শুরুতেই সিরিজে ভারত পিছিয়ে পড়েছে। এবার ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। সেই লড়াইয়ে জিততে হলে দলে কিছু বদল দরকার। সঙ্গে আগের ম্যাচের ভুলগুলি শুধরে নিতে হবে। না হলে সমস্যা বাড়বে। কলকাতায় মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক একথা জানান।
কলকাতায় বেশ কিছুদিন আছেন ক্লার্ক। এক বেসরকারি চ্যানেলে বেঙ্গল প্রো লিগে বিশেষজ্ঞর কাজ করছেন। তারই ফাঁকে ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা। আর তাঁকে সামনে পেলে ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ উঠে আসবে তা আর নতুন করে বলার দরকার পড়ে না। বৃহস্পতিবার তাই আলোচনায় উঠে এল হেডিংলে ও এজবাস্টন টেস্ট। হেডিংলে এখন অতীত। সামনে লড়াই এজবাস্টন জয়ের। সেদিকে তাকিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট ফ্যানরা। ভারত কি পারবে সিরিজে সমতা ফিরিয়ে আনতে। এই প্রশ্নের সামনে দাঁড়িয়ে ক্লার্ক বলেন, এজবাস্টন টেস্টে সবার আগে দরকার কুলদীপ ফিরিয়ে আনা। জাদেজার উপর ভরসা আছে। আমি চাইব জাদেজার সঙ্গে কুলদীপ খেলুক। সঙ্গে তিন পেসার। জানি না বুমরা খেলবে কিনা। খেললে ভাল, না হলে অন্য ক্ছু ভাবতে হবে টিম ইন্ডিয়াকে।
হেডিংলে টেস্ট শেষ হওয়ার পর থেকেই এজবাস্টন টেস্ট ভারতীয় ফ্যানদের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। কেমন হতে পারে এজবাস্টনের প্রথম একাদশ! সেদিনই গাভাসকর, শাস্ত্রীরা জানিয়েছিলেন, কুলদীপকে দলে নিয়ে আসতে হবে। গাভাসকর বলেছিলেন, এজবাস্টনে স্পিনাররা কিছুটা সুবিধা পায়। সেই সুবিধা কাজে লাগাতে হবে জাদেজা ও কুলদীপকে। এক অর্থ ভারত এবার দুই স্পিনারে খেলবে। তা হলে তো একজন ব্যাটসম্যান কম নিয়ে খেলতে হবে ভারতীয় দলকে। কোচ গম্ভীর আবার আট ব্যাটসম্যান নিয়ে প্রথম একাদশ সাজাতে চান। তাই তাঁর পছন্দ অলরাউন্ডার নেওয়ার। কুলদীপকে দলে রাখলে সেই ভাবনা মিলবে না। তা হলে কি করা যেতে পারে। ক্লার্ক বলছেন, জাদেজা ভাল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনেক অভিজ্ঞতা। ওর সঙ্গে কুলদীপ থাকলে ভারত সুবিধা পাবে। তাই আমি কে চাইছি। ভারতীয় দলের শুরুর দিকের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে কথা বলার দরকার নেই। ওরা প্রমান করেছে ইংল্যান্ড মাঠে কেমন খেতে পারে। না হলে ভারতীয় দল টেস্টে পাঁচটি সেঞ্চুরি কি করে করল। একজন ব্যাটসম্যান কম নিয়ে খেললে অসুবিধা হবে না।
ে
এজবাস্টনে আরও দুটি জিনিস ভারতকে করতে হবে। প্রথম হচ্ছে লোয়ার অর্ডারে রান করতে হবে। হেডিংলে টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে লোয়ার অর্ডার ১৩ উইকেটে মাত্র ৭২ রান করেছে। এমনটা না হলে প্রথম ইনিংস ভারত পাঁচশোর উপর রান করত। দ্বিতীয় ইনিংসেও রান বাড়ত। সেটা হল না লোয়ার অর্ডারদের ব্যাটিং ব্যর্থতায়। এজবাস্টনে এমন কিছু যেন না হয়। এর থেকেও বড় কথা ভারতীয় দলকে ফিল্ডিংয়ে উন্নতি করতে হবে। সাতটি ক্যাচ ফেলে দেওয়ার পর কোনও দলের ম্যাচ জেতার কথা নয়। ভারতও জেতেনি। এমন চলতে থাকলে কি করে সিরিজে সমতা আনা যাবে। প্রথম লক্ষ্য এজবাস্টন জয় করে সিরিজে সমতা আনা। তারপর অন্য কিছু ভাবা যেতে পারে। এখন অবশ্য এর বাইরে অন্য কিছু ভাবনা নেই।