আগামি মরশুমে আইপিএলে চেন্নাইয়ের ব্যাটিং কোচ হতে পারেন রায়না

রবিবার রাতে এবারের মতো আইপিএল শেষ করেছে চেন্নাই সুপার কিংস। ১৪টি ম্যাচ ৪টি জয়। আট পয়েন্ট নিয়ে দশ দলের খেলায় দশেই শেষ করল তারা। এবং একই সঙ্গে ইতিহাস গড়ল। এর আঘে এমন রেকর্ড চেন্নাইয়ের ছিল না। তাই আগামি মরশুমের দিকে চোখ রেখে দল সাজানোর কাজে নেমে পড়েছেন তারা। কাকে রাখা হবে, কাকেই ব ছেড়ে দেওয়া হবে। কোন ক্রিকেটারকে নেওয়া যেতে পারে। এমন সব তথ্য তাদের ডায়েরিতে লেখা হয়ে গিয়েছে। টিম ম্যানেজমেন্টের হাতে তালিকা তুলে দেওয়ার আগে কোচ স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের সঙ্গে মহেন্দ্র সিং ধোনি ও ঋতুরাজ গায়কোয়াডের কথা চলছে। এরই মাঝে একটি খবর সামনে চলে এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে চেন্নাইয়ের ব্যাটিং কোচের দায়িত্বে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার মাইকেল হাসি। একসময় চেন্নাইয়ের হয়ে খেলেছেন। তারপর দলের ব্যাটি কোচের দায়িত্বে রয়েছেন। কিন্তু শোনা যাচ্ছে আগামি মরশুমে তিনি দলের সঙ্গে থাকছেন না। তাঁর পরিবর্তে একজন ব্যাটিং কোচকে নিয়ে আসা হবে। তিনি কে! সুরেশ রায়না। তিনিও একসময় চেন্নাইয়ের হয়ে অনেক ম্যাচ খেলেছেন। তরপর নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার পর তিনি এবার আইপিএলে টিভি কমন্ট্রি করেছেন। রবিবার গুজরাট ও চেন্নাই ম্যাচে কমেন্ট্রি করেছিলেন রায়না। সেখানেই এই খবরটি তিনি শুনিয়ে দেন। বলেন, আসন্ন আইপিএলে চেন্নাইয়ে নতুন এক ব্যাটিং কোচকে দেখা যাবে। তাঁর পাশে থাকা আর এক প্রাক্তন ক্রিকেটার আকাশ চোপড়া বলেন তাার নামও কি এস দিয়ে শুরু। না. রায়না নিজেক গুটিয়ে নেন। এ নিয়ে আর কোনও কথা তাঁর মুখে শোনা যায়নি। গুজরাটকে হারানোর পর মিডিয়ার সামনে কথা বলতে এসেছিলেন দলের বোলিং কোচ শ্রীধর। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয় আসন্ন মরশুমে চেন্নাইয়ের ব্যাটিং কোচের চেয়ারে কি সুরেশ রায়নাকে দেখা যাবে। প্রশ্ন শুনে যেন আকাশ থেকে পড়লেন বোলিং কোচ। তিনি বললেন, দেখুন আমার কাছে এমন কোনও খবর নেই। তাই আমি আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছি না। এ ব্যাপারে ফ্লেমিং, ধোনি আপনাদের উত্তর দিতে পারবে। আপনারা ওদের সঙ্গে কথা বললে জানতে পারবেন। শ্রীধর কি এড়িয়ে গেলেন! হতে পারে। আসলে রায়না অনেকদিন চেন্নাইয়ের হয়ে খেলেছেন। চেন্নাই ছাড়ার ব্যাপারেও ধোঁয়াশা রেখে দিয়েছিলেন। সেবার আইপিএলের আসর বসেছিল দুবাইয়ে। সেখানে দলের সঙ্গে থাকলেও হঠাৎ করে ফিরে আসেন। তারপর আর তাঁকে চেন্নাইয়ের হয়ে খেলতে দেখা যায়নি। এবার টিভি কমেন্ট্রিতে এসে আবার মাঠে নামার ভাবনা মাথায় মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। তাই হয়তো চেন্নাইয়ের দলের ব্যাটিং কোচ হতে পারেন রায়না। এখন অপেক্ষা। কবে সেই খবর জানা যাবে।
আইপিএল খেলে প্রতি ম্যাচে সাড়ে সাত লাখ, জাতীয় দলে ২০ হাজার টাকা

অবাক লাগে, তাই না! এতটাই ফারাক! আইপিএল খেলে সহজেই কোটিপতি হতে পারেন ক্রিকেটাররা। আর জাতীয় দলে খেলল খুঁড়িয়ে হাঁটা। উদাহরন হাতের কাছেই। ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী এবার আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে অভিষেকে বাজিমাত করেছে। ব্যাটে চমক দিয়ে ক্রিকেট বিশ্বকে অবাক করেছে। রানের সঙ্গে বাড়িতে নিয়ে গিয়েছে প্রায় কোটি টাকা। তাকে দেখে অনেক বাচ্চা এবার জাতীয় দলের খেলার স্বপ্ন ছেড়ে আইপিএল খেলতে চেষ্টা চালাবে। এ এক লটারির মতো। লাগলে মুহূর্তে কোটিপতি। ডাগআউটে বসে থাকলেও টাকার অঙ্ক খারাপ হবে না। কবছর আগে এক ভদ্রলোক বলছিলেন, এখন ক্রিকেট ক্যাম্পের আলোচনা বদলে গিয়েছে। বাবা-মায়ের সঙ্গে বাচ্চা ক্যাম্পে এসে প্র্যাকটিস করল। কিছুদিন পর তার ববা-মায়ের প্রশ্ন স্যর আমার ছেলে কি আইপিএল খেলতে পারবে! তাঁরা ক্লাব ক্রিকেট, রাজ্য দল বা জাতীয় দলের কথা জানতে চাইছেন না। প্রশ্ন একটাই, ছেলে আইপিএল খেলতে পারবে কিনা! তার মধ্যে সেই মশলা আছে কিনা। আগে এই প্রশ্ন অন্যরকম ছিল। আইপিএল যুগে তা বদলে গিয়েছে। এবার বৈভবকে দেখে, তার সম্পর্কে সব কিছু জানার পর সেই বাবা- মায়ের প্রশ্ন আরও কয়েকগুন বেড়ে যাবে। তাঁদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। আইপিএলে ঢুকে যেতে পারলে ছেলের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। কোটি টাকা রোজগার করতে অসুবিধা হবে না। এর জন্য মনে হয়ে দায়ি বৈভবদের মতো ক্রিকেটাররা। আর কিছুটা হলেও সোশ্যাল মিডিয়া। বাড়িতে স্মার্ট ফোন আছে। সেই ফোন অনেক অজানাকে সামনে নিয়ে আসছেন। ভারতীয় অনুধ্ব ১৯ দলে বৈভব সুযোগ পেতে খবর নেওয়া শুরু হল। এবার কত টাকা পাবে বৈভব। জাতীয় দলে খেলার জন্য পারিশ্রমিকের অঙ্ক শুনে সবাই অবাক। প্রশ্ন এমন আবার হয় নাকি। আসলে বাস্তবকে মেনে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন হারিয়ে গিয়েছে। সেখানে জায়গা করে নিয়েছে আইপিএল। একবার বৈভবের পারিশ্রমিকের দিকে তাকানো যাক। রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলে প্রতি ম্যাচে বৈভব পেয়েছে সাড়ে সাত লাখ টাকা। টুর্নামেন্টে সাতটি ম্যাচ খেলেছে বৈভব। তার অর্থ বৈভববাড়ি নিয়ে গিয়েছে ৫২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর সঙ্গে যোগ হবে নানা পুরস্কারের অর্থ। তা হলে টাকার অঙ্ক কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে! ১৪ বছরের ছেলের এই উপার্জন অবিশ্বাস্য বলে মনে হচ্ছে! কিন্তু সত্যিকে তো মেনে নিতে হবে। এবার জাতীয় দলের কথায় আসা যাক। ইংল্যান্ডে অনুধ্ব ১৯ ভারতীয় দল খেলবে পাঁচটি একদিনের ম্যাচ। সঙ্গে দুটি চারদিনের ম্যাচ। এই সিরিজ থেকে বৈভবের উপার্জন কত হবে। জানা গেল, এই স্তরে খেলার জন্য ম্যাচ পিছু ক্রিকেটাররা পাবে ২০ হাজার টাকা। চারদিনের ম্যাচের ক্ষেত্রে টাকার অঙ্ক বাড়বে। ইংল্যান্ডে খেলে দেশে ফিরে আসার পর বৈভবদের পকেটে কত টাকা ঢুকবে! আইপিএলে এক ম্যাচ খেলে যে টাকা পেয়েছে, তার থেকেও কম। তা হলে কি দাঁড়াল! জাতীয় দলের হয়ে হিল্লি দিল্লি না করে বছরে তিন মাস আইপিএল খেললে টাকা নিয়ে ভাবতে হবে না। তা হলে ক্রিকেট ক্যাম্পে ছেলেকে নিয়ে আসা বাবা- মায়ের প্রশ্ন কি কঠিন ছিল। ছেলের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে এখন জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট খেলার দরকার নেই। আইপিএল খেল, ব্যাঙ্ক ব্যালান্স বাড়িয়ে নাও। এটাই তো স্লোগান হয়ে গিয়েছে। তাই আইপিএলে নিয়ে পড়ে থাকাই তো ভাল।
আইপিএল ফাইনালের আগে ভারতীয় সেনাকে সংবর্ধনা দেবে বোর্ড

এ এক দারুন সিদ্ধান্ত নিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এবার আইপিএল ফাইনালে সমাপ্তি অনুষ্টানকে অন্য মাত্রা দিতে চলেছেন ক্রিকেট কর্তারা। যা তাঁদের ভাবনাকে আলাদা মর্যাদা দেওয়া উচিত। শোনা গিয়েছে, ফাইনালের আগে ৪৫ মিনিটের অনুষ্টানে ভারতীয় সেনাদের কীর্তিকে সন্মান জানাতে এক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবার অনুষ্ঠানে লারে লাপ্পা গান বা নাচ হবে না। সেনাদের কীর্তিকে তুলে ধরা হবে উপস্থিত দর্শকদের সামনে। কয়েকজন সেনা কর্তাকে আমন্ত্রন জানানো হয়েছে। তাঁদের সামনে সেনাদের উদ্দেশ্যে গানও শোনা যাবে। এখানেই শেষ নয়, আরও কিছু পরিকল্পনা আছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের। আগামি ৩ জুন আইপিএল ফাইনাল। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে সেই ফাইনালের আগে অনেকেই আমন্ত্রিত। হেভিওয়েট রাজনৈতিক কর্তারাও থাকবেন। তাঁদের সঙ্গে বিশেষ আসনে থাকবেন সেনা কর্তারা। সকলের সামনে এই অনুষ্ঠানের ভাবনা। অপারেশন সিঁন্দুরের কথা সকলের মনে আছে। সেই অপারেশনে ভারতীয় সেনাদের উল্লেখষোগ্য কার্মকান্ডে পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছিল প্রতিপক্ষ। তাঁদের কীর্তিকে সকলের সামনে আবার নিয়ে আসার পরিকল্পনা। জায়ান্ট স্ত্রিনে তাঁদের কর্মকান্ডের ছবি দেখানো হওয়ার কথা। ভারতীয় সেনাদের এই জয় কোনও কিছুর সঙ্গে তুলনা করা যায় না। বর্ডারের সেনাদের কথাও আলাদা করে বলতে হচ্ছে। সেখানে দাঁড়িয়ে দেশবাসীকে একটা কথাই শোনান, ভারত ঘুমিয়ে পড়। আমর আছি। তোমাদের দুশ্চিন্তার কারন নেই। দিনের পর দিন, বছরের পর বছর সেনারা বর্ডারে দাঁড়িয়ে ভারতবাসীকে সাহস জুগিয়ে এসেছেন। ভবিষ্যতেও আসবেন। তাই তাঁদের কীর্তি কোনও কিছুর সঙ্গে তুলনায় আসে না। আইপিএল ফাইনাল দেখতে ক্রিকেট বিশ্ব টিভির পর্দায় চোখ রাখবে। তাঁদের সকলের সামনে বোর্ড এমন কিছু করার ভাবনা ভেবে রেখেছে। আরও আছে। নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে একটি স্ট্যান্ড সেনাদের নামে করার ভাবনা রয়েছে বোর্ডের। ইতিমধ্যে সেই স্ট্যান্ডের বাস্তব রুপ দিতে কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই আইপিএল ফাইনালের আগে এমন অনুষ্ঠান দেশবাসীর কাছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ভাবনাকে আলাদা মর্যাদা দেবে।
শুরুতে বুমরাকে নেতৃত্বে দেখতে চেয়েছিলেন মঞ্জেরেকর

ইংল্যান্ড সফরে অধিনায়কের লড়াইয়ে দুজন ক্রিকেটারের নাম ভেসে উঠেছিল। একজন শুভমান গিল। আর একজন জসপ্রীত বুমরা। কিন্তু শেষপর্যন্ত বাজি জিতে গেলেন গিল। ভারতীয় দলের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর ও নির্বাচকদের ভোট পেয়ে গিল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের পাঁচ টেস্ট সিরিজে অধিনায়ক হয়ে গেলেন। সাদা বলের ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স থাকলেও টেস্টে তাঁকে সেভাবে দেখতে পাওয়া যায়নি। বিশেষ করে বিদেশের মাঠে ব্যাটসম্যান গিল ফ্লপ বলা যেতে পারে। না হলে বিদেশে ভারতের শেষ টেস্ট সিরিজে কেন প্রথম একাদশের বাইরে থাকবেন গিল। সেদিনও তো কোচের চেয়ারে ছিলেন গম্ভীর। সেদিন পছন্দ না হলে এখন কীভাবে গিল তাঁর ডায়েরিতে প্রথমেই উঠে এলেন। ভারতীয় কোচ ও নির্বাচকদের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না প্রাক্তন ক্রিকেটার সঞ্জয় মঞ্জেরেকর। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইদানীং তিনি বিতর্ক তুলে দিতে পারেন। তাঁর মতের সঙ্গে অনেকেই কথার মিল খুঁজে পান না। তবে এক্ষেত্রে যুক্তি দিয়ে তিনি অধিনায়ক নির্বাচনের ব্যাপারটি বোঝাতে চেয়েছেন। তাঁর মতে রোহিত ও বিরাট দলে না থাকায় চাপ পড়বে। সিরিজ খুবই চ্যালেঞ্জিং হবে। এই ধরনের সিরিজ কেন একজন নতুন অধিনায়ক বেছে নেওয়া হবে। বিদেশের মাঠে ব্যাটিংয়ে ঠিকভাবে ক্লিক করতে পারছে না গিল। তার উপর অধিনায়কের বোঝা কাঁধে চাপিয়ে কোনঠালা করে দেওয়া হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে রোহিতের ডেপুটি ছিল বুমরা। প্রথম টেস্টে রোহিত না থাকায় বুমরা দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিল। ভারতীয় দল জিতেওছিল। আবার সিডনি টেস্টে রোহিত সরে দাঁড়ানোয় বুমরা ফের দলকে নেতৃত্ব দেয়। সেই টেস্টের তৃতীয় দিন পিঠে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যায় বুমরা। তারপর আর তাঁকে জাতীয় দলরে জার্সিতে খেলতে দেখা যায়নি। অনেকদিন বেঙ্গালুরুতে রিহ্যাব করর পর মাঠে ফিরে আসে। আইপিএলের শুরুতেও বুমরাকে খেলতে দেখা যায়নি। তারপর ফিরে এসে বুমরা চমক দিয়েছে। এই পারফরম্যান্স ইংল্যান্ডে ধরে রাখতে পারলে বুমরা দলকে ভাল জায়গায় নিয়ে যেতে পারবে। তাই বুমরা ছাড়া অন্য কাউকে অঝিনায়ক হিসেবে চোখে পড়েনি। এখানেই থেমে যাননি সঞ্জয়। বলছেন, শুনছি বুমরা নাকি পুরো সিরিজ খেলবে না। বোর্ডকে জানিয়েও দিয়েছে। সম্ভবত তিন বা চারটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে। তা হলেও অসুবিধা কোথায়! প্রথম দুটি টেস্টের জন্য বুমরাকে অধিনায়ক করা যেতে পারত। ওর ডেপুটি থাকত গিল। বুমরা সরে গেলে গিল দলকে নেতৃত্ব দিত। অস্ট্রেলিয়ার মতো এক হেভিওয়েট দলের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে বুমরার। আসন্ন সিরিজে দল নিয়ে ঠিকই চলতে পারত। কিন্তু তাকে অধিনায়ক করা হল না। কেন! এই প্রশ্ন অনেকের। নির্বাচকরা বলছেন, তাঁরা পার্টটাইম অধিনায়ক রাখতে চান নি। বুমরা ফিট হলে হয়তো তাঁকে অধিনায়ক করা হত। কিন্তু দুটি বা তিন টেস্টর জন্য একজনকে অধিনায়ক করে পরে আবার নতু একজনের কাঁধে দায়িত্ব দিতে রাজি ছিলন না তাঁরা। তাই বুমরাকে সরিয়ে নির্বাচকরা গলকে বেছে নেন। সঞ্জয় বলছেন, এমনটা না করার কোনও মান নেই। একজন অদিনায়ক দুটি টেস্টর পর চোট পেয়ে বাইরে গেলে কি হত। অধিনায়কের কাজে গিলের থেকে বুমরা অনেকটা এগিয়ে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কটিন সিরিজে একজন আনকোরা অধিনায়ককে এনে হিতে বিপরীত হতে পারে। এটা কবে বোঝা যাবে।
ইংল্যান্ড সফরে চারে ঋষভকে চান শেহবাগ, নায়ারে ভোট গাভাসকরের

ভারতীয় ক্রিকেটে গত ৩০ বছর ধরে যে জায়গাটি দুই ক্রিকেটার ধরে রেখেছিলেন, তাঁদের অনুপস্থিতিতে তা সামাল দেওয়া হবে কীভাবে! তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। বিতর্ক আছে। যুক্তি ও পাল্টা যুক্তির খেলায় অনেকের নাম সামনে আসছে। এখন দেখার ব্যাপার এটাই যে গুরু গম্ভীরের চাল কী হয়! কোন ক্রিকেটারকে তিনি সেই শূন্যস্থান ভরাট করেন। হ্যাঁ, শচীন তেন্ডুলকর ও বিরাট কোহলি এতদিন টেস্ট ক্রিকেটে চার নম্বর জায়গাটি ধরে রেখেছিলেন। শচীনের পর বিরাট। কিন্তু এবার কে! ভারতীয় ক্রিকেটে এ নিয়ে অনেকের নাম সামনে আসছে। কে এল রাহুল, শুভমান গিল, করুন নায়ার, এমন অনেক ক্রিকেটারকে নিয়ে আলোচনা চলছে। তা হলে কে দায়িত্ব নেবেন। চার নম্বর জায়গাটি টেস্ট ক্রিকেটে দলের সেরা ক্রিকেটারকে নিয়ে আসা হয়। না হলে শচীন ও বিরাটকে এখানে কাজে লাগানো হত না। তা হলে এবার কে! ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার বীরেন্দ্র শেহবাগকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমার পছন্দ ঋষভ পন্থ। প্রথমত বাঁহাতি ক্রিকেটার। অভিজ্ঞতার দিক থেকে বিচার করলে পিছিয়ে রাখা যাবে না। অনেক কঠিন ম্যাচ সামলে দলকে জিতিয়ে নিয়ে এসেছে। তাই আমার মনে হয় চার নম্বর জায়গাটি ঋষভের জন্য ছেড়ে রাখা উচিত। শেহবাগের সঙ্গে এ ব্যাপারে একমত হতে পারছেন না প্রাক্তন অধিনায়ক সুনীল গাভাসকর। তিনি বলছেন, আমার তো মনে হয় করুন নায়ারকে এই জায়গায় কাজে লাগানো উচিত। আট বছর পর জাতীয় দলে ফিরে এসেছে। এই লেভেলের ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। কাউন্টি ক্রিকেটে একসময় দাপটের সঙ্গে খেলেছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে বিদর্ভের হয়েও ওকে চার নম্বরে খেলতে দেখা গিয়েছে। এর কাছে এই জায়গাটি নতুন বলে মনে হবে না। আসলে ওপেনিং ও মিডলঅর্ডারের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করার দায়িত্ব চার নম্বরে খেলতে নামা ক্রিকেটারের। তাই নায়ারের বদলে অন্য কারোর নাম মনে পড়ছে না। একসময় নির্বাচকরা চার নম্বরে শুভমান গিলকে নামানোর কথা ভেবেছিলেন। সেই ভাবনা অবশ্য চূড়ান্ত নয়। তবে নাম যখন একবার এসেছে, তখন আলাচনা হয়েছে। এই ভাবনার বিরুদ্ধে কথা বলছেন গাভাসকর। তিনি বলেছেন, শুভমানকে চারে নিয়ে আসা মানে দুটি উইকেট চলে গেল। শুভমান ওপেন করে। ওপেনে জায়গা না হলে বড় জোর তিন নম্বরে নিয়ে আসা যেতে পারে। কখনও চার নম্বরে নয়। তিন নম্বরে নামানোর পিছনে যুক্তি আছে। একজন ওপেনার ইনিংসের শুরুতে খেলতে নামা মানে সে গিয়ে নতুন বল খেলে। শুরুতে উইকেট পড়ে গেলে তিনে গিয়ে নতুন বল সামালানোর কাজটি করতে পারে। কিনতু চার গেলে সেটা সম্ভব হয় না। তাই শুভমান দলের প্রয়োজনে তিনে খেলতে পারে। কখনই চারে নয়। গাভাসকরের পছন্দের ব্যাটিং অর্ডার হল এমন – যশস্বী জয়সওয়াল, কে এলে রাহুল, শুভমান গিল, করুন নায়ার, ঋষভ পন্থ। প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানকে এভাবে রেখে তারপর বাকিদের নিয়ে আসার কথা ভাবা যেতে পারে।
হার দিয়েই এবারের আইপিএল অভিযান শেষ হল কলকাতা নাইট রাইডার্সের

শেষ ম্যাচেও হার। শুধু হার নয়, রীতিমত বিধ্বস্ত হয়েই এবারের মত আইপিএল অভিযান শেষ করল কলকাতা নাইট রাইডার্স। গতবারের চ্যাম্পিয়নরা এবারের মরসুমটা ভুলতে চাইবে। রবিবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে ১১০ রানে হারল ককেকেআর। অভিষেক-হেড-ক্লাসেনদের ব্যাটিং ঝড়ের সামনে রাতিমত নাস্তাবুদ নাইট বোলাররা। প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ২৭৮ রানের বিশাল ইনিংস খাড়া করে কেকেআরকে তখনই ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে দেয় সানরাইজার্স। শুরু থেকেই তাণ্ডব। অভিষেক শর্মা করলেন ১৬ বলে ৩২। হেড ৪০ বলে ৭৬। তবে কোটলা মাতিয়ে দিলেন হেনরিচ ক্লাসেন। দক্ষিণ আফ্রিকানের ব্যাটে যেন সাইক্লোন। ৩৭ বলে শতরান করে গড়লেন নজির। আইপিএলের যুগ্মভাবে তৃতীয় দ্রুততম শতরান। তাঁর আগে আছেন ক্রিস গেইল। ৩০ বলে শতরান করেছিলেন তিনি। আর এবারই ৩৫ বলে শতরান করে দ্বিতীয় স্থানে আছেন ১৪ বছরের কিশোর বৈভব সূর্যবংশী। ক্লাসেনেরহ মতই ৩৭ বলে শতরান করেছিলেন ইউসুফ পাঠান। ২০১০ সালে। এমন ইনিংস খেলার পর ক্লাসেন জানান, দলের হতাশাজনক মরসুমের শেষে কিছুটা খুশি এল। সানরাইজার্সের ২৭৮ রান আইপিএলের তৃতীয় সর্বোচ্চ টিম স্কোর। তারপর কেকেআরের আর কীই বা করার ছিল। রানের চাপে ভেঙে পড়ে ১৮.৪ ওভারে ১৬৮ রানে শেষ হল নাইটদের ইনিংস। হতাশাজনক মরহসুমের পর হয়ত কেকেআর ম্যানেজমেন্ট বুঝছে শ্রেয়স আইয়ার, ফিল সল্টদের ছেড়ে দেওয়া কত বড় ভুল ছিল।