কাজ শুরু করে দিলেন রিম্পা

কন্যাশ্রী কাপে তোলপাড়ে ফেলে দিল শ্রীভূমি ফুটবল ক্লাব। প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই পর্যুদস্ত করল বালি গ্রামাঞ্চল ক্রীড়া সমিতিকে। শ্রীভূমির হয়ে একাই ছয়টি গোল করেন রিম্পা হালদার। অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারে খেলা রিম্পা এমনিতেই কলকাতা ময়দানে পরিচিত নাম। গত কয়েকবছর ধরে মেয়েদের ফুটবলে নজর কেড়ে নিয়েছেন। সেই রিম্পা শুরু থেকেই গোল দিয়ে শ্রীভূমিকে পৌছে দিলেন নিশ্চিত জয়ের দোরগড়ায়। প্রথম গোলটি রিম্পা করেন তিন মিনিটের মাথায়। সেই শুরু। তারপর থেকে এক এক করে গোল করে চলে শ্রীভূমি। যদিও প্রথমার্ধে দু-গোলের বেশি করতে পারেনি কোচ সুজাতা করের মেয়েরা। মৌসুমি মুর্মু প্রথমার্ধে একটা গোল করেন। দ্বিতীয়ার্ধে মিনিট দশেকের মধ্যে ফের পরপর দুটো গোল করে শ্রীভূমিকে অনেকটা এগিয়ে দেন। একটা সময় মনে হচ্ছিল ছেড়ে দে মা কেঁদে বঁাচি অবস্থা বালি গ্রামাঞ্চলের। নদীয়ার মেয়েটিকে অ্যাটাকিং মিডফিল্ডে খেলাচ্ছেন সুজাতা। উইথড্রল ফরোয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করে দারুন সফল তিনি। “মেয়েটিকে দীর্ঘদিন ধরে কাছ থেকে দেখছি। খুব গরিব পরিবারের মেয়ে। দিন আনা দিন খাওয়া পরিবার থেকে উঠে এসেছে বলেই হয়তো নাছোড়বান্দা মনোভাব তার মধ্যে স্পষ্ট। কাউকে ছেড়ে দেয়না। আসলে মেয়েটি পরিশ্রমী ফুটবলার হিসেবে পরিচিত বলতে পারেন। খেলতে হবে, গোল করতে হবে, এই মনোভাব নিয়ে সবসময় খেলার চেষ্টা করে।” বলছিলেন সুজাতা। আইডব্লুএলে খেলে শ্রীভূমি। কিন্তু মেয়েদের আই লিগে খেলা ফুটবলার বর্তমান দলে নেই। তাই সুজাতা বলছিলেন, “বলতে পারেন সম্পূর্ন নতুন দল। অনেকে এদের মধ্যে হয়তো কলকাতা লিগে আগে খেলেনি। তবে যাইহোক না কেন, আমরা নতুনদের খেলিয়ে সর্বসমক্ষে তুলে আনতে চাই।” বললেন শ্রীভূমির কোচ। কন্যাশ্রী কাপের অপর খেলায় দীপ্তি সংঘ ফুটবল ক্লাব ২-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে চঁাদনি স্পোর্টিং ক্লাবকে। দীপ্তির পক্ষে গোল দুটি করেন বেবি লালচঁাদমি ও মনীশা ডি। প্রথমার্ধের ১৯ মিনিটে প্রথম গোলটি করেন বেবি। অতিরিক্ত সময়ের খেলায় দলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করে যান মনীশা। গতবার বি গ্রুপ থেকে রানার্স হয়ে এবার উঠে এসেছে দীপ্তি। লক্ষ্য কী জানতে চাইলে দলের কর্ণধার সুদেষ্ণা মুখোপাধ্যায় বলছিলেন, “প্রথম ম্যাচ যে কোনও টুর্নামেন্টে কঠিন হয়। আমাদের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। তবু মেয়েরা চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেনি। আসলে প্রথম ম্যাচে দলটাকে গোছানোর প্রয়োজন হয়। আমরা সেই জায়গায় অনেকটা সফল বলতে পারেন।” দীপ্তি সংঘ মহিলা ফুটবলারদের নিয়ে একটা আবাসিক শিবিরের ব্যবস্থা করেছে। বেলেঘাটায় এক জায়গায় ফুটবলারদের রাখায় দলের মধ্যে বোঝাপড়া বেশ ভালোই। তেমনই দাবি সুদেষ্ণার। আর্থিক সমস্যা আছে। তবু চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখছেন না দলের কর্মকর্তারা। “প্রথমার্ধে আমরা গোল করলেও সেভাবে খেলতে পারিনি। বিরতির পর দলটা সত্যি ভাল খেলেছে। আসলে প্রচুর সুযোগ পেয়েও তাকে আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। নাহলে আমাদের ৭-৮ গোল করা উচিত ছিল।”লক্ষ্য কী জানতে চাইলে সুদেষ্ণা জানিয়ে দিলেন, “আমরা সবসময় চেষ্টা করি তরুন প্রতিভাকে তুলে ধরা। দেখুন আমরা ইস্টবেঙ্গল বা শ্রীভূমি যেভাবে টাকা খরচ করে দল গড়ে সেভাবে আমরা পারিনা। চেষ্টা থাকে নতুন নতুন মেয়েদের তুলে ধরা। যাতে প্রত্যেকে ভাল খেলে বড় দলে যোগ দিতে পারে। সঙ্গীতা বাসফোরের মতো মেয়েরা আমাদের দলে একসময় খেলে গিয়েছে। এই লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছি।” আসলে আইএফএ-র একসময় অন্যতম কর্খধার ছিলেন প্রয়াত দেবু মুখোপাধ্যায়। তঁার মেয়ে হলেন সুদেষ্ণা। তাই মেয়ে চাইছেন বাবার নাম যেন বাংলার ফুটবল মহলে হারিয়ে না যায়। সেইজন্য মেয়েদের দলকে উঁচুতে তুলে ধরাই হল তঁার একমাত্র লক্ষ্য।
দিল্লির বিরুদ্ধে কেকেআরের স্লোগানই ক্রিকেটারদের অক্সিজেন দিচ্ছে

কেকেআর অধিনায়ক অজিঙ্কে রাহানেদের কাছে এখন সব ম্যাচই ডার্বি। জিতলে টিঁকে আছ। হারলে বাপি বাড়ি যাও। একথা বলার পিছন কারন আছে। ৯ ম্যাচ খেলে কেকেআরের পয়েন্ট ৭। বাকি পাঁচ ম্যাচ জিতলে পৌঁছবে ১৭ পয়েন্টে। সেক্ষেত্রে প্লে অফ খেলার সুযোগ হয়তো মিলে যাবে। কিন্তু এর মধ্যে একটা ম্যাচে পা হড়কালে কেকেআর ১৬ পয়েন্টেও ঢুকতে পারবে না। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে মঙ্গলবার দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে খেলতে নামছেন রাহানেরা। বোঝাই যাচ্ছে, তাঁদের সামনে এই ম্যাচের গুরুত্ব কতটা। তাই দলের স্লোগানই ক্রিকেটারদের অক্সিজেন দিতে পারবে- করব, লড়ব, জিতব রে। মাঠে এই লড়াই দেখাতে পারলে চিন্তা থাকবে না। অক্ষর প্যাটেলের দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে এখন এটাই কেকেআরের মন্ত্র। ক্রিকেটাররা জানেন। তাঁদের আলাদা করে কিছু বলার দরকার নেই। তবু কখনও কানের কাছে বারবার এটাই বলে যেতে হয়। সেই কাজটাই করে যেতে হবে কোচ চন্দ্রকান্ত পন্ডিত, মেন্টর ডোয়েন ব্র্যাভোদের। প্রতিপক্ষ দিল্লি ক্যাপিটালস এই মুহূর্তে অনেক ভাল জায়গায়। ৯ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তারা প্লে অফ খেলার দিকে এক পা দিয়ে রেখেছে। বাকি ম্যাচগুলি থেকে চার পয়েন্ট তুলে নিতে পারলে দিল্লি টুর্নামেন্টের শেষ চারে চলে যাবে। তা হলে একথা লিখে দেওয়া যায় যে মানসিক দিক থেকে তারা অনেক এগিয়ে। তবু খেলা শুরুর আগের খেলায় দিল্লি নিশ্চিত হতে পারছে কোথায়! রবিবার রাতে ঘরের মাঠে তারা বিরাট কোহলিদের কাছ বাজেভাবে হেরেছে। শুধু হার নয়, সব বিভাগে পিছিয়ে থেকে মাথা নত হয়েছে অক্ষরদের। এখানেই ধাক্কা দিতে হবে রাহানেদের। পারলে ম্যাচ বের করতে ঝামেলায় পড়তে হবে না। পোড় খাওয়া অধিনায়ক হিসেবে অক্ষর খুব বেশি নাম্বার পাবেন না। আইপিএলে দলকে ভালভাবে সামাল দিয়েছেন। জাতীয় দলে (টি ২০) সহকারি অধিনায়ক হিসেবে কাজ করেছেন। কিন্তু আইপিএলে কপিবুক স্টাইলে দল পরিচালনা করতে গিয়ে মারও খাচ্ছেন। এই যেমন আরসিবি ম্যাচ অক্ষর হারলেন ভুল ট্যাকটিসে। প্রয়োগ ক্ষমতা ঠিকভাবে করতে পারলে ম্যাচে তারাই দাপট দেখাতেন। কিনতু সেটা হল কোথায়! জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক অনিল কুম্বলে বলছিলেন, ১৯ নম্বর ওভারে দলের সেরা বোলারকে দিয়ে বল করাতে হয়। আরসিবির তখন দরকার ১৭ রান। কিন্তু কি দেখা গেল! ১৭ নম্বর ওভারে ১২ রান দেওয়া মুকেশ কুমারের হাতে আবার বল তুলে দিল অক্ষর। স্টার্কের এক ওভার হাতে ছিল। তাকে দিয়ে শেষ ওভার করাতে চেয়ে দলকে ডুবিয়ে দিল। মুকেশের প্রথমম চার বলে চিম ডেভিড ১৯ রান নিয়ে ম্যাচ বের করে নিল। একটা ভুলে মাত হয়ে গেল দিল্লি। স্টার্ক ১৯ নম্বর ওভার বল করলে আরসিবি ম্যাচ বের করতে পারত না, একথা বলছি না। কিন্তু অধিনায়কের পরিকল্পনা এতেই ধরা পড়ে যায়। কঠিন পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রেখে ঠিকভাব এগোতে পারলে ম্যাচ জেতা যায়। আসলে অক্ষরের মাথায় কাজ করছিল রাজস্থান ম্যাচ। সেই ম্যাচে শেষ ওভার বল করে দিল্লিকে জিতিয়ে দিয়েছিল স্টার্ক। সুপার ওভারে ম্যাচ নিয়ে গিয়ে কাজের কাজ করে দিয়েছিল। সেই ফর্মুলায় এগোতে গিয়ে ধাক্কা। দুঁদে অধিনায়ক বলতে যাদের নাম আনা যেতে পারে, সেই তালিকায় অক্ষর পড়ে না। এই একটা ভুল কেকেআরের সামনে দিল্লিকে কিছুটা হলেও চাপে ফেলে দিয়েছে। ম্যাচ জিতে সামনে খেলতে নামা, আর হেরে মাঠে নামার মধ্যে ফারাক থাকে। এখানেই কেকেআর শিবির কিছুটা স্বস্তি পাবে। দিল্লি বাধা ছকে খেলছে। শুরু করছেন অক্ষর। উল্টোদিকে স্টার্ক। মাঝে মুকেশ ও স্পিনাররা। এটা বুঝে খেলতে হবে কেকেআরকে। নারাইন শুরুতে অক্ষরকে মেরে দিতে পারলে কেকেআর ম্যাচে থাকবে। আবার স্টার্ককে খেলে দিতে পারলে দিল্লি শুরুত ধাক্কা খাবে। তাই রাহানদের ডার্বি ম্যাচে ওপেনারদের দায়িত্ব বেশি। পাওয়ার প্লে-তে উইকেট হারানো চলবে না। রান তুলে নিতে হবে। পাঞ্জাব ম্যাচের দলটিই সম্ভবত খেলবে। রাসেল, পাওয়েল রিঙ্কুদের কাজ মিডলওভারে রানকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। ব্যাটিং ক্লিক করছ না বলে কেকেআর মার খাচ্ছে। সেটা দিল্লির মাঠে পুষিয়ে নিতে পারলে জিততে অসুবিধা হবে না। দিল্লির ওপেনাররা শুরু থেকে আক্রমনে যেতে পছন্দ করে। পোড়েল, ডুপ্লেসি, মার্কউই, রাহুল, অক্ষর, দলের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যান রানের মধ্যে আছেন। এদের বিরুদ্ধে অরোরা, রানাদের লাইন ধরে বল করতে হবে। পাওয়ার প্লে-তে স্পিনাররা লাইনে গোলমাল করলে বল মাঠের বাইরে গিয়ে পড়বে। মাথায় রাখতে হবে বোর্ডে যেন দুশো রানের বেশি না ওঠে। সেক্ষেত্রে রান তাড়া করতে ঝামেলায় পড়ে যেতে পারেন রাহানেরা। সব থেকে ভাল হয় টস জিতলে আগে ব্যাট করে নেওয়া। তারা টার্গেট সামনে রাখুন। তারপর না হয় বোলারদের উপর ভরসা। মাথায় রাখতে হবে এই ম্যাচ জিততেই হবে। দিল্লি জয় করতে না পারলে এবারের মতো আইপিএল শেষ হয়ে যাবে।
সভাপতির পদ ছাড়লেন টুটু

মোহনবাগান নির্বাচনে সরাসরি অংশগ্রহণ করার জন্য ক্লাব সভাপতি পদ থেকে সরে দঁাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন টুটু বোস। পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে টুটু বোস তথা স্বপন সাধন বোস জানিয়েছেন, সভাপতি পদে থেকে কখনও দু-পক্ষের হয়ে প্রচার করা যায়না। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সভাপতির পদে আর থাকবো না। টুটু বোস সরে যাওয়ার অর্থ হল, মোহনবাগান নির্বাচনে তিনি এবার সরাসরি অংশ নিতে পারবেন। প্রশ্ন হল, সেই অংশ নেবেন কার হয়ে? একদিকে রয়েছেন বর্তমান ক্লাব সচিব দেবাশিস দত্ত, অন্যদিকে সচিব পদে দঁাড়াতে যাওয়া সৃঞ্জয় বোস (টুম্পাই)। মজার ঘটনা হল, সৃঞ্জয় যখন সচিব পদে দঁাড়াতে চলেছেন বলে ময়দানে খুব রটে গিয়েছে তখন তঁার ভাই রয়েছেন দেবাশিসের পক্ষে। ২৪ ঘন্টা আগে টুটু বোসের ছোট ছেলে বরানগরের এক অনুষ্ঠানে গিয়ে বলে এসেছেন, দেবাশিস ও টুটু বোস দুজনে মিলে মোহনবাগান ক্লাব ভালোই চালাচ্ছেন। সেখানে অন্য কাউকে আর প্রয়োজন নেই। কিন্তু বাবার পদত্যাগ সম্পর্কে বলতে গিয়ে সৃঞ্জয় বললেন, “বাবা কেন সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করলেন তা দু-একদিনের মধ্যে বিস্তারিত ভাবে সকলকে জানাবেন। এখানে আমার কিছু বলার নেই। তবে এটুকু বলতে পারি, মোহনবাগান ক্লাব বলতে টুটু বসুকে বোঝায়। অন্য কেউ নয়। তিনি যখন পদত্যাগ করে কোনও একটা পক্ষ অবলম্বন করতে চাইছেন তখন বুঝতে হবে, সঠিক লক্ষ্যে তিনি ক্লাবকে নিয়ে যেতে চান। এখন বাবা ঠিক করবেন কোন পক্ষের হাতে ক্লাব তুলে দেওয়া উচিত।” কিছুদিন ধরে ময়দানে শোনা যাচ্ছিল, টুটু বসু বুঝে উঠতে পারছেন না, কোন পক্ষ নেবেন। কারণ দেবাশিস দত্তকে একটা সময় দুই ছেলের চেয়ে কোনও অংশে ছোট করে দেখতেন না। যদিও গত কয়েকবছর ধরে দেবাশিসের সঙ্গে বোস পরিবারের মধ্যে সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। ব্যতিক্রম থেকে গিয়েছেন টুটু বোসের ছোট ছেলে। যার ময়দানে ডাক নাম টুবলাই। কিন্তু সৃঞ্জয় জানিয়ে দিলেন, তঁার ছোট ভাই বিরুদ্ধে দঁাড়ালেও তিনি মোটেই বিচলিত হবেন না। “আগেও বলেছি, এখনও বলছি, মোহনবাগান বলতে টুটু বোসকে বোঝায়। বাকিরা কেউ নয়। তাছাড়া আমার ছোট ভাই কবে থেকে মোহনবাগান ক্লাব করলেন আমিও ঠিকমতো বলতে পারব না। না কোনওদিন পর্দার আড়ালে থেকেছেন, না এসেছেন পর্দার সামনে। তাই ছোট ভাই কী করবেন না করবেন তা সম্পূর্ন তঁার ব্যাপার। এটুকু বলতে পারি, টুটু বোস কোনদিকে থাকবেন সেটাই হল বড় ব্যাপার। বাকিদের নিয়ে আমার কোনও মাথাব্যথা নেই।” কবে মোহনবাগান নির্বাচন হবে এখন ঠিক হয়নি। ক্লাবের দায়িত্বে রয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি ও তঁার মনোনীত কমিটি। টুটু বোসের পদত্যাগের পর যে মোহনবাগান নির্বাচন চরম পর্যায়ে পৌছে গেল তা আর না বললেও চলে।
শোয়েব, বাসিতের ইউটিউব চ্যানেল ভারতে নিষিদ্ধ

ভারতে নিষিদ্ধ হল শোয়েবের ইউটিউব চ্যানেল।
২০২৮ থেকে আরও বড় আকারে হবে আইপিএল

বিসিসিআইয়ের নতুন ভাবনা। ২০২৮ থেকে আরও বড় আকারে হবে আইপিএল। পুরোপুরি হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে হবে টুর্নামেন্ট। ৭৪টি ম্যাচের পরিবর্তে সংখ্যা হবে মোট ৯৪টি। সময় লাগবে ৬০ থেকে ৬৫ দিন। আইসিসির ফিউচার ট্যুরস প্রোগ্রামে আইপিএলের জন্য আলাদা উইন্ডো থাকে, তাই ম্যাচের সংখ্যা বাড়লে আইসিসির সিডিউল তৈরিতে ধাক্কা লাগবে। সে কারণে ইতিমধ্যেই আইসিসির সঙ্গে কথাবার্তা চলছে বলেও জানান আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমল। গোটা বিশ্বে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগ যেভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, তাতেই উৎসাহিত হয়ে এমন ভাবনা বিসিসিআইয়ের। এখন এ ও বি – এই দুটি গ্রুপে ভাগ করা হয় আইপিএলের দলগুলিকে। এ গ্রুপের দলগুলি নিজেদের মধ্যে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে দুটি করে ম্যাচ খেলে এবং একটি ম্যাচ খেলে বি গ্রুপের একটি দলের বিরুদ্ধে। কিন্তু এবার পুরোপুরি হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে টুর্নামেন্ট করতে চলেছে বিসিসিআিই। তার জন্য ম্যাচের সংখ্যা আরও ২০টি বেড়ে যাবে। সমস্যা একটা জায়গাতেই। আইসিসির ফিউচার টুরস প্রোগ্রামে জায়গা বার করার সমস্যা। যেমন প্রভাব পড়েছিল ২০২৪-এ। টি টোয়েন্ট বিশ্বকাপের জন্য ক্রিকেটারদের ভাগ হয়ে ইউএসও ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে উড়ে যেতে হয়েছিল। আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমল জানান, এটা একটা সুযোগ। আমরা আইসিসির সঙ্গে কথা চালাচ্ছি।বড় উইন্ডো চাইছি। ৭৪ থেকে বেড়ে ৮৪ বা ৯৪ হতে পারে। তবে প্রত্যেকে হোম অ্যাওয়ে ভিত্তিতে খেললে ৯৪টি ম্যাচ লাগবে। বিশ্বজুড়ে এখন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। বিসিসিআই আরও আলোচনা করে এ ব্যাপারে নীল নকসা ছকে ফেলবে বলেই জানান ধুমল।
মেসিহীন মায়ামিতে অন্ধকার

মেসির থাকা আর না থাকার মধ্যে যে কতটা পার্থক্য তা স্পষ্ট হয়ে গেল। মেজর সকার লিগ বা এমএলএস-এ মেসি বিহীন ইন্টার মায়ামি হেরেই বসল। প্রতিপক্ষ ছিল এফসি ডালাস। সেই ডালাসের কাছে মায়ামি পরাজিত হল ৪-৩ গোলে। অথচ একটা সময় মায়ামি এগিয়ে ছিল ২-১ ব্যবধানে। খেলা চলাকালীন দেখা যায় মেসি একটা ব্যক্তিগত বক্সে বসে ম্যাচ দেখছেন। কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপ সেমিফাইনালের প্রথম রাউন্ডের খেলায় হেরে গিয়েছিল ইন্টার মায়ামি। যদিও সেই ম্যাচে ভ্যাঙ্কুভার দল মেসিকে সামলেছিল। পুরো সময় সেদিন খেলেছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা। বুধবার ফের মিয়ামিতে মুখোমুখি হবে মায়ামি-ভ্যাঙ্কুভার। মনে করা হচ্ছে, সেই ম্যাচে মেসির মাঠে নামা অসম্ভব। রবিবার তঁাকে দেখে যা মনে হয়েছে। ৮১ মিনিটে পেড্রিনহো গোল করে ডালাসের জয় নিশ্চিত করেন। নিজেদের মাঠে খেলা সত্ত্বেও প্রথম গোল খেয়ে বসে মায়ামি। ডালাসের হয়ে গোল করে যান শাকুয়েল মোরে। তখন খেলা সবে মিনিট আটকে হয়েছে। তবে সেই গোল ৮ মিনিট পরেই শোধ করে দেয় মায়ামি। গোলটি করেন ফাফা পিকাল্ট। ফের মায়ামি গোল করে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ২৯ মিনিটে। এবার গোলটি করেন অ্যালেন ওবান্ডো। বিরতির সময় ২-১ গোলে এগিয়ে থাকা অবস্থায় খেলা শেষ করে মায়ামি। বিরতির পর খেলা শুরু হতেই দেখা যায় ডালাসের দাপট। যদিও ডেভিড মার্টিনেজ গোল করে মায়ামিকে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে দিয়েছিলেন। তখন খেলা গড়িয়েছে ৫৬ মিনিট। তারপরেই তেড়েফুড়ে খেলতে থাকা মরিয়া ডালাস। হারানোর কিছু নেই ভেবে পুরো দল চলে আসে আক্রমণে। সেই চাপ আর ধরে রাখতে পারেনি মায়ামি। মাত্র পঁাচ মিনিটের ব্যবধানে দুটো গোল করে ডালাস সমতায় ফিরে আসে। দুটি গোল করেন যথাক্রমে ওসাজে উরহোহাইড ও অ্যান্ডারসন জুলিও। ৬৪ ও ৬৯ মিনিটে এই দুটো গোল ডালাসকে পুরোপুরি উজ্জীবিত করে তোলে। তখনও মনে হচ্ছিল না মায়ামি হেরে যেতে পারে। জয়ের সরণীতে দল ঠিক ফিরে আসবে, এটাই হয়তো সকলে ভাবছিলেন। কিন্তু সব অঙ্ক ওলোট পালোট হয়ে গেল ৮১ মিনিটে। পেড্রিনহো গোল করে যখন ডালাসকে এগিয়ে দেন ৪-৩ ব্যবধানে। আসলে মেসি তো খেলেননি, সঙ্গে খেলতে দেখা যায়নি সুয়ারেজ ও জর্ডি আলবাকে। তাহলে গোলটা করবেন কে। ফলে মায়ামি চাপে রেখেও শেষ হাসি হাসতে ব্যর্থ হয়েছে।
ক্লপের কাছে কৃতজ্ঞ থাকতে চান স্লট

অসাধারণ সৌজন্যতার নিদর্শন রাখলেন আর্নে স্লট। ২৪ ঘন্টা আগে প্রিমিয়ার লিগ জিতেছে লিভারপুল। অ্যানফিল্ডে লালঝড়ে খড়কুটোর মতো উড়িয়ে গিয়েছে প্রতিপক্ষ টটেনহ্যাম। ৫-১ গোলে টটেনহ্যামকে পর্যদুস্ত করে লিগ তুলে নিয়েছে লিভারপুল। বহুদিন ধরেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল, লিভারপুলের লিগ পাওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। সেই অপেক্ষার অবসান ঘটল ২৪ ঘন্টা আগে। ডাচ কোচ হিসেবে প্রথম প্রিমিয়ার লিগ জয়ের কোচ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করলেন স্লট। নিজস্ব উচ্ছ্বাসকে প্রকাশ করেও ভুললেন না পূর্বসূরিকে। লিভারপুলের বিদায়ী কোচ য়ুরগেন ক্লপকে সম্মান জানিয়ে ডাচ কোচ স্লট বললেন, “প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়ে নিঃসন্দেহে দারুন লাগছে। এই মুহূর্তে আমার বিশেষ কিছু বলার আছে বলেও মনে হয়না। তবে এইসময় একজনকে আমার সম্মান জানানো উচিত, তিনি আর কেউ নন লিভারপুলের প্রাক্তন কোচ য়ুরগেন ক্লপ। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য তঁার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।” প্রসঙ্গত বলা যেতে পারে, ৪৬ বছরের প্রাক্তন খেলোয়াড় স্লট মে মাসে ক্লপের স্থলাভিসিক্ত হন। পরমুহূর্তে স্লটকে বলতে শোনা যায়, “আমি ৯৯.৯ শতাংশ নিশ্চিত যদি এখনই আমি য়ুরগেনকে ফোন করি তিনি তা ধরে নিশ্চয় একটা বার্তা দেবেন। যেখানে বোঝাবেন, দলের সাফল্যে তিনিও দারুন খুশি হয়েছেন। এই মরশুমে আমাদের দুজনের মধ্যে অনেকবার কথা হয়েছে। গত মরশুমে আমাকে সর্বসমক্ষে পরিচয় করে দিয়ে বুঝিয়ে ছিলেন কতবড় হৃদয়ের মানুষ ক্লপ। আসলে এই দলটা তঁারই গড়া। যে দল রেখে গিয়েছেন তারাই আজ ট্রফি জিততে সক্ষম হল।” শুধু এখানেই না থেমে স্লট বলতেই থাকেন, “য়ুরগেন ও পেপ (লিজ্যান্ডার্স) তঁাদের কাজের মধ্যে দিয়ে ক্লাবের সংস্কৃতি, কাজের হার, মান-সবকিছুর মধ্যে একটা অসাধারণত্ব প্রকাশ করে গিয়েছেন। দেখুন আমি দায়িত্ব নেওয়ার সময় কেউ আশা করেনি, লিভারপুল এবার চ্যাম্পিয়ন হবে। শুরু থেকে আমরা ভাল খেলতে থাকি। তাছাড়া গত পঁাচ বছরে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির এত খারাপ সময় আসেনি। আমরা চেয়েছিলাম, লিগ টেবিলের শীর্ষে না হোক, প্রথম চারটে দলের মধ্যে যেন থাকি। কিন্তু ফুটবলাররা প্রমাণ করে দিয়েছে, এরচেয়েও ভাল কিছু করার ক্ষমতা রাখে।” খেলা শুরুর ১২ মিনিটের মাথায় কর্ণার থেকে ভেসে আসা বলে হেড দিয়ে প্রথমে স্পার্সকে এগিয়ে দেন ডমিনিক সোলাঙ্কি। লিভারপুলের সমর্থকরা তখন হতাশ হয়ে পড়েন। খেলার শেষে স্লট জানান, গোল শুরুতে খেয়েও তিনি আদৌ চিন্তিত ছিলেন না। তঁার ধারণা ছিল দল ঠিক ঘুরে দঁাড়াবে। এমন কী অ্যানফিল্ডে আসার আগে ফুটবলাররা যখন বাসে উঠেছিল তখন থেকেই নিশ্চিত ছিল তারা ম্যাচটা জিতবেই। আসলে নিজেদের মাঠে খেলা। তারউপর এই ম্যাচের টিকিটের হাহাকার ছিল তুঙ্গে। ভারতীয় মুদ্রায় এই ম্যাচের টিকিট বিক্রি হয়েছে প্রায় ৫ লাখ টাকার কাছাকাছি। তাই সমর্থকদের জোরালো সমর্থন যে তঁারা পাবেন তা নিয়ে কোনও সন্দেহ ছিল স্লটের। সমর্থকদের আবেগের কাছে যে টটেনহ্যাম ভেসে যেতে বাধ্য হবে তা একপ্রকার ভেবেই নিয়েছিলেন ডাচ কোচ। “লিভারপুল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য শুধুমাত্র ফুটবলারদের কৃতিত্ব দেব তা নয়, আমার কাছে সমর্থক, সাপোর্ট স্টাফ, মাঠের কর্মী, সকলে এই সাফল্যের পিছনে অবদান রেখেছেন। তাই প্রত্যেকের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ৩৫ বছরের মধ্যে এটি দ্বিতীয় শিরোপা জিতল দল। পঁাচ বছরের মধ্যেও দ্বিতীয়বার।” বললেন স্লট।
কারণ কি! মাঠেই রাহুলের সঙ্গে ঝামেলায় বিরাট

মাঠেই কে এল রাহুলের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়লেন বিরাট কোহলি। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে আরসিবির লড়াইয়ে কঠিন অবস্থার মধ্যে তখন বিরাটরা। সেই চাপ কাটিয়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টায় বিরাট ও ক্রুণাল লড়ছেন। তাঁদের ছন্দ নষ্ট করতে দিল্লি অন্য পথ খুঁজে নিল। লখনউ সুপার জায়ান্টাসের অধিনায়ক ঋষভ পন্থ যা করেন, সেটাই করলেন রাহুল। অক্ষর অধিনায়ক হলেও বেশিরভাগ সময় রাহুলকে দলের ফিল্ডিং সাজানোর কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। সেটাই তিনি করছিলেন। অযথা সময় নষ্ট হচ্ছে দেখে মেজাজ হারান বিরাট। তিনি রেগে গিয়ে রাহুলের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন। তবে এই ঘটনা বেশি সময় নেয়নি। বিরাটের মনে হয়েছিল আরসিবির ছন্দ নষ্ট করতে রাহুল বেশি সময় নিচ্ছেন। তাই ঝামেলা বাঁধে দুজনের মধ্যে। সেই ভিডিও ভাইরাল হলেও দুজনের মধ্যে কি নিয়ে তর্ক হচ্ছিল তা বোঝা যায়নি। খেলার শেষে রাহুলকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বিরাট মনে করেছিল ফিল্ডিং সাজানোর নামে আমরা অষথা সময় নষ্ট করছি। তাই হয়তো মেজাজ হারিয়ে ফেলেছিল। ব্যাপারটা তা ছিল না। ও ভুল বুঝেছিল। তবে খেলার শেষে বিরাট আমার কাছে আসে। সেই সব ঝামেলা তখন আমাদের কারোর মাথায় ছিল না। সব মিটমাট হয়ে গিয়েছে। খেলার আগে অনেক মনে করেছিলেন, ম্যাচ জিতলে বিরাট মাঠের মধ্যে এমন কিছু করবেন যা রাহুলকে পাল্টা দেওয়া যাবে। বেঙ্গালুরুতে লিগের প্রথম পর্বে ম্যাচ জেতার পর রাহুল নানারকম অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন। মাঠে ব্যাট ঠুকেছিলন। দিস ইজ মাই গ্রাউন্ড, এমন কথাও বলেছিলেন। বিরাট সেদিনের ঘটনার পাল্টা দেবেন না। তিনি কি এত তাড়তাড়ি সব ভুলে যাবেন। কিন্তু বাস্তবে তা আর হল না। দিজ ইজ মাই গ্রাউন্ড, বলে বিরাটকে চিৎকার করতে দেখা গেল না। বরং তিনি অনেক শান্ত ছিলেন। লিগ টেবিলে একনম্বরে উঠে আসায় অনেক খুশি আরসিবি ক্রিকেটাররা। এবার তাদের লক্ষ্য আগে প্লে অফ খেলা নিশ্চিত করা। তারপর বাকি কাজ। তাই হয়তো বিরাট নিজেকে ধরে নিয়েছেন।
রান তাড়া করে ম্যাচ জেতার তিনটি কারণ বলছেন বিরাট

১০ ম্যাচে ৪৪৩ রান। যার মধ্যে ছটি হাফ সেঞ্চুরি। এমন রেকর্ড করে এই মুহূর্তে আইপিএলে সবার আগে বিরাট কোহলি। পেলেন অরেঞ্জ ক্যাপ। গ্রুপ লিগে আরসিবির এখনও চার ম্যাচ বাকি। এর মধ্যে একটি ম্যাচ জিতলেই প্লে অফ খেলা নিশ্চিত। এসব কথার কথা। রবিবার রাতে অরুন জেটলি স্টেডিয়াামে দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারাবার পর নিজের সাফল্য নিয়ে বিরাট অনেক কথাই শোনালেন। সাদা বলের ক্রিকেটে তাঁকে সবাই চেজ মাস্টার বলেন। ক্রিকেট পরিসংখ্যান ঘাঁটলে জানা যায় কেন তাঁকে এই নাম দেওয়া হয়েছে। কী করে এটা সম্ভব! রান তাড়া করে ম্যাচ জিততে তাঁর সামনে কী টার্গেট থাকে। কীভাবে এগিয়ে চলেন। প্রসঙ্গ উঠতে বিরাট নিজের ভাবনাকে সামনে টেনে আনলেন। সে কথা বিরাটের মুখ থেকে শুনে নেওয়া যাক। ….. রান তাড়া করতে নেমে শুরুতে কয়েকটি জিনিস দেখে নিতে হয়। সেগুলি এমন..! (১) প্রথমে বোর্ডের দিকে তাকিয়ে খেলতে হয়। কত রান দরকার। কত বল বাকি আছে। কীভাবে খেললে ম্যাচের কাছে যাওয়া যাবে। (২) পিচের চরিত্র বুঝতে হয়। বল কীভাবে আসছে! নিচু হচ্ছে নাকি বাড়তি বাউন্স আছে। স্পিন হচ্ছে নাকি বল স্কিড করে বেরিয়ে যাচ্ছে। (৩) কোন বোলারের কথত ওভার বাকি আছে। কখন ওদের নিয়ে আসা হতে পারে। বাউন্ডারি বল না পেলে স্ট্রাইক রোটেড করতে হবে। অনেকে মনে করেন বড় রান তাড়া করতে হলে বাউন্ডারি বা ওভার বাউন্ডারি মারতে হয়। আসলে তা নয়। সিঙ্গলস বা দুরান নিয়েও টার্গেটের কাছে যাওয়া যায়। এর মাঝে লুজ বল পাওয়া যাবে। সেই বলকে আক্রমন করতে হবে। নিজের উইকেট বাঁচিয়ে এভাবে খেললে ম্যাচ বের করে নিয়ে আসা যায়। আমি অন্তত তাই করি। দেখেছি টার্গেটের কাছে গিয়ে ম্যাচ বের করে নিয়ে এসেছি। এটাই আমার খেলার রেসিপি। এর বাইরে কিছু নেই। পুরোটাই অঙ্ক। একে মাথায় নিয়ে চলতে হয়। কখনও আউট হয়েছি। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ম্যাচ জিতে মাঠ ছেড়েছি। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ম্যাচ শেষ করে আসতে পারেননি বিরাট। ৪৭ বলে ৫৪ রান করে ফিরে আসেন। এই রানে ছিল চারঠি বাউন্ডারি। এতেই বোঝা যায়, বিরট বাউন্ডরির থেকে সিঙ্গলসের উপর কতটা ভরসা করেছিলেন। তিনি আউট হয়ে ফিরে এলেও দলের চাপ কাটিয়ে দিয়েছিলেন। তখন ম্যাচ জিততে আরসিবির দরকার ছিল ১৩ বলে ১৮ রান। বিরাট বলছিলেন, ২৬ রানে তিন উইকেট চলে যাওয়ার পর আমরা কিছুটা হলেও চাপে পড়ি। ক্রুণাল উইকেটে আসার পর ওকে বলি, তাড়াহুড়ো করার দরকার নেই। অনেক ওভার বাকি আছে। আগে নিজেকে বুঝে নাও। এখন আমাদের কাজ একটা বড় পার্টনারশিপের। সেটা করতে পারলে ম্যাচ সহজ হয়ে যাবে। এরপর ডেভিড আছে। জিতেশ আছ। মারার জন্য ওদের উপর ভরসা রাখা যাবে। আমরা নিজেদের খেলা খেলি। অহেতুক ঝুঁকি নেওয়ার দরকার নেই। বিরাটের কথা শুনে ক্রুণাল সেইভাবে ব্যাটিং করেন। প্রথম ২০ বল তিনি স্ট্রোকের পিছনে যাননি। জানতেন বিরাট আছেন। ও থাকলে ম্যাচ ঠিক চলে আসবে। সেইভাবে খেলে চতুর্থ উইকেটে ৮৪ বলে এল ১১৯ রান। এরপর বিরাট আউট হলেও আরসিবির ম্যাচ জিততে সমস্যা হয়নি। ডেভিড এসে শেষ কাজটা করে দেন। ম্যাচের সেরা ক্রুণাল। ব্যটিং ও বোলিংয়ে নজর কেড়ে তিনি সেরার পুরস্কার পান। একই সঙ্গে বাইরের মাঠে ছটি ম্যাচ জিতে প্লে অফের দরজায় কড়া নাড়া শুরু দেন। বিরাট আরও বলেছেন। তাঁর কথায় এই সাফল্যকে টিম গেমের জয় বলতে পারেন। বোলিংয়ে জস আবার আগের মতো ছন্দে বল করছে। স্পিনাররা জায়গা ধরে বল করেছে। বিশে, করে মিডলওভারে ওরা লাইন ধরে বল করে দিল্লিকে চাপে ফেলেছে। ক্রুণাল উইকেট পেলেও সুষশের পকেট শূন্য। কিন্তু ওর বোলিং দেখলে বোঝা যাবে বেসি রান দেয়নি। দিল্লির মতো একটা গলকে ১৬২ রানে আটকে রাখা সহজ ব্যাপার নয়। আমরা সেটা বোলারদের জন্য করতে পেরেছি। এটাও ঘটনা যে এই পিচে রান তোলা কঠিন হলেও টার্গেট কম বলে ম্যাচ জিততে অসুবিধা হয়নি।
ইংলিশ প্রিময়ার লিগে ২০তম খেতাব জয়, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডকে ছুঁয়ে ফেলল লিভারপুল

ইপিএলের রং আবার লালে লাল। টটেনহ্যাম হস্পারকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল। এই নিয়ে ২০ বার খেতাব জয় করে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের রেকর্ডকে ছুঁয়ে ফেলল তারা। চার ম্যাচ বাকি থাকতেই চ্যাম্পিয়ন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আর্সেনালের থেকে ১৫ পয়েন্টে এগিয়ে, তাই সবার ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে গেল আর্নে স্লটের দল। এদিন ড্র করলেই খেতাব জয় নিশ্চিত ছিল, কিন্তু ঘরের মাঠে টটেনহ্যামকে খড়কুটোর মত উড়িয়ে দিল। ১২ মিনিটেই অবশ্য পিছিয়ে পড়েছিল লিভারপুল। কিন্তু তারপর গোটা মাঠে লাল ঝড়। ৩৪ মিনিটের মধ্যে তিন গোল। খাতা খোলেন লুইস দিয়াজ। তারপর ম্যাক অ্যালিস্টার ও গাকপোর গোল। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ান মহম্মদ সালাহ। শেষ গোলটি আত্মঘাতী। ১৯৯০-এর পর লিভারপুল সমর্থকরা অ্যানফিল্ডে উৎসব করার সুযোগ পেলেন, কারণ পাঁচ বছর আগে অ্যানফিল্ডে শেষবার যখন চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল য়ুরগেন ক্লপের লিভারপুল, তখন করোনা মহামারিতে সব কিছু স্তব্ধ ছিল। তাই রবিবার রাতে নামল উৎসবের ঢল। সালাহ, অ্যালিস্টাররা যে ম্যান ইউয়ের পাশে নিয়ে চলে গেলেন লিভারপুলকে!