শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে ফের স্বমহিমায় ফিরে এলেন কোকো গফ। আমেরিকান সতীর্থ ম্যাডিসন কিসকে তিনি ৬-৭ (৬-৮), ৬-৪ ও ৬-১ সেটে হারিয়ে পৌছে গেলেন ফরাসি ওপেনের সেমিফাইনালে। তঁাকে এবার মোকাবিলায় নামতে হবে বিশ্বের ৩৬১ নম্বর লোইস বোইসনের সঙ্গে।
ক্লে কোর্টে এবার ভাল পারফর্ম করছেন গফ। মাদ্রিদ ও রোমে পরপর দুটো ফাইনালে পৌছন। কিন্তু হেরে বসেন আরিনা সাবালেঙ্কা ও জেসমিন পাওলিনির কাছে। বুধবার শুরু থেকে গফকে কেমন নিষ্পৃহ মনে হচ্ছিল। কিসও যে দুরন্ত ছন্দে ছিলেন তা নয়। কিন্তু দ্রুত পরিস্থিতি পাল্টে গফের ব্যর্থতাকে ধরে নিয়ে এগিয়ে যান কিস। ব্যবধান বাড়িয়ে ৪-১ এগিয়ে যান তিনি। পরে আর ঘুরে দঁাড়াতে পারেননি গফ। কিন্তু দ্বিতীয় সেটে কিস আনফোর্সড এরর করতে শুরু করেন। অন্যদিকে গফ ম্যাচে দ্রুত ফিরে আসতে থাকেন। দ্বিতীয় সেটের শেষ দিকে ম্যাচে নিজেকে ফিরে পান তিনি। শেষমেশ পরপর দুটো সেট জিতে গফ পৌছে যান আসল লক্ষ্যে।
“মানছি, ম্যাচটা সহজ ছিল না। ভাললাগছে, কঠিন পরিস্থিতিকে জয় করে ম্যাচে ফিরে আসতে পেরেছি। নিঃসন্দেহে ভাল খেলে কিস। তার ফোরহ্যান্ড বিশ্বের সেরাদের মধ্যে অন্যতম। জানতাম এই ম্যাচ জিততে হলে আমাকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। সেইভাবে খেলার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছি।” বলেন ২১ বছরের গফ। তঁার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, পিছিয়ে পড়ে ফিরে আসার পেছনে আসল রসায়ন কী। তার প্রত্যুত্তরে গফ বলেন,, “জেতার প্রতি অগাধ ভালোবাসা ও জয়ের ইচ্ছাশক্তি আমাকে ফিরে আসার পেছনে প্রেরণা জোগায়। তাই বলে শুধু টেনিসের প্রতি এই মনোভাব আছে তা কিন্তু নয়। জীবনের সবক্ষেত্রেই হারতে একদম ভালোবাসিনা। যে কোনও প্রতিযোগিতাকে উপভোগ করার চেষ্টা করি। আমার দর্শন হল, যদি হার স্বীকার করে নিই তাহলে মানতে হবে আমি সেরাটা দিতে পারিনি। তখন অনুশোচনার অন্ত থাকবে না।” দুজনে ৬বার মুখোমুখি হলেন। তারমধ্যে গফ জিতলেন তিনবার। যদি ফাইনালে ওঠেন তাহলে তঁাকে মোকাবিলা করতে হবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইগা সোয়াটেক-অ্যারিনা সাবালেঙ্কা বিজয়ীর সঙ্গে।
ফরাসি ওপেনে চমক বোইসনের।
অপর কোয়ার্টার ফাইনালে বিশ্বের ৩৬১ নম্বর লোইস বোইসন স্ট্রেট সেটে হারিয়ে দিয়েছেন ষষ্ঠ বাছাই মিরা আন্দ্রিভাকে। খেলার ফল ৭-৬ (৮-৬) ও ৬-৩। ওয়াইল্ড কার্ড পেয়ে ফরাসি ওপেনে খেলার সুযোগ পেয়েছেন বোইসন। জনাকীর্ণ কোর্ট ফিলিন চ্যাট্রিয়ে শুধু বোইসনকে হারালেন তা নয়, এবার ফরাসি ওপেনে তিনজন বাছাইকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠলেন। গতবার তিনি ওয়াইল্ড কার্ড পেয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু খেলার সাতদিন আগে লিগামেন্ট ছিঁড়ে বসেন। নাম প্রত্যাহার করে নিতে তখন তিনি বাধ্য হয়েছিলেন। ফের ১২ মাস পর তিনি ওয়াইল্ড কার্ড পেয়ে ফরাসি ওপেনে এক অনন্য নজীর গড়লেন। ২০১১ সালে ম্যারিয়ন বার্তোলির পর ফরাসি মহিলা হিসেবে উঠলেন সেমিফাইনালে।