১১ কোটির ব্যাটসম্যানকে পিছনে ফেললেন সূর্যবংশী

এবারের আইপিএল শেষ হয়ে গিয়েছে রাজস্থান রয়্যালসের। সিএসকের বিরুদ্ধে জিতে তারা ১৪ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে নয় নম্বর জায়গায় রয়েছে। রবিবার ধোনিরা গুজরাট টাইটান্সের কাছে হেরে গেলে রাহুল দ্রাবিড়ের দল এক ধাপ এগিয়ে থাকবে। এবার তেমনটা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আইপিএল শেষ হতে না হতে প্রাপ্তির দিকে উঁকি দেওযা শুরু হয়ে গিয়েছে। সেখানে এক অদ্ভুত ব্যাপার দেখা যাচ্ছে। বৈভব সূর্যবংশী দলের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে লড়াইয়ে প্রথম পাঁচে ঢুকে পড়েছেন। তা-ও আবার বৈভব মাত্র সাতটি ম্যাচ খেলেছেন। অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন চোটের কারনে বাইরে চলে যাওয়ার পর প্রথম একাদশে ঢুকে পড়ার সুযোগ চলে আসে বৈভবের সামনে। তিনি ৭ ম্যাচে করেছেন ২৫২ রান। এর মধ্যে আছে একটি সেঞ্চুরি ও একটি হাফ সেঞ্চুরি। ব্যাটিং গড় ৩৬। স্ট্রাইক রেট ২০৬.৫৫। ১৪ বছরের বৈভবকে রাজস্থান দলে নিয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ টাকায়। নিজের ব্যাটিংয়ের জোরে বৈভব পিছনে ফেলে দিয়েছেন ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার শিমরন হেটমায়ারকে। ১১ কোটি টাকার ব্যাটসম্যান হেটমায়ার ১৩টি ইনিংসে করেছেন ২৩৯ রান। গড় ২১.৭৩। স্ট্রাইক রেট ১৪৫.৭৩। নিজের ইনিংসে তিনি একটি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে সব থেকে বেশি রান করেছেন যশস্বী জয়সওয়াল। ১৪ ইনিংসে করেছেন ৫৫৯ রান। এর মধ্যে ছটি হাফ সেঞ্চুরি আছে। গড় ৪৩। স্ট্রাইক রেট ১৫৯.৭১। রাজস্থান ১৮ কোটি টাকায় যশস্বীকে রিটেন করেছিল। দুনম্বরে আছেন রিয়ান পরাগ। ১৪ ইনিংসে রান করেছেন ৩৯৩। গড় ৩২.৭৫। স্ট্রাইক রেট ১৬৬.৫২। কেকেআরের বিরুদ্ধে তিনি খেলেছিলেন ৯৫ রানের ইনিংস। তাঁকে ১৪ কোটি টাকায় রিটেন করে রাজস্থান। তিন নম্বরে আছেন ধ্রুব জুরেল। তিনি ১৩ ম্যাচে করেচেন ৩৩৩। গড় ৩৭। স্ট্রাইক রেট ১৫৬.৩৩। দুটি হাফ সেঞ্চুরি। ১৪ কোটি টাকায় তাঁকে রিটেন করে রাজস্থান। চার নম্বরে অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। তিনি চোটের কারনে অনেক ম্যাচ খেলতে পারেননি। ৯টি ইনিংসে করেচেন ২৮৫ রান। গড় ৩৫.৬৩। স্ট্রাইক রেট ১৪০.৩৯। একটি হাফ সেঞ্চুরি। তাঁকে ১৮ কোটি টাকায় রিটেন করে রাজস্থান।
রেকর্ড গড়ল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

নিউজিল্যান্ডকে ফাইনালে চার উইকেটে হারানোর পর উল্লসিত রোহিত শর্মা এন্ড কোং
দেশের হয়ে গোল করতে চান শুভাশিস

কলকাতায় চলছে জাতীয় দলের প্র্যাকটিশ। সামনের দুটো ম্যাচকে পাখির চোখ করেছেন শুভাশিস।
ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের সতর্ক করলেন ম্যাককালাম

ভারত ও অস্ট্রেলিয়া সিরিজ শুরুর আগে ক্রিকেটারদের কড়া বার্তা দিলেন ম্যাককালাম।
ধোনির মত অবসর নিতে চেয়েছিলেন রোহিত শর্মা, বোর্ড নাকি মানেনি

রোহিত শর্মার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছিল বিসিসিআই। সূত্রের খবর এমনই। রোহিত নাকি চেয়েছিলেন, মহেন্দ্র সিং ধোনির মত অবসর নিতে। তিনি বোর্ডকে জানিয়ে ছিলেন ইংল্যান্ড সফরে যেতে চান এবং সিরিজের মাঝপথে অবসর নিতে চান। যেমন ২০১৪ সালে ধোনি অস্ট্রেলিয়ায় অবসর নিয়েছিলেন। কিন্তু রোহিতের সে অনুরোধ নাকি মানা হয়নি। বরং নির্বাচকরা তাঁকে বলেছিলেন, ইংল্যান্ড সফরে যেতে, কিন্তু অধিনায়ক হিসাবে নয়। এরপরই অবসরের কথা জানিয়ে দেন হিটম্যান। রোহিত শর্মা কেন এভাবে হঠাৎ অবসরের সিদ্ধান্ত নিলেন, তা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। নানা রকম খবর ও কারণের কথাও উঠে আসে। শেষ পর্যন্ত সূত্র মারফৎ সংবাদ সংস্থা জানাল এই খবর। রোহিত শেষ টেস্ট খেলেছিলেন অস্ট্রলিয়ায়। বেশ খারাপ ফর্মেই ছিলেন। এমনকী শেষ টেস্টে নিজেকে দল থেকে সরিয়েও নিয়েছিলেন। তারপর থেকেই তাঁর অবসর নিয়ে অনেক জল্পনা তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের আগে টেস্ট ক্রিকেটকে চিরতরে বিদায় জানান তিনি। রোহিত শর্মা অবসর নেওয়ার কয়েক দিন পরেই অবসরের সিদ্ধান্ত জানান বিরাট কোহলিও। প্রায় একই সঙ্গে সরে যান দুই মহাতারকা। নির্বাচকদের যেমন নতুন অধিনায়ক বেছে নিতে হবে, তেমনি এই দুই মহাতারকার শূন্যস্থান পূরণ করার চ্যালেঞ্জটাও আছে। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে হয়ত আগামি শনিবার ইংল্যান্ড সফরের জন্য ভারতীয় দল ঘোষিত হবে। বেছে নেওয়া হবে নতুন অধিনায়ককেও। শুভমন গিলের হাতেই নেতৃত্ব ওঠার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। টেস্ট ক্রিকেটে শেষ হল রোহিত-কোহলি যুগ। এবার গিল-পন্থদের হাত ধরে নতুন যুগের শুরু।
ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিলেন পেপ গুয়ার্দিওলা

রীতিমত হুঁশিয়ারি। রীতিমত হুমকি। ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ম্যানেজার পেপ গুয়ার্দিওলা কর্তাদের জানিয়ে দিলেন আগামি মরসুমে হয় ফুটবলারের সংখ্যা কমান, নাহলে আমি পদত্যাগ করব। প্রশ্ন হল, কেন এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্প্যানিশ বস? তিনি সিটির বোর্ড মেম্বারদের জানিয়ে দিয়েছেন, স্কোয়াডে ফুটবলারের সংখ্যা এত বেশি যে একাধিক সিনিয়র ফুটবলারকে তিনি দলে রাখতে পারছেন না। এটা তাঁর ঘোর অপছন্দ। দক্ষ, সিনিয়র ফুটবলারদের বলতে হবে, তুমি দলে নেই, এটা তাঁর পক্ষে অসম্ভব। তাই কর্তাদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন স্কোয়াডে ফুটবলারের সংখ্যা কমাতে হবে, তবেই তিনি থাকবেন। মঙ্গলবার রাতে বোর্নমাউথের বিরুদ্ধেও ৫-৬ জন সিনিয়র ফুটবলারকে তিনি খেলাতে পারেননি। গুয়ার্দিওলা অবশ্য বরাবরই এই দর্শনে বিশ্বাসী। ২০২৩-২৪ মরসুমে তিনি ২০ জন সিনিয়র ফুটবলারকে স্কোয়াডে রেখেছিলেন, যা অন্য যে কোনও প্রিমিয়র লিগের দলের চেয়ে কম। সম্প্রতি কোচের সঙ্গে ২০২৭ পর্যন্ত চুক্তি বাড়িয়েছে সিটি। তারপই এই হুঁশিয়ারি। প্রশ্ন হল কেন গুয়ার্দিওলা এই দর্শনে বিশ্বাস করেন? তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ফুটবলারদের মধ্যে অন্যরকম সম্পর্ক গড়ে ওঠা ও ফুটবলারদের সুখী রাখা দলের আত্মার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেটা এই মরসুমে তিনি মিস করেছেন বলে মনে করেন। তিনি আরও বলেন, আমি ২৪ জন ফুটবলারকে ট্রেনিং দিতে পারব না, সব সময় চার পাঁচ অথবা ছয় জনকে স্কোয়াডের বাইরে রেখে দিতে হবে, কারণ আমি তাদের খেলাতে পারব না, এটা আর হবে না। সিটির ওয়েব সাইট অনুযায়ী প্রথম দলের জন্য ২৮ জনের স্কোয়াড। সঙ্গে আরও চারজনকে লোনে নেওয়া হয়েছে। এখন সিটি ম্যানেজমেন্টের কাছে চ্যালেঞ্জ, তারা কি কোচের সিদ্ধান্ত মেনে নেবে নাকি তাঁকে হারাতে রাজি আছে।
ডাক পেলেন রোনাল্ডো

৪০ বছর বয়সেও চিরতরুন রোনাল্ডো।
শনিবারই সম্ভবত জানা যাবে ভারতের নতুন টেস্ট অধিনায়কের নাম

রোহিত শর্মার রেখে যাওয়া ব্যাটন তুলে নেবেন কে? ভারতের নতুন টেস্ট অধিনায়ক কে? জানা যাবে সম্ভবত শনিবারই। অধিনায়ক ও দল নির্বাচন করার জন্য শনিবার মিটিংয়ে বসছেন নির্বাচকরা। তারপরই দুপুর নাগাদ জানানো হতে পারে ভারতের নতুন টেস্ট অধিনায়ক কে এবং কোন দল ইংল্যান্ড যাচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরেই অধিনায়ক নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। জোরালোভাবে শোনা যাচ্ছিল শুভমন গিল, ঋষভ পন্থ ও জসপ্রীত বুমরার নাম, কিন্তু বুমরা দৌড় থেকে সরে গিয়েছেন। তিনি ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টর জন্য ইংল্যান্ডে পাঁচটি টেস্টই সম্ভবত খেলবেন না। তাই এখন নজরে দুজন – গিল ও পন্থ। দৌড়ে অবশ্য অনেকটাই এগিয়ে আছেন শুভমন গিল। মনে করা হচ্ছে জাতীয় কোচ গৌতম গম্ভীরের পছন্দ শুভমন। কয়েকদিন আগে গম্ভীরের দিল্লির বাড়িতে দুজনে ৪-৫ ঘন্টা কথাবার্তাও বলেন। এছাড়া মুম্বইয়ে প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকরের সঙ্গেও একান্তে আলোচনা করতে দেখা গিয়েছিল গিলকে। এসব দেখেই মনে করা হচ্ছে এগিয়ে আছেন গিলই। এছাড়া বিভিন্ন সূত্র থেকেও খবর আসছে, গিলেই আস্থা নির্বাচকদের। শনিবার একই সঙ্গে দল ঘোষণাও করা হবে। পরপর রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি অবসর নেওয়ায় নির্বাচকদের অনেকগুলি জায়গা ভরাট করতে হবে। আগামি ২০ জুন থেকে শুরু হবে ভারত-ইংল্যান্ড পাঁচ টেস্টের সিরিজ। এই সিরিজ দিয়েই শুরু হবে এবারের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন সাইকেল।
সিন্ধু ব্যর্থ, এগিয়ে যাচ্ছেন প্রণয়রা

মারমুখী মেজাজে মালয়েশিয়ার মাটিতে পরপর দুটো গেম খেলে গেলেন প্রণয়।
তরুনদের কাছে ধোনির বার্তা, প্রত্যাশার চাপে পড়লে সিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলো

বৈভব সূর্যবংশী, আয়ুষ মাত্রে, বেভিস। এখানেই শেষ নয়। তালিকায় আরও অনেকে আছেন। যাঁরা এবারের আইপিএলে নজর কেড়েছেন। সেই সব তরুন ক্রিকেটারদের কাছে মহেন্দ্র সিং ধোনির বার্তা পৌঁছে গেল। মঙ্গলবার রাতে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে ৬ উইকেটে হারার পর পুরস্কার মঞ্চে এসে অনেক কথাই বললেন ধোনি। যা শুনে আইপিএলে খেলা তরুন ক্রিকেটারদের কাজে দেবে। এমনিতে সিএসকের খেলা থাকলে একটা ছবি প্রায়শই দেখা যায়। ধোনিকে খুঁজে নিয়ে ক্রিকেটাররা তাঁর সঙ্গে কথা বলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। সেখানে শুধু তরুন ক্রিকেটার নয়, সিনিয়ররাও ভিড় করেন। কাউকেই ফিরিয়ে দেন না ধোনি। সবাইকে সময় দেন। তাঁদের সমস্যার সমাধান করে দেন। রাজস্থানের বিরুদ্ধে ম্যাচ শেষে একই ছবি। বৈভব সূর্যবংশী এগিয়ে গেলেন ধোনির কাছে। হাত মেলালেন না। পায়ে হাত দিয়ে প্রনাম করলেন। কিংবদন্তী ধোনি দুহাত বাড়িয়ে তাঁকে তুলে নিলেন। কথাও বললেন। বৈভবের সঙ্গে ধোনির কি কথা হয়েছে তা জানা যায়নি। তবে পুরস্কার মঞ্চে এসে তাঁদের নিয়ে অনেক কথাই বললেন ধোনি। প্রত্যাশার চাপে পড়ে গেলে কি করতে হবে। কাদের সাহায্য নিতে হবে। এমন অনেক কথাই তিনি বললেন। তো কি বললেন ধোনি। সেটা বরং শুনে নেওয়া যেতে পারে। এবারের আইপিএলে তরুনরা নজর কেড়েছে। ওরা গোটা টুর্নামেন্টে ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এগোতে চেষ্টা করেছে। কিন্তু সব সময় ২০০ স্ট্রাইক রেট রেখে এগোতে গিয়ে ধারাবাহিকতা ধরে রাখা যায় না। ওরা প্রত্যাশার চাপে পড়ে নিজেদের হারিয়ে ফেলে। কারন, এটা সব সময় সম্ভব হয়ে ওঠে না। যে কোনও মুহূর্তে ওভার বাউন্ডারি মারার ক্ষমতা ওদের আছে। তাদের আমার একটা কথাই বলার আছে। চাপে পড়ে নিজেকে হারিয়ে ফেল না। কারন তোমাদের উপর প্রত্যাশার চাপ বাড়বে। তখন তোমার একটাই কাজ, সিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলো। কোচের সঙ্গে বসে পড়। সাপোর্ট স্টাফদের সঙ্গে সময় দাও। এভাবে নিজেদের খেলাকে পড়ে নিতে হবে। তরুনদের কাছে এটাই আমার বার্তা। উপদেশও বলা যেতে পারে। নিজের দল নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ধোনি বলেন, ব্রেভিস আমাকে চমকে দিয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে খেলে। বড় রানের ইনিংস খেলতে গেলে কিছুটা ঝুঁকি তো নিতেই হবে। সেই সময় আমরা নিজেদের ভাল জায়গায় নিয়ে যেতে পেরেছি। রান রেট বেড়ে যাচ্ছিল। কিন্তু একটা সমস্যাও হয়েছিল। আমরা শুরুতে বেশ কিছু উইকেট হারিয়ে ফেলেছিলাম। সেটাই মিডলঅর্ডারদের চাপে ফেলে দেয়। এটা না হলে আমরা বোর্ডে আরও বএশি রান দেখাতে পারতাম। কামবোজও ভাল করছে। দিন যত এগোচ্ছে, ওর খেলার প্রতি বৈচিত্র দেখতে পাচ্ছি। বলকে ভাল মুভ করাতে পারে। ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এভাবে ওরা এগিয়ে যেতে পারলে ভবিষ্যতে উন্নতি করতে পারবে।