ইংল্যান্ডগামী ভারতীয় যুব দলে বাংলার একমাত্র প্রতিনিধি যুধাজিৎ গুহ

আবার এক বাঙালিকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা। গোটা বাংলার শুভেচ্ছা নিয়ে ইংল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন যুধাজিৎ গুহ। বৃহস্পতিবারই ঘোষিত হল ইংল্যান্ড সফরের জন্য ভারতীয় যুব দল। দলের অধিনায়ক আয়ুশ মাত্রে ও সুযোগ পেয়েছেন বৈভব সূর্যবংশী। সেই দলেই রয়েছেন বঙ্গতনয় যুধাজিৎ। এর আগেও খেলেছেন ভারতীয় যুব দলে। এশিয়া কাপে ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজে নজর টেনেছিলেন। ডানহাতি ব্যাটসম্যান ও ডানহাতি মিডিয়াম পেস বোলার। বোলিংয়ে তাঁর শক্তি স্যুইং ও ইয়র্কার। ইংল্যান্ডর আবহাওয়া স্যুইং বোলারদের সহায়ক, তাই যদি নিশানায় ঠিক থাকতে পারেন তাহলে দারুণ সফল হওয়ার সম্ভাবনা ভালই। ময়দানের টাউন ক্লাব থেকে যুধাজিতের যাত্রা শুরু। এমআরএফ পেস ফাউন্ডেশনে গ্লেন ম্যাকগ্রার কাছে পরিণত হওয়ার পাঠ নিয়েছেন। দক্ষিণ কলকাতার চেতলার বাসিন্দা যুধাজিতের আদর্শ ডেইল স্টেইন। সাদা বলে দেশের প্রতিনিধিত্ব করলেও লাল বলেই তিনি বেশি কার্যকর। ইংল্যান্ডে ভারতীয় যুব দল পাঁচটি একদিনের ম্যাচ ও দুটি চারদিনের ম্যাচ খেলবে। শুক্রবার থেকে বেঙ্গালুরুর এনসিএতে শুরু হচ্ছে প্রস্তুতি শিবির। ইংল্যান্ড সফরে গোটা দেশের যেমন নজর থাকবে আয়ুশ ও বৈভবের দিকে, তেমনি বাংলা তাকিয়ে থাকবে যুধাজিতের দিকে।
নির্বাচনে শ্বেতপত্র প্রকাশ শাসকগোষ্ঠীর

আসন্ন নির্বাচনে শাসকগোষ্ঠীর শ্বেতপত্র প্রকাশ করছেন সচিব দেবাশিস দত্ত। পাশে প্রাক্তন ফুটবলার মানস ভট্টাচার্য।
সুহেল, নিখিলরা স্বপ্ন পূরণে আপ্লুত

সুহেল ভাটরা স্বপ্ন পূরণ ঘটায় উচ্ছ্বাসে ভাসছেন।
পঁাচ মিনিটে ঋষভের সমস্যা মিটিয়ে দেবেন যোগরাজ

মাত্র পঁাচ মিনিটে ঋষভ পন্থের সমস্যা মিটিয়ে দিতে চান যোগরাজ।
শুরুতেই কঠিন লড়াই আলকারাজের

দ্বিতীয়বার ফরাসি ওপেন জিতে বিজয়ীর হাসি এইভাবে বজায় রাখতে মরিয়া আলকারাজ।
মালয়েশিয়ায় লড়ছেন শ্রীকান্ত

মালয়েশিয়ায় পুরোন ফর্মে ফিরছেন শ্রীকান্ত।
অনূর্ধ্ব ১৯ ভারতীয় দলের নেতৃত্বে আয়ুশ মাত্রে, দলে বৈভব সূর্যবংশী

আইপিএলে দুর্দান্ত সাফল্যের পুরস্কার পেলেন আয়ুশ মাত্রে ও বৈভব সূর্যবংশী। ইংল্যান্ড সফরের জন্য অনূর্ধ্ব ১৯ ভারতীয় দলের অধিনায়ক হলেন আয়ুশ মাত্রে। সুযোগ পেয়েছেন ১৪ বছরের কিশোর বৈভব সূর্যবংশী। দলে আছেন বাংলার যুধাজিৎ গুহ। সহঅধিনায়ক হয়েছেন উইকেটরক্ষক অভিজ্ঞান কুণ্ডু। আইপিএলে রীতিমত আলোচনার ঝড় তুলে দিয়েছেন দুই টিন এজার আয়ুশ ও বৈভব। দুজনের কারোরই আইপিএলের দলে থাকার কথা ছিল না। চেন্নাই সুপার কিংসে অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড় চোটের জন্য ছিটকে যাওয়ার পর সুযোগ পেয়ে যান আয়ুশ। অন্যদিকে আইপিএলে সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসাবে খেলার নজির গড়েন বৈভব। রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন চোট পাওয়ায় সুযোগ এসে যায় বৈভবের সামনে। তারপর দুজনে যা করেছেন তাতে একদিকে যেমন চমক, তেমনি নতুন স্বপ্ন ভারতীয় ক্রিকেট মহলে। সাতটি ম্যাচ খেলে ২৫২ রান করেছেন বৈভব। তাঁর স্ট্রাইক রেট ২০৬.৫৬। তার মধ্যে আছে ৩৫ বলে শতরান করার অনন্য নজির। আর আয়ুশ সিএসকের হয়ে ৬ ম্যাচ খেলে করেছেন ২০৬ রান। ইংল্যান্ডে ইংল্যান্ড যুব দলের বিরুদ্ধে পাঁচটি একদিনের ম্যাচ ছাড়াও আরও কয়েকটি ম্যাচ খেলবে ভারতীয় যুব দল। ১৭ জনের ভারতীয় দল ঘোষণা করা হল। ভারতীয় ক্রিকেটর ভবিষ্যৎ আয়ুশ ও বৈভব ইংল্যান্ডে আইপিএলের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেন কিনা, সেদিকেই নজর সকলের। কোনও সন্দেহ নেই দুই তরুণ তুর্কির সামনে বড় পরীক্ষা।
৯৪ মিটার ছঁুড়ে দেবে নীরজ বললেন ক্লাউস

৯৪ মিটার বর্শা ছেঁাড়ার জায়গায় নীরজ শীঘ্রই পৌছে যাবেন বলে আশাবাদী ক্লাউস।
পাহেলগাম ঘটনায় ফঁাপড়ে আইসিসি

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের মুহূর্ত কি আর ক্রিকেট মঞ্চে দেখা যাবে না!
মুম্বইকে প্লে অফে তুলে দেবিশার হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন সূর্য

দারুন এক গল্প শোনালেন ওয়াংখেড়েতে ম্যাচের সেরা সূর্যকুমার যাদব ওরফে স্কাই। বুধবার মু্ম্বই ইন্ডিয়ান্স আইপিএলের ১৩ নম্বর ম্যাচ খেলে প্লে অফে পৌঁছেছে। ২০১১-১২তে রনজি অভিষেক হওয়ার পর সূর্যের বাড়ির সেলফে অনেক পুরস্কার জায়গা পেয়েছে। কিন্তু এবারের আইপিএলে ম্যাচ সেরা পুরস্কার নেই। ব্যাটিং ভালই করছিলেন। বলা যায়, তাঁর ব্যাটের উপর ভর করে মুম্বই বোর্ডে বড় রান তুলছিল। যেমন দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে অপরাজিত ৭৩ রান করলেন ৪৩ বল খেলে। সঙ্গে দলকে ভাল জায়গায় নিয়ে গেলেন। স্ত্রী দেবিশার দাবি ছিল, মাঠে দারুন কিছু করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার বাড়িতে আনুক সূর্য। সেটা শেষপর্যন্ত হাতে নিতে পেরে খুশি সূর্য। বলছিলেন, এই পুরস্কার আমার স্ত্রীকে উৎসর্গ করছি। এটা ওর হাতে তুলে দেব। ও আমকে বলেছিল এমন কিছু কর যার পর পুরস্কার তোমার হাতে না দিয়ে ওরা পারবেন না। তবে দলের কথাও মাথায় ছিল। সব শেষে দলকে জিতিয়ে পুরস্কার পেয়ে ভাল লাগছে। এখানেই থেমে যাননি স্কাই। স্ত্রীর গল্প দিয়ে শুরু করলেও দলের কথায় যেতে দেরি করলেন না। বলছিলেন, এই ম্যাচ থেকে একটা ব্যাপার শিখলাম। এই ফরম্যাটে একজন ব্যাটসম্যান শেষপর্যন্ত উইকেটে থাকলে বড় রান বোর্ডে তোলা যায়। আমরা করতে পেরেছি। সঙ্গে দলের সাফল্য তো আছেই। লিগের এক ম্যাচ বাকি থাকতে প্লে অফে গেলাম। তবে শেষ ম্যাচ হাল্কাভাবে নিলে চলবে না। এই ছন্দ ধরে রাখতে হবে। এখন লড়াই কিন্তু আরও কঠিন হয়ে গেল। এবারের আইপিএলে সূর্যকুমার দারুন ছন্দে। ব্যাট হাতে বড় একটা ব্যর্থ হতে দেখা যায়নি। ১৩ ম্যাচে করেছেন ৫৮৩ রান। দুবছর আগে করা ৬০৩ রানের নিজের রেকর্ড তিনি হয়তো ভেঙ্গে দেবেন। কারন হাতে এখনও বেশ কিছু ম্যাচ তিনি পাবেন। লিগের শেষ ম্যাচ তিনি খেলবেন পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে। তারপর প্লে অফ। তাই আইপিএলে তাঁর করা রান টপকে যাওয়ার সুযোগ আছে। তবে সূর্য ও নমনের ( ৮ বলে ২৪ রান) পাশাপশি বোলারদের কথাও বলতে হবে। বুমরা তো আছেনই। তাঁর সঙ্গে বাঁহাতি স্পিনার মিচেল স্যান্টনারও চমক দিলেন। খেলার শেষে বলছিলেন, ওয়াংখেড়ের লাল মাটির উইকেটে বল স্পিন করছিল। আমি বাড়তি স্পিন করানোর চেষ্টা করিনি। উইকেট টু উইকেট বল করেছি। সেটাই সাফল্য এনে দিয়েছে। সত্যিই তাই। ৪ ওভারে ১১ রান দিয়ে ৩ উইকেট। একসময় মন হয়েছিল, ম্যাচের সেরা হতে পারেন স্যান্টনার। এমন পারফরম্যান্সের পর অন্য কারোর কথা কি ভাবা যেতে পারে! কিন্তু পরে মনে হয়েছিল ভুল হয়ে গিয়েছে। সূর্যের দাপটে পুড়ে ছাই দিল্লি। তার জন্য মু্ম্বই ৫৯ রানে ম্যাচ জিতেছে। শেষ দুওভারে যে জায়গা থেকে ম্যাচ টেনে নিয়ে ১৮০ তে মুম্বই পৌঁছেছে, তার জন্য সূর্য তো কৃতিত্ব দাবি করতেই পারেন। তাঁর হাতেই তো সেরার পুরস্কার তুলে দেওয়া উচিত। সেটাই হয়েছে। মু্ম্বই ঘরের মাঠে জিতে প্লে অফে চলে গেল। দিল্লি টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করতে নামে। শুরুতেই তারা ধাক্কা দেয়। মুম্বইয়ের কোনও ব্যাটসম্যান নিজেদের সুনাম অনুযায়ী ব্যাট করতে পারেননি। রোহিত নয়, পান্ডিয়াও নন। ১৮ ওভারে মু্ম্বইয়ের রান ছিল ৫ উইকেটে ১৩২। সেটা কোথায় যেতে পারে। বড় জোর ১৫০। কিন্তু সূর্য ও নমন দুওভারে যোগ করলেন ৪৮ রান। ইনিংসের শেষে সূর্য অপরাজিত থাকলেন ৪৩ বলে ৭৩ রান করে। নমন ৮ বলে ২৪। আর এটা হওয়াতে মুম্বইকে ম্যাচ জিততে কষ্ট করতে হয়নি। শুরুতে বোল্ট ও চাহার উইকেটে পেয়ে যেতে দিল্লি চাপে পড়ে যায়। রাহুল, পোড়েল, ডুপ্লেসিরা রান পেলেন না। লম্বা রানের পিছনে ছোটার মতো ব্যাটসম্যানও দলে ছিল না। অধিনায়ক অক্ষর প্যাটেল চোটের কারনে খেলতে পারেননি। তিনি থাকলে হয়তো মুম্বইয়ের ১৮০ রান তোলা কঠিন হয়ে পড়ত। যে কাজ কুলদীপ ও ভিপরাজ নিগমরা করেছেন, তাঁদের সঙ্গে হাত ঘুরিয়ে অক্ষরও সফল হতে পারতেন। ভিপরাজ নিগম উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ২৫ রান দিয়েছেন। আর কুলদীপ ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে পেয়েছেন ১ উইকেট। ওঁরা পারলে অক্ষরও উইকেট নিয়ে পান্ডিয়াদের চাপে ফেলতে পারতেন। যা হয়নি তা নিয়ে এখন কথা বলে লাভ কি! সব শেষে দিল্লি ১২১ রানে ইনিংস শেষ করে ৫৯ রানে ম্যাচ হারল। অবাক লাগে যারা শুরুটা দারুন করে প্লে অফ খেলার আশা জাগিয়েছিলেন, তারা কি করে হঠাৎ করে ব্যাক বেঞ্চে চলে গেলেন। আসেল এটাই ক্রিকেট।