পদকজয়ী এবং প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদরা বাংলায় যথার্থ আর্থিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত-এই সত্যি বহুদিনের। স্বপ্না বর্মণ, প্রণতি নায়েক, তিয়াশা পল, সায়নী ঘোষ, মৌমিতা মণ্ডলের মত একাধিক পদকজয়ী ক্রীড়াবিদ বাংলা ছেড়ে অন্য রাজ্যে চলে গিয়েছেন যথার্থ আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে। সেই নিয়ে সংবাদমাধ্যমেও লেখালেখি কম হয়নি।
সেই অভাব ভবিষ্যতে দুর করার প্রচেষ্টায় উত্তর ২৪ পরগণা জেলা ক্রীড়া সংস্থা (ডিএসএ) দৃষ্টান্ত তৈরি করল। তাদের প্রতিশ্রুতি ছিল উত্তর ২৪ পরগণা থেকে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় সোনা এবং রূপোর পদক পাওয়া ক্রীড়াবিদদের আর্থিক সহায়তা করা হবে। যাতে ভবিষ্যতে অর্থের অভাবে তাদের মধ্যে আরও উন্নত মানের ট্রেনিং করতে দ্বিধা না আসে।
সম্প্রতি জাতীয় সাতাঁরে চারটি পদক নিয়ে ফিরেছে এই জেলার সাতাঁরু সানিথি মুখার্জি। সে পেয়েছে তিনটি সোনা এবং একটি রূপো। উত্তর ২৪ পরগণা ডিএসএ-র পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মঙ্গলবার সানিথিকে দেওয়া হল মোট ৯৫ হাজার টাকার একটি চেক (সোনার পদক জিতলে ২৫০০০ এবং রুপোর পদকে ২০,০০০ টাকা)। তুলে দিলেন সাতাঁরের দ্রোনাচার্য প্রদীপ কুমার।

অনুষ্ঠানে ছিলেন প্রদীপ কুমারেরই ছাত্র অলিম্পিয়ান সজন প্রকাশ, জেলারই এক জাতীয় ফুটবলার ও বর্তমানে ইউনাইটেড স্পোর্টসের কোচ লালকমল ভৌমিক এবং জেলার আর এক প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার মহম্মদ রফিক। সানিথি ছাড়াও রূপোর পদক পাওয়ার জন্য ২০ হাজার টাকার চেক পেয়েছে জেলারই আর এক সাতাঁরু স্নিগ্ধা ঘোষ।
বাংলায় জেলার খেলাধুলোর ইতিহাসে এই উদ্যোগ প্রথম। দ্রোনাচার্য সাতাঁরু প্রদীপ কুমার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তার মতে এই উদ্যোগেই ভবিষ্যতে প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে আসা প্রতিভাবান সাতাঁরুরা আর্ন্তজাতিক মানে পৌঁছতে পারবে।







