মশালের আলো নেভালেন নোয়া

কেরল ব্লাস্টার্স-২ (জিমেনেজ (পেনাল্টি), নোয়া) ইস্টবেঙ্গল-০ ৬৪ মিনিটে ডান দিকে বল যখন ধরলেন তখন তঁার পাশে ইস্টবেঙ্গলের দুই ডিফেন্ডার। তঁাদেরকে গতিতে হার মানালেন। ডান দিক থেকে কাট করে ভিতরে যখন ঢুকছেন তখনও ইস্টবেঙ্গলের দুই ডিফেন্ডার তঁার কাছাকাছি চলে এসেছেন। বক্সের কিছুটা বাইরে থেকে চলন্ত বলে নিলেন বঁা পায়ে শট। গোলার মতো নেওয়া শট ঢুকে গেল জালে। এই হলেন নোয়া সাদুই। যিনি অবিশ্বাস্য গোল করে কেরল ব্লাস্টার্সকে শুধু কোয়ার্টার ফাইনালে পৌছে দিলেন না, জ্বালিয়ে দিলেন মোহনবাগানের সামনে বিপজ্জনক আলো। বুঝিয়ে দিলেন, মোহনবাগানকেও সমঝে চলতে হবে। নাহলে কপালে দুঃখ আছে। তার আগে জিমেনেজ পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছেন। সেই গোলের পেছনেও ছিল নোয়ার অবদান। নোয়া বক্সের মধ্যে ঢুকে আনোয়ারকে কাটিয়ে কাট করে ডান দিকে ঢুকতে যাচ্ছিলেন। সেইসময় তঁাকে ল্যাং মেরে মেরে ফেলে দেন আনোয়ার। রেফারি পেনাল্টি দিতে দ্বিধা করেননি। প্রথমবার জিমেনেজের শট আটকে দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার প্রভসুখন গিল। কিন্তু তিনি দঁাড়িয়ে ছিলেন গোললাইন ছেড়ে। তাই রেফারি ফের পেনাল্টির নির্দেশ দেন। দ্বিতীয়বারের প্রচেষ্টায় আর গোল করতে সমস্যা হয়নি জিমেনেজের। গতবারের চ্যাম্পিয়ন, আশার আলো জ্বালা অস্কার ব্রুজো, সবকিছু যেন হতাশার সাগরে ভেসে গেল ইস্টবেঙ্গলের। আইএসএলে ব্যর্থতার পর লাল-হলুদ জনতার আশা ছিল সুপার কাপে নিশ্চয় দল ঘুরে দঁাড়াবে। কিন্তু কোথায়! যেই তিমিরে ছিল দল সেই তিমিরে রয়ে গেল। হবে না কেন। বিশেষ কোনও পরিকল্পনার ছাপ ছিল না খেলায়। রিচার্ড সেলিস, দিয়ামান্তোকসের খেলাতেও কোনও তাগিদ লক্ষ্য করা যায়নি। যে মেসি বাউলি আইএসএলে ছাপ ফেলেছিলেন। মেসিকে নিয়ে অনেকে দেখেছিলেন স্বপ্ন। সেই মেসিও কিছু করতে পারলেন না। যেটুকু লড়ার লড়েছেন পিভি বিষ্ণু। বেচারা বিষ্ণু বিরতির আগে যে শট নিয়েছিলেন তা পোস্টে না লাগলে নিশ্চিত গোল ছিল। পোস্টে লেগে ফিরে আসা বল যদি ঠিকমতো শট নিতে মেসি পারতেন তাহলেও গোল হতে পারত। তাছাড়া বিরতির আগে বেশ কয়েকটা গোলের সুযোগ নষ্ট করেন মেসি, দিয়ামান্তোকোস, রিচার্ড সেলিসরা। ইস্টবেঙ্গলের যাবতীয় আক্রমণ হচ্ছিল বঁা প্রান্ত ধরে। ফলে সুবিধে হয়ে যায় কেরলের। বঁা প্রান্তকে ধরে নিতেই শেষ হয়ে গেল লাল-হলুদ শিবির। আইএসএল-এর পর সুপার কাপও শূন্য হাতে ফিরে আসতে হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলকে। চলতি মরশুমে শূন্য হাতই রয়ে গেল লাল-হলুদ শিবিরের কাছে। না, ভুল বললাম। মেয়েদের আই লিগ যে জিতেছে ইস্টবেঙ্গল।
মুম্বইয়ের জয়ের হ্যাটট্রিকে দুরন্ত রোহিত ও সূর্য

সিএসকে: ৫ উইকেটে ১৭৬ (২০ ওভার) মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১ উইকেটে ১৭৭ (১৫.৪ ওভার) গ্রুপ লিগে এখনও ছটি ম্যাচ বাকি চেন্নাই সুপার কিংসের। ৮ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে দশ দলের টুর্নামেন্টে তারা একেবারে তলানিতে। এই জায়গা থেকে প্লে অফ খেলার স্বপ্ন দেখা বাতুল ছাড়া আর কিছু নয়। তবু সিএসকে চাইছে পরের ম্যাচগুলিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে ভদ্রস্থ জায়গায় গিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করতে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে ৯ উইকেটে হেরে পুরস্কার মঞ্চে এসে ধোনি বলছিলেন, আমাদের প্রথম টার্গেট নিজেদের জায়গা একটু ভদ্রস্থ করা। দ্বিতীয় ও শেষ লক্ষ্য পরের আইপিএল নিয়ে নতুন করে ভাবনা চিন্তা করা। অকশনে আমরা কীভাবে যাব। কাদের দলে নেব। দল কীভাবে সাজাব। সেই সব নিয়ে আলাদা করে ভাবতে হবে। ধোনির কথা শুনে বোঝাই যাচ্ছে, এবারের আইপিএল নিয়ে তাঁরা খুব একটা ভাবনার জায়গায় নেই। না হলে ৬টি ম্যাচ বাকি থাকতে কেন সামনের মরশুম নিয়ে কথা তুলবেন। তা হলে কি পরের আইপিএলেও ধোনি সিএসকের হয়ে মাঠে নামবেন! অ্ধিনায়ক ধোনি যে নতুন দল গড়ার কথাই যে শুনিয়ে গেলেন। একই সঙ্গে বুঝিয়ে গেলেন, এবারের দল মোটেই ভাল হয়নি। কেন হয়নি! এর ব্যাখ্যা ধোনিকেই দিতে হবে। কারন সিএসকে চলে ধোনির কথায়। তাঁর ইশারায়। সেই দলের দিতে তাকালে একটা জিনিস পরিস্কার যে অকশনে সিএসকে মোটেও দল গুছিয়ে নিতে পারেনি। খলিল আমেদ, পাতিরানাদের নিয়ে এখন আর মেগা মঞ্চে স্বপ্ন দেখা যায় না। তাঁরা একটা বা দুটি ম্যাচে কিছু একটা করে দেখাতে পারেন। ধারাবাহিকতা না থাকায় তাঁরা কখনই লম্বা রেসের ঘোড়া হতে পারেন না। পেসারদের পাশে স্পিনারদের দিকে নজর রাখলে একই ছবি দেখা যাচ্ছে। সাড়ে দশ কোটি টাকায় কেন অশ্বিনকে নেওয়া হল। সেই জাদেজা, অশ্বিনদের নিয়ে ছুটতে চেয়েছেন ধোনি। এই ফরম্যাটে তাঁরা অচল আধুলি। সত্যি, নিজেদের পুরনো জায়গায় নিয়ে যেতে হলে দলকে ঢেলে সাজাতে হবে। ঋতুরাজ চোটের কারনে দলের বাইরে চলে গিয়েছেন। ধোনি দায়িত্ব কাঁধে নিয়েও কিছু করতে পারছেন না। করবেন কীভাবে! এমন দল নিয়ে ছোটা মুশকিল। তার উপর তিনি নিজেও আগে জায়গায় নেই। তাই চেন্নাই খোঁড়াচ্ছে। অবাক লাগে এই দলটিই কিন্তু প্রথম ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়ে পথ চলা শুরু করেছিল। তা হলে প্রবাদ ভুল হয়ে গেল। দিনের শুরু থেকে বিকেলের ছবি এঁকে ফেলা যায়। ধোনিদের নিয়ে সেট পারা যাচ্ছে না। আট ম্যাচের মধ্যে ছটিতে হার। এই দল অতীতের ছবিকে ভুল প্রমান করছে। অন্যদিকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের দিকে তাকানো যাক। তাদের অবস্থা সিএসকের থেকেও খারাপ ছিল। মুম্বই অবশ্য এভাবেই শুরু করে। তারপর টপ গিয়ারে গাড়ি ছোটাতে শুরু করে। এবারও তাই হচ্ছে। জয়ের হ্যাটট্রিক করে মুম্বই অন্য দলগুলিকে প্রায় ধরে ফেলার জায়গায় চলে গিয়েছে। ৮ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট। বাকি ছয় ম্যাচ থেকে ৮ পয়েন্ট পেলে প্লে অফ খেলার কথা তারা ভাবতে পারে। এবং এট সফল হয়েছে টিম গেমের উদহারনকে সামনে এনে। আর রবিবারের রাতের ম্যাচে ওয়াংখেড়েতে রোহিত জ্বলে উঠলেন। ওভার প্রতি প্রায় ৯ রানে গেলে ম্যাচ জতে যাবে। সেখানে ২৬ বল বাকি থাকতে মুম্বই জিতে গেল ৯ উইকেটে। এমন জয়ে বোনাস পয়েন্ট থাকা উচিত। এ যেন সিএসকে-কে হোয়াইটওয়াশ করে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়া। এবং সেটা সম্ভব হয়েছে রোহিতের দুর্দান্ত কামব্যাকে। তিনি সূর্যকে সঙ্গে নিয়ে সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ গড়ে দলকে জেতালেন। ম্যাচের সেরা হয়ে সূর্য বলছিলেন, রোহিতের কথা শুনে ব্যাটিং করে লাভ হয়েছে। রোহিত লিজেন্ড। প্রচুর অভিজ্ঞতা। ইনিংসের মাঝে আমাকে বলল, নিজের খেলার বাইরে আসার দরকার নেই। নিজের খেলা খেলতে পারলে ম্যাচ বের করা সহজ হবে। আমি সেই চেষ্টা করেছি। তাই ৩০ বলে ৬৮ রান (৬টি বাউন্ডরি ও ৫টি ওভার বাউন্ডরি) করে রোহিতের পাশে সূর্যও নজরে পড়লেন। এবার রোহিতের কথায় আসা যাক। এখন তিনি অধিনায়ক নন। তাই ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটার হিসেবে মাঠে নামেন। ওয়াংখেড়েতেও তাই হল। আগের সাত ম্যাচে দারুন শুরু করে আউট হয়ে গিয়েছিলেন। রবিবার সেটা হল না। পুরো ইনিংসকে নিজের মতো করে সাজালেন। ম্যাচ শেষ করে বাইরে এলেন। তাঁর ৪৫ বলে ৭৬ রানের (৪টি বাউন্ডারি ও ৬টি ওভার বাউন্ডারি) ইনিংসকে অন্য মাত্রায় নিয়ে ম্যচের সেরা হলেন। তিনি যেদিন খেলেন, সেদিন অন্য কারোর ব্যাটিং দেখতে ভাল লাগে না। আর ওয়াংখেড়ে মানে নিজের মাঠ। শৈশব, কৈশোর, সব কিছু এখানেই কেটেছে। সেখানে নিজের সেরাটা বের করে আনতে ভুল হয়নি। আসলে রোহিত সঠিক সময় নিজেকে ফিরে পেলেন। এবার হয়তো নীতা আম্বানির মুখের হাসি আরও চওড়া হয়ে উঠবে। সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ সিএসকে ৫ উইকেটে ১৭৬ ( জাদেজা ৫৩ অপরাজিত, শিভম দুবে ৫০, ধোনি ৪, বুমরা ২৫ রানে ২) মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ১ উইকেটে ১৭৭ ( রোহিত ৭৬ অপরাজিত , সূর্যকুমার ৬৮ অপরাজিত)
বিমানবন্দরে আবেগে-উচ্ছ্বাসে বরণ নায়কদের, ক্রীড়ামন্ত্রীর হাতে ট্রফি তুলে দেবে ডায়মন্ডহারবার

আইলিগ টু-তে চ্যাম্পিয়ন হয়ে রবিবার শহরে ফিরল ডায়মন্ডহারবার এফসি। বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানাতে অনেক আগে থেকেই ভিড় কয়েকশো সমর্থকের। ডায়মন্ডহারবার থেকে, বাটানগর মহেশতলা থেকে ক্লাবের জার্সি পরে চ্যাম্পিয়ন দলকে স্বাগত জনাতে সমর্থকদের আবেগ, উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মত। ছিলেন কর্তারা। সচিব প্রাক্তন ফুটবলার মানস ভট্টাচার্যও এসেছিলেন ক্লাবের জার্সি পরে। দল ফিরতেই বিমানবন্দর চলে গেল ডায়মন্ডহারবারের দখলে একে একে বেরিয়ে এলেন সফল নায়করা। পুষ্পস্তবকে বরণ। কিবু থেক ফুটবলাররা সবাই তখন ভাসছেন আবেগে। কোচ কিবু ভিকুনহা জানান, এটা ক্লাবের সবার সাফল্য। তবে দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। সচিব মানস ভট্টাচার্য কোচ কিবুকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ওঁর মত হাইপ্রোফাইল কোচ দায়িত্ব নিয়েছিলেন আমাদের প্রোজেক্ট দেখে। ফুটবলাররাও অনেক উথ্থান পতনের মধ্যে দিয়ে এই সাফল্য এনে দিলেন। তাই সচিব হিসাবে সবাইকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানালেন। আপাতত সোমবার থেকে দল আবার শেষ ম্যাচের মোডে চলে যাবে, জানিয়ে দিলেন কর্তারা। কারণ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হতে মরিয়া তাঁরা। ২৬ তারিখে শেষ ম্যাচ খেলেই ট্রফি হাতে পাবে ডায়মন্ডহারবার। সেদিন ক্রীমন্ত্রীর হাতে ট্রফি তুলে দেব তারা। কর্তাদের বক্তব্য, এটা বাঁলার সাফল্য। আর বাংলার সরকারের খেলাধুলোর মুখ ক্রীড়ামন্ত্রী, তাই তাঁর হাতে ট্রফি তুলে দেওয়ার ভাবনা। পরের দিন রোড শোর পর গোটা দলকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন ক্লাবের চিফ পেট্রন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। থাকবেন প্রাক্তন ফুটবলাররাও। তারপরই কিবুকে সামনে রেখে আইলিগের ভাবনায় ডুবে যাবে ডায়মন্ডহারবার।
পেনাল্টি গোলে পিছিয়ে পড়েছে ইস্টবেঙ্গল

ইস্টবেঙ্গল- ০ কারল ব্লাস্টার্স- ১ (জেমিনি-পেনাল্টি) কলিঙ্গ সুপার কাপের শুরু হতেই ধাক্কা বাজছে ইস্টবেঙ্গল। প্রথম পথেরকেরল ব্লাস্টের বিরুদ্ধে পেনাল্টি থেকে গোল্ড নিরাপত্তা পিছিয়ে এমপি লাল-হলুদ শিবির। ৪০ মিনিটের বক্সের আনোয়ার আলি ভিডিও নওয়াকে প্রকাশকে পেনাল্টি দেন রেফারি। সেই পেনাল্টি থেকে নেওয়া জিমেনেজের শট বাঁচা দিয়ে দেয় ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার প্রভাসুইন গিল। তবে তিনি ঠিকমতো লাইনে দঁাড়ে থাকতে না বলে মনে মনে পতাকা দেন। ফলে রেফারি ফেরত পেনাল্টির নির্দেশনা তা থেকে গোল্ড করে যান জিমেনেজ। এই নারী জিমেজ নিশ্চিত তিনটে গোল কেরলকে বঞ্চিত থেকে। খেলা শুরু মিনিট দুয়েকের মধ্যে নোয়া যে ক্রশ শক্তি ছিল তা থেকে গোল না করা কষ্টের। নিজের সেই বল পায়ে ঠেকতে পরিচয় না তিনি। তারপরও সেই নোয়ার ক্রশ থেকে গোল মিস করেন তিনি। তবে ইস্টবেঙ্গল যে গোলের সুযোগ পাবে তা নয়। ৮ মিনিটের জন্য দমন্তোকসে বাড়ানো পাশ থেকে গোল করতে হতে রিচার্ড সেলিস। ২২ মিনিটে পিভি বিষ্ণুর ক্রশ থেকে মেসি বাউলি মারলেন। ৪৩ মিনিটে বিষ্ণুর শট পোস্টে একই প্রতি হয়। সেই বলউউলল ফাঁহায় দাঁদাওয়াং মেসি বাির কাছে। মেসিও ঠিক জায়গায় বল রাখতে না। তবে লাল-হলু খেলায় অংশ বিশেষ উল্লেখযোগ্য উদাহরণ উল্লেখযোগ্য না। নিঃসন্দেহে আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা করছে লাল-হলুদ শিবির। কিন্তু গোলের ঘাড়ে গিয়ে হারিয়ে ফেলেছেন মেসি, রিচার্ডরা। দিয়ামন্তোকোস আইএসএলের পারফরম্যান্সের মনের ঘটাতে এখানে আলোচনা করেছেন। তাঁতার খেলায় দল ছাপ থাকে না। গত সম্প্রদায় দল ইস্টবেঙ্গল। অনেক আশা নিয়ে এসেছেন যদি প্রথম পাহধা ধাক্কা কাউন্সিলর লাল-লুদ শিবির তাহলে আফসোসের সীমা থাকবে না। আশা করা যায় নিরাপত্তার পর ঠিক দাঁদাবে ইস্টবেঙ্গল। সামাজিক দাঁদা হবে।
অরোরার চোট, জিটি ম্যাচে রাহানে ওপেনে নাকি তিনে

দুদিন আগে আমেদাবাদে ২০৩ রান তাড়া করে ম্যাচ জিতে কলকাতায় এসেছে আশিস নেহরার দল গুজরাট টাইটান্স (জিটি)। লিগ টেবিলে তারা সবার উপরে। ভারতীয় ক্রিকেট মহলে একটা কথা ঘুরে বেরায়, গুজরাট আইপিএলে নিজেদের জায়গা সিমেন্ট করে নিতে পেরেছে নেহরার জন্যই। দলের কর্তারাও একমত। ক্রিকেট স্ট্র্যাটেজিতে তাঁকে টেক্কা দেওয়া কঠিন। পেস ও স্পিনের সমন্বয়ে গড়া দল নিয়ে প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে তিনি তৈরি। এমন একটা দলের বিরুদ্ধে সোমবার খেলতে নামছে কেকেআর। গুজরাট যেমন মানসিক দিক থেকে ভাল জায়গায়, তেমনই কেকেআর কিছুটা হলেও চাপে। শেষ ম্যাচে ১১২ রান তাড়া করতে নেমে তারা ৯৫ রানে অলআউট হয়। জেতা ম্যাচ মাঠে ছেড়ে দিয়ে আসায় রাহানেরা এখন চাপে। মুল্লানপুরে জিতে শহরে এলে অনেকটাই চাঙ্গা থাকতে পারতেন তাঁরা। কিন্তু কী আর করা যাবে। ইডেনে হেরে গেলে আরও চাপে পড়বে কেকেআর। তাই যেভাবেই হোক, নতুন লড়াইয়ে তাদের জিততে হবে। ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর অভিষেক নায়ার সহকারি কোচ হিসেবে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। কাজে নেমে ব্যাটসম্যানদের নিয়ে আলাদা করে বসে পড়েছেন। গম্ভীরের সঙ্গে কেকেআরের হয়ে কাজ করেছেন। দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটারের পালস তাঁর চেনা। কে কীভাবে ব্যাট করেন, তা নিয়ে আলাদা করে ভাবতে হবে না। তিনি জানেন, রিঙ্কু সিং, বেঙ্কটেশ আইয়ার ও রামনদীপ বড় স্ট্রোক করে খেলতে ভালবাসেন। কিন্তু তাঁরা এখনও পর্যন্ত এই মঞ্চে ধারাবাহিকতা দেখাতে পারছেন না। নায়ার শুরুতে তাঁদের নিয়ে বসলেন। আলাদা ক্লাস করলেন। কোথায় অসুবিধা, কী করলে বড় রান আসবে, তা নিয়ে কথা বললেন। সবাই জানেন, ওঁরা রান পেলে কেকেআরের চিন্তা কমবে। কারন মিডল ওভারে রান না ওঠায় দলের চাপ বাড়ছে। শুরুতে নারাইন, রাহানেরা মোটামুটি ছন্দে আছেন। ডিকক একটি ম্যাচে রান করার পর হারিয়ে গিয়েছেন। সম্ভবত তিনি এই ম্যাচে বাইরে। তাঁর বদলে দলে আসতে পারেন রহমতুল্লা গুরবাজ। আগে কেকেআরের হয়ে ওপেন করেছেন। কিন্তু এবার তিনে ব্যাটে করছেন। তা হলে কি গুরবাজ তিনেই খেলবেন। তাই যদি হয়, তা হলে রাহানে ওপেনে। এই জায়গাটা পরিস্কার হল না। রবিবার দলের প্র্যাকটিসে রাহানে ছিলেন না। থাকলে আন্দাজ পাওয়া যেত। এই একটি জায়গায় বদল ছাড়া অ্ন্য কিছু দেখা যাচ্ছে না। রাসেল নিয়ে কথা উঠলেও এখনই তাঁকে বাইরে রাখা হচ্ছে না। তবে এর বাইরেও কেকেআরের চিন্তা বাড়িয়েছে বৈভব অরোরার চোট। শনিবার প্র্যাকটিসে রাসেলের একটি শট ধরতে গিয়ে হাত চোট পান অরোরা। সঙ্গে সঙ্গে মাঠ ছাড়লেও বলে গিয়েছিলেন, ম্যাচ খেলতে অসুবিধা হবে না। রবিবার তিনি মাঠে এলেন না। টিম ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে জানা গেল যে অরোরার আপডেট কি। অরোরা ইডেনে হায়দরাবদের বিরুদ্ধে ২৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন। সেই পিচেই গুজরাটের বিরুদ্ধে খেলবে কেকেআর। পিচে এখনও সামান্য ঘাস আছে। এই পিচে শুরুতে পেসাররা ধাক্কা দিতে পারেন। সেটা কি রানা, জনসন, নোখিয়াদের দিয়ে করাতে হবে। কেকেআর পাওয়ার প্লে-তে স্পিনারদের নিয়ে আসে। সাধারনত বরুন এসে হাত ঘোরান। তিন স্পিনারে খেললে হয়তো মঈন আলি দলে ঢুকবেন। আর নারাইন তো আছেনই। কিন্তু নারাইকে আগের ফর্মে দেখা যাচ্ছে না। ব্যাটসম্যানরা পড়ে ফেলেছেন। তাই বাড়তি দায়িত্ব নিতে হচ্ছে বরুনকে। আর মঈন খেললে তাঁকে শুরুতে কাজে লাগিয়ে ফায়দা নিতে চাইছেন রাহানে। ইডেন বলেই মন হয় মঈনকে দলে রাখা হতে পারেএ। তিন পেসারে না গিয়ে রাসেলকে কাজে লাগনো যাবে। সিত স্পিনারের সঙ্গে দুই পেসার। সঙ্গে রাসেল। এটাই স্ট্র্যাটজি হত পারে কেকেআরের। আর যাই হোক, কেকেআরকে বোর্ডে রান তুলতে হবে। আগে ব্যাট করলে বড় রান তুলে নিতে না পারলে বোলাররা কী নিয়ে লড়াই করবেন। গুজরাট দলে রশিদ আছেন। কিন্তু তিনিও নারাইনের মতো অনেকাটই ম্লান। তারা ব্যাটিংয়ে জোর দিয়ে বড় রান তুলে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলছে। গিল, সাই সুদর্শনরা শুরুতে রন তুলে মিডল অর্ডারের কাজ সহজ করে দিচ্ছে। যেমন আমেদাবাদে ব্যাটসম্যানরা বড় রান তাড়া করে ম্যাচ করে করে আনলেন। ইডেনে কেকেআর আগে ব্যাট করে বড় রানতুলে নিতে পারলে বাকিটা সামাল দিতে পারবেন বোলাররা। পরে ব্যাট করলে শুরুতেই বোলারদের কাজ করতে হবে। এটাই হল সোমবারের ম্যাচের রেসিপি।
তিন সপ্তাহ মাঠের বাইরে লিয়নডস্কি

সেল্টা ভিগোকে ২৪ ঘন্টা আগে হারানোর পেছনে এক রুদ্ধশ্বাস লড়াই আর অলৌকিক ঘটনার সাক্ষী থেকেছে বার্সেলোনা। এই জয়ের ফলে চির প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে সাত পয়েন্টের ব্যবধান রেখে লা লিগা জয়ের পথে অনেকটা এগিয়ে গেল বার্সেলোনা। অথচ এমন আনন্দের দিনেও ছাপিয়ে গেল দুঃখের খবর। কি সেই খবর? রবার্ট লিয়নডস্কির চোট। সেল্টা ভিগোর বিরুদ্ধে খেলতে গিয়ে চোট পেয়ে বসেন লিয়নডস্কি। ৭৮ মিনিটে বঁা পায়ের উরুতে চোট পেয়ে বসে যান পোলিশ স্ট্রাইকার। তঁার পরিবর্তে কোচ হ্যান্সি ফ্লিক নিয়ে আসেন জাভিকে। অথচ তিনি শনিবার নেমেছিলেন লা লিগায় ১০০তম ম্যাচ খেলার সদস্য হিসেবে। লিয়নডস্কির চোট পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, তঁার বাম উরুর সেমিটেন্ডিনোসাস পেশীতে চোট রয়েছে। বার্সা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কবে থেকে প্র্যাকটিসে নামতে পারবেন তা এখনও িঠক নেই। চোটের গুরুত্ব বুঝে তঁাকে নামানো হবে মাঠে। তবে তিন সপ্তাহের জন্য যে তিনি চলে গেলেন মাঠের বাইরে এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। অথচ এবার বার্সেলোনার সাফল্যের পেছনে বিশাল অবদান রয়েছে লিয়নডস্কির। তিনি একাই করেছেন ৪০টা গোল। আগামী সপ্তাহে রয়েছে কোপা দেল রে-র ফাইনাল। যেখানে রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা। সেই ম্যাচ তিনি খেলতে পারছেন না। তাছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল রয়েছে। ৩০ এপ্রিল যেখানে বার্সা মুখোমুখি হবে ইন্টার মিলানের। ফিরতি লেগের খেলা হবে ৬ মে। এই দুটো ম্যাচেও তঁার খেলা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সেই সঙ্গে লা লিগায় এখন খেলা রয়েছে বার্সার সামনে মঙ্গলবার মায়োর্কা ও ৩ মে ভ্যালাডোলিডের সঙ্গে। এই দুটো ম্যাচও তিনি খেলতে পারবেন বলে মনে হয়না। ১১ মে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে খেলা আছে। সেই ম্যাচে সম্ভবত তিনি ফিরতে পারেন। জানুয়ারিতে স্প্যানিশ সুপার কাপ জিতে নিয়েছে বার্সেলোনা। এই মুহূর্তে আরও তিনটে ট্রফি জেতার জায়গায় ছিল। তার মানে চর্তুমুকুট জয়ের সামনে দঁাড়িয়ে ছিল বার্সেলোনা। অথচ যে সময়ে লিয়নডস্কি চোট পেয়ে বসলেন তা বার্সার কাছে বড় ধাক্কা। এখন দেখার কোচ হ্যান্সি ফ্লিক কীভাবে লিয়নডস্কির অভাব পূরণ করেন। মাঝে মাঝে দেখা গিয়েছে ফেরান টোরেসকে ব্যবহার করেছেন। তাছাড়া দানি ওলমোকে ফলস নাইন হিসেবে ব্যবহার করে দেখে নিয়েছেন। কিন্তু কেউই লিয়নডস্কির পরিপূরক হতে পারেননি। লা লিগায় যিনি এবার ২৫টা গোল করে ফেলেছেন। উঠে এসেছে তঁার নাম সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে। এমন কী রিয়াল মাদ্রিদের কিলিয়ান এমবাপের চেয়ে তিনটে গোল তঁার বেশি রয়েছে। সেই লিয়নডস্কিকে হারানো মানে বড়সড় ধাক্কা খাওয়া বার্সেলোনার কাছে। স্বভাবতই হতাশ বার্সেলোনা শিবির।
বিরাট ও পাড়িকালের দাপটে বেলাইন পাঞ্জাব

পাঞ্জাব কিংস: ৫ উইকেটে ১৫৭ (২০ ওভার) আরসিবি: ৩ উইকেটে ১৫৯ (১৮.৫ ওভার) কদিন আগে বেঙ্গালুরুর মাঠে ব্যাটিং ব্যর্থতায় হারিয়ে গিয়েছিল আরসিবি। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচ ২০ ওভারের বদলে নেমে আসে ১৪ ওভারে। এই ওভার কমে যাওয়ার পর আরসিবি ব্যাটাররা হঠাৎ করে মানসিকতা বদলে ফেলল। উইকেটে এসে দুমদাম মার। এই স্ট্র্যাটেজিতে খেলতে গিয়ে নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনে। কেউ একজনও দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করেননি। টিম ডেভিড শেএষ ওভারে মারকুটে মেজাজে ২১ রান না করলে ৯৫ রানও উঠত না বোর্ডে। এই রান টপকে ম্যাচ বের করে নেয় পাঞ্জাব। পরের ম্যাচেই আবার শ্রেয়সদের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে হঠাৎ করে পরিবর্তন চোখে পড়ল আরসিবির খেলার মধ্যে। বিশেষ করে বিরাট কোহলি। প্রথম ওভারে সল্ট আউট হওয়ার পর দায়িত্ব পুরোপুরি কাঁধে তুলে নেন বিরাট। এবারের আইপিএলে এই মেজাজে ব্যাট করছেন তিনি। লক্ষ্য একটাই উইকেট ছুঁড়ে দেব না। অন্যদিক থেকে যাঁরা আসছেন, আক্রমনের দায়িত্ব তাঁদের ঘাড়ে থাকবে। সেই ভাবনায় ফল দিয়েছে। আট ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতে জিতে দশ পয়েন্ট নিয়ে ছুটছে আরসিবি। বাকি ছয় ম্যাচ থেকে ছয় পয়েন্ট তুলতে পারলে প্লে অফে যাওয়া কিছুটা হলেও সহজ হবে। সেভাবেই এগোচ্ছে আরসিবি। এই দশ পয়েন্টে পাঞ্জাবও দাঁড়িয়ে। তই এই পর্যায়ে লড়াই পরে আরও কঠিন হবে বলে অনেকে মনে করছেন। পাঞ্জাব ১৫৮ রানের টার্গেট আরসিবির সামনে দিয়ে প্রথম ওভারে তারা ফিল সল্টকে তুলে নেয়। অর্শদীপ কোনও সুযোগ দিলেন না সল্ট। কিন্তু তারপর বিরাটের সঙ্গে জুটি বেঁধে পাড়িকাল লম্বা ইনিংস খেললেন। আগে উপরে আসতেন অধিনায়ক পাতিধার। কিন্তু এই ম্যাচে পাড়িকালকে আগে পাঠানো হল। তিনি আক্রমনাত্মক ক্রিকেট খেললেন। ৩৫ বলে করলেন ৬১ রান। এই ইনিংসে ছিল ৫টি বাউন্ডারি ও ৪টি ওভার বাউন্ডারি। স্ট্রাইক রেট দেখলে বোঝা যাবে কেমন মেজাজে ছিলেন পাড়িকাল। ১৭৫ স্ট্রাইক রেট খেলে তিনি দলকে ভরসা দিলেন। ১২ ওভারে বিরাটকে নিয়ে তুললেন ১০৩ রান। এখানেই পাঞ্জাব বেশ কিছুটা পিছনে চলে গেল। আরসিবির একদিকের উইকেটে বিরাট থাকায় সতীর্থদের আত্মবিশ্বাসে কখনই চিড় ধরে না। কারন, সকলেই জানেন কিছু না হলেও বিরাট হাল ধরে নেবেন। সেটাই হল। পাতিধারকে চাহাল ফিরিয়ে দিলেও আরসিবির ম্যাচ জিততে অসুবিধা হয়নি। বিরাট স্লগে কিছুটা আক্রমনাত্মক হয়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে গেলেন। শেষ পর্যন্ত বিরাট ৫৪ বলে ৭৩ রানে অপরাজিত থাকলেন। তঁর ইনিংসে ৭টি বাউন্ডারি ও ১টি ওভার বাউন্ডারি। ১৮.৫ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ম্যাচ বের করে আনল আরসিবি। সাত উইকেটে জিতে এখন তারা ১০ পয়েন্ট নিয়ে লড়াইয়ে ভালরকম থাকল। পাঞ্জাব কদিন আগে বেঙ্গালুরুতে গিয়ে পাঁচ উইকেটে ম্যাচ জিতেছিল। তার বদলা বিরাটরা নিয়ে গেলেন মুল্লানপুরে এসে। আসলে পাওয়ার প্লে-তে ভাল করেও পাঞ্জাব আটকে গেল মিডলওভারে রান তুলতে না পেরে। শ্রেয়স আবার ব্যর্থ (৬)। একদিকে দাঁড়িয়ে কেউ বড় রানের ইনিংস খেলতে পারলেন না। এখানেই মার খেল পাঞ্জাব। না হলে লড়াই ভাল হত। রান ১৮০ পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারলে আরসিবি সহজ ম্যাচ বের করতে পারত না। সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ পাঞ্জাব কিংস ৫ উইকেটে ১৫৭ ( প্রিয়াংশ আর্য ২২, পি সিং ৩৩, শ্রেয়স ৬, ইনলিস ২৯, শশাঙ্ক ৩১, জানসেন ২৫, পান্ডিয়া ২৫ রান ২, সুযশ ২৬ রানে ২) আরসিবি ৩ উইকেটে ১৫৯ ( বিরাট ৭৩ অপরাজিত, পাড়িকাল ৬১, পাতিধার ১২, জিতেশ ১১ অপরাজিত)
জাতীয় দলে ১০জন ডাক পাওয়ায় আপ্লুত অ্যান্টনি

স্বপ্ন দেখতে সত্যি। পুরুষদের মধ্যে থেকে বড়জোর একজন কী দু-জন জাতীয় দল পান। স্বতন্ত্র দল থেকে দলজনে জাতীয় স্কুয়েডে ডাকন। যা ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কাছে নিঃসন্দেহে গর্বের। ২৩ জুন থেকে ৫ জুলাই থাইল্যান্ডের চিয়াং মাইতে-তে এএফসি মহিলা এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের খেলা হবে। ভারত আছে থাইল্যান্ড, মঙ্গোলিয়া, পূর্ব তিমুর ও ইরাকের বিরুদ্ধে খেলতে হবে ভারতকে। সেইজন্য ৩৯জন মহিলা ফুটবলার ডেকে শক্তি জাতীয় গোল ক্রেসপিন আছে। ১মে থেকে বেঙ্গালুরুতে পাড়ুকোন-দ্রাবিড় কেন্দ্রিক স্পোর্টস এক্সিলেন্স শুরু হবে নারী শিবির। সেই শিবিরে দশজন মহিলা ফুটবলার ডাক পাওয়া উচ্ছ্বসিত ইস্টবেঙ্গল কূল অন্তনি অ্যান্ড্রু। নাট্যাঙ্ক নানি রাখাকে দলে উদযাপন, “জন কস নিসন্দ গর্বের জাতীয় দল পায় যদি তাহলে একত্রিত আনন্দ দাঁদায়মিয়ান হতে পারে। মহিলা দল যখন সমর্থক আসমুদ্রমাচলে অংশ নিচ্ছে তখন মহিলা দল আবার বের হবে, ফলাফলের সিড়ি উঠতে হবে। একের পর এক দলকে হারিয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, পুরুষ ফুটবল অস্কার ব্রুজো গোল না করার জন্য হুতাশ করছেন তখন মহিলা দল গোলের বন ডেকেছে। একা সৌম্য গুগুলথ হাট করেছেন ৯টা গোলা। আন্তর্জাতিক ফুটবলারদের মধ্যে গোলাদাতা। গাফিলপুর ঘানার স্ট্রাইকার করেছেন ১০টা গোলা। তাই বলে সৌম্য গুগুলথকে দল সিংহভাগ কৃতিত্ব দিতে নারাজ অন্তনি। তঁর নাম, “মেয়ে কাউন্সিল আমি বছর ধরে চাই তাকে কাছ থেকে তিনজন বলতে পারি, তার কাছে আরটা ঠিক আছে, কিন্তু দলকে সম্প্রদায় করেনি। গোলকিপার থেকে সৌম্যা সামনের দলকে শিক্ষরে পৌছুবার পাল্টা। এএফসি সম্প্রদায় লিগে যোগ করতে ইস্টবেঙ্গল দল। এই দল নিয়ে সেই দলটি লিগে কিছু করা হয়েছে তা মানস নীতি অন্তনি। তাই ইস্টবেঙ্গল ঠিক বলেছে, দলকে খোলনচে পাল্টে ফেলবেন। “এই দল নিয়ে এএফসি মহিলা গ্রুপ লিগে ভালো কিছু করা হচ্ছে এখন থেকে বলা যায়, দলে পরিবর্তন ঘটাতে প্রস্তাব আছে তাবার দেখা করার চেষ্টা করব তারপর পণ্য সরবরাহ করতে হবে সোজা কথা, ভালো কিছু দল। পরিবর্তন করা যায় না। নিয়মেই আছে শ্রী কাপ। আইএফএ আর্থিক শ্রী কাপ সম্ভবত ২৪ এপ্রিল থেকে শুরু হবে। সেখানে বর্তমান দলকে খেলতে দেখা যাবে না বলে দেওয়া যায়। তার কারণ জাতীয় ক্যাপ। সেইজন্য ইস্টবেঙ্গল ঠিক করেছেন, জুনিয়রদের নিয়ে দল গড়বেন। বিশেষ করে যারা উত্তর দিতে পারে, তাদের দলে এমনটি থাকতে পারে যেটি ভালো ময়লার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। তিনি বলেন, “কনলী কাপে আই লিগ দলকে পাওয়া যাবে এমনিতে এই বিবৃতি থেকে দেখতে পাওয়া যাবে জাতীয় ক্যাপে। যোগ্য। তাইশ্রী কাপে জুনিয়ার দলকে খেলা। মহিলা দল যখন ধঁকছে তখন মহিলার উপর চাপটা পড়ুন যদি এই পরীক্ষা নিয়ে বিতর্কের তুফান দেখতে পায়। কিন্তু অনন্তি উত্তর, আমাদের চাপ তিনি কখনো করেননি। “বিশ্বাস করুন কেউ আমাকে দেয়নি।তবে আমি চেষ্টা করে আবার দলকে। একটা চেষ্টার মধ্যে ধরে রাখতে। আপনিও মধ্যে ভালো সময় আমার চাপ আসে। এখনও ওড়িশা ম্যাচকে ভুলতে পারেন অন্তনি। ১১ এপ্রিল সৌম্য গুগুলথ-এর প্রদর্শন করা গোলা ওড়ী আই লিগ প্রকাশকে ইস্টবেঙ্গল। সেই ম্যাচ জেতার পর আই লিগে আরও একটা ম্যাচ গোকুলামের সঙ্গে বাকি ছিল লাল-হলুদের। কিন্তু ওড়িশাকে হারানো পর আই লিগ পার্টি নিশ্চিত ইস্টঙ্গ। আমি কিন্তু আই লিগ আমরা সম্প্রদায় হব। একটা ম্যাচ ধরে এগোর চেষ্টা করেছি ওড়িশা ম্যাচ আমার কাছে উপস্থিত আছে। করা সেইদিক এখন দেখতে আছে বলেছে অন্তনি।
ভবিষ্যতের নায়ক পেয়ে গেল টিম ইন্ডিয়া

ইতিমধ্যে অনেক রেকর্ড ভেঙ্গেছেন। আইপিএলে ইতিহাস গড়ার দিন (শনিবার রাতে জয়পুরে) প্রমান করলেন, সামনে আরও রেকর্ড তাঁরį পিছনে ছুটবে। তিনিই হয়ে উঠবেন ভারতীয় ক্রিকেটের মেগাস্টার। বলা যায় বৈভবও। বয়স ১৪ বছর ২৩ দিন। রবিবার নানা আলোচনার সঙ্গে একটি দিন বাড়ল। জয়পুরের স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে আসা ক্রিকেট প্রেমীরা দেখলেন, শচীন তেন্ডুলকরের মতো আরও একজন লিটল মাস্টারকে পেতে চলেছে টিম ইন্ডিয়া। এখন অপেক্ষা করার পালা। সেই সুরে সুর মিলিয়ে প্রাক্তন ক্রিকেটার বীরেন্দ্র শেহবাগ বলছিলেন, আগে ওর সম্পর্কে অনেক কিছু শুনেছি। শনিবার রাতে দেখলাম। কোথা থেকে কোথায় উঠে এল। এবার ঠিকভাবে লালন করতে হবে। তা হলে বৈভব সুর্যবংশী অনেক দূরে যাবে। বলতে অসুবিধা নেই ১৪-তে এমন হলে ২৮ বছরে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে। শেহবাগ শুধু নয়, বৈভবের ইনিংস দেখে আপ্লুত লখনউ সুপার জায়ান্টাসের অন্যম কর্তা সঞ্জীব গোয়েঙ্কা স্বয়ং। খেলার শেষে তিনি বৈভবকে কাছে ডেকে নিলেন। আদর করে গাল টিপে দিলেন। বৈভব যে ম্যাচ নিয়ে তাঁর চিন্তা কয়েক গুন বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। কোথাকার ম্যাচ কোথায় গিয়ে শেষ হল। এটা ঘটনা যে বৈভব উইকেটে থাকলে রাজস্থানের ম্যাচ জিততে ২০ ওভার ব্যাট করতে হত না। তার আগেই জয়পুরে রাজস্থান পতাকা উড়িয়ে দিতে পারত। এসব কথা বলে এখনই কি মাথা ঘুরিয়ে দেওয়া হল। কেউ কি মনে করছেন যে বাড়বাড়ি হয়ে গেল! শচীন তেন্ডুলকর মুম্বইয়ের হয়ে রনজি খেলতে নেমে অভিষেকে সেঞ্চুরি করেছিলেন। পরের কথা সকলেই জানেন। বিহারের বৈভব সূর্যবংশী মাত্র পাঁচটি প্রথম শ্রেনীর ম্যাচের খেলেছেন। বিরাট কিছু রান নেই। সব্বোর্চ ৪১। কিন্তু জুনিয়র স্তরে জাতীয় দলের মাঠে নেমে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটিয়েছেন। প্রমান করেছেন তাঁকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা যায়। পাকিস্তানের মাটিতে ১৬ বছরের তরুন যেদিন আবদুল কাদিরকে চার ছক্কা মেরে বুঝিয়েছিলেন, তিনি পায়ের তলার জমি পাকা করে এসেছেন। হঠাৎ করে এলাম, চলে গেলাম, এমনটা নয়। ভবিষ্যত সেটাই দেখিয়েছিল। বৈভবকে নিয়ে এখনই সেকথা বলার সময় আসেনি। কিন্তু বোঝা গিয়েছে, ট্যালেন্ট বা স্কিল কখনও হাওয়ায় উড়ে যায় না। বৈভব এসেছেন পায়ের নিচের জমি শক্ত করে। সহজে হারিয়ে যাওয়ার জন্য নয়। আইপিএলে সর্বকনিষ্ট ক্রিকেটার হিসেবে তিনি দারুন কিছু করেননি। তবু যা করেছেন, তা দেখে সবাই স্তম্ভিত। সবাই বৈভবের মানসিক শক্তির প্রশংসা করলেন। না হলে নিজের ইনিংসের প্রথম বলে যা করলেন, তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। শার্দুল ঠাকুরের বল কভারে উপর দিয়ে বাউন্ডারি বাইরে ফেললেন। পরের ওভারে আভেশ খানকে একইভাবে লং অফের উপর দিয়ে গ্যালারিতে। বয়স কম। শরীরের আড় ভাঙ্গেনি বলে অনেকে নাক কুচকোবেন। কিন্তু সংক্ষিপ্ত ইনিংসে তিনটি ওভার বাউন্ডারি প্রমান করে দিল, বৈভব লম্বা রেসের ঘোড়া। বেশি সময় উইকটে থাকেননি। কিন্তু যতটা সময় ছিলেন, ততক্ষণ লখনউয়ের নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছিল। মার্করামের বল সামনে খেলতে গিয়ে ফস্কান। ঋষভ বল ধরে স্টাম্পড করে যেভাবে লাফালাফি করতে লাগলেন, মনে হল ম্যাচ বুঝি তাঁরা জিতে গিয়েছেন। ৮.৪ ওভারে ৮৫। এখানে প্রথম ধাক্কা খেয়ে রাজস্থান উঠে দাঁড়াতে পারল না। হেরে গেল দুরানে। বৈভব উইকেটে থাকলে রাজস্থান হয়তো জিতত। সেটা পড়ে ফলে আউট হয়ে ফিরে যাওয়ার সময় চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। ভুল হয়ে গেল, এটা ভাবতেই চোখ ভিজে গেল। তাঁর কান্না দেখে অনেকের চোখ ভিজেছে। আর প্রাক্তন ক্রিকেটার রোহন গাভাসকর বলছিলেন, এদিনের কথা হয়তো কোনদিন ভুলবে না বৈভব। এই চোখের জল একদিন মুখে হাসি ফোটাবে। সেদিন ওর পিছনে ক্রিকেট ফ্যানরা ছুটবে। মনে হয় না সেদিন আর বেশি দেরি আছে। আইপিএলে রাজস্থান দলের হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়। এটাই বৈভবের এগিয়ে চলার পথ সহজ করে দেবে। কারন রোহিতদের হেড কোচ হওয়ার আগে জুনিয়রদের নিয়ে কাজ করতেন রাহুল। সবই তাঁকে স্যর বলে ডাকতেন। স্যরের ভালবাসায় দলের অনেকে নিজেদের তৈরি করে নিয়েছিলেন। সেই রাহুলের ইচ্ছায় বৈভব এখন আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসে। তাঁর সঙ্গে লম্বা চুক্তি দলের। এখানে থেকে নিজেকে মেজে ঘষে নিতে পারবে বৈভব। আরও একটা ব্যাপার আছে। প্রথম শ্রেমীর ক্রিকেটে বিহারের হয়ে মাঠে নামলে লাভ হবে না। তারা নিতের দিকে খেলে। ভাল বোলারের বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ কোথায়। এখন বিহার ছেড়ে অন্য কোনও রাজ্যে বৈভবকে নাম লেখাতে হবে। হয়তো বা রাজস্থানেই হতে পারে। লড়াই তখন সেয়ানে সেয়ানে হবে। এটাই বৈভবকে বড় আসবে খেলার জন্য তৈরি করে দেবে। রাহুল আছেন। তিনি নিশ্চয় সৎ পরামর্শ দেবেন। সেই পরামর্শ শুনে চললে বৈভব রাস্তা দেখতে পাবেন। দেখার বিযয়, বৈভবের গাড়ি কোন গিয়ারে চলে।
মেসি খেলবেন তাই বদলে গেল মাঠ

মেসি আসবেন আর মাঠে রেকর্ড সংখ্যক দর্শক হবে না তা কখনও হতে পারে! হল ঠিক তাই। মেজর লিগ সকারের অপরাজিত দল ছিল কলম্বাস ক্রু। তাদেরই হোম ম্যাচ। ঘরের মাঠ ছিল লোয়ার ডট কম ফিল্ড। কিন্তু মেসি খেলবেন দর্শক সমাগম ঘটবে প্রচুর তাই মাঠ বদল করতে বাধ্য হয়েছিল কলম্বাস ক্রু-র টিম ম্যানেজমেন্ট। লোয়ার ডট কমে বড়জোর ২০ হাজার দর্শক মাঠে বসে খেলা দেখতে পারে। কলম্বাস ক্রু-ইন্টার মায়ামি ম্যাচ তাই করা হল হ্যান্টিংটন ব্যাংক ফিল্ডে। যেখানে মাঠে এসে খেলা দেখতে পারেন ৬০ হাজারের বেশি দর্শক। হলও ঠিক তাই। পরিপূর্ন মাঠে (উপস্থিত ছিল ৬০ হাজার ৬১৪জন দর্শক) হেরে বসল কলম্বাস ক্রু। মেসি গোল না করলেও ইন্টার মায়ামি ১-০ গোলে জিতে যায়। গোলটি করেন বেঞ্জামিন ক্রেমাচি। ৩০ মিনিটে দলের আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার মার্সেলোনা ভেইগান্টের ক্রস থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মিডফিল্ডার বেঞ্জামিন ক্রেমাচি হেডে গোল করে যান। সেই গোল আর শোধ করতে পারেনি কলম্বাস ক্রু-র ফুটবলাররা। এখন ইন্টার মায়ামি ৮ ম্যাচ শেষে ৫টা ম্যাচ জিতে ও তিনটে ড্র করে ১৮ পয়েন্টে দঁাড়িয়ে। লিগ টেবিলে মেসির দল রয়েছে তৃতীয় স্থানে। একই পয়েন্ট নিয়ে কলম্বাস লিগ টেবিলে চলে গেল চতুর্থ স্থানে। তবে একটা বাড়তি ম্যাচ খেলে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে এক ও দুইয়ে রয়েছে শার্লট ও চিনচিনাতি। শুক্রবার মেসিরা খেলবেন কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের সেমিফাইনালে। প্রতিপক্ষ কানাডার ভ্যানকুবার হোইটসক্যাপ দল।