হেডিংলে টেস্টে পাঁচ উইকেটে হারের পর থেকে ভারতীয় ক্রিকেটে অন্তত একটা জায়গায় বদলের কথা সবাই বলছেন। অনেকে আবার আশা করেছিলেন, প্রথম টেস্টে তাঁকে খেলতে দেখা যাবে। কিন্তু ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবনায় না থাকায় তাঁকে বাইরে বসতে হয়। এবার এজবাস্টন টেস্ট। ২ জুলাই থেকে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে। আবার তাঁর নাম উঠে আসছে। অনেক প্রাক্তন হেডিংলেতে হারের দিন থেকে তাঁর নাম বলে আসছেন। এবার নবতম সংযোজন প্রাক্তন অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিন।
আজহার কি বলছেন! এক সাক্ষাতকারে তিনি বলছেন, দলের একজনকে বাইরে রেখে কাউকে আনার কথা ভাবা হলে তার নাম অবশ্যই বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার কুলদীপ যাদব হওয়া উচিত। কুলদীপক বাইরে রেখে ভারতীয় দলের প্রথম একাদশ হতে পারে না। এজবাস্টনে স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পায়। সেখানে উইকেট অনেক শুষ্ক থাকে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভারত প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে পারে। তাই কুলদীপ ছাড়া অন্য কারোর নাম ভাবতেই পারছি নাা।
বুমরা খেলবেন কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। ভারতীয় দলের নেটে তিনি অবশ্য বল করছেন। টিম ম্যানেজমেন্ট এখনও লাস্ট কল নেয়নি। তাই বোঝা যাচ্ছে না বুমরাকে নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন গম্ভীর। আজহারের কাছেও এ নিয়ে নিশ্চিত করে কোনও কিছু নেই। তিনি সে পথে হাঁটলেন না। বলছেন, প্রথম টেস্ট দেখে যা বুঝলাম তা হল ভারতীয় বোলিং বিভাগ বুমরার উপর নির্ভরশীল। এতে বাড়তি চাপে পড়ছে বুমরা। সেই চাপ কমাতে পারছে না সতীর্থরা। বুমরাকে সাহায্য করতে দলে অভিজ্ঞ বোলারের প্রয়োজন। তাই কুলদীপকে খেলানো উচিত।
হেডিংলেতে ভারত হারল কেন! আজহারের চোখে বোলিংয়ের থেকেও বড় করে ধরা পড়েছে দলের ব্যাটিং ব্যর্থতা। বলছেন, ব্যাটিং ব্যর্থতার কারনে আমরা হেরেছি। যাই হোক, এখন তাদের সঠিক ক্রিকেটার নির্বাচন করতে হবে। পাশাপাশি বোলিং নিঁখুত করতে হবে।
ভারত হারলেও অধিনায়ক শুভমান গিলের পাশে দাঁড়িয়েছেন আজহার। বলছেন, অধিনায়ক হিসেবে এটা ওর প্রথম সফর। প্রথম ম্যাচ। দল হেরেছে বলে অধিনায়ককে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যাবে না। সেটা হলে ভুল হবে। অধিনায়ককে নিয়ে এখনই কথা বলতে হলে সেটা খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে। আমাদের সকলের উচিত ওকে সময় দেওয়া। সবে টেস্ট দলের দায়িত্ব নিয়েছে। তাই ওকে সমর্থনের পাশাপাশি সময়ও দেওয়া উচিত। শুধু সমালোচনা করলে হবে না।