ম্যাঞ্চেস্টারে মজেছেন আমোরিম

গোল করার উদযাপন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড তারকাদের।
বিস্ময় ওপেনার বৈভবকে নিয়ে সকলকে সতর্ক করলেন কিংবদন্তি ওপেনার সুনীল গাভাসকর

বৈভবকে প্রশংসা করে আকাশে তুলবেন না। সতর্ক হয়ে ওকে নিয়ে নাড়াচাড়া করন, এভাবেই সবাইকে সতর্ক করলেন সুনীল গাভাসকর। ৩৫ বলে শতরান করার পর, সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসাবে শতরান করার পর দেশ জুড়ে প্রশংসায় ভাসানো হচ্ছে বৈভবকে। ছোট্ট ছেলেটাকে নিয়ে এখানেই উদ্বিগ্ন সানি। গাভাসকর বলেন, “বৈভব এখন উন্নতি করছে। পাশে পাচ্ছে রাহুল দ্রাবিড়কে। ওর কাছ থেকে ইনিংস গড়া শিখবে। ও প্রথম ম্যাচে প্রথম বলেই ছক্কা মেরেছ বলে বেশি উৎফুল্ল হওয়া ঠিক নয়। অভিজ্ঞ বোলাররা জানে কী করতে হবে। তখন আউট হবে এবং মুষড়ে পড়বে।“ গাভাসকর মেনে নেন, “টি টোয়ন্টিতে ৫—৬০ বা ৭০ রান করা খুবই কৃতিত্বের, সেখানে ও কোয়ালিটি বোলারদের বিরুদ্ধে শতরান করেছে।“ রাহুল দ্রাবিড়ও বৈভবকে নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, “সব সময় সমালোচনা বা মিডিয়ার আগ্রহকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এগুলোকে নিয়েই চলতে হবে। আমাদের দেশে এসব থাকবে। তাই ওকে সাহায়্য করতে হবে যে কীভাবে এগুলোকে মানিয়ে নিতে হয়।“ বৃহস্পতিবার ঠিক সেটাই হল। শূন্য রানে আউট হল বৈভব। পরিস্থিতি বদলাবে। সব কিছুর সঙ্গে মানাতে হবে। বেশি প্রশংসা বা বেশি সমালোচনা একটা ছোট্ট ছেলের মনে কী প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে, সেটা ভেবেই এমন পরামর্শ দিচ্ছেন সানি গাভাসকর।
আকাশ থেকে মাটিতে বৈভব, রয়্যালসকে পিষে ফেলে মগডালে মুম্বই

হল না। জমবে কী, লড়াইটাই যে হল না। জয়পুরের সোয়াই মান সিং স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। বিস্ময় বালক বৈভব সূর্য়বংশীর সঙ্গে বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলার জসপ্রীত বুমরার রোমাঞ্চকর লড়াইটাই ছিল মূল আকর্ষণ। মজুদ ছিল মশলা, কিন্তু রাজস্থান ইনিংসের শুরুতেই সব বারুদ মিইয়ে গেল। পিঙ্ক আর্মির সব উৎসাহ শুষে নিয়ে দীপক চাহারের প্রথম ওভারেই দুটি বল খেলে শূন্য রানে আউট বৈভব। বুমরাও নিশ্চয় অপেক্ষায় ছিলেন, ওয়ান্ডারবয়ের মুখোমুখি হওয়ার জন্য, তা আর হল কই! বুমরা বল করতে আসার আগেই যে প্যাভিলিয়নে বৈভব। তার আগে রাজস্থানের জন্য বেশ বড় ২১৮ রানের টার্গেট রেখেছিল মুম্বই। দুটি জুটিতেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় ইন্ডিয়ান্স। প্রথম উইকেটে রোহিত (৩৬ বলে ৫৩) আর রিকেলটনের (৩৮ বলে ৬১) জুটিতে উঠল ১১৬ আর তৃতীয় উইকেটে সূর্য আর হার্দিকের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৯৬ রান। দুজনেই ২৩ বল খেলে করেছেন অপরাজিত ৪৮ রান। মুম্বই ইনিংস শেষ করল ২ উইকেটে ২১৭ রানে। তারপর শুধু আসা আর যাওয়ার গল্প। রাজস্থান ইনিংসে বৈভব দিয়ে শুরু। পরপর উইকেট হারিয়ে কোনও রকমে ১১৭ রানে ইনিংস শেষ করল রয়্যালস। হার ১০০ রানে। বোল্ট আর কর্ণ শর্মা তিনটি করে ও বুমরা দুটি উইকেট নিলেন। রান রেট এতটাই বাড়িয়ে নিলেন যে একেবারে শীর্ষে চলে গেলেন হার্দিকরা। খুব খারাপভাবে শুরু করে আবার স্বমহিমায় মুম্বই। সত্যিই মুম্বইয়ের জন্য যেন কথাটা এক`শ শতাংশ প্রযোজ্য, সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলেছে।