদ্ধিতে টেক্কা দিয়ে গেলেন। আসলে জাতীয় দলকে দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্ব দেওয়ার কারনে ম্যাচ আগে পড়ে নিতে পারেন। দিল্লির মাঠে বসে সেটাই করলেন রোহিত। হার্দিক বা মাহেলা যা বুঝতে পারেননি, সেটাই পড়ে ফেলেছিলেন রোহিত। তাই প্রায় জোর করে সাব ক্রিকেটার হিসেবে করন শর্মাকে মাঠে নিয়ে আসেন। ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা করন। ভাবা যায়! দিল্লির ইনিংস শুরু হওয়ার আগে তিনি যেন হঠাৎ করে কোচ হয়ে গেলেন। সেই কোচ রোহিত (!) মু্ম্বইকে আবার জয়ের সরণীতে নিয়ে এলেন। বুঝিয়ে দিলেন তিনিই বস। হার্দিক তাঁর থেকে অনেকটাই পিছিয়ে। এমনকি মাহেলা জয়বর্ধনেও।

এজবাস্টনে কুলদীপকে চাই, ফিল্ডিংয়েও নজর দিতে হবেঃ ক্লার্ক
শুরুতেই সিরিজে ভারত পিছিয়ে পড়েছে। এবার ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। সেই লড়াইয়ে জিততে হলে দলে কিছু বদল দরকার। সঙ্গে আগের