সুরুচিকে আলোয় ফেরালেন সিঙ্গো

সুরুচি সংঘের খেলার একটা মুহূর্ত। রবিবার।
এখনও বয়স ২৭ বছর মনে হয়, প্রত্যাবর্তনের মঞ্চে জানালেন রাসেল

বয়স একটা সংখ্যা মাত্র। এই কথাটা বলেন সব তারকাই। করেও দেখিয়েছেন তাঁরা। তা সে লিয়েন্ডার পেজই হোন বা সচিন তেন্ডুলকর, কিংবা মহেন্দ্র সিং ধোনি। রবিবার ইডেনে করেও দেখালেন, মুখেও বললেন আন্দ্রে রাসেল। অবশেষে রানে ফিরলেন, ফর্মে ফিরলেন রাসেল। ইডেনে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ২৫ বলে ৫৭ রান করে কেকেআরকে ইনিংসকে ২০০ পার করে দেন। ৬টি ছক্কা ও চারটি বাউন্ডারিতে সাজানো মারকাটারি ব্যাটিংয়ে আবার নিজের ছন্দে ফিরলেন। কয়েক দিন আগে ৩৭-এ পা দিয়েছেন। কিন্তু এখনো যে নিজেকে ২৭ বছরের যুবক বলেই মনে করেন!রবিবারের ইডেনে প্রত্যাবর্তনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে দ্রে রাস জানিয়ে দিলেন, “বয়স একটা সংখ্যা মাত্র। এখনও নিজের বয়স ২৭ বছর মনে হয়। শুরুতে থিকসেনার বিরুদ্ধে ঝুঁকি নিতে চাইনি। উইকেট স্লো ছিল। নিজের ভূমিকাটা উপভোগ করছি।“ এখন প্লে অফে যেতে গেলে বাকি সব কটি ম্যাচেই জিততে হবে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। এই পরিস্থিতিতে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলতে পেরে দারুন খুশি রাসেল। একেবারেই রান পাচ্ছিলেন না। তাঁকে নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছিল কেকেআর শিবিরে। এমনকী তাঁকে বসিয়ে রভমন পাওয়েলকে খেলানোর দাবিও উঠছিল। কিন্তু তিনি আন্দ্রে রাসেল। তাই তাঁর ওপর ভরসা রেখেছে নাইট ম্যানেজমেন্ট। রবিবার সেই ভরসার মর্যাদা দিলেন ক্যারিবিয়ান তারকা। এদিন নজিরও গড়ে ফেললেন। প্রথম বিদেশি ক্রিকেটার হিসাবে ইডেনে ১০০০ রান করলেন। তিনি আছেন গৌতম গম্ভীর ও রবীন উথাপ্পার পরেই। গম্ভীর ইডেনে করেছেন ১৪০৭ রান এবং উথাপ্পা করেছেন ১১৫৯ রান। কেকেআরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তিনি রানে ফিরলেন। রাসেলের ব্যাট এভাবে চলতে থাকলে বাকি ম্যাচগুলি জিতে প্লে অফে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতেই পারে কেকেআর।
সোমবার টুটুর পদত্যাগ পত্র গৃহীত হবে!

শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে টুটু বসু বক্তব্য রেখে বুঝিয়ে ছিলেন, বসু পরিবারকে ভাগ করতে দেবেন না।
জয় কেকেআর, বৈভবের মঞ্চে দাদাগিরি রাসেলের

কেকেআর: ৪ উইকেটে ২০৬ (২০ ওভার) রাজস্থান রয়্যালস: ৮ উইকেটে ২০৫ (২০ ওভার) আরও এক পা সামনে। প্লে অফে খেলা হবে কিনা তা নিয়ে এখনই ভেবে লাভ নেই। নিজেদের ক্ষমতা অনুযায়ী খেলে সামনে তাকানো ভাল। সেটাই করছে কেকেআর। ১১ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে তারা ছুটছে। পাঁচ ম্যাচে পাঁচ জয় দরকার ছিল। দিল্লির পর রাজস্থানকে হারিয়ে রাহানেদের টার্গেট এখন তিনে তিন। সেটা হলে কেকেআর ১৭ পয়েন্টে যাবে। এমন হলেও ছবি পরিস্কার হবে না। লিগ টেবিলে উপরের দিকে থাকা অন্য দলগুলির দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। সেটা পরের কাজ। আগে তো নিজেদের টার্গেটে ছোটা যাক। আট নম্বরে থাকা একটি দল কী করে ২০৭ রানের পিছনে ছুটে ম্যাচ জিতে যাওয়ার জায়গায় প্রায় পৌঁছে যায়। ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত খেলাকে টানলেন ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটার শুভম দুবে। ইডেনের বাইশ গজে এমনভাবে খেললেন, যেখানে কেকেআর অধিনায়ক রাহানের প্রেসার অনেকটাই বেড়ে গেল। জিততে হলে শেষ ওভারে রাজস্থানের দরকার ছিল ২২ রান। কেকেআরের হয়ে শেষ ওভার করতে আসেন বৈভব অরোরা। শুভম এমনভাবে মারা শুরু করলেন যা দেখে মনে হল রাজস্থান হয়তো জিতেই গেল। দুটি ওভার বাউন্ডারি ও একটি বাউন্ডারির সাহায্যে শুভম ম্যাচ প্রায় ধরে নিয়েছিলেন। জিততে হলে শেষ বলে দরকার ৩ রান। ২ রান হলে সুপার ওভার। কিন্তু এক রান হওয়ার পর দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে আর্চার রান আউট। এক রানে এগিয়ে থেকে ম্যাচ শেষ করল কেকেআর। ইডেন দেখল জয় কেকেআর। কেকেআর ম্যানেজমেন্টের দারুন এক স্ট্র্যাটেজিতে বিকেলেই ম্যাচ থেকে প্রায় হারিয়ে গেল রাজস্থান। ১২.৪ ওভারে রাহানে যখন আউট হলেন (কেকেআর ৩ উইকেটে ১১১), তখন মনে হল এবার অফ ফর্মে থাকা আইয়ার আসবেন। কিন্তু এখানেই চমক। এর আগে বারবার বলা সত্বেও কেকেআর ম্যানেজমেন্ট তাঁদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছিলেন না। রবিবার ইডেনে পাঁচ নম্বরে ব্য়াট করতে এলেন রাসেল। হাতে অনেক বল আছে। নিজেকে সেট করে নিয়ে লম্বা খেলা কঠিন নয়। রাসেল অবশ্য সে পথে গেলেন না। তিনি আক্রমনাত্মক ক্রিকেট খেলতে ভালবাসেন। সেভাবেই খেললেন। তাঁর ২৫ বলে ৫৭ রনের ইনিংস (৪টি বাউন্ডারি ও ৬টি ওভার বাউন্ডারি, স্ট্রাইক রেট ২২৮) কেকেআরকে চালকের আসনে বসিয়ে দিল। একই সঙ্গে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও। এটা হওয়ারই ছিল। বৈভবের জন্য মঞ্চে দাদাগিরি করে গেলেন রাসেল। সঙ্গী রঘুবংশীর ৪৪ (৩১ বল) রানের ইনিংসও সময় উপযোগী হয়ে উঠল। তাই রাজস্থানের সামনে কেকেআর টার্গেট দিল ২০৭ রানের। দিল্লির বিরুদ্ধেও এভাবে খেলে কেকেআর ম্যাচ জিতে ফিরেছিল। ইডেনে সেভাবেই শুরু করল। মঞ্চ তৈরি ছিল অন্য একজনের জন্য। সেই ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী শুরুটা দারুন করেও হারিয়ে গেলেন। প্রথম বল দুর্দান্ত কভার ড্রাইভে বাউন্ডারি পেয়ে গেলেন। কিন্তু দ্বিতীয় বল অফস্ট্যাম্পের সামান্য বাইরে পেতে পুল মারার চেষ্টা করলেন। মন্থর বলে সময় ঠিক করতে পারলেন না। বল ব্যাটের উপরের দিকের কানায় লেগে মিড উইকেটে উঁচু হয়ে উঠল। রাহানে ক্যাচ ধরার জন্য ফলো করলেন। গ্যালারির দিকে তাকিয়ে ছোটা রাহানের দুর্দান্ত ক্যাচে ফিরে যেতে হল বৈভবকে। বিকেলের শুরুতে গ্যালারিতে হতাশা। কেকেআর সাফল্যেও ক্রিকেট ফ্যানদের মুখে হতাশার ছবি। তাঁরা চাইছিলেন বৈভবের কাছ থেকে একটা ভাল ইনিংস। পাশাপাশি রাহানেদের জয়। কিন্তু সেটা আর হল কোথায়। যশ্বসী ভল শুরু করেও হারিয়ে গেলেন। আট ওভারের মধ্যে ৭১ রানে পাঁচ উইকেট চলে গেল রাজস্থানের। তখনই পরিস্কার, এই ম্যাচে কিছু করতে পারবে ন তারা। ২০ ওভারের আগেই হয়তো ম্যাচ শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু সেই জায়গা থেকে রিয়ান পরাগ ও হেটমায়ার দলকে টানলেন। কঠিন পরিস্থিতিতে রিয়ান দারুন ইনিংস খেললেন। আট ওভারে রিয়ান হেটমায়ার জুটি যোগ করল ৯২ রান। কিন্তু হেটমায়ার আউট হওয়ার পর ছন্দপতন। তার পরপরই ফিরলেন রিয়ান (৪৫ বলে ৯১, ৬টি বাউন্ডারি ও ৮টি ওভার বাউন্ডারি)। ১৭.৪ ওভারে রাজস্থান ৭ উইকেটে ১৭৩। আর কতদূর! কিন্তু তারপর শুভম যে এভাবে চমক দেবেন তা আগে কে ভেবেছিল। তবে তীরে এসে তরি ডুবল। শহর কলকাতা থেকে ম্যাচ হেরে রাজস্থানকে মাথা নিচু করে ইডেন ছাড়তে হল।
গোল পেলেন মেসি, মায়ামিও ফিরল

গোল করে দলকে হারানো ঠিকানা খুঁজে দিলেন মেসি।
ইয়ামালদের বসিয়ে বিপদে ফ্লিক

গোল উদযাপন করছেন রাফিনিয়া ও লোপেজ। শনিবার ভায়াদোলিদের সঙ্গে খেলায়।
আরসিবির কাছে হারের দায় নিজের কাঁধে নিলেন ধোনি

টুর্নামেন্ট থেকে আগেই ছিটক গিয়েছেন। এখন খেলছেন নিয়মরক্ষার ম্যাচ। সামনের মরশুমে কোন ক্রিকেটারের উপর নজর দেওয়া হবে, তার পরীক্ষাও বলা যেতে পারে। জিতলে ভাল, হারলে ব্যর্থতার জায়গা খুঁজে বের করা। এর বাইরে কিছু নেই। আরসিবির কাছে ২ রানে হারার পর ব্যর্থতা কারন খুঁজতে গিয়ে সিএসকে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি খেলা শেষে বলেন, হারের দায় আমার। আমি চেষ্টা করেছিলাম। বড় স্ট্রোক খেলে রান বাড়াতে গিয়েও পারিনি। সেই সময় বাউন্ডারি বা ওভার বাউন্ডারির দরকার ছিল। কিন্তু সেটা হল কোথায়! শেষ ওভারে টার্গেট ছিল ১৫ রানের। এর পিছনে ছুটতে গেলে বাউন্ডারির দরকার। কিন্তু কোথায় কি! কিছুই হল না। তাই হারের দায় আমারই। আমি পারিনি। পারলে ম্যাচের রেজাল্ট উল্টো হত। ম্যাচ জিততে গেলে সিএসকের দরকার ছিল ২১৪ রান। ১৯ ওভারে সিএসকে ৪ উইকেটে ১৯৯। যশ দয়াল শেষ ওভার করতে আসেন। প্রথম বল লো ফুলটস। ধোনি বড় শট খেলতে গিয়েও পারলেন না। ব্যাটের নিচের দিকে বল লেগে গেল লং অনে। এক রানের বেশি পেলেন না। উল্টোদিকের উইকেটে গিয়ে এমনভাবে মাথা নাড়াচ্ছিলেন যে বোঝাই গেল তিনি হতাশ। ব্যবধান কমল। পাঁচ বলে চাই ১৪ রান। এই জায়গা থেকে যে কোনও দল ম্যাচ বের করে নেবে। টি২০ ফরম্যাটে এমন টার্গেট সব দলের কাছেই থাকে। কিন্তু ফর্মে থাকা জাদেজাও পারলেন না। যশের দ্বিতীয় বল থেকে এল এক রান। চার বলে ১৩ রান। চাপ বাড়ল সিএসকে শিবিরে। তবু ধোনি উইকেটে আছেন বলে সবাই আশা করেছিলেন ম্যাচ জেতা সম্ভব। কিন্তু তারপরই ধাক্কা। লেগ মিডলে আসা লো ফুলটস ধোনি অনের দিকে খেলতে গিয়ে ফস্কালেন। বল ব্যাটের বদলে প্যাডে লাগল। আরসিবির আবেদনে আম্পায়ার আউট দিলেন। ধোনি রিভিউ নিতে দেরি করলেন না। কিন্তু তাতেও পার পেলেন না। টিভি আম্পায়ারও আউটের সিদ্ধান্তে সায় দিলেন। ধোনি আউট। তিন বলে ১৩ রান চাই। শিভম দুবে এসে আশা জাগালেন। তাঁর বুকের উপরে উঠে আসা ফুলটসে ব্যাট ঘুরিয়ে ওভার বাউন্ডরি পেলেন। সঙ্গে আরও এক রান। বল বুকের উপর থাকার জন্য ষশের বল নো হল। কিন্তু এরপরও কিছু হল না। বাকি তিন বলে তিন রান এল। ষশের ওভারের শেষ বলে দরকার ছিল চার রান। জাদেজা এর আগে এমন জায়গা থেকে দলকে ম্যাচে জিতিয়েছেন। কিন্তু শনিবার এক রানের বেশি করতে পারলেন না। ম্যাচ হারলেন ধোনিরা। জাদেজা ৪৫ বলে অপরাজিত ৭৭ রানের ইনিংস খেললেও তা কাজে দিল না। ধোনি জমানায় শোনা যেত শেষ ওভারে ১৮ থেকে ২০ রান থাকলে ম্যাচ জেতা সম্ভব। তখন ধোনি ছিলেন ফিনিশার। কিন্তু আরসিবি ম্যাচে ১৫ রানের টার্গেটে ছুটতে পারলেন না ধোনি। তা হলে কি ফিনিশার ধোনি ষুগও শেষ! সেটাই তো প্রমানিত হচ্ছে। আসলে আরসিবি ইনিংসে শেফার্ড শেষ দুওভারে সিএসক-কে শেষ করে দেন। খলিল আমেদের ওভারে ৩৩। পাতিরানার ওভারে ১৭। এখানেই ম্যাচ হারে সিএসকে। শেফার্ড ১৪ বলে অপরাজিত থাকেন ৫৩ রানে। সেখানেই ম্যাচ বেরিয়ে যায়। তবে সিএসকের খাতায় পাওয়াও আছে। দুশোর উপর রান তাড়া করে তারা কাছে পৌঁছে গিয়েছিল। ম্যাচ জিততে না পারলেও এটাই বোনাস। নিজেদের দেখে নেওয়ার পরীক্ষায় এক্ষেত্রে পাশ মার্ক পেয়ে গেলেন তাঁরা।
মেজাজি মাত্রে, কেকেআরকে চাপে ফেলে দিল সিএসকে

আরসিবি: ৫ উইকেটে ২১৩ (২০ ওভার) সিএসকে: ৫ উইকটে ২১১ (২০ ওভার) বৈভব সূর্যবংশীর সঙ্গে পাল্লা দিতে যেন মাঠে নেমে পড়েছেন আয়ুষ মাত্রে। মুম্বইয়ের ১৭ বছরের ক্রিকেটার আয়ুষের দাপটে প্রায় অসাধ্য কাজ করে ফেলেছিল সিএসকে। কিন্তু দুরানে হেরে ম্যাচ হাতছাড়া হল। একইসঙ্গে কিছুট হলেও চাপে পড়ে গেল কেকেআর। আগে কেকেআরের কথাই বলি। আরসিবি ও সিএসকে ম্যাচে হঠাৎ করে কেন রাহানেরা ঢুকে পড়লেন। এই প্রশ্নটা উঠে আসছে। তার কারনও আছে। সিএসকের বিরুদ্ধে জিতে আরসিবি ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট করে একনম্বরে পৌঁছে গেল। এখনও তাদের তিন ম্যাচ বাকি। পরের তিন দল হল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (১১ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট), গুজরাট টাইটান্স (১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট), পাঞ্জাব কিংস (১০ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট)। পাঁচ নম্বরে আছে দিল্লি ক্য়াপিটালস (১০ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট)। সেখানে কেকেআর ১০ ম্যাচে ৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে। কেকেআর বাকি চার ম্যাচ জিতলে ১৭ পয়েন্টে যাবে। কিন্তু তার আগে প্রথম চর দল কোথায় গিয়ে শেষ করে, সেটাই এখন দেখার। একটা ব্যাপার নিশ্চিত ছিল যে ১৬ পয়েন্টের ঘরে ঢুকলে প্লে অফ খেলতে অসুবিধা হবে না। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে ১৬ পয়েন্টেও হবে ন। আরও সামনের দিকে দলগুলি চলে যবে। তা হলে..! আরসিবি হারলে হয়তো এতট চাপ ছিলন। কিন্তু সেটা আর হল কোথায়। তাই রাহানেদের নিয়ে সুখের কথা বলা যাচ্ছে না। এবার ম্যাচে ফিরে আসি। বিরাট কোহলিরা টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুন করেছিল। পাওয়ার প্লে-তে সিএসকে-কে চাপে ফেলে নিজেরা গড়গড়িয়ে চলতে থাকে। দুই ওপেনার বিরাট কোহলি (৬২) ও জ্যাকব বেথেল (৫৫) জুটি দলকে টেনে নিয়ে যান। প্রথম উইকেটে ওঠে ৯৭ রান (৯.৫ ওভার)। কিন্তু তারপর বোলিং আক্রমনে ধোনি পাথিরানাকে নিয়ে আসতেই ছন্দ কেটে যায় আরসিবির। একসময় ৫ উইকেটে ১৫৭ রানে তার দাঁড়িয়ে পড়ে। কত রানে যেতে পারবেন বিরাটরা। এই প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে গায়ানার ক্রিকেটার শেফার্ডের দাপটে ব শেষ হয়ে যয়। জয়ের জায়গা থেকে হারিয়ে যায় সিএসকে। অবিশ্বাস্য হলেও এটা সত্যি শেষ ১৪ বলে আরসিবি তোলে ৫৭ রান। এর মধ্যে শেফার্ডের ব্যাট থেকে আসে ১৪ বলে ৫৩ রান। ৪টি বাউন্ডারি ও ৬টি ওভার বাউ্ন্ডারি মেরে আরসিবিকে দুশো পার করে দেন। এই অদ্ভুত কান্ড ঘটালেন খলিল আমেদ। তিনি ১৯ নম্বর ওভারে দিলেন ৩৩ রান। পাথিরানা শেষ ওভারে দিলেন ১৭ রান। খলিল ৩ ওভারে দেন ৬৫ রান। একর দায়িত্বে দলকে পুঁতে দেওয়ার পক্ষে তিনি যথেষ্ট ছিলেন। শেফার্ডের ব্যাট ঝলসে না উঠলে সিএসকের সামনে টার্গেট ১৭০ থেকে ১৮০ রানের মতো হত। তবু সিএসকে দারুনভাবে পাল্টা দিল। শুরুতে দুউইকেট চলে গেলেও মাত্রে ও জাদেজ জুটি দলকে দারুনভাবে টানলেন। তৃতীয় উইকেট জুটিতে উঠল ১১৪ রান। মাত্রে ৪৮ বলে করলেন ৯৪ রান। যার মধ্যে চিল ৯টি বাউন্ডারি ও ৫টি ওভার বাউন্ডারি। বৈভবের ব্যটিং দেখে ভারতীয় ক্রিকেট মহল উচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়েছে। মাত্রে সেভাবেই নিজেকে মেলে ধরলেন। শুরুর দিকে দলে জায়গা না পেলেও পরে দলে ঢুকে পড়েন। কিন্তু মাত্রের এই ইনিংস দাম পেল না। একদিকে জাদেজার (৪৫ বলে অপরাজিত ৭৭) লড়াইও দান পেল না। মাত্রে আউট হন ১৬.২ ওভারে। তখন দলের রান ১৭২। এনগিডির পরের বলেই আউট হন ব্রেভিস। ১৬. ৩ ওভারে চার উইকেটে ১৭২। এনগিডি এই ওভারে ৮ রান দিয়ে দুটি উইকেট পান। তারপর ভুবনেশ্বরেরএক ওভারে ২৫ রান এলেও তা কাজে এল না। ধোনি ১২ রান করে শেষ ওভারে আউট হন। যশ দয়াল শেষ ওভারে ইয়র্কারে ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেলে দেন। শিভম দুবে একটি ওবার বাউন্ডারি মারলেও জাদেজা কিছুই করতে পারলেন না। সিএসক আটকে গেল ২১১ রানে। ম্যাচের শেষ বলে একটি বাউন্ডারি মারলে সিএসকে ম্যাচ জিতে যায়। কিন্তু সেই বলে একরানের বেশি না আসায় আরসিবি দুরানে ম্যাচ জিতে যায়। ম্যাচের সের হন শেফার্ড। হওয়ারই কথা। তিনি বিধ্বংসী ইনিংস না খেললে আরসিবি হেরেই হয়তো মাঠ ছাড়ত।