ধোনির পা ছঁুয়ে প্রণাম বৈভবের

িল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে খেলার শেষে ধোনির পা স্পর্শ করে প্রণাম করছেন বৈভব। মঙ্গলবার।
আবার হার, ইতিহাসের পাতায় নাম লিখতে চলেছেন ধোনিরা

সিএসকে: ৮ উইকেটে ১৮৭ (২০ ওভার) রাজস্থান রয়্যালস: ৪ উইকেটে ১৮৮ (১৭.১ ওভার) আইপিএল ইতিহাসে সম্ভবত এবার নিজেদের নাম লিখতে চলেছে চেন্নাই সুপার কিংস। রবিবার লিগের শেষ ম্যাচ তারা খেলবে গুজরাট টাাইটানসের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে তাদের জয় অতি বড় সিএসকে সমর্থকও দেখতে পাচ্ছেন না। সেটাই যদি সত্যি হয়, তা হলে লিগ টেবিলে একেবারে শেষে জায়গা পাবেন ধোনিরা। দশ দলের লড়াইয়ে তারা দশ নম্বরে থাকবেন। এমন হলে সেটাই হবে সিএসকে-র কাছে আইপিএল ইতিহাসে নাম তোলা। এর আগে তরা কখনও শেষ বেঞ্চে বসেননি। এবর হয়তো সেটাই হতে চলেছে। সত্যি কি বিচিত্র ক্রিকেট। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের এমন বেহাল অবস্থা দেখে সকলেই হতবাক। এমনও হতে পারে। বাস্তব তাই বলছে। যারা প্রথম ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়ে পথ চলা শুরু করেছিল, তারাই দশ নম্বরে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করছে। কি অদ্ভুত ঘটনা! তাই না! সিএসকে ম্যানেজমেন্ট কদিন আগে জানিয়েছিল সামনের মরশুমে তারা তরুন ক্রিকেটারদের দিকে তাকিয়ে দল তৈরি করবেন। কিন্তু সেই কথাকে প্রায় উড়িয়ে দিয়ে কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং বলছেন, না এভাবে দল তৈরি করা যায় না। সিনিয়র ও জুনিয়রদের নিয়ে আমরা এগিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছি। কে সত্যি বলছেন তা বোঝা মুশকিল। এটাও ঘটনা যে সিএসকে বরাবর সিনিয়র ক্রিকেটারদের উপর নির্ভর করে এসেছে। আর তাতেই সাফল্য এসেছে। তাই তাদের ড্যাডিস আর্মি বলা হয়। সামনের মরশুমে কি নতুন করে চ্যালেঞ্জ নিয়ে চলবেন। এখনও সে কথা বলার সময় আসেনি। যেমন আসেনি সামনের মরশুমে ধোনি ক্রিকেটার হিসেবে দলের সঙ্গে থাকবেন কিনা। তিনি বলেই দিয়েছেন, এখনও সাত, আটমাস সময় আছে। ভাবার সময় পাচ্ছি। তখন দেখা যাবে আমি খেলার জন্য কতটা ফিট। ফিট থাকলে খেলব, না হলে অন্য কথা ভাবতে হবে। সে যাই হোক, এবার বরং রাজস্থান ম্যাচের কথায় আসা যাক। রাজস্থানের হয়ে বৈভব সূর্যবংশী যেমন চমক দিচ্ছেন, তেমনই আয়ুষ মাত্রে সিএসকে দলের হয়ে ওপেন করতে নেমে নজর কেড়ে নিয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে দিল্লির মাঠে তেমনই দেখা গেল। মাত্র ২০ বল খেলে মাত্রে করলেন ৪৩ রান। আর উল্টোদিকে বৈভব ৩৩ বলে করলেন ৫৭ রান। এই দুজনকে নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটে কথা শুরু হয়ে গিয়েছে। একজন ১৪ তো আর একজন ১৭। আজ না হয় কাল, ওরা জাতীয় দলের হয়ে মাঠ কাপাবেন। যেমন কাঁপিয়ে দিলেন দিল্লিতে গুরুত্বহীন ম্যাচে। রাজস্থান প্রথম পর্বের ম্যাচে সিএসকে-কে হারিয়েছিল। আবার হারাল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সিএসকে ৮ উইকেটে ১৮৭ রান করে। এই রান জয়ের জন্য যথেষ্ট। কিন্তু ম্যাচ জিততে হলে বোলারদের ভাল বোলিং করতে হবে। কি করলেন বোলাররা! খলিল ৩ ওভারে দিলেন ৩৫ রান। তুলনায় কামবোজ ভাল করলেন। আর স্পিনারদের কথা যত কম বলা তত ভাল। অশ্বিন শেষ ওভারে ১৮ রান দিয়ে নিজের বোলিং গড় খারাপ করলেন। তিনি ৪ ওভারে দিলেন ৪১ রান। দুটি উইকেট অবশ্য পেয়েছেন। নুর ৩ ওভারে ৪২ ও জাদেজা ২ ওভারে ২৭। এমন বোলিংয়ের পাশে উজ্জ্বল রাজস্থানের আকাশ মাডওয়াল। ম্যাচের সেরা আকাশ ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট পেলেন। এর মাঝে বেভিস (২৫ বল খেলে ৪২), দুবে (৩২ বল খেলে ৩৯) দলকে সামলালেন। না হলে ১৮৭ রানে যায় না সিএসকে। আর ধোনি! তিনি আট নম্বরে ব্যাট করতে নামলেন। তার আগে অশ্বিন, জাদেজারা মাঠে নেমে আউট হয়ে ফিরে এলেন। ধোনি ১৭ বল খেলে করলেন ১৬। কেন! এই কেন-র উত্তর নেই। রাজস্থানকে জেতাল বৈভব ও স্যামসনের জুটিতে বড় রান। তারা ৯৮ রান যোগ করে দিয়ে দলের জয়কে সহজ করে দিলেন। শেষদিকে ধ্রুব জুরেল (৩১) হাওয়ায় ব্যাট ঘুরিয়ে রাজস্তানের জয় এনে দিলেন। অবশেষে রান তাড়া করতে নেমে রাজস্থান ম্যাচ জিতল। কথায় আছে যার শেষ ভাল, তার সব ভাল। এটা কি রাজস্থানের পাশে লিখে দেওয়া যায়!