জ্বলে উঠল মশাল

ইস্টবেঙ্গলের তিন হ্যাটট্রিককারী বঁা দিক থেকে দেবলিনা ভট্টাচার্য, আস্থাম ওঁরাও ও কার্তিকা আঙ্গামাথু।
জেনেভায় যাচ্ছেন জকোভিচ

প্যারিসের প্রস্তুতি সারতে জেনেভা যাচ্ছেন জকোভিচ।
সীমান্তে লড়াইয়ের কারনে এক সপ্তাহ আইপিএল বন্ধ, শুরু হবে তো!

সীমান্তে লড়াই চলছে। এর মধ্যে ক্রিকেট হয় নাকি! ভারতীয় আর্মড ফোর্স যখন জীবন বাজি রেখে লড়াই করছে, তখন দেশের বিভিন্ন শহরে ক্রিকেটের বিনোদনে ব্যস্ত ক্রিকেটাররা। এটা কেউ মেনে নিতে পারেন না। তারপর কখন দেশের মধ্যে কোনও অঘটন ঘটে গেলে কে তার দায় নেবে। এরই মাঝে বিদেশিরা দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য বায়না ধরে বসেছে। এর সমাধান সূত্র বের করতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা সরকারের সাহায্য চায়। জানিয়ে দেয়, সরকারের কথা মেনে বোর্ড কাজ করবে। সকাল থেকে এ নিয়ে নানা বৈঠক করে শুক্রবার দুপুরে ভারতীয় বোর্ড জানিয়ে দেয়, আপাতত এক সপ্তাহ আইপিএল স্থগিত রাখা হল। তারপর সূচি ঠিক করে টুর্নামেন্ট শুরু করা যাবে। টুর্নামেন্ট স্থগিত করার আগে বোর্ড কর্তারা কথা বলে নেন ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে। কথা বলেন সহযোগী ব্রডকাস্টারদের সঙ্গেও। সকলে এই সিদ্ধান্তে একমত পোষন করেন। তারপর বোর্ড জানিয়ে দেয়, আইপিএল আপাতত স্থগিত। বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজীব শুক্লা এই খবর জানিয়ে বলেন, নতুন সূচি জানানো হবে সকলের সঙ্গে কথা বলে। আমরা ভারতীয় সেনাকে নিয়ে গর্বিত। আইপিএলের চেয়ারম্যান অরুন ধুমাল বলেন, পরিস্থিতি বিচার করে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। ক্রিকেটারদের পাশাপাশি সাধারন মানুষের কথা ভেবে ধরমশালায় পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের খেলা বন্ধ করা হয়। তবে প্রশ্ন উঠেছে যে এরপর আদৌ কি আইপিএল শুরু করা যাবে। পাক-ভারত যুদ্ধের মধ্যে একদিকে পিএসএল, অন্যদিকে আইপিএল নিয়ে ঝামেলায় দুদেশের ক্রিকেট বোর্ড। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড সমাধান সূত্র বের করে ফেলল। পিএসএল সরিয়ে নেওয়া হল সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। টুর্নামেন্টের আটটি ম্যাচ বাকি। তাই মরুশহরে সেই ম্যাচ করে নিতে অসুবিধা হবে না। পিএসএলের মতো আইপিএল কি সরিয়ে নেওয়া যেত না! টুর্নামেবন্ট শেষ করতে এখনও ১৪টি ম্যাচ বাকি। ভারতের বিভিন্ন শহরে সেই ম্যাচগুলি হওয়ার কথা। পরিস্থিতি বদল হলে টুর্নামেন্ট আবার শুরু কর যাবে বলে বোর্ড কর্তারা মনে করছেন। আর বিদেশে নিয়ে যেতে হলে আর্থিক দিক থেকে খরচ বাড়ছে। এখনও দশদলের খেলা শেষ হয়নি। তাদের বিদেশের মাঠে গিয়ে খেলতে গেলে পকেটের দিকে তাকাতে হবে। আবার ব্রডকাস্টাররা সহজে রাজি হবেন না। তারা অপেক্ষা করতে রাজি। কিন্তু বিদেশে যেতে রাজি নন। তাই বোর্ডের কাছে টুর্নামেন্ট স্থগিত করা ছাড়া অন্য কোনও পথ খোলা ছিল না। এর আগেও চারবার আইপিএল ধাক্কা খেয়েছে। টুর্নামেন্ট শুরু ২০০৮ সালে। পরের বছর লোকসভা নির্বাচনের কারনে টুর্নামেন্ট দক্ষিন আফ্রিকা নিয়ে যাওয়া হয়। ২০১৪ সালে একই ঘটনা। সেবার টুর্নামেন্ট সরিয়ে নেওয়া হয় দুবাইয়ে। করোনাকালেও এক পরিস্থিতি। ২০২০ সালে আইপিএল হয় আরব আমিশাহিতে। ২০২১ সালে করোনার প্রকোপে শুরুটা ভারতে হলেও পরে টুর্নামেন্ট আরব আমিরশাহিতে নিয়ে যাওয়া হয়। এবার তেমন কিছু কি করা যেত না! নাকি পাকিস্তান আগেভাগে চলে গিয়েছে বলে ভারতের পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়। এমন নানা কথা উঠে আসছে। এক সপ্তাহ ক্রিকেট নেই। বিদেশিরা নিশ্চয় ভারতে বসে থাকবে না। দেশে ফিরে যাবে। দেশে গিয়ে আবার তারা ফিরে আসবে তো! ২৫ মে আইপিএল ফাইনাল হওয়ার কথা ছিল। এখন টুর্নামেন্ট বন্ধ থাকায় সেটা হয়তো জুনের প্রথম সপ্তাহে চলে যাবে। এদিকে ভারতীয় দলের তো সেই সময় ইংল্যান্ড যাওয়ার কথা। তারও আগে ভারতীয় এ দল ইংল্যান্ড সফরে যাবে। সেগুলি কি হবে এই সব দেখে মনে হচ্ছে এবারের মতো হয়তো আইপিএল বাতিল করে দেওয়া হবে। কারন পাক-ভারত লড়াই কবে শেষ হবে তা কেউ জানেন না। ধরে নেওয়া হয়েছে এক সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। না হলে..! এটাই এখন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বোর্ডের কাছে।
টেস্ট ফাইনাল করতে আগ্রহী ভারত

২০২৭ সালের টেস্ট ফাইনাল করতে আগ্রহ দেখাল ভারত।
১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন যশস্বী জয়সওয়াল, ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে চান মুম্বইয়ের হয়েই

১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন যশস্বী জয়সওয়াল। গোয়া নয়, তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে মুম্বইয়ের হয়েই খেলতে চান, ই মেল মারফৎ জানিয়ে দিলেন মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসেসিয়েশনকে। প্রসঙ্গত মাস খানেক আগে মুম্বই ছেড়ে গোয়ার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন যশস্বী। এমসিএ-র কাছে নো অবজেকশন সার্টিফিকেটের জন্য আবেদনও করেছিলেন। কিন্তু মন ঘুরে গেল ভারতীয় ওপেনারের। তিনি এনওসি প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করে জানিয়েছেন, মুম্বইয়ের হয়েই খেলতে চান। গত এপ্রিলের ঘটনা। যশস্বীর ইচ্ছা ও আবেদন নিয়ে সোরগোল পড়ে গিয়েছিল। তিনি আর মুম্বইয়ের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে চান না। চলে যেতে চান গোয়ায়। এর জন্য মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কাছে নো অবজেকশনের জন্য আবেদনও করেছিলেন। এমসিএ সেই আবেদন গ্রহণও করে নিয়েছিল। তারপর এতদিন পরে হঠাৎই মন ঘুরে গেল যশস্বীর। তিনি এমসিএকে মেল করে জানিয়েছেন, পারিবারিক কারণের জন্যই গোয়া যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু এখন আর গোয়ায় খেলতে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। তিনি মুম্বইয়ের হয়েই খেলতে তৈরি। তাই তাঁর এনওসির আবেদন প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন। এর পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন যে বিসিসিআই বা গোয়া ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন – কারও কাছেই এনওসি পাঠাননি, তাই তাঁর আবেদন বিবেচনা করা হোক।
সেনাদের কাছে কৃতজ্ঞ কোহলি, বুমরা

সেনাদের কৃতিত্বকে বড় করে তুলে ধরছেন কোহলি, বুমরা।
ভারত-পাকিস্তান টেনশনের আবহে আইপিএল স্থগিত করে দিল বিসিসিআই

সম্ভাবনা ছিলই, শেষ পর্যন্ত শুক্রবার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। আপাতত স্থগিত করে দেওয়া হল আইপিএল। বৃহস্পতিবার ধরমশালায় দিল্লি ক্যাপিটালস ও পঞ্জাব কিংসের ম্যাচ মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকেই সম্ভাবনাটা জোরালো হয়ে উঠেছিল। ভারত-পাকিস্তান টেনশনের আবহে আর কোনও ঝুঁকি নেওয়া হল না। এখনকার মত বন্ধ করে দেওয়া হল আইপিএলের ম্যাচ। পরিস্থিতি শান্ত হলে দেশের বাইরে অন্য কোথাও আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলি হতে পারে। বৃহস্পতিবার থেকেই সীমান্তে পরিস্থিতি ঘোরালো হতে থাকে। তার মধ্যেই ধরমশালায় দিল্লি ও পঞ্জাবের ম্যাচ শুরু হয়, কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই আলো নিভিয়ে দর্শকদের বার করে ম্যাচ বন্ধ করে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার বিশেষ ট্রেনে ক্রিকেটারদের ও ম্যাচের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মানুষজনকে ধরমশালা থেকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে। এরপরই বিশেষ মিটিংয়ে বিসিসিআিই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল আপাতত স্থগিত আইপিএল। নিরাপত্তার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। আইপিএলে খেলতে আসা বিদেশি ক্রিকেটাররা উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিলেন। লখনউতে ম্যাচ খেলতে গেলেও সেখান থেকে ফিরে আসতে চাইছিল আরসিবি। এই পরিস্থিতিতে তড়িঘড়ি টুর্নামেন্ট স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। বিসিসিআই ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজীব শুক্লা জানান, ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এখনও পর্যন্ত যা খবর, পরিস্থিতি শান্ত হলে দেশের বাইরে কোথাও বাকি ম্যাচগুলি হতে পারে।
সংযুক্ত আমিরশাহীতে সরে গেল পাকিস্তান সুপার লিগ

আগেই শোনা গিয়েছিল, পাকিস্তান সুপার লিগে খেলতে আসা বিদেশি ক্রিকেটাররা দেশে ফিরে যেতে চান। ভারত-পাকিস্তানের লড়াইয়ের শেষ পর্যন্ত কি হবে, তা নিয়ে সবাই সন্দিহান। এই অবস্থায় পাকিস্তানের মাটিতে খেলা কটিন। তাই তাঁরা দেশে ফিরে যেতে চাইছেন। বিদেশি ক্রিকেটাররা দেশে ফিরে গেলে টুর্নামেন্ট বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া অন্য পথ খোলা থাকবে না। এ নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করে দেন। খেলা বন্ধ করা হবে, নাকি এই অবস্থায় পিএসএল চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। বৃহস্পতিবার রাওয়ালপিন্ডিতে খেলা ছিল পেশোয়ার জালমি ও করাচি কিংসের। কিন্তু খেলা শুরুর আগে হঠাৎ এক ড্রোনের আক্রমনে রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অনেক কিছুই বিধ্বস্ত হয়। স্টেডিয়ামের উল্টোদিকে থাকা এর রেস্তোরাও বড় ক্ষতি হয়েছে। এই ঘটনার পর তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিয়ে খেলা বন্ধ করা হয়। এদিকে ব্রিটিশ মিডিয়া পিএসএল খেলতে আসা বিদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে এক রিপোর্টে জানিয়ে দেয় যে অনেকেই এদেশে খেলতে চাইছে না। তারা সবাই নিরাপত্তহীনতায় ভুগছে। পারলে এখনই দেশে ফিরতে চাইছেন। কিন্তু বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় বিমানের ব্যবস্থাও করা যাচ্ছে না। বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে ডেভিড ওয়ার্ণার জানিয়েছেন, যত তাড়তাড়ি সম্ভব দেশে ফিরতে চাই। এই অবস্থায় এখানে থাকার কোনও মানে নেই। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চিফ মহসীন নকভি জানিয়েছেন, ক্রিকেটারদের মনসিক পরিস্থিতি আমরা বুঝি। বিদেশি বলেই নয়, দেশের ক্রিকেটারদের ব্যাপারটি আমরা ভেবে দেখেছি। পিএসএলের এখন আটটি ম্যাচ বাকি। এর মধ্যে কোয়ালিফায়ার ও ফাইনাল আছে। প্রায় শেষ হয়ে আসা টুর্নামেন্ট আমরাও বন্ধ করতে চাই না। কথাবার্তা চলছে। আমরা এই টুর্নামেন্ট সংযুক্ত আমিরশাহীতে করার কথা ভেবে রেখেছি। সেখানে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নেই। বিদেশি ক্রিকেটাররা নিশ্চিন্ত খেলতে পারবেন। তাই বাকি ম্যাচ সেখানেই হবে।
পাকদের িবরুদ্ধে গর্জে উঠলেন নীরজ, শেহবাগ

নীরজ চোপড়া ও শেহবাগ ভারতীয় সেনা বাহিনির জন্য গর্বিত।
কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে আইপিএলের ভবিষ্যত

বৃহস্পতিবার ধরমশালায় পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচ ঘিরে অনিশ্চয়তা আগেই ছিল। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা জানিয়েছিলেন, সরকারের সবুজ সঙ্কেতের দিকে তাঁরা তাকিয়ে আছেন। অনুমতি মিললে ধরমশালায় খেলা হবে। না হলে বাতিল করা হবে। বৃহস্পতিবার সকালে সরকারের অনুমতি পাওয়ার পর বোর্ডের তরফ থেকে হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসেসিয়েশনের কর্তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়, খেলা করা সম্ভব। তারপরই খেলা শুরুর ব্যবস্থা হয়। কিন্তু রাতে পাঞ্জাব ইনিংসের ১০.২ ওভারের মাথায় খেলা বন্ধ করতে বাধ্য হন সংগঠাকরা। মাঠের টাওয়ারের আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়। একটি মাত্র টাওয়ারের আলো জ্বালিয়ে দুদলের ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফদের সঙ্গে খেলা দেখতে আসা ক্রিকেটপ্রেমীদের মাঠের বাইরে আনা হয়। খেলা হঠাৎ বন্ধ হওয়ায় ক্রিকেটপ্রেমীরা হতাশ হন। বেশি রাতে স্টেডিয়ামের বাইরে এসে পাকিস্তান মুর্দাবাদ স্লোগান দিতে থাকেন। আগে ঠিক ছিল, খেলা শেষ হলে দুটি দল সড়ক পথে দিল্লি আসবে। তারপর যে যার মতো অন্য শহরে যাবে। কিন্তু নিরাপত্তার কারনে বোর্ড কর্তারা বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়। বন্দে ভারত ট্রেনে দুটি দলের সঙ্গে ব্রডকাস্টাররাও দিল্লি রওনা দেন। কেন হঠাৎ করে খেলা বন্ধ করা হল। ভারত-পাকিস্তানের লড়াইয়ের কথা আগেই জানা ছিল। আগাম সতর্কতা হিসেবে বোর্ড সরকারের কাছে ম্যাচ করার অনুমতি চায়। পাঠানকোট, জম্মুতে রেড অ্যলার্ট জারি ছিল। আকাশ পথে পাকিস্তান ঝামেলা শুরু করায় অনেক শহর ব্ল্যাক আউট করা হয়। ধরমশালা, অমৃতসর, চন্ডীগর বিমানবন্দর আগেই বন্ধ করা হয়েছিল। এসবের পরও কেন সরকার খেলার অনুমতি দিয়েছিল। এ নিয়েই প্রশ্ন। আইপিএল চেয়ারম্যান অরুন ধুমাল বেশি রাতে জানিয়েছেন, শুক্রবার লখনউয়ে এলএসজি ও আরসিবির খেলা নিয়ে প্রশ্ন নেই। খেলা নির্দিষ্ট সময় হবে। তবে আমরা সরকারের সঙ্গে কথা বলা শুরু করে দিয়েছি। এখনও পর্যন্ত খেলা বন্ধ করা নিয়ে কোনও খবর নেই। আমরাও চাই বিদেশিদের সঙ্গে দেশের ক্রিকেটারদের যেন কোনও ক্ষতি না হয়। ক্ষতি না হয় খেলা দেখতে আসা ক্রিকেটপ্রেমীদেরও। এটা আমাদের কাছে প্রথম প্রায়োরিটি। তাই আলোচনা চলছে। দেখা যাক, শেষপর্যন্ত কি হয়। তা হলে কি আইপিএল আপাতত মুলতবি রাখা হতে পারে। এই অবস্থায় মাঠে নেমে খেলা কঠিন হয়ে পড়বে। বিদেশি ক্রিকেটাররা অনেকেই দেশে ফিরে যেতে চাইছেন। তাঁর বুঝতে পারছেন না এই লড়াইয়ের শেষ কবে। কখন কী হবে তার উত্তরও কারোর কাছে নেই। এমন টেনশন নিয়ে মাঠে নেমে খেলা কঠিন। এ নিয়ে আইপিএল চেয়ারম্যান অরুন ধুমাল একই কথা বলছেন। সরকার এখনও পর্যন্ত কোনও বার্তা দেয়নি। তাই আইপিএল হঠাৎ করে বন্ধ করার প্রশ্ন নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে অনুমতি না মিললে খেলা বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। তবে এখনই শেষ কথা বলার পরিস্থিতি হয়নি। আইপিএল শেষ পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। ভারতে খেলা করা না গেলে বিদেশে নিয়ে গিয়ে আইপিএল শেষ করা যেতে পারে। পাকিস্তান তাদের সুপার লিগ অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গেলে ভারতই বা পারবে না কেন! তবে সব কিছু নির্ভর করছে কেন্দ্রীয় সরকারের ভাবনার উপর। খেলা চালিয়ে যেতে বলা হলে হবে, না হলে বন্ধ করে দেওয়া হবে আইপিএল।