সুপার কাপে মৌমাছির হানা, মাঠে দৌড়াদৌড়ি, দু`দফায় বন্ধ রইল ম্যাচ

মাঠে দর্শকদের বিশৃঙ্খলা নয়, কোনও ঝামেলা গণ্ডগোল নয়, এক ঝাঁক মৌমাছির আক্রমণ, আর তাতেই দু`দফায় ১৪ মিনিট খেলা বন্ধ রইল। সুপার কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মুম্বই সিটি ও ইন্টার কাশির ম্যাচে ঘটল এই ঘটনা। রীতিমত সন্ত্রস্ত হয়ে ছোটাছুটি করলেন লাইন্সম্যান। ম্যাচ শেষ করতে ১৪ মিনিট বাড়তি সময়ও দিতে হল রেফারিকে। ইন্টার কাশিকে ছাংতের গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে চলে গেল মুম্বই সিটি। কিন্তু ম্যাচ শেষ করতে কালঘাম ছুটল রেফারির। মৌমাছি হানায় দুবার ম্যাচ বন্ধ রাখতে হল। প্রথম হানা ম্যাচের ২৮ মিনিটে। ম্যাচের ফল তখন শূন্য শূন্য। হঠাৎই স্টেডিয়ামের মৌচাক থেকে উড়ে আসা এক ঝাঁক মৌমাছি ঘিরে ধরল মাঠের ধারে থাকা লাইন্সম্যানকে। তিনি দৌড় লাগালেন মাঠের দিকে। তাড়া করল মৌমাছরাও। রেফারি জলপানের বিরতি দিয়ে দিলেন। বাধ্য হয়ে নিজেকে বাঁচাতে ড্রেসিংরুমের দিকে দৌড় লাগালেন লাইন্সম্যান। ফুটবলাররা এমনকী দর্শকরাও মৌমাছির আক্রমণ থেকে বাঁচতে দৌড়োদৌড়ি শুরু করে দেন। সে যাত্রায় পরিস্থিতি সামাল দিয়ে রেফারি খেলা শুরু করলেও আবার ধেয়ে আসে মৌমাছিরা। আবার খেলা বন্ধ। মাটিতে শুয়ে নিজেকে বাঁচাতে চেষ্টা করেন লাইন্সম্যান। মাঠকর্মীরা এসে তোয়ালে চাপা দিয়ে তাঁকে রক্ষা করেন। বাধ্য হয়ে হলুদ জার্সি বদলে রেফারি লাইন্সম্যানদের কালো জার্সি পরতে হয়। বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে এসেছিল ইন্টার কাশি। তাদের দৌড় অবশ্য থেমে গেল মুম্বইয়ের কাছে।
জাপানে বোমা বিস্ফোরণ রোনাল্ডোর

রোনাল্ডো ঝড় অব্যাহত। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এখন এশিয়ান ফুটবলে সত্যি একজন ত্রাস হয়ে উঠছেন। বয়স যে একটা সংখ্যা মাত্র তা প্রমাণ করে দিচ্ছেন প্রতিটি মুহূর্তে। জাপান নিঃসন্দেহে এখন এশিয়া ফুটবলে একটা বড় দল। যারা শুধু বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করেছে তা নয়, বিশ্ব ফুটবলে নজর কেড়ে নিচ্ছে। সেই জাপানের ইয়কোহামা এফ মারিনোসকে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল ম্যাচে বিধ্বস্ত করল আল নাসের। না, ভুল বলা হল, আল নাসের নয়, রোনাল্ডো। ৪-১ গোলে জিতল আল নাসের। বিরতির আগেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় সৌদির ক্লাব। খেলার শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার রেখে খেলতে থাকেন রোনাল্ডোরা। শুরুর ৯ মিনিটের মাথায় গোল করার জায়গায় চলে গিয়েছিল আল নাসের। ব্রোজোভিচের সঙ্গে পাশ খেলে যে মাটি ঘেঁষা শট নেন রোনাল্ডো তা অসাধারণ দক্ষতার সঙ্গে বঁাচিয়ে দেন ইয়কোহামার গোলকিপার পার্ক। আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে পরবর্তীকালে খেলা বেশ জমে ওঠে। আসলে রোনাল্ডোকে দেখার জন্য ইয়কোহামার সমর্থকরা এদিন ভিড় জমিয়ে ছিলেন মাঠে। ইন্টার মায়ামি খেললে যেমন প্রতিপক্ষ দলের সমর্থকরা এসে মেসির জন্য তঁাদের প্রিয় দলকে সমর্থন জানাতে ভুলে যান। ঠিক তেমনি রোনাল্ডোর জন্য একই ঘটনা ঘটতে দেখা যায় জাপানেও। এরই ফঁাকে ২৭ মিনিটের মাথায় প্রথম গোলটি পেয়ে যায় আল নাসের। যদিও এই গোলের জন্য সম্পূর্ন দায়ী থাকবেন ইয়কোহামার ডিফেন্ডার ডেং। তিনি ঠিকমতো বল ক্লিয়ার করতে পারেননি। সেই বল গিয়ে জমা পড়ে ডুরানের কাছে। তিনি ফঁাকা পোস্টে গোল করতে ভুল করেননি। মাত্র চার মিনিটের ব্যবধানে ফের ব্যবধান বাড়িয়ে ফেলে আল নাসের। এবার দলের হয়ে গোলটি করেন সাদিও মানে। রোনাল্ডোর সাহায্যে গোল করে চলে যান সাদিও। তৃতীয় গোলটি আসে ৩৮ মিনিটে। এবার গোলদাতা ছিলেন স্বয়ং রোনাল্ডো। ব্রোতোভিচের শট ইয়কোহামার গোলকিপার কোনও মতে বঁাচালে সেই বল এসে জমা পড়ে স্বয়ং রোনাল্ডোর পায়ে। তিনি গোল করে স্টেডিয়ামের আব্দার মেটান। ইয়কোহামার মাঠে রোনাল্ডোর গোল দেখে পুরো স্টেডিয়াম চিতকারে ফেটে পড়ে। বিরতিতেই খেলার ফল থেকে যায় ৩-০। তখনই বোঝা যাচ্ছিল, ইয়কোহামাকে ম্যাচে ফিরে আসতে গেলে অসম্ভব কিছু করতে হবে। যা করা মোটেই সহজ কাজ নয়। বিরতির পরও দেখা যায় সেই রোনাল্ডোদের দাপট। ৪৯ মিনিটে ফের গোল করে রোনাল্ডোরা ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে যান। এবার গোল করেন ফের ডুরান। আলহাসানের শট গোলকিপার বঁাচালে সেই বল ধরে অনায়াসে গোল করে যান তিনি। ডুরানের দ্বিতীয় গোল তখন নিশ্চিত জয়ের দোরগড়ায় পৌছে দিয়েছে আল নাসেরকে। তারপর ছিল নিয়মরক্ষার খেলা। সেই নিয়মরক্ষার ম্যাচে গোল করে কিছুটা সান্ত্বনা পায় ইয়কোহামা। পরিবর্ত হিসেবে নামা কোটা ওয়াতানাবে ৫৩ মিনিটে গোল দিয়ে সমর্থকদের কিছুটা আশার আলো জ্বালেন। তারপর আর তেমন কিছু করতে পারেনি ইয়কোহামা। ম্যাচের ফল সেই শেষমেশ ৪-১ থেকে যায়। তারপর ইয়কোহামা গোল করলেও অফসাইডের কারণে রেফারি তা বাতিল করে দেন। পরে গোলের সুযোগ পেয়েছিল আল নাসেরও। তবে কাজের কাজ হয়নি। এই জয় যে আল নাসেরকে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে তুলে দিল বলা যেতে পারে। যেহেতু পরবর্তী ম্যাচ রোনাল্ডোরা খেলবেন নিজেদের মাঠে।
ডিএইচএফসিকে অভিনন্দন অভিষেকের

ডায়মন্ডহার দলকে অভিনন্দন জানালেন সাংসদ অভিষেক বন্দে্যাপাধ্যায়। অভিষেক নিজের হাতে দল গড়ে ঘরোয়া ফুটবলে এক অনন্য নজীর গড়লেন। বুঝিয়ে দিলেন, রাজনীতির আঙীনায় থেকেও কীভাবে ফুটবলকে ভালোবাসা যায়। সদ্য ডায়মন্ডহারবার আই লিগ -২ চ্যাম্পিয়ন হয়ে আগামী বছর আই লিগের মূলপর্বে খেলবে। একই বছরে আই লিগ-৩ হওয়ার পর আই লিগ-২ চ্যাম্পিয়ন হয়ে অনন্য নজীর গড়েছে। ভারতীয় ফুটবলে এমন ঘটনা আগে ঘটেনি। আগেই আই লিগ খেলা নিশ্চিত হয়ে করে নিয়েছিল ডায়মন্ডহারবার। নিয়মরক্ষার ম্যাচে তারা চানমারি এফসিকে ১-০ গোলে হারিয়ে আই লিগে অপরাজিত থেকে খেলা শেষ করেছে। ১৯ এপ্রিলের ম্যাচে একমাত্র গোলটি করেছিলেন রবিলাল মান্ডি। নিজের দল গড়েও এতদিন চুপচাপ ছিলেন অভিষেক। রাজ্য পরিচালনার দায়িত্বে থাকা দ্বিতীয় মানুষটি রবিবার এক অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন দলকে। যেখানে তিনি রেকর্ড গড়ার জন্য ডায়মন্ডহারবার দলের কোচ থেকে ফুটবলার ও সাপোর্ট স্টাফকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, এখানেই থেমে থাকলে চলবে না। এবার থেকে আর কঠিন পথ পেরনোর জন্য সকলকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। সেই অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেছেন, “ডিএইচএফসি এই মুহূর্তে আমাদের সকলের দল। সকলের প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা এই জায়গায় পৌছতে পেরেছি। স্বপ্ন থেকে বাস্তবে আমরা পা রাখতে পারলাম। তবে এখানেই থেমে থাকলে চলবে না। সবে আমাদের যাত্রা শুরু হল।” আসলে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন মাত্র তিন বছরের মধ্যে ভারতীয় ফুটবলের মূলস্রোতে ঢুকে পড়া সহজ কাজ নয়। সেই কঠিন কাজটাই তঁার দল করে দেখাতে পেরেছে। তারজন্য তিনি যেমন টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে চিরকৃতজ্ঞ। পাশাপাশি সকলের আন্তরিকতা দেখে তিনি মুগ্ধ। কোচ ভিকুনাকে সামনে রেখে এগিয়ে চলেছে ডায়মন্ডহারবার। একসময় ভিকুনা মোহনবাগানকে সফল করেছিলেন। তাই ভিকুনাকে দলের কান্ডারি হিসেবে বাছতে তিনি আদৌ দ্বিধা করেননি। তবে অল্প সময়ের মধ্যে এই জায়গায় আসা যে সহজ কাজ ছিল না তা জানিয়ে অভিষেক বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছেন, “প্রতিটা ঘাসের বিন্দু, প্রতিটি চ্যালেঞ্জ, প্রতিটি মুহূর্ত আমাদের এখানে নিয়ে আসতে সাহায্য করেছে। ডায়মন্ডহারবার এফসি এই মুহূর্তে চ্যাম্পিয়ন দল। এখন বাংলা ফুটবলের গর্ব ডিএইচএফসি।” শোনা যাচ্ছে, এবার আই লিগ খেলার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে ডায়মন্ডহারবার দল। চেষ্টা করছে এতদিন থেকে দলগঠনে মনোযোগ দিতে। সম্প্রতি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য দলকে সংবর্ধিত করার কথা ছিল। কিন্তু পাহেলগামে সন্ত্রাসবাদীদের হামলার দরুন সেই সংবর্ধনা আপাতত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে যেদিনই হোক না কেন, অভিষেক চান ডায়মন্ডহারবার দল একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগোক। যেখানে বাংলার ফুটবলের সঙ্গে ভারতীয় ফুটবলকে সমৃদ্ধ করতে পারে।
দুরন্ত স্কাই, বুমরা-বোল্ট ঝড়ে বেসামাল লখনউ

মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ৭ উইকেটে ২১৫ (২০ ওভার) লখনউ সুপার জায়ান্টাস: ১৬১ (২০ ওভার) মুম্বই ইনিংস শেষ হওয়ার পর মনে হয়েছিল, এদিনের ম্যাচ রিপোর্ট সূর্য়কুমার যাদবকে (স্কাই) দিয়ে শুরু করতে হবে। যিনি এই মরশুমে সব থেকে ভাল ছন্দে আছেন, তাঁকে তো সামনে নিয়ে আসতে হবে। আইপিএলে ১০ ম্যাচে করে ফেললেন ৪২৭ রান। একইসঙ্গে আইপিএলে ৪ হাজার রানের ক্লাবের সদস্যও হয়ে গেলেন। তাঁকে সরিয়ে রেখে অন্য কাউকে কি শুরুতে নিয়ে আসা যাবে। কিন্তু সেটা পারছি না। না পারার পিছনে কারন আছে। আগের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট দারুন বোলিং করেছিলেন। সেই ছন্দ আবার দেখা গেল। তবে তাঁকে ছাপিয়ে গেলেন জসপ্রীত বুমরা। চোট সারিয়ে ফিরে আসার পর বুমরাকে ফর্মে দেখা যাচ্ছিল না। বল হাতে রান দিয়ে ফেলছিলেন। উইকেটও আসছিল না। কিন্তু লখনউকে তিনি পাখির চোখ করে ফেললেন। চার ওভারে ২২ রান পেলেন ৪ উইকেট। ব্যস আর কি। মুম্বইয়ের ২১৫ রানের জবাব লখনউ আটকে গেল ১৬১ রানে। অধিনায়ক হার্দিক ম্যাচ জিতে গেলেন ৫৪ রানে। এখানেই শেষ নয়, ই জয়ের ফলে তরা পাঁচে পাঁচে করে লিগ টেবিলে ১০ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে দুনম্বরে উঠে এল। ভাবা যায়! যারা শুরুতে আইসিইউতে চলে গিয়েছিল, তারা অক্সিজেন নিয়ে দারুনভাবে ফিট হয়ে মাঠে দৌড়তে শুরু করল। আসলে মুম্বইয়ের চরিত্র এমনই। এর আগেও এভাবে তারা শুধু উপরে উঠে আসেনি, চ্যাম্পিয়নও হয়েছে। সেই পথে আবার তারা চলেছে। রোহিত আগের দুই ম্যাচে বড় রান পেয়েছিলেন। লখনউয়ের স্পিডস্টার মায়াঙ্ক যাদবকে দুটি বিশাল ছক্কা মেরে আউট হয়ে গেলেন। মায়াহ্কের অফস্ট্যাম্পের বাইরের স্লোয়ারে কাট মারতে গিয়েও জোর দিতে পারলেন না। শর্ট থার্ডম্যানের হাতে চলে গেল। রোহিত পাঁচ বল খেলে ১২ করেলন। তারপর শুধু ঝড়। রিকেলটনের সঙ্গে জুটিতে স্কাই রানের বন্যা ছুটিয়ে দিলেন। সেই ঝড় থামাতে লখনউ বোলারদের ত্রাহি ত্রাহি রব। কোনও বোলারই সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারলেন না। ৩২ বল খেলে রিকেলটন ৫৮ করলেন। তিনি আউট হয়ে যাওয়ার পর হাল ধরলেন স্কাই। এবারের আইপিএলে তাঁর রান দেখলে হিংসে করতে হবে। ২৮ বল খেলে করলেন ৫৪। আর তাতেই মুম্বই পার করে ফেলল দুশো রানের গন্ডী। বোর্ডে ২১৫ রান দেখলে সব দল কেঁপে যায়। লখনউয়ের অবস্থাও তেমন হল। তার উপর বোল্ট ও বুমরার সামনে অসহায়ের মতো আউট হয়ে গেলেন ব্যাটসম্যানরা। একসময় ১১ ওভারে ৩ উইকেটে ১১০ রান ছিল। কিন্তু সেখান থেকে ১৬১ রানে সব শেষ। ঋষভ পন্থ কবে রান করবেন। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধেও রান পেলেন না। তিনি মাত্র চার রান করে আউট হয়ে গেলেন। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ঋষভের এই অসহায় অবস্থা শেষ কবে দেখা গিয়েছে মনে করা যাচ্ছে না। তাদের শেষ ৬টি উইকেট পড়ল ২৬ রানে। এরপর লখনউ কোথায় গিয়ে শেষ করে তা জানার অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ মুম্বই ৭ উইকেটে ২১৫( রোহিত ১২, রিকেলটন ৫৮, সূর্যকুমার ৫৪, উইল জ্যাকস ২৯, নমন ধীর ২৫, মায়াঙ্ক ৪০ রানে ২, আভেশ খান ৪২ রানে ২) লখনউ সুপার জায়ান্য়াসঃ ১৬১ ( মিচেল মার্শ ৩৪, পুরান ২৭, পন্থ ৪, মিলার ২৪, বোল্ট ২০ রানে ৩, বুমরা ২২ রানে ৪)।
আাশায় নাইটরা, মঙ্গলবার দিল্লির কাছে হারলে সব শেষ

পাঁচে পাঁচ। এমনটা করতে পারলে প্লে অফ খেলবে কেকেআর। তার আগে একবার পা ফস্কে গেলে সব শেষ। তাই বৃষ্টি শহরকে স্বস্তি দিলেও নাইট শিবিরে অস্বস্তি। এমন জায়গা থেকে প্লে অফ খেলা সহজ নয়। এর আগে অবশ্য দুবার এমন ঘটনা ঘটিয়েছে কেকেআর। ২০১৪ ও ২০২১-এ দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া দল ঘুরে দাঁড়াতে পারলেও এবার খুব একটা আশায় নেই ক্রিকেট ফ্যানরা। দলের খেলার ধরন দেখে অনেকেই ভরসা পাচ্ছেন না। তাই মুখে একটাই কথা পাঞ্জাব ম্যাচ থেকে ভাগ্যিস এক পয়েন্ট এসেছে। এটাই হয়তো প্লে অফ খেলার দরজা খুলে দিতে সাহায্য করবে। কিন্তু তার আগে তো অনেকটা পথ হাঁটতে হবে। সেটা কি পারবে কেকেআর। এক পয়েন্ট পাওয়া খেলায় আশার কথা শোনালেন বৈভব অরোরা। রাতে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে এসে তিনি বলেন, আমরা আশা ছাড়ছি না। বলা যায় না এই পয়েন্ট পরে অনেক বড় হয়ে উঠবে। তাই এই পয়েন্ট নিয়ে আমরা দিল্লি যাব। সেই ম্যাচ জিতে গেলে ছন্দ ফিরে আসবে। তারপর ঘরের ম্যাচে কিুটা সুবিধা তো পাওয়া যাবে। তাই এখনই হাল ছেড়ে দেওয়ার কিছু হয়নি। বৈভব বলছেন বটে, কিন্তু কাজটা মোটেও সহজ নয়। এতদিন বলা হচ্ছিল, কেকেআরের ব্যাটিং ক্লিক করছে না। তাই ম্যাচ হাত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বোলারাই বা কি করছেন! বোর্ডে ২০০ রান নিয়ে খেলা শুরু করা সহজ কাজ নয়। বৃষ্টি না হলে কেকেআরের জয় নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যেত। ২০২ রান করে ম্যাচ বের করা কঠিন হয়ে পড়ত। ব্যাটিং শক্তি বাড়াতে পাওয়েলকে দলে নিয়ে আসা হয়েছিল। তিনি এবারই প্রথম দলে ঢুকলেন। এসেই মাত করে দেওয়ার মতো ক্রিকেটার কি পাওয়েল! তাঁর উপর কতটা ভরসা করা যায়। এ নিয়ে ইডেনে প্রশ্ন কম ছিল না। তাই জয় নিয়েও নিশ্চয়তা তেমন দেখা যায়নি। পাঞ্জব টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কেকেআর জিতলে আগে ফিল্ডিং করে নিত। তাই টস হারা বা জেতায় কোনও সুবিধা কেউ পায়নি। কিন্তু তারপর! তারপর আমরা কি দেখলাম। পাঞ্জাবের দুই ওপেনার সব কিছু শেষ করে দিলেন। একসময় মনে হয়ছিল, তারা হয়তো রাহানেদের ঘাড়ে ২২০-২৩০ রানের বোঝা চাপিয়ে দেবে। ভাগ্যিস সেটা ২০১ রানে শেষ হয়ে গিয়ছিল। কিন্তু পেসারদের সঙ্গে স্পিনাররা কি করলেন। দুই স্পিনাররা কোনও চাপ তৈরি করেত পারলেন না। বরুন বা নারইনরা কোথায় বল ফেলবেন তা বুঝে উঠতে পারলেন না। চেতন সাকারিয়াক দলে নিয়ে আসা হয়েছিল। তিনি দলে না এলে পাওয়েলের খেলার সম্ভাবনা থাকত না। সেই সাকারিয়াকে ম্লান দেখাল। রানাও তেেমনই। একমাত্র অরোরাকে কিছু একটা করে দেখাবার মতো মনে হল। এমন বোলিং নিয়ে কেকেআর কতটা লড়াই করবে। এ নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। দিল্লির বিরুদ্ধে এমন বোলিং হলে অসুবিধা আছে। দের ব্যাটিং বেশ ভাল। তার উপর ব্যাটসম্যানরা ফর্মে। তাই এমন বোলিং নিয়ে কেকেআর কতটা পাল্টা দিতে পারবে! জানা নেই। একটা ম্যচ বের করতে পারলে কাজ সুবিধা হবে। না হলে গড়াগড়ি খাওয়ার মতো অবস্থা হবে। সেখান থেকে কি রাহানেরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। এখন সেটাই প্রশ্ন।
সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খলা! ইডেনকে ধুয়ে দিলেন ম্যাথু হেডেন

শনিবার রাতে ইডেনে কোনও কিছুই ঠিক হল না। হঠাৎ বৃষ্টিতে কেকেআর ও পাঞ্জাব কিংসের ম্যাচ পন্ড হল। এখানে সব শেষ হয়ে গেলে কিছু বলার ছিল না। কিন্তু সেটা হল কোথায়! এরপরই ইডেনকে ধুয়ে দিলেন ভিন রাজ্যের সাংবাদিক ও বিদেশি ক্রিকেটাররা। বিদেশি বলতে দুদলে খেলা ক্রিকেটাররা নন, বিদেশি টিভি ভাষ্যকাররা পিচ কিউরেটরকে শেষ করে দিলেন। অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার ম্যাথু হেডেন এক টিভি চ্যানেলের হয়ে কাজ করতে কলকাতায় এসেছিলেন। বৃষ্টির পর বলছিলেন, সব কিছু এলোমেলো হয়ে গেল। মাঠের উপর কোনও নিয়ন্ত্রন ছিল না। ছিল না কোনও শৃঙ্খলা। সব কিছু কেমন যেন বিভ্রান্তিকর। সাংগাঠনিক ব্যবস্থা এভাবে ভেঙ্গে পড়লে কি করার থাকে। আগেই আবহাওয়া দপ্তরের ঘোষণা ছিল, রাতের দিকে বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া থাকবে। পাঞ্জাব কিংসের ইনিংস শেষ হওয়ার পর আকাশ গর্জন করতে শুরু করে। নাইটদের ইনিংসের এক ওভার হওয়ার পর খেলা বন্ধ করে দেন আম্পায়াররা। পাঞ্জাবের ২০১ রানের জবাবে নাইটরা তখন বিনা উইকেটে ৭ রান। তারপর ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে শুরু প্রবল বৃষ্টি। মাঠ কর্মীরা চেষ্টা করেও সামাল দিতে পারলেন না। পিচ কভার দিয়ে মাঠ ঢাকার চেষ্টা হল। কিন্তু তাতে আর কি। কভার যে হাওয়ায় উড়ে যাচ্ছে। একটি কভার প্রায় গ্যালারিতে চলে গেল। সেই ফাঁকা জায়গা তখন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার অবস্থা। এখানেই শেষ নয়, পিচ কভার উড়ে যাচ্ছে দেখে মাঠকর্মীরা তার উপর বসে পড়লেন। মাঠ যেন জলে ভেসে না যায় তার চেষ্টা। এমন বেহাল চিত্র ইডেনে আগে দেখা যায় নি। হেডেন বলছিলেন, এমন বিভ্রান্তিকর অবস্থা হলে খেলা কী করে শুরু করা যাবে। কভার দিয়েও তো মাঠ বাঁচানো যাচ্ছে না। বৃষ্টির সম্ভাবনা ছিল। তাই আগে থেকে সব কিছু গুছিয়ে নেওয়ার দরকার ছিল। সেটা কেন যে করা হল না জানি না। প্রায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইছিল। স্বাভাবিকভাবে এই ঝড়ে কভার ঠিক রাখা সম্ভব নয়। তাই আগে থেকে সব কিছু ঠিক রাখার দরকার চিল। কেন যে তারা করলেন না জানি না। আম্পায়াররা জানিয়েছিলেন মাঠ খেলার উপযুক্ত হলে ১১টা ৪৪ মিনিটে খেলা শুরু করা সম্ভব। তখন পাঁচ ওভারের খেলা হবে। নাইটদের কাছে তখন কী টার্গেট দাঁড়াবে তা জানা গেল না। তবে যে টার্গেটই হোক না কেন, নাইটরা তার পিছনেই ছুটত। কিন্তু তার আগেই আম্পায়াররা খেলা কলডঅফ করে দিলেন। জানিয়ে দিলেন মাঠের যা অবস্থা তারপর এই মাঠে খেলা করা সম্ভব নয়। দুদল একপয়েন্ট করে মাঠ ছাড়লেন। পয়েন্ট ভাগ হওয়ার থেকেও বড় কথা, ইডেনের মান থাকল না। বৃষ্টি ধুয়ে মুছে সাফ করে দিল। কেন এমন হল! এর উত্তর যাঁদের দেওয়ার কথা তখন তাঁরা কোথায়। এরপর সাবধান হতে হবে। প্রবল বৃষ্টির পরও ইডেনে এর আগে ম্যাচ চালু করা গিয়েছে। কিন্তু ঝড়ের হাত থেকে কে বাঁচাবে ইডেনকে। সেদিকে এবার তাকাতে হবে। তার কি কোনও ব্যবস্থা করা যায়!
অবসর নেওয়ার পথে জকোভিচ

নোভাক জকোভিচ কি অবসর নিতে চান? তিনি কি আর পেশাদার টেনিসের আঙীনায় নিজেকে ধরে রাখতে চাইছেন না? ২৪ ঘন্টা আগে মাদ্রিদ ওপেনের প্রথম রাউন্ডে হেরে বিদায় নিয়েছেন সার্বিয়ান তারকা। সাম্প্রতিককালে তঁার সেরা পারফরম্যান্স ছিল মায়ামি ওপেনে। যেখানে তিনি ফাইনালে উঠেছিলেন। সেখানেও তিনি চ্যাম্পিয়ন হতে পারেননি। হেরে বসেন চেক তরুন ইয়াকুব মেসিকের কাছে। স্ট্রেট সেটে ৭-৬ (৪), ৭-৬ (৪)। রানার্স হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল তঁাকে। তাছাড়া কাতার ওপেন, মন্টে কার্লো থেকে শুরু করে মাদ্রিদ ওপেন যেখানে নেমেছেন সেখানেই প্রথম রাউন্ডে হেরে বিদায় নিয়েছেন। এমন এক একজনের কাছে হার স্বীকার করতে হচ্ছে যঁারা টেনিস মহলে এখনও সেভাবে নিজেদের তুলে ধরতে পারেননি। সুতরাং জকোভিচের অন্তর যে তোলপাড় হচ্ছে তা আর নতুন করে বলার কিছু নেই। তিনি বোধহয় বুঝতে পেরেছেন, এভাবে চললে তঁার সুনাামের প্রতি অবিচার করা হবে। টেনিস কোর্টে তঁার সাফল্যের ইতিহাস কেউ মনে রাখবে না। তাই ২৪ ঘন্টা আগে মাদ্রিদ ওপেনে হারার পর অবসর নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন স্বয়ং জকোভিচ। জানিয়েছেন, মাদ্রিদ ওপেন তঁার শেষ সফর হয়ে গেল। তারমানে আর মাদ্রিদ ওপেন তিনি খেলতে আসবেন না। ফর্ম ও ফিটনেস নিয়ে সরাসরি মুখ খুলেছেন জকোভিচ। যেখানে তিনি জানাতে চেয়েছেন, মোটেই ইতিবাচক জায়গায় তিনি নেই। কিছুদিনের মধ্যে ফরাসি ওপেন। সেই গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্টে তিনি যে আর ফেবারিট নন তা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন জকোভিচ। “আমার প্রত্যাশা এখানে খুব বেশি ছিল না।” পরমুহূর্তে জকোভিচ বলেন, “মন্টে কার্লোর চেয়ে আরও একটা বেশি ম্যাচ খেলতে চেয়েছিলাম। খুব খারাপ লাগছে, গত ২০ বছর ধরে এই ধরনের প্রতিযোগিতায় এমন ফল কখনও হয়নি। এভাবে কখনও হেরে একটার পর একটা প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিইনি। যা কখনও অভ্যস্থ ছিলাম না তা যদি বারবার ঘটতে থাকে তখন খারাপ লাগে বইকি। এটাই বোধহয় জীবনের চক্র। তাই এখন থেকে বলতে পারি, ফরাসি ওপেনে আমি মোটেই ফেবারিট হিসেবে থাকব না। তবে কে বলতে পারে, এই ধরনের আঘাত থেকে হয়তো আমাকে ভাল কিছু করতে সাহায্য করবে।” সাংবাদিক সম্মেলনে জকোভিচ এও বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, কোথায় তঁার ভুল-ভ্রান্তি হচ্ছে। যে পরিবর্তনগুলো তিনি করতে চাইছেন তা কেন পারছেন না। তবে এটাই যে বাস্তব তা মেনে নিতে তিনি আদৌ আর দ্বিধা করতে রাজি নন। “সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পূর্ন পাল্টে গিয়েছে। যে স্ট্রোক অনায়াসে নিতে পারতাম তা এখন পারছি না। এমন কী আমার শরীর ও নড়াচড়ায় প্রচুর খামতি থেকে যাচ্ছে। তাই বাস্তবকে অস্বীকার করতে পারছি না। ফলে বারবার ধাক্কা খেতে হচ্ছে। চেষ্টা করব নতুন পরিস্থিতিগুলো থেকে সবচেয়ে বেশি সুবিধে কীভাবে নেওয়া যায়। বিশেষ করে গ্র্যান্ড স্লামে। যা আমার টেনিস কেরিয়ারে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ন।” আর মাত্র একটা প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হলে তিনি শিরোপা জয়ে সেঞ্চুরি করবেন। তাহলে একাসনে বসে পড়বেন জিমি কোনর্স ও রজার ফেডেরারের সঙ্গে। এই দু-জন যথাক্রমে জিতেছেন ১০৯ ও ১০৩টি ট্রফি। জকোভিচ তাই চাইছেন যেভাবে হোক এঁদের সঙ্গে টেনিস কেরিয়ারে নিজের নাম তুলতে। অথচ এখন তঁার কেবিনে রয়েছে ৯৯টা ট্রফি। প্যারিস অলিম্পিকে পদক জয়ের পর থেকে তঁার চেষ্টার কোনও ত্রুটি নেই। তারপর থেকে যেখানে নেমেছেন সেখানে পারেননি সফল হয়ে কোর্ট ছাড়তে। সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খেয়েছেন বোধহয় সদ্য মাদ্রিদ ওপেনে। যেখানে ২৪তম গ্র্যান্ড স্লাম বিজয়ীকে কিনা পরাজিত হতে হয়েছে ইতালির মাতেও আর্নাল্ডির কাছে। যা তাঁর কাছে সম্পূর্ন হতাশ হওয়ার মতোই ঘটনা। তাই নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি।
চার্চিলকে আই লিগ জয়ী স্থগিত করল ক্রীড়া আদালত

১৯ এপ্রিল এআইএফএফ বা ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের আপিল কমিটি ঘোষণা করেছিল, আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হল চার্চিল ব্রাদার্স। কিন্তু রবিবার কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টস বা ক্যাস জানিয়ে দিল, চার্চিলকে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন ফেডারেশন ঘোষণা করতে পারবে না। ফেডারেশনের নেওয়া আপিল কমিটির সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে। ্এমন কী চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য যদি কোনও ট্রফি বা পদক দেওয়ার ব্যবস্থা করে থাকে ফেডারেশন তাও বন্ধ রাখতে হবে। ক্যাস-এর আপিল আরবিট্রেশন বিভাগের ডেপুটি প্রেসিডেন্ট এই আদেশ জারি করেছেন। ২২ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে আই লিগ টেবিলের শীর্ষে ছিল চার্চিল ব্রাদার্স। সুতরাং তাদের চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করার মধ্যে কোনও ভুল ছিল না। সমস্যা দঁাড়ায় অন্য জায়গায়। ইন্টার কাশি বনাম নামধারী এফসি ম্যাচে এক অবৈধ ফুটবলার খেলিয়ে দিয়েছিল নামধারী এফসি। যদি সেই ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট পেয়ে যায় ইন্টার কাশি তাহলে লিগ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে চার্চিল ব্রাদার্সের নাম উঠে আসবে না। লিগ টেবিলের শীর্ষে চলে যাবে ইন্টার কাশি। মজার ঘটনা হল, ফুটবল ফেডারেশনের আপিল কমিটির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার কথা ছিল ২৮ এপ্রিল। অথচ কমিটি ১২ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করে। আই লিগ খেলা শেষ হওয়ার দু-সপ্তাহ পরে চার্চিল ব্রাদার্সকে চ্যাম্পিয়ন বলে ঘোষণা করে দেয় ফেডারেশন। ১৯ এপ্রিল চার্চিলকে চ্যাম্পিয়ন করার কথা ঘোষণা করার দিন ইন্টার কাশি জানিয়ে ছিল তারা ক্রীড়া আদালতের দ্বারস্থ হবে। রবিবার তাই ইন্টার কাশি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “ক্যাস-এ আমরা যে মামলা করেছিলাম তার মামলা নম্বর ছিল ২০২৫/এ/১১৩৭৪। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ক্রীড়া আদালতের আপিল বিভাগের ডেপুটি প্রেসিডেন্ট যে আদেশ নির্দেশ করেছেন তাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।” ফলে ফেডারেশনের আপিল কমিটির সিদ্ধান্তের আর কোনও গুরুত্ব রইল না। ফলে ২০২৪-২৫ আই লিগ বিজয়ী হিসেবে চার্চিল ব্রাদার্সকে এখন আর ধরা যাচ্ছে না। ইন্টার কাশি বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে, “ক্রীড়া আদালতে এবার অবাধ ও সুষ্ঠু শুনানির জন্য আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করব। এই মামলায় আসল তথ্য আশাকরছি বেরিয়ে আসবে। যেখানে আর কারও কিছু নতুন করে উত্তর খেঁাজার প্রয়োজন হবে না।” ক্রীড়া আদালত ইন্টার কাশির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জানিয়েছে, ২৯ এপ্রিলের মধ্যে ফুটবল ফেডারেশন, চার্চিল ব্রাদার্স, এফসি গোয়া ও নামধারী এফসিকে পূর্ণাঙ্গ জবাব দিতে হবে। বোঝাতে হবে ইন্টার কাশি যা বলতে চাইছে তারমধ্যে কতটা সত্যতা রয়েছে।
রবিবার থেকে শুরু সুদিরমান কাপ, কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে সিন্ধুরা

কঠিন, ভীষণ কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে লক্ষ্য সেন, পিভি সিন্ধুরা। সুদিরমান কাপে সেরা দল নিয়ে নামতে পারছে না ভারত। যা কিছু আশা পিভি সিন্ধু, লক্ষ্য সেন ও এইচ এস প্রণয়কে নিয়ে। রবিবার থেকে চিনে শুরু হচ্ছে ব্যাডমিন্টনের ঐতিহ্যশালী এই মিক্সড টিম ইভেন্ট। চোটের জন্য ছিটকে গিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ডাবলস জুটি সাত্ত্বিকসাইরাজ ও চিরাগ শেট্টি জুটি। ভারতের সেরা মহিলা ডাবলস জুটি গায়ত্রী গোপিচাঁদ ও ত্রিসা জলিও খেলতে পারবেন না চোটের জন্যই। ফলে যা কিছু আশা ওই সিন্ধু-লক্ষ্যদের ঘিরেই। এর সঙ্গে যোগ করুন ভারতের প্রতিপক্ষ কারা। ডি গ্রুপে আছে ভারত। যে গ্রুপকে বলা হচ্ছে গ্রুপ অফ ডেথ। গ্রুপে রয়েছে ব্যাডমিন্টনের আরও তিন সুপার পাওয়ার। এশিয়া চ্যাম্পিয়ন ইন্দানেশিয়া ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন ডেনমার্ক ও শক্তিশালী ইংল্যান্ড। তাই বিরাট চ্যালেঞ্জ সিন্ধুদের সামনে। গ্রুপ থেকে দুটি করে দল যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে। ভারতের প্রথম প্রতিপক্ষ ডেনমার্ক। এমনিতে সিন্ধু, লক্ষ্য ও প্রণয় কেউই ভাল ফর্মে নেই, তবু নিজেদের দক্ষতাকে তুলে ধরে যদি সিঙ্গলসের ম্যাচ ছিনিয়ে আনতে পারেন, তারপরেও কি অনভিজ্ঞ ডাবলস জুটির পক্ষে এত বড় চ্যালেঞ্জ জেতা সম্ভব হবে? হলে সেটা মিরাকল। এখন দেখার ভারতকে কতটা লড়াইয়ে রাখতে পারেন সিন্ধু-লক্ষ্যরা।
রবিবারই প্রত্যাবর্তন মায়াঙ্ক যাদবের? ইঙ্গিত দিল লখনউ সুপার জায়ান্টস

চোট সারিয়ে আবার আইপিএলে ফিরছেন মায়াঙ্ক যাদব। রবিবারই সম্ভবত প্রত্যাবর্তন হচ্ছে মায়াঙ্কের।সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাল রকমই ইঙ্গিত দিয়েছে লখনউ সুপার জায়ান্টস। ওয়াংখেড়েতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সর বিরুদ্ধে নামছে লখনউ। সম্ভবত এই ম্যাচ থেকেই ফের বল হাতে ঝড় তুলতে দেখা যাবে এই তরণ তুর্কিকে। গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে পিঠের চোটের জন্য মাঠের বাইরে এই স্পিড সেনসেশন। পরে তাঁর পায়ের পাতাতেও চোট লাগে। বোর্ডের সেন্টার অফ এক্সেলেন্সে রিহ্যাব করে ফিট হয়েছেন মায়াঙ্ক। সেখান থেকে আইপিএেল খেলার জন্য ছাড়পত্র পেয়েই কয়েক দিন আগে যোগ দেন লখনউ শিবিরে। লখনউয়ের হেড ফিজিও আশিস কৌশিক তাঁর ফিটনেস পরীক্ষা করে সবুজ সঙ্কেত দিয়ে দেন। মায়াঙ্ক বেশ চোট প্রবণ। গত দু বছরে তিনি পাঁচবার চোট পেয়েছেন, তাই তাঁর ব্যাপারে সতর্ক হয়েই পা ফেলছে লখনউ সুপার জায়ান্টস। গত আইপিএলে দুর্দান্তভাবে উঠে আসেন তিনি। বলের গতিতে চমকে দেন সকলকে। কিন্তু চারটির বেশি ম্যাচ খেলতে পারেননি। কারণ সেই চোট। বাকি আইপিএল থেকেই ছিটকে গিয়েছিলেন। তাই ২২ বছরের তরণ পেসারকে সতর্ক হয়েই নাড়াচাড়া করতে চায় ম্যানেজমেন্ট। ঘরোয়া ক্রিকেটে ঝড় তুলে উঠে এসেছেন এই তরুণ স্পিডস্টার। দু বছর ধরে সিকে নাইডু ট্রফি, মুস্তাক আলি ট্রফিতে বল হাতে ঝড় বইয়ে সকলের নজরে চলে আসেন। সেখান থেকেই আইপিএলে উথ্থান। ২০২৪ আইপিএল থেকে ছিটকে যাওয়ার আগে ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন। তাই ১১ কোটি টাকায় তাঁকে ধরে রাখে লখনউ সুপার জায়ান্টস। ২২ এপ্রিল দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ম্যাচে তাঁকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের তালিকায় রাখা হয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত মাঠে নামেননি। তবে রবিবার হয়ত অপেক্ষার পালা শেষ হতে চলেছে। আইপিএলের মঞ্চে বল হাতে আবার ঝড় তুলতে নামতে চলেছেন দেশের এই তরুণ স্পিড সেনসেশন।