মলিনাকে নিয়ে শীঘ্রই বসছে মোহনবাগান

মলিনার সঙ্গে শীঘ্রই আলোচনায় বসতে চলেছে মোহনবাগান।
চিরাগ-সাত্ত্বিকসাইরাজরা লড়েও ব্যর্থ

লড়েও শেষ রক্ষা হল না সাত্ত্বিকসাইরাজ-চিরাগদের।
সাত্ত্বিকসাইরাজ-চিরাগ জুটি ব্যর্থ

সাত্ত্বিকসাইরাজ-চিরাগ জুটি সিঙ্গাপুর ওপেনে ফাইনালে উঠতে ব্যার্থ।
জুন থেকে টেস্ট ও ওয়ান ডে ক্রিকেটের নিয়মে বদল আনছে আইসিসি

প্রতিবার এমনই হয়। এবারও হবে। আগামি জুলাইয়ে আইসিসি-র সভায় ক্রিকেটের নানা নিয়মে সিলমোহর পড়বে। তবে সিলমোহর পড়ার আগে টেস্ট ও ওয়ান ডে ক্রিকেটে নতুন নিয়মগুলি চালু হয়ে যাবে। জুনে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মধ্যে টেস্ট সিরিজে নতুন নিয়মে খেলা হবে। জুলাইয়ে ওয়ান ডে ক্রিকেটে চালু হবে নতুন নিয়ম। প্রথমে দেখে নেওয়া যাক টেস্টে নতুন নিয়ম কি আসতে চলেছে। আইসিসি টেকনিকল কমিটি দেখেছে কনকাসন সাব নিয়মে অনেক দল বাড়তি সুবিধা নিয়ে যাচ্ছে। হয়তো কোনও বোলার আহত হল। সেই দল আহত বোলারের বদলে একজন ব্যাটসম্যানকে মাঠে নামিয়ে দিল। আবার স্পিনারের বদলে পেসারকে নিয়ে এসে প্রতিপক্ষের উপর চাপ তৈরি করার চেষ্টা করল। এমন সুবিধা আগে অনেক দল নিয়েছে। এবার থেকে তা হবে না। টেস্ট শুরুর আগে একটি কাগজে কনকাসন সাব হিসেবে দলের পাঁচ ক্রিকেটারের নাম লিখে দিতে হবে। সেই কাগজে থাকবে একজন ব্যাটসম্যান, একজন পেসার, একজন স্পিনার, একজন অলরাউন্ডার ও একজন উইকেটরক্ষক। খেলা চলাকালীন কেউ আহত হলে তালিকায় থাকা ক্রিকেটারকেই মাঠে নামত হবে। এর বাইরে কাউকে নিয়ে আসা যাবে না। সুবিধা নিয়ে অনেকে আগে অনেক কিছু করেছে। এই নিয়মের বেড়াজালে পড়ে আর তা নেওয়া যাবে না। টেস্টের মতো ওয়ান ডে ক্রিকেটেও বদল আসছে। আইসিসি আগের সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবার থেকে ওওয়ান ডে ক্রিকেটে দুটি সাদা বলে খেলা হবে। দুই প্রান্ত থেকে সেই বল ব্যবহার করতে হবে। এই নিয়ম ওয়ান ডে ক্রিকেটে চালু হওয়ার পর অনেকে এই নিয়মের সমালোচনা করেন। তাঁদের যুক্তি ছিল এর ফলে বোলাররা রিভার্স সুইং করাতে পারবে না। কারন ৫০ ওভারের খেলায় একটি বলে হবে ২৫ ওভার। সেখানে রিভার্স সুইংয়ের প্রশ্নই আসে না। এই নিয়ম নিয়ে আইসিসিতে জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন,, এই নিয়মের বদল না হলে বোলারদের কাছে করার জন্য কিছু থাকবে না। আইসিসি সেই কথা মেনে নিচ্ছে। তবে দুটি বলের খেলার নিয়ম একেবারে বদলে যাচ্ছে না। ইনিংসের ৩৪ ওভার পর্যন্ত দুটি সাদা বলে খেলা হবে। এর ফলে একটি বলে ১৭ ওভার খেলা হবে। ৩৫ ওভার থেকে দুটির বদলে একটি বলে খেলা হবে। দুটির মধ্যে যে বলের পালিশ ভাল থাকবে তা কাজে লাগানো হবে। এর অর্থ বাকি ১৬ ওভার একটি বলে খেলা হবে। কোনও কারনে ৫০ ওভার খেলা না হলে কি করা হবে! সেটা নিয়েও আইসিসি ভেবে রেখেছে। ২৫ ওভার বা তার কম ওভারে কোনও ম্যাচ হলে তখন একটি বলে খেলা হবে। এর বাইরে কিছু নয়।
ইংল্যান্ডে খেললেন দ্বিশতরানের ইনিংস, দুরন্ত ফর্ম অব্যাহত করুণ নায়ারের

দুরন্ত করুণ নায়ার। ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে প্রথম বেসরকারি টেস্টে দ্বিশতরান করলেন। ২০৪ রান করে আউট হন তিনি। ভারতের স্কোর ৫০০ ছাড়িয়ে গেল। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে রেকর্ড চারবার ২০০-র বেশি রান করলেন তিনি। সাত বছর পর টেস্ট দলে প্রত্যাবর্তন ঘটেছে। ইংল্যান্ডে প্রথম টেস্ট শুরু হওয়ার আগে তাঁর এই দ্বিশতরান স্বস্তি দিল টিম ইন্ডিয়াকে। ২৮১ বলে ২০৪ রান করার পথে মেরেছেন ২৬টি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কা। শেষ যে তিনবার ২০০-র বেশি রান করেছেন, তার মধ্যে দুবারই ছিলেন অপরাজিত। ইংল্যান্ডের মাটিতে এই নিয়ে দুবার ২০০-র বেশি রানের ইিনংস খেললেন। ২০২৪-এ নটিংহ্যামের হয়ে গ্ল্যামারগনের বিরুদ্ধে করেছিলেন অপরাজিত ২০২ রান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাঁর সর্বোচ্চ রান ৩২৮। ২০১৫-১৬ মরসুমে কর্ণাটকের হয়ে তামিলনাড়ুর হয়ে এই রান করেছিলেন তিনি। করুণ হলেন বীরেন্দ্র সেওয়াগের পর দ্বিতীয় ভারতীয় যিনি টেস্টে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছেন। টেস্ট দলে প্রত্যাবর্তনের আশা ছাড়েননি। ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্তভাবে পারফরম্যান্স করে গিয়েছেন। প্রকাশ্যেই বলেছেন, প্রিয় ক্রিকেট, আর একটা সুযোগ দাও। সেই সুযোগ তিনি পেয়েছেন সাত বছর পর। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট শুরু হবে ২০ জুন। এবার প্রথম দলে সুযোগ পাওয়ার অপেক্ষায়। তার আগে দাবি আরও জোরালো করে তুললেন করুণ।
মুম্বইয়ের স্বর্ণযুগের অন্যতম সেরা পেসার আব্দুল ইসমাইল প্রয়াত

মারা গেলেন মুম্বইয়ের স্বর্ণযুগের পেস বোলার আব্দুল ইসমাইল। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন মুম্বইয়ের টানা পনেরোবার রঞ্জি জয়ী দলের সদস্য। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তিনি ২৪৪টি উইকেট নিয়েছেন। তাঁকে স্যুইং বোলিংয়ের রাজা বলা হত। তাঁর জন্ম ১৯৪৫ সালে। বাবা ছিলেন ট্যাক্সি ড্রাইভার। ২৪৪টি উইকেট নিতে খেলেছিলেন ৭৫টি প্রথম শ্রণির ম্যাচ। তাঁর বোলিং গড় ১৮.০৪। এটা দুর্ভাগ্য যে, ভারতীয় দলের হয়ে তাঁর খেলার সুযোগ হয়নি। তাঁর ছেলে আসিফ দেশের হয়ে ডেভিস কাপে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক দিলীপ বেঙ্গসরকর বলেন, মুম্বই ক্রিকেটে তাঁর অবদান বিস্ময়কর। ১৯৮৩-র বিশ্বজয়ী মুম্বইয়ের আর এক প্রাক্তন তারকা সন্দীপ পাতিল শোক জানিয়ে বলেছেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে মুম্বই ক্রিকেটের তিন তারকা মিলিন্দ রেগে, পদ্মকর শিভলকর ও আব্দুল ইসমাইল মারা গেলেন। রেগে মারা যান ফেব্রুয়ারির ১৯ তারিখে, শিভলকর মার্চের তিন তারিখে আর এবার চলে গেলেন ইসমাইল। পাতিল আরও জানান, মুম্বইয়ের এই তিন মহারথীর খেলার সময়ই তিনি খেলা শুরু করেন। তাঁর বিশ্বাস, বব ম্যাসি, জেমি অ্যান্ডারসন, মনোজ প্রভাকর, বলবিন্দর সিং সান্ধুদের চেয়েও ভাল স্যুইং করাতে পারতেন আব্দুল ইসমাইল। আর এক প্রাক্তন তারকা ব্রিজেশ প্যাটেল জানান, অবশ্যই ভারতের হয়ে খেলা উচিত ছিল ইসমাইলের। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ মুম্বই ক্রিকেট মহল।
ম্যাচ হারতেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল আশিস নেহরার ছেলে আরুষ

বয়স বেশি নয়। শুক্রবার নিউ চন্ডীগড়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে গুজরাট টাইটান্সের খেলা দেখতে সে মাঠে এসেছিল। কিন্তু গুজরাট হারতেই ভিআইপি গ্যালারির চেয়ারে বসে থাকতে পারল না আরুষ নেহরা। চলে এল রেলিংয়ের ধারে। চোখ জল। কান্নায় ভেঙ্গে পড়া ছেলেটির সঙ্গে আরও অনেককে কাঁদতে দেখা গেল। দেখে মনে হল, গুজরাট শিবির কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছে। মুম্বই ইন্ডিয়ন্সের কাছে ২০ রানে হেরে আইপিএল থেকে গুজরাট টাইটান্সের বিদায় নেওয়ার মুহুর্তকে কেউ মেনে নিতে পারছেন না। কী করে মানবেন! যারা গ্রপ লিগে দুর্দান্ত খেলে সবর আগে প্লে অফে ঢুকে পড়েছিল, তারা এভাবে কেন ভেঙ্গে পড়বে। যাদের গ্রুপে একনম্বরে থেকে শেষ করার কথা, তারা কিনা তিন নম্বরে দাঁড়িয়ে প্লে অফে এল। এটা বিশ্বাস করা যায়! তারপর টানা তিন ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়। খেলা শেষে ক্যামেরা ধরেছিল দলের হেড কোচ আশিস নেহরার ছেলেকে। বারবার তাকে চোখ মুছতে দেখা গেল। মুখে অসহায়তার ছবি। এ কোন গুজরাট! যারা লিগে প্রথম ম্যাচ হেরেও দারুনভাবে ফিরে এসে সবাইকে চমকে দিয়েছিল। তারা কেন এভাবে বিদায় নেবে। এট মেনে নেওয়া যায় না। তবে বাস্তবকে তো মানতেই হবে। যে রোহিত শর্মা ৮১ রানে আউট হলেন, তিনি ইনিংসের শুরুতে ক্যাচ তুলেও জীবন পান। তিন ওভারের মধ্যে ঘটনাটি ঘটে। ডিপ ফাইনলেগে কোয়েতজার রোহিতের সহজ ক্যাচ ফেলে দেন। এখানেই শেষ নয়, এরপর উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিসও একবার রোহিতের ক্যাচ হাতছড়া করেন। রোহিতের মতো ব্যাটসম্যানের ক্যাচ দুবার ফেলার খেসারত তো দিতে হবে। কুশল আরও একবার ক্যাচ ফেললেন। কোয়েতজারের বোলিংয়ে সুর্যকুমার যাদবের ক্যাচ ফেলে দেন কুশল। এমন দুর্বল ফিল্ডিং হলে কোনও দল ম্যাচ জিততে পারে। তাই গুজরাটও জেতেনি। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া এসব দেখে হাসতে পারেন। ম্যাচ জিতে হাসছিলেনও। তবে গুজরাটের ব্যর্থতা হয়তো তাঁকে বেশি আনন্দ দিয়েছে। চারবছর আগে আইপিএলে প্রথমবার খেলতে দেখা যায় গুজরাট টাইটান্সকে। দলে বড় চমক ছিল অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াকে দায়িত্ব দিয়ে। ছিলেন মহম্মদ শামিও। কোচ করে নিয়ে আসা হয় আশিস নেহরাকে। শুরুতেই সবাইকে অবাক করে চ্যাম্পিয়ন হয় গুজরাট। দ্বিতীয় বছর ধোনিদের কাছে হেরে রানার্স। হার্দিক নিজে পারফরম্যান্স করেছেন। দল নিয়ে ছুটেছেন। দুবছর বোলিংয়ের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন শামি। তঁর দাপুটে বোলিংয়ের কাছে ব্যাটসম্যানরা মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি। কিন্তু তারপর! তৃতীয় বছর (২০২৪) দল ভেঙ্গে গেল। হার্দিক অধিনায়ক হয়ে চলে এলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে। সেখানে কিছু করতে না পারলেন না। গুজরাটের অবস্থাও একইরকম। তারা লিগ টেবিলে আট নম্বরে শেষ করল। এবার (২০২৫) কিছুটা ভাল পারফরম্যান্স করতে দেখা গেল। কিন্তু চার নম্বরে শেষ করল আশিস নেহরার দল। এর উত্তরে কি বলবেন আশিস। এটা তো অবিশ্বাস্য ছাড়া আর কিছু হতে পারে না। যাঁরা তাদের সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ধরে এগিয়েছিলেন, তাঁরা দেখলেন মুম্বইয়ের কাছে হেরে অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে গুজরাট ক্রিকেটাররা। একটা ঘটনার কথা বলতে হবে। জাতীয় দলে খেলার জন্য তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা জোস বাটলারের সার্ভিস গুজরাট পায়নি। এটা তাদের বড় ধাক্কা দিয়েছে। কিন্তু বাকিরা কি করলেন! উত্তর নেই। তই চোখের জলে মাঠ ভাসিয়ে রাতে সবাই স্টেডিয়াম ছাড়লেন।
ফিফার তদন্তের মুখে আনচেলেত্তি

ব্রাজিলের নতুন কোচ ইতালিয়ান আনচেলেত্তির সঙ্গে মধ্যস্থতাকারী দিয়োগো ফার্নান্দেজ।
চূড়ান্ত সময়ে ছন্দ হারিয়ে বিদায়, ঘুরিয়ে মেনে নিলেন শুভমন গিল

দারুণভাবে শুরু করা। দুর্দান্তভাবে এগিয়ে যাওয়া। বেশ কিছুদিন টেবিলের শীর্যেও থাকা, তারপর এভাবে বিদায় নিতে হওয়ায় দৃশ্যতই হতাশ শুভমন গিল। চূড়ান্ত সময়ে ছন্দ হারাল গুজরাট টাইটানস। প্লে অফ নিশ্চিত করার পর হারের হ্যাটট্রিক। গোটা টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়নের মত খেলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়েই ছন্দপতন। তাই বিদায় নিতে হল, ঘুরিয়ে মেনে নিলেন গুজরাট অধিনায়ক শুভমন গিল। এলিমিনেটরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে ২০ রানে হেরে স্বপ্নভঙ্গ গিলদের। ম্যাচের পর হতাশ অধিনায়ক বলেন, “দারুণ ক্রিকেট। শেষ তিন চার ওভার আমাদের জন্য ভাল গেল না, তবু দারুণ ম্যাচ।“ এদিন শুরুতেই রোহিত শর্মার দুটি ক্যাচ ফেলেন টাইটানস ফিল্ডাররা। সেই রোহিত ব্যাটে বিক্রম দেখালেন। গিল জানান, “অবশ্যই এভাবে ক্যাচ ফেললে বোলারদের পক্ষে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন হয়ে যায়।“ তিনি ও কুশল মেন্ডিস আউট হওয়ার পর হাল ধরেছিলেন সাই সুদর্শন ও ওয়াশিংটন সুন্দর। সে প্রসঙ্গে শুভমন বলেন, “ওদের জন্য বার্তাটা ছিল খুব সহজ। যেভাবে খেলতে চাও সেভাবে খেলো ও দলকে জেতাও।“ তবে মেনে নিলেন, পরের দিকে শিশির পড়ায় তাঁদের কিছুটা সুবিধা হয়েছিল। তারপরই চূড়ান্ত হতাশায় বলেন, শেষ ২-৩টি ম্যাচ তাঁদের ভাল গেল না। অন্যদিকে এলিমিনেটর জিতে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে পঞ্জাবের সামনে মুম্বই। স্বভাবতই দারুণ খুশি অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া। শেষ তিন ওভারে ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। তাই সেই সময়েই আবার বুমরার হাতে বল তুলে দেন হার্দিক। সে প্রসঙ্গে ম্যাচের পর বলেন, “ব্যাপারটা খুব সহজ। তোমার হাতে যখন বুমরা আছে, তখন ম্যাচ বেরিয়ে যাচ্ছে দেখলেই ওকে নিয়ে এস। তাই ও মুম্বইয়ের হাউসিংয়ের মতই দামী।“ আইপিএলের হতাশা সরিয়ে এবার ইংল্যান্ডের চ্যালেঞ্জ ভারত অধিনায়ক শুভমন গিলের সামনে। কিছুটা ভাঙা মন নিয়েই ইংল্যান্ড যাচ্ছেন। আর হার্দিক-বুমরারা কী করবেন? সেটা রবিবার মুম্বইকর শ্রেয়স আইয়ারদের বিরুদ্ধে ম্যাচের পরই বোঝা যাবে।
দুটি দলের প্রস্তাব, মোহনবাগান ছাড়তে পারেন আসিক কুরুনিয়ান

আসিক কুরুনিয়ান কি মোহনবাগান ছাড়ছেন? না, এখনই কিছু বলার মত অবস্থায় আসেনি, তবে সম্ভাবনা একটা তৈরি হয়েছে। অন্তত দুটি ক্লাবের অফার আছে কেরালাইটের কাছে। কিন্তু মোহনবাগান থেকে নিতে গেলে বড় অঙ্কের ট্রান্সফার ফি দিতে হবে। তাছাড়া আসিক নিজে কী করবেন, সেটা এখনও পরিষ্কার নয়। আইএসএলের দুটি ক্লাব কেরালা ব্লাস্টার্স ও বেঙ্গালুরু এফসি চাইছে আসিককে। কিন্তু মোহনবাগানের সঙ্গে আরও এক বছরের চুক্তি আছে কুরুনিয়ানের। তাই তাঁর এজেন্ট সবুজ মেরুনের কাছে জানতে চেয়েছে কত টাকা ট্রান্সফার মানি পেলে তারা আসিককে ছাড়বে। মোহনবাগান অবশ্য এখনও কিছুই জানায়নি, তবে সবুজ মেরুনের অন্দরের খবর, তারা ৫ কোটি টাকা দাবি করতে পারে। বক্তব্য খুব পরিষ্কার, মেহতাব সিংয়ের জন্য যদি আড়াই-তিন কোটি টাকা ট্রান্সফার মানি দিতে হয়, তাহলে কেন আসিকের জন্য ট্রান্সফার মানি ৫ কোটি হবে না। তাছাড়া আরও একটা ব্যাপারও আছে, চোট আঘাত ও অস্ত্রাপচারের পর দীর্ঘদিন আসিককে বেতন দিয়ে গেছে মোহনবাগান, তাই তারা পাঁচ কোটি দর হাঁকতে পারে। তাছাড়া আসিক নিজে কী ভাবছেন, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে পারিবারিক কারণে নাকি তিনি এই মূহূর্তে তিনি কেরলের বাড়িতে ফিরতে চাইছেন, তাই কেরালা ব্লাস্টার্সে যেতে পারেন, আবার তাঁর পুরনো দল বেঙ্গালুরুতে যাওয়ার সম্ভাবনাও আছে। অন্যদিকে এ কথাও সত্যি, তিনি বারবার বলেছিলেন, শেষ দিন পর্যন্ত মোহনবাগানেই খেলতে চান। তাই কেরালা বা বেঙ্গালুরু মোহনবাগানের চাহিদামত ট্রান্সফার মানি দিতে রাজি হয় কিনা বা আসিক সত্যিই মোহনবাগান ছাড়তে রাজি কিনা, এর কোনওটাই এখনো স্পষ্ট নয়। তবে সম্ভাবনা যে একটা তৈরি হয়েছে, ঘটনা প্রবাহ সে কথাই বলছে।