ফের চেজ মাস্টার কোহলি, ক্রুণালের দাপটে দিল্লিকে হারিয়ে শীর্ষে আরসিবি

চেজ মাস্টার নামটা যে তাঁর এমনি এমনি হয়নি, সেটা আবার বুঝিয়ে দিলেন বিরাট কোহলি। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে আরসিবিকে ৬ উইকেটে ম্যাচটা জিতিয়ে শীর্ষে তুলে নিয়ে যেতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা নিলেন ক্রুনাল পাণ্ডিয়া, এটা তো ঠিকই, কিন্তু ম্যাচের রাশটা, রান তাড়া করার নিয়ন্ত্রণটা ধরে রেখেছিলেন যে তিনি – অদ্বিতীয় বিরাট কোহলি। ক্রুনালের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স। বল হাতে ৪ ওভারে ২৮ রান খরচ করে একটি উইকেট এবং ব্যাট হাতে ৪৭ বলে অপরাজিত ৭৩ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস। এরপর ম্যাচের সেরা আর কে হবেন! আরসিবি বোলারদের দাপটে কঠিন উইকেটে ৮ উইকেটে ১৬২ রানে থেমে যায় দিল্লির ইনিংস। বঙ্গসন্তান অভিষেক পোড়েল ১১ বলে ২৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে সুপার স্ট্রাইকার অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কারটা নিয়ে গেলেন বটে, তবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্রুণালের ক্যাচ মিস করে ম্যাচের শেষে প্রায় ভেঙে পড়লেন। রান তাড়া করতে নেমে ২৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছিল আরসিবিও। তখনই কোহলির সঙ্গে জুটি বাঁধেন ক্রুণাল। ওই একটা জুটিই ম্যাচটা নিয়ে চলে গেল। জুটিতে উঠল ১১৯ রান। কোহলি ৪৭ বলে ৫১। মরসুমে তার ষষ্ঠ অর্ধশতরান। ৪৪৩ রান করে মাথায় তুলে নিলেন অরেঞ্জ ক্যাপটাও। ক্রুণাল একদিকে ঝড় তুললেন, অন্যদিকে অ্যাঙ্কারের ভূমিকাটা পালন করে গেলেন কিং কোহলি। ম্যাচের শেষে জানিয়ে গেলেন চেজ মাস্টার হয়ে ওঠার রহস্যটা কী। বিরাট বলে গেলেন, মাথায় রাখেন কত রান করতে হবে। বুঝে নেন পরিস্থিতিটা কী। ভেবে নেন তাঁর ঠিক কী দায়িত্ব। এক রান দু`রান নিয়ে স্কোরবোর্ডটা সচল রাখেন আর পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিংয়ের ধরণটা বদলান। ক্রুণালও তাই বলে গেলেন এই জুটিটা গড়ে তোলার কৃতিত্ব বিরাটের। কিন্তু তিনি কি কম যান! এবার গুজরাট টাইটানসের ক্রিকেটাররা যেভাবে খেলছেন, আরসিবির ক্রুণালও সেভাবে মাথা দিয়ে ক্রিকেটটা খেলছেন। গাভাসকরও তাঁকে দেখে বলে দিলেন, নেতৃত্বের দায়িত্ব পেলেও সফল হবেন সিনিয়র পাণ্ডিয়া। ৯ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেট হারিয়েই জয়ের রান তুলে নিল আরসিবি। কিন্ত দিল্লি ক্যাপ্টেন অক্ষর প্যাটেল শেষ ওভারের জন্য তুলে রেখেছিলেন মিচেল স্টার্ককে। সেটা না করে ১৯তম ওভারেই কি অজি তারকাকে নিয়ে আসতে পারতেন না? এ প্রশ্নটা কিন্তু রয়েই গেল। হয়ত তাতেও বিশেষ কিছু হত কিনা সন্দেহ, কিন্তু লড়াইটা তো শেষ বল পর্যন্ত, তাই না! সংক্ষিপ্ত স্কোর দিল্লি ক্যাপিটালস : ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬২, অভিষেক পোড়েল ১১ বলে ২৮, কেএল রাহুল ৪১ ও ট্রিস্টান স্টাবস ৩৪, ভুবনেশ্বর কুমার ৩৩ রানে ৩ উইকেট ও জস হ্যাজলউড ৩৬ রানে ২ উইকেট। আরসিবি : ১৮.৩ ওভারে ৪ উইকেট ১৬৫, বিরাট কোহলি ৪৭ বলে ৫১, ক্রুণাল পাণ্ডিয়া ৪৭ বলে অপরাজিত ৭৩, অক্ষর প্যাটেল ১৯ রানে ২ উইকেট।