লড়াকু শ্রীভূমিকে হারিয়ে কন্যাশ্রী কাপে চ্যাম্পিয়ন, দ্বিমুকুট ইস্টবেঙ্গলের

পুরুষদের ফুটবলে যতই ব্যর্থতা আসুক, মহিলাদের ফুটবলে তরতর করে এগোচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। মঙ্গলবার লড়াকু শ্রীভূমি এফসি-কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল কন্যাশ্রী কাপে। আইডব্লুএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর কন্যাশ্রী কাপের খেতাব জিতে দ্বিমুকুট ইস্টবেঙ্গলের। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর নির্ধারিত সময়ে খেলার ফল থাকে ১-১। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল করেন সুরঞ্জনা রাউল। শ্রীভূমির গোলদাতা রিমপা হালদার। তারপর টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে ম্যাচ জেতে লালহলুদ। দ্বিতীয়ার্ধে প্রবলভাবে খেলায় ফিরলেও সুযোগ নষ্ট করে হারতে হল শ্রীভূমিকে। ম্যচের পর যেমন আবেগে উচ্ছ্বাসে ভাসল লালহলুদ, তেমনি একটা হারেই ভেঙে পড়তে চায় না শ্রীভূমি। কর্তা রাকেশ ঝা জানিয়ে দিলেন, পরের দিন থেকেই তাঁরা শুরু করে দেবেন পরের মরসুমের প্রস্তুতি। দলকে আরও শক্তিশালী করতে তাঁরা কোমর বেঁধে নামবেন। মঙ্গলবার কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে ফাইনালের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মন্ত্রী সুজিত বসু, সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় ও সচিব অনির্বাণ দত্তসহ আইএফএর পদাধিকারীরা। ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস।
মুম্বই আটকে রইল চারে, ১১ বছর পর ফের শীর্যে পাঞ্জাব

মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ৭ উইকেটে ১৮৪ ( ২০ ওভার) পাঞ্জাব কিংস: ৩ উইকেটে ১৮৭ (১৮.৩ ওভার) আইপিএলে কি এবার নতুন ইতিহাস লিখবে পাঞ্জাব কিংস! ১১ বছর আগের হতাশার রাত মুছে ফেলে ৩ জুন আমেদাবাদের মাঠে উৎসবে মেতে উঠবেন শ্রেয়স আইয়াররা! মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে সাত উইকেটে হারিয়ে আইপিএলে আপাতত এক নম্বর দল হিসেবে নিজেদের জায়গা করে নিল! আপাতত কথাটি লিখতে হচ্ছে অন্য এক কারনে। মঙ্গলবার লখনউয়ের বিরুদ্ধে খেলবে আরসিবি। সেই ম্যাচে তারা জিতলে ১৯ পয়েন্টে গিয়ে দাঁড়াবে। তখন দেখা হবে নেট রান রেটে করা এগিয়ে! পাঞ্জাব নাকি আরসিবি। তবে একটা ব্যাপার শ্রেয়সরা নিশ্চিত করে ফেলেছেন যে তাঁরা এক বা দুনম্বরে থাকবেন। তাই ফাইনাল খেলার আগে তারা নতুন করে সুযোগ পেয়ে যাবেন। কোয়ালিফায়ারে হারলেও ফাইনালে যাওয়ার জন্য তারা এলিমিনেটরের এক দলের বিরুদ্ধে খেলবে। তাই আপাতত অ্যাডভান্টেজ পাঞ্জাব লিখে দেওয়া যায়। আগের ম্যাচ দিল্লির কাছে হারের পর মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে কিছুটা হলেও চাপে ছিল পাঞ্জাব। তার উপর চোটের কারনে চাহালকে তাদের এই ম্যাচে পাওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু যাঁরা ছিলেন, তাঁরা মুম্বইকে মাথা তুলতে দেননি। বড় স্ট্রোক খেলার জন্য আদর্শ উইকেট পান নি রোহিতরা। তাই ঝড়ের গতিতে রান তুলতে গিয়ে উইকেট হারিয়ে তারা চাপে পড়ে যান। তবে এবারের টুর্নামেন্ট মুম্বইকে একাই টানছেন সূর্যকুমার যাদব। তাঁর ৫৭ রানের ইনিংস ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে দিল। তিনি ১৫ বছর আগে শচীনর গড়া রেকর্ড ভেঙ্গে দিলেন। সেবার শচীন ৬১৮ রান করেছিলেন। ২০২৩ আইপিএলে সূর্য করেছিলেন ৬০৫ রান। আর এবার এখনই পৌঁছে গিয়েছেন ৬৪০ রানে। তাঁর আশেপাশে মুম্বইয়ের কেউ নেই। তাঁর ব্যাটিং দাপটে মুম্বই তোলে ১৮৪ রান। তবে দুশো পার করা উচিত ছিল। নিজেদের ইনিংস শেষ হওয়ার পর সূর্য বলছিলেন, আমরা ১৫ থেকে ২০ রান কম করেছি। আশা করি ১৮৪ রান নিয়ে ম্যাচ বের করে নিতে পারব। পারেননি সূর্যরা। না পারার পিছনে কারনও আছে। ওপেনার প্রিয়ঙ্ক আর্য ও ইনলিশের ব্যাটের দাপটে মুম্বই শুরু থেকে পিছু হটতে থাকে। একটা সময়ও মনে হয়নি এই ম্যাচ মুম্বই জিততে পারে। প্রিয়ঙ্ক করেন ৩৫ বলে ৬২। ইনলিশ ৪২ বলে ৭৩। তার উপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ওঠে ১০৯ রান। বুমরা ( ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ১ উইকেট) ছাড়া কোনও বোলার নজর কাড়তে পারেননি। পারেননি বলে মুম্বই ম্যাচ থেকে হারিয়ে যায়। ইনিংসের ৯ বল বাকি থাকতে পাঞ্জাব সাত উইকেটে ম্যাচ জিতে যায়। খেলার শেষে কোচ রিকি পন্টিং বলছিলেন, আমরা দশ সপ্তাহ ভাল ক্রিকেট খেলেছি। আর একট সপ্তাহ ভালভাবে কাটাতে চাই। তা হলে লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব। এটা ঘটনা যে লক্ষ্যে পৌঁছতে গেলে তাদের ট্রফি জিততে হবে। ২০১৪ আইপিএলে ফাইনালে ঋদ্ধিমানের ১১৫ রানের উপর ভর করে পাঞ্জাব করেছিল ১৯৯ রান। কিন্তু এই সেঞ্চুরি কাজে দেয় না। মণীষ পান্ডের দারুন ইনিংস কেকেআরকে ট্রফি এনে দেয়। পাঞ্জাব সেই দিনটার কথা ভোলেনি। এবার নতুন ইতিহাস তারা লিখতে চায়। তার জন্য দুটো বা তিনটি ম্যাচে বাল ক্রিকেট খেলতে হবে। পারবে তো পাঞ্জাব!