গম্ভীরকে মিস করি তবে ব্র্যাভো একই রকম চ্যাম্পিয়ন মানসিকতা এনেছে : রমনদীপ সিং

কেকেআরের লড়াইটা বেশ কঠিন, বিশেষ করে পঞ্জাব কিংসের ব্যাটিং বেশ বড় চ্যালেঞ্জ কেকেআর বোলারদের কাছে। মঙ্গলবার অ্যাওয়ে ম্যাচে প্রীতি জিন্টার দলের বিরুদ্ধ নামছে কিং খানের নাইট ব্রিগেড। তার আগে নাইট রমনদীপ সিং জানিয়ে গেলেন, প্রতিপক্ষ দল নয়, তাঁরা শুধু নিজেদের খেলা নিয়েই ভাবছেন। আর তিনি তাঁর নিজের ভূমিকাটা নিয়ে ভাবছেন। এই ম্যাচেও বড় ভূমিকা নিতে পারেন কেকেআরের দুই তারকা স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী ও সুনীল নারিন। সাংবাদিক সম্মেলনেও রমনদীপ জানিয়ে গেলেন, তাঁদের এই দুই স্পিনারের ওপর গোটা দলের অগাধ আস্থা। গতবার যে শ্রেয়স আইয়ারের অধিনায়কত্বে ট্রফি জিতেছিল কেকেআর। এবার সেই তিনিই পঞ্জাবের নেতৃত্বে। কেকেআরের অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে ও অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারের মধ্যে তুলনা করতে বললে রমনদীপ জানিয়ে গেলেন. দু্জ্রেনেই ভাল অধিনায়ক, তবে দৃষ্টিভঙ্গির তফাৎ। গৌতম গম্ভীরকে মনে পড়ে? সাংবাদিক সম্মলনে উঠে এল এই প্রশ্ন। রমনদীপের সোজাসাপ্টা জবাব, গম্ভীরকে অবশ্যই মনে পড়ে। তবে তাঁদের দলের মধ্যে একই রকম খুনে মানসিকতা নিয়ে এসেছেন বর্তমান মেন্টর ডোয়েন ব্র্যাভো। তিনি আরও বলেন, গম্ভীর এমন একটা চরিত্র, যাঁকে সব দলই মিস করবে, তবে পাশাপাশি ব্র্যাভোও একজন সত্যিকারের চ্যাম্পিয়ন। পঞ্জাবের ছেলে রমনদীপ। তাই তাঁর নিজের মাঠে নামবেন। নিজের পরিচিত মানুষদের সামনে নামার আগে বেশ উত্তেজিত পঞ্জাব তনয়। পরিচিত পরিবেশে যেমন দলের জয় চাইছেন, তেমনি চাইছেন নিজেও স্মরণীয় পারফরম্যান্স করতে।
মুম্বইকে জিতিয়েছেন কোচ রোহিত!

শুরুতেই একটু ভুল হয়ে গেল! মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কোচ মাহেলা জয়বর্ধনে। তা হলে রোহিত কী করে কোচ হয়ে দলকে জেতাবেন! প্রশ্ন এখাানেই। গতবছর দলের অধিনায়কত্ব তাঁর হাত থেকে চলে গিয়েছে। ম্যানেজমেন্ট হার্দিক পান্ডিয়াকে রোহিতের জায়গায় তাঁকে বসিয়ে দিয়েছেন। সেই থেকে তিনিই দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। রোহিত আছেন। কদিন থাকবেন তা অজানা। কারন নাগাড়ে ব্যর্থ রোহিতকে নিয়ে চলা কি সম্ভব হবে। আবার মাঠের বাইরে বসিয়ে রাখাও কঠিন। তাই প্রথম একাদশে তিনি এখনও আছেন। আইপিএলে মুম্বইয়ের ৬টি ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতে খেলেছেন রোহিত (একটি ম্যাচে চোটের কারনে বাইর ছিলেন) । তাঁর সর্বোচ্চ রান ১৮। তবু ম্যানেজমেন্ট তাঁর উপর ভরসা রেখে খেলিয়ে চলেছেন। সেই তিনি কী করে কোচ হয়ে গেলেন। রবিবার দিল্লির অরুন জেটলি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ২০৫ রান। ছোট মাঠ। এই মাঠে আর অন্তত ২০ রান দরকার ছিল। ২২৫-২৩০ রান বোর্ডে তুলতে পারলে মু্ম্বই কিছুটা নিশ্চিন্তে থাকতে পারত। সেটা না হওয়ায় শুরুতে চাপেই ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়ারা। এখানেই রোহিতের কাছ থেকে মিলল টুইস্ট। তিনি কোচ মাহেলা জয়বর্ধনে বলেন সাব ক্রিকেটার হিসেবে লেগ স্পিনার করন শর্মাকে নামাতে। এর আগে আরসিবি থেকে আসা করন কোনও ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। হঠাৎ করে তাঁকে এমন ম্যাচে নামিয়ে দেওয়া সঠিক হবে! কিন্তু রোহিতের কথা উড়িয়ে দিতে পারলেন না মাহেলা। রোহিতের বদলে সাব ক্রিকেটার হিসেবে নেমে পড়লেন করন। ঠিক ছিল পাওয়ার প্লে-র পর করনকে আক্রমনে আনা হবে। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর মু্ম্বই ইন্ডিয়ান্সের ডাগআউটে বসে হার্দিককে উদ্দেশ্য করে রোহিত লেগ স্পিনারকে আনার কথা বলছেন। বারবার হাত ঘুরিয়ে নিজে লেগস্পিন করছিলেন। পাশে বসা মাহেলাও হাত নেড়ে সেকথাই বলছিলেন। ৯ নম্বর ওভারে করন এসে সুবিধা করতে পারলেন না। এরপরই রোহিতের এক চালে দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচ থেকে হারিয়ে গেল। তখনও পর্যন্ত তারা ভাল জায়গায় ছিল। ১০ ওভারে ১ উইকেট ১১৯ রান। বাকি ১০ ওভারে দরকার ৮৭ রান। হাতে ৯টি উইকেট। উইকেটে জাঁকিয়ে বসেছেন করুন নায়ার ও অভিষেক পোড়েল। তা হলে কি ম্যাচ বের করে নিল দিল্লি। পাঁচে পাঁচ করে তারা লিগ টেবিলে একনম্বরে চলে এল! এবার রোহিত বল বদলের কথা হার্দিককে বললেন। এবারের আইপিএলে ঠিক হয়েছে ১১ ওভার হওয়ার পর ফিল্ডিং সাইড চাইলে বল বদল করতে পারে। তার জন্য অবশ্য আম্পায়ারের অনুমতি প্রয়োজন। তিনি মন করলে বল বদল হতে পারে। শিশিরের কারনে বল গ্রিপ করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। বল বদল হলে এটা হবে না। হার্দিক আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বললেন। বল দেখালেন। আম্পায়াররা মুম্বইয়ের কথায় সায় দিতে বল বদল হল। ব্যস, এখানেই সব শেষ। করন শর্মা বল হাত কাজ শেষ করে দিলেন। তিনি তুলে নিলেন তিন উইকেট। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা নায়ারকে ফিরিয়ে দিলেন বাঁহাতি সপিনার স্যান্টনার। বোলিংয়ের পাশপাশি মু্ম্বই ফিল্ডিংও দুর্দান্ত করল। তিনটি রান আউট দিল্লিকে আরও চাপে ফেলে দিল। তারা শেষপর্যন্ত ১২ রানে ম্যাচ হেরে গেল। এবারের আসরে এটিই দিল্লির প্রথম হার। দিল্লিকে নিয়ে কথা কিছু নেই। আসল কথা রোহিতের টোটকায় মুম্বইয়ের বাজিমাতের গল্প। দারুন শুরু করে ব্যাটে বড় রান করতে না পারলেও বুদ্ধিতে টেক্কা দিয়ে গেলেন। আসলে জাতীয় দলকে দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্ব দেওয়ার কারনে ম্যাচ আগে পড়ে নিতে পারেন। দিল্লির মাঠে বসে সেটাই করলেন রোহিত। হার্দিক বা মাহেলা যা বুঝতে পারেননি, সেটাই পড়ে ফেলেছিলেন রোহিত। তাই প্রায় জোর করে সাব ক্রিকেটার হিসেবে করন শর্মাকে মাঠে নিয়ে আসেন। ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা করন। ভাবা যায়! দিল্লির ইনিংস শুরু হওয়ার আগে তিনি যেন হঠাৎ করে কোচ হয়ে গেলেন। সেই কোচ রোহিত (!) মু্ম্বইকে আবার জয়ের সরণীতে নিয়ে এলেন। বুঝিয়ে দিলেন তিনিই বস। হার্দিক তাঁর থেকে অনেকটাই পিছিয়ে। এমনকি মাহেলা জয়বর্ধনেও।
পঞ্জাব বনাম কলকাতাকে ছাপিয়ে শ্রেয়স বনাম কেকেআর রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের অপেক্ষা

মঙ্গলবার শুধু একটা ম্যাচ নয়, একটা মানসিক যুদ্ধও। কলকাতা নাইট রাইডার্স নামবে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে। শুধু কি তাই? ম্যাচটা কেকেআর বনাম শ্রেয়স আইয়ার নয়? আর সে কারণেই এই ম্যাচ অন্য মাত্রা পাচ্ছে। গতবার কেকেআরকে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁকে ছেড়ে দেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স।অন্যদিকে শ্রেয়সকে অধিনায়ক করে নিয়ে যায় পঞ্জাব কিংস। একটা অভিমান তো থাকাই স্বাভাবিক। এই ম্যাচের জন্য শ্রেয়স নিজেও হয়ত তৈরি হচ্ছেন। পুরনো সতীর্থদের বিরুদ্ধে নামার আগে অবশ্য দল নিয়ে বেশ চাপে পঞ্জাব অধিনায়ক। আগের ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ২৪৫ রান করেও জেতা যায়নি। শ্রেয়স নিজেও করেছিলেন ৩৬ বলে দুরন্ত ৮২ রান। তবু সানরাইজার্সের অভিষেক শর্মার ব্যাটিং তাণ্ডবের সামনে স্রেফ উড়ে যায় পঞ্জাবের বোলিং। তাই বোলিং নিয়েই যত মাথাব্যথা শ্রেয়সদের। শ্রেয়সরা বুঝতেই পারছেন না তাঁদের বোলারদের কাছে ঠিক কত রান নিরাপদ। তার ওপর কেকেআর দলে রয়েছেন সুনীল নারিন, রিঙ্কু সিং, বেঙ্কটেশ আইয়ারদের মত ব্যাটসম্যানরা।ভাবতে হচ্ছে, অঙ্ক কষতে হচ্ছে পঞ্জাব থিঙ্কট্যাঙ্ককে। শুধু কি তাই! বোলিংয়ের যখন এই হাল, তখন কেকেআরকে থামাতে ঠিক কোন ধরণের পিচ কাজে লাগতে পারে, সেটা নিয়ে বেশ দ্বিধা দ্বন্দ্বে রয়েছে পঞ্জাব কিংস। অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার বা কোচ রিকি পন্টিং যদি কিউরেটরের কাছে স্লো টার্নার উইকেট চান, যেখানে থাকবে অসমান বাউন্স, তাহলে সেটা ব্যুমেরাং হয়ে যেতে পারে, কারণ কেকেআর দলে আছেন দেশের মধ্যে সবচেয়ে উন্নতি করা স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী এবং সুনীল নারিন। নারিন যদিও নিজের সেরাটা পিছনে ফেলে এসেছেন, তবু এই ধরণের উইকেটে এখনও ভয়ঙ্কর।আবার ফ্ল্যাট উইকেট হলে নাইটদের হার্ড হিটারদের বিরুদ্ধে তাঁদের বোলারদের ওপর ভরসা রাখা কঠিন, যেখানে পঞ্জাবের এমন কোনও বোলার নেই যাঁর ইকনমি রেট ৯-এর নিচে। উল্টাদিকে দুই ধরণের উইকেটেই, দুই রকমের পরিস্থিতির মোকাবিলা করার দক্ষতা সম্পন্ন ক্রিকেটার রয়েছে কেকেআর দলে। সেই কারণেই এত দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভুগছেন শ্রেয়স-পন্টিংরা। এ তো গেল দুটো টিমের লডৃ়াইয়ের কথা। আর শ্রেয়স? তাঁর নিজের লড়াইটায় কিন্তু বেশ এগিয়ে আছেন প্রীতি জিন্টাদের অধিনায়ক।চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দুর্দান্ত খেলার পর আইপিএলের শুরু থেকই রয়েছেন দারুন ছন্দে। সামনে কেকেআর।মঙ্গলবারের সন্ধ্যায় এই রোমাঞ্চকর লড়াইটাও জিততে যে মরিয়া হয়ে উঠবেনই মুম্বইকর। চাপ যেমন আছে, মোটিভেশনও আছে।পঞ্জাব বনাম কলকাতার সঙ্গে শ্রেয়স বনাম কেকেআর লড়াইটাও কি কম উপভোগ্য হবে? বরং হয়ত একটু বেশিই রোমাঞ্চকর।
মঙ্গলবার ক্লাব তঁাবুতে শোভা পাবে ত্রি-মুকুট

পয়লা বৈশাখের দিন সকালে ক্লাব তঁাবুতে পতাকা উত্তোলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোহনবাগান। আইএসএল লিগ শিল্ড জেতার পর ক্লাবে পতাকা উত্তোলন হয়েছিল। সেবার পতাকা উত্তোলন করেছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার মানস ভট্টাচার্য-সহ আরও অনেকে। ছিলেন সচিব দেবাশিস দত্ত। তবে বর্তমান দলের কোনও ফুটবলারকে সেই পতাকা উত্তোলনে সামিল হতে দেখা যায়নি। মঙ্গলবারও সেই পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে বর্তমান দলের কোনও ফুটবলার থাকবেন কিনা তা জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। সচিব দেবাশিস দত্তের কথাতেও তা স্পষ্ট ধরা পড়েনি। “পয়লা বৈশাখের দিন সকালে প্রতিবার যেমন একটা অনুষ্ঠান হয় এবারও তেমন হবে। বারপুজো হবে, খাওয়া-দাওয়া যেমন হয়ে থাকে তেমনই হবে। তবে সেইদিন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তিনটে ট্রফি রাখা থাকবে ক্লাব লনে। সাধারণ সমর্থকরা যাতে সেই ট্রফি স্বচক্ষে দেখতে পারেন। এক, আইএসএল লিগ শিল্ড, আইএসএল কাপ ও হকি লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ট্রফি, এই তিনটে ট্রফিকে আমরা ক্লাব লনে রাখব। যাতে সমর্থকরা এসে পয়লা বৈশাখের দিন এসব দেখতে পান।” বললেন দেবাশিস। তবে সচিব বলতে পারেননি পয়লা বৈশাখের দিন বারপুজোতে বর্তমান দলের ফুটবলাররা থাকবেন কিনা। সচিব শুধু এটুকু বললেন,“বারপুজোতে বরাবর ফুটবলাররা অংশগ্রহণ করে থাকেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। যথারীতি ফুটবলাররা থাকবেন। তবে কতজন থাকবেন বা কারা থাকবেন তা সেইদিন সকালের অনুষ্ঠানে এলে বুঝতে পারবেন।” যদিও শহরে বিদেশি ফুটবলাররা কেউ নেই। সকলে চলে গিয়েছেন যে যার দেশের বাড়িতে। কোচ আছেন ঠিকই, কিন্তু তিনিও সেদিন শহরে থাকবেন না। দেশীয় ফুটবলারদের মধ্যে কতজন শহরে সেদিন থাকবেন তা নিয়েও সন্দেহ আছে। সব মিলিয়ে বর্তমান ফুটবল দলের সদস্যরা মনে হয়না তেমন থাকবেন। আসলে শনিবার ম্যাচ খেলার পর ফুটবলাররা হোটেলে গিয়ে মেতে উঠে ছিলেন উতসবে। শ্যাম্পেনের বোতল খুলে উচ্ছ্বাসে ভেসে যান ফুটবলাররা। রেকর্ড বাজিয়ে চলে গানের তালে নাচ। তবে এই উচ্ছ্বাসের সাগরে ভাসতে বিশেষ দেখা যায়নি ম্যাকলারেন, পেত্রাতোসদের। যেহেতু তঁারা রবিবার সকালের ফ্লাইট ধরে বাড়ি যাবেন তাই এই অনুষ্ঠানে তঁাদের যোগ দিতে দেখা যায়নি। ভিনরাজ্যের ফুটবলাররা রাত তিনটে পর্যন্ত নাচ-গান করে চলে যান যে যার ফ্ল্যাটে। দেবাশিস দত্তকে দেখা গেল কোচকে নিয়ে দারুন উচ্ছ্বসিত। তিনি বলে ফেললেন, “মলিনা হলেন আমার দেখা শ্রেষ্ঠ কোচ। তঁার মধ্যে অভিব্যক্তির মাত্রা এতটাই কম যে মনে হয় তিনি একজন রাফ এন্ড টাফ। আবার অনেক সময় দেখেছি, তিনি কঠিন মুহূর্তে নিজের উচ্ছ্বাসকে ধরে রাখতে পারেননা। তবে মলিনাকে সবদিক দিয়ে বিচার করলে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে তঁাকে না বসিয়ে উপায় নেই।
সুপার কাপকে গুরুত্ব দিচ্ছে না মোহনবাগান

সুপার কাপকে গুরুত্ব দিতে আর রাজি নয় মোহনবাগান। আইএসএল লিগ শিল্ডের পর কাপ জয় হয়ে গিয়েছে। সুতরাং মোহনবাগানের যা পাওয়ার কথা তা পাওয়ার কাজ শেষ। তাই সবুজ-মেরুন শিবির চাইছে না সুপার কাপকে কোনও গুরুত্ব দিতে। টিম ম্যানেজমেন্ট ঠিক করেছে, মোটামুটি একটা দল নামিয়ে সুপার কাপে নিজেদের অস্তিত্ব তুলে ধরবে। বিদেশিরা শনিবার খেলার শেষে যে যার বাড়ি চলে গিয়েছেন। মূলত রবিবার সকালের দিকে সকলের ফ্লাইট ছিল। সেই ফ্লাইট ধরে বিদেশিরা শহর ছেড়েছেন। বাকি আছেন ভিনরাজ্যের ফুটবলাররা। পারিবারিক সমস্যার কারণে ভিনরাজ্যের ফুটবলাররা শহরে থেকে গিয়েছেন। যাদের কোনও সমস্যা নেই তঁারা অবশ্য রওনা দিয়েছেন। এই মুহূর্তে বলতে গেলে মোহনবাগান শিবির ভাঙা হাট। তবে কোচ জোসে মলিনা শহর ছাড়েননি। পরিবারকে নিয়ে সম্ভবত তিনি কাছেপিঠে কোথাও ঘুরতে যাবেন। কারণ টিম ম্যানেজমেন্টকে তিনি জানিয়েছেন, ১৭ তারিখ থেকে সুপার কাপের প্রস্তুতি শুরু করে দিতে চান। তারজন্য একটা তালিকা তৈরি করছেন। যাতে কিছু ফুটবলারকে রেখে একটা দল মোটামুটি খাড়া করা যায়। সেই তালিকা দেখে তবেই মোহনবাগান টিম ম্যানেজেন্ট ফুটবলারদের প্র্যাকটিসে ডেকে নেবে। মোহনবাগানের পক্ষে আরও সুবিধে হয়েছে, চার্চিল ব্রাদার্স সুপার কাপে খেলবে না বলে জানিয়ে দেওয়ায়। আই লিগে চার্চিল ব্রাদার্সকে চ্যাম্পিয়ন হওয়া থেকে বঞ্চিত করার জন্য গোয়া ক্লাবের কর্মকর্তারা এমন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মোহনবাগানের প্রথম ম্যাচ ছিল চার্চিলের সঙ্গে। ২০ এপ্রিল খেলা। সেই ম্যাচ জিতলে পরবর্তী রাউন্ডে মোকাবিলা করতে হত ইস্টবেঙ্গল বনাম কেরল ব্লাস্টার্সের সঙ্গে। এই ম্যাচও হবে ২০ এপ্রিল। যেহেতু চার্চিল নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে তাই মোহনবাগানকে ২০ তারিখের ম্যাচ খেলতে হচ্ছে না। এবার পরবর্তী রাউন্ডের ম্যাচ নিয়ে ভাবতে হবে মোহনবাগানকে। সবুজ-মেরুন ঠিক করেছে, যদি পরবর্তী রাউন্ডে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে খেলতে হয় তাহলে দল কিছুটা গোছানোর কাজ শুরু করা হবে। কারণ ইস্টবেঙ্গলের কাছে অঘটন ঘটাকে কোনও সমর্থক মেনে নেবেন না। এমন কী ঘনিষ্ঠ মহলে নাকি মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কা নাকি জানিয়েছেন, সুপার কাপকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই ঠিকই আছে। কিন্তু পরবর্তী রাউন্ডে যদি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে খেলতে হয় তাহলে ম্যাচটাকে হাল্কা ভাবে নিলে চলবে না। তখন অল আউট ঝঁাপাতে হবে। সেই কারণে মলিনা সবদিক খতিয়ে দেখে ্সুপার কাপের দল গঠন করতে চলেছেন।