কোর্টে দঁাড়িয়ে ফুটবলের মজা নিলেন জকোভিচ

এক অদ্ভুত পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হল নোভাক জকোভিচকে। একদিকে টেনিস খেলা চলছে। অথচ চিত্্কার ভেসে আসছে পিএসজির একের পর এক গোল করার মুহূর্তে। যেন মনে হচ্ছিল টেনিস স্বচক্ষে দেখলেও দর্শকদের মন যেন পড়েছিল সেই ফুটবলে। যেখানে ফ্রান্সের ফুটবলে ইতিহাস গড়ল পিএসজি। অন্যদিকে জকোভিচও একটা নতুন ইতিহাসের সাক্ষী থাকলেন। যেখানে ফিলিপ মিসোলিককে ৬-৩, ৬-৪ ও ৬-২ হারিয়ে পৌছে গেলেন ফরাসি ওপেনের চতুর্থ রাউন্ডে। টানা ১৬ বছর ফরাসি ওপেনে চতুর্থ রাউন্ডে পৌছে একটা অনন্য কীর্তি গড়লেন। জকোভিচ বনাম ফিলিপ ম্যাচ যখন চলছিল তখন গ্যালারিতে বসা দর্শকরা ক্রমাগত চিত্্কার করে যাচ্ছিলেন। সেই চিত্্কারের পেছনে একটাই কারণ ছিল, পিএসজির একের পর এক গোল। প্রতিটি গোল হলেই দর্শকরা ফেটে পড়ছিলেন। ফিলিপ চ্যাট্রিয়ার কোর্ট থেকে পিএসজি স্টেডিয়াম ছিল খুব কাছেই। সেখান থেকে ভেসে আসছিল আতসবাজির শব্দ। পিএসজি এই প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতায় সোল্লাসে ফেটে পড়ছিলেন ক্লাবের সমর্থকরা। যতই হোক ৫-০ গোলে জয়ের আনন্দে কে না ভেসে যেতে চায়। সংগঠকদের কাছে জকোভিচ নিজে অনুরোধ করেছিলেন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচের জন্য খেলার সময়টা পিছিয়ে দেওয়া হোক। যদিও সংগঠকরা মানেননি। খেলার মাঝে তারস্বরে চিত্্কার চললেও জকোভিচ খেলা চালিয়ে গিয়েছেন। “খুব মজা পাচ্ছিলাম। বুঝতে পারছিলাম দর্শকরা পিএসজির খেলাকে ভালমতো উপভোগ করছে। সেই সঙ্গে বুঝতেও পারছিলাম কখন গোল করছে ফরাসি দলটি। বারবার গোলের উত্্সবে মেতে উঠতে দেখে আমিও মজা পেয়েছি।” খেলার পর চ্যাট্রিয়ার স্ট্যান্ডে দঁাড়িয়ে দর্শকদের উদ্দেশ্যে কথাগুলো বলছিলেন জকোভিচ। খেলার পর তিনি শোনেন পিএসজি ৫-০ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ প্রথম ঘরে তুলেছে। রাতের খেলার মধ্যে যে আলাদা একটা আকর্ষণ থাকে তা বুঝিয়ে দিয়ে জকোভিচ বললেন, “দিনের সঙ্গে রাতের খেলায় একটা পার্থক্য ধরা পড়ে। রাতের খেলায় দর্শকরা একটু চিত্্কার করলেই তা স্পষ্ট ধরা পড়ে। তারউপর জোরে চেঁচালে তো কথাই নেই।” জকোভিচ জানতেন তঁার প্রতিপক্ষ বিশাল প্রভাব ফেলতে পারবে না। ক্রমতালিকায় যিনি আছেন ১৫৩ নম্বরে। এত নিম্নমানের ক্রমতালিকায় থাকা খেলোয়াড়ের কাছে কখনও হার মানেননি জকোভিচ। বিশেষ করে গ্র্যান্ড স্লামে। তাই খেলতে নামার আগেই অনেকটা স্বস্তিতে ছিলেন তিনি। তার উপর জেনেভা ওপেন জিতে শততম ট্রফি জয় পাওয়ায় এখন তিনি মনোবলের দিক দিয়ে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছেন। মেয়েদের টেনিসে পিছিয়ে পড়েও ম্যাচ জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌছে গেলেন ইগা সোয়াটেক। ফরাসি ওপেনে চ্যাম্পিয়ন একটা সময় টেনিস প্রেমীদের হৃদয়ে ঝড় তুলে দিয়েছিলেন। প্রথম সেট খুইয়ে বসেন মাত্র ১-৬। কিন্তু পরের দুটো সেটে ফিরে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ বের করে নিয়ে চলে যান। তিনি হারান ১-৬,৬-৩ ও ৭-৫ সেটে এলেনা রাইবাকিনাকে। ইগা সোয়াটেক ফরাসি ওপেনে টানা ২৫তম ম্যাচ জিতলেন। প্রথম সেটে রাইবাকিনা এতটা দাপটের সঙ্গে খেলেন যে মজার ছলে সোয়াটেককে বলতে শোনা যায় যেন সিনারের বিরুদ্ধে তঁাকে খেলতে হচ্ছে। “প্রথম সেটে সত্যি আমাকে বড় ধাক্কা দিয়েছিল। প্রথম সেটে খেলার মাঝে উপলব্ধি করতে পারছিলাম না, রাইবাকিনা না সিনার কার বিরুদ্ধে খেলছি। তারপর ভাবলাম আমাকে ফিরে আসতে গেলে কিছু একটা করতে হবে। একটা সময় ভাবছিলাম বোধহয় আর ফিরে আসতে পারব না। কিন্তু শেষমেশ খেলাটা ধরে এগোতে ম্যাচ বের করে নিতে সক্ষম হয়েছি।” বলেন চারবারের ফরাসি ওপেন জয়ী। এবার সোয়াটেক কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবেন ১৩তম বাছাই ইউক্রেনের এলিনা সোভিতালিনার বিরুদ্ধে। যিনি ইতালির জেসমিন পাওলিনিকে ৪-৬, ৭-৬ (৮-৬) ও ৬-১ ব্যবধানে হারিয়ে দেন। সোয়াটেককে এখানে ক্লে রানী হিসেবে ডাকা হয়। তবে এই প্রতিযোগিতায় নামার আগে তঁার ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। রাইবাকিনার বিরুদ্ধে প্রথম সেটে একটা সময় সোয়াটেক পিছিয়ে পড়েন ৫-০। পরবর্তীকালে কিছুটা ঘুরে দঁাড়ালেও সেট নিয়ে চলে যান রাইবাকিনা। দ্বিতীয় সেটের শুরুতেও দাপট দেখাচ্ছিলেন তিনি। ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যান। ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট চলে আসে তারপর। যখন ওভারহেড স্ম্যাশ নষ্ট করে বসেন। তারপর থেকে সোয়াটেককে আর ধরতে পারেননি তিনি। তৃতীয় সেটে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা মূলক খেলায় সোয়াটেক আসল সময়ে সার্ভিস ব্রেক করে এগিয়ে যান। খেলা শেষ করেন একটা দুরন্ত ফোরহ্যান্ডের মাধ্যমে। (ছবি-টেনিস খেলার ফঁাকে পিএসজি জয় উচ্ছ্বাসের সামিল হলেন জকোভিচও।)
থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে নামার আগে আবু ধাবির সেই ম্যাচই প্রেরণা সুনীলদের

আগামি ৪ জুন ফিফা ফ্রেন্ডলিতে থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে নামছে ভারতীয় ফুটবল দল। র্যাঙ্কিংয়ে অনেকটাই এগিয়ে আছে থাইল্যান্ড, তবে সেটা নিয়ে ভাবতে নারাজ মানালো মার্কুয়েজের ভারত। বরং শেষ দুটি সাক্ষাতে জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া, তারমধ্যে ২০১৯-এ আবু ধাবিতে এএফসি এশিয়ান কাপে থাইল্যান্ডকে ৪-১ গোলে হারিয়ে ছিল ভারত। সেই দুরন্ত জয়টাই এই ম্যাচের আগে প্রেরণা সুনীলদের। সেই ১৯৬২ জাকার্তা এশিয়াডে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। সেবারও ভারত জেতে ৪-১ গোলে। তারপর অবশ্য সময় বদলেছে। থাইল্যান্ড আমাদের থেকে এগিয়ে গেছে। এখনও পর্যন্ত মোট ২৬ বার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। থাইল্যান্ড জিতেছে ১২ বার, ভারত জিতেছে ৭ বার এবং ড্র হয়েছে ৭ বার। ২০১৯-এ যে ম্যাচে ভারত ৪-১ গোলে জিতেছিল সেই ম্যাচে সুনীল ছেত্রী দুটি গোল করেছিলেন। সুনীল জানান, “ম্যাচটা বেশ কয়েক বছর আগে হয়েছিল। যতটা মনে করতে পারছি গোটা দল খুব ভাল খেলেছিল। অনিরুদ্ধ থাপা ছিল অসাধারণ। উদান্তা খুব ভাল খেলেছিল। আসিক আমার পাশে ছিল। ভাল খেলেছিল। সেই সময়ও কাগজে কলমে থাইল্যান্ড আমাদের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে ছিল। তবু আমরা শুধু ৪-১ গোলে জিতিনি, যেভাবে দাপট দেখিয়ে ছিলাম, সত্যিই দুর্দান্ত ব্যাপার ছিল।“ সে কারণেই সেই ম্যাচ থেকে প্রেরণা পাচ্ছেন সুনীল। ভারত যেখানে এই মুহূর্তে ১২৭ নম্বরে আছে, থাইল্যান্ড সেখানে আছে ৯৯ নম্বরে। এমন একটা ম্যাচের আগে নিজের মত জানিয়েছেন ছাংতেও। তিনি জানান, “আমরা অনেকবার থাইল্যান্ডর সঙ্গে খেলেছি। খুব ভাল দল। জেতার জন্য ভীষণ ক্ষুধার্ত। ওরা সে রকমই একটা দল, যারা বল নিয়ে খেলতে ভালবাসে, তবে আমরা নিজেদের নিয়েই ভাবছি। আমরা অনুশীলনে যা করেছি ম্যাচে সেটা করতে পারলে থাইল্যান্ড ও হংকং দুটি ম্যচই জিতব। এএফসি এশিয়ান কাপে হংকংয়ের বিরুদ্ধে অত্যন্ত গুরুত্বপূরর্ণ ম্যাচে নামার আগে এই থাইল্যান্ড ম্যাচই সুনীলদের স্টেজ রিহার্সাল।
রাজনীতিবিদ বাছলেন রিঙ্কু

রিঙ্কু সিং চললেন বিয়ের পিঁড়িতে বসতে। ঠিক হয়েছে ৮ জুন লখনউতে তিনি বাগদান পর্ব সারবেন। তবে বিয়ের অনুষ্ঠান হবে বারাণসীতে ১৮ নভেম্বর। পাত্রী অন্যকেউ নন, সমাজবাদী পার্টির সাংসদ প্রিয়া সরোজ। রিঙ্কু সিংয়ের নাম বললেই কলকাতা নাইট রাইডার্সের কথা চলে আসতে বাধ্য। যিনি কলকাতার হয়ে খেলে বিশ্ব ক্রিকেটে নজর কেড়ে নিয়েছেন। একদিকে তঁার মারমুখী মেজাজের ব্যাটিং, অন্যদিকে অসাধারণ ফিল্ডিং, সব মিলিয়ে একজন কমপ্লিট ক্রিকেটার বলা চলে। সেই রিঙ্কু সিংয়ের বিয়ের খবর রটতেই ভারতীয় ক্রিকেট মহলে হইচই পড়ে গিয়েছে। সাধারণত ক্রিকেটাররা বলিউড বা অভিনয় জগতের নায়িকাদের পছন্দ করেন। বিশেষ করে প্রথিতযশা নারীরাই হন ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত থাকা ক্রিকেটারদের জীবন সঙ্গী। কিছুটা হলেও ব্যতিক্রমী হয়ে রইলেন রিঙ্কু। যিনি তঁার সারা জীবনের সঙ্গী বাছলেন একজন রাজনীতিবিদকে। শুধু তাই নয়, বর্তমান যিনি আবার সাংসদ। এই খবরের উপর শিলমোহর দিয়েছেন অন্য কেউ নন, স্বয়ং প্রিয়ার বাবা প্রাক্তন সাংসদ তুফানি সরোজ। সোশ্যাল মিডিয়ায় তুফানি নিজে এই খবর তুলে ধরে জানিয়ে দিয়েছেন, রিঙ্কু সিং আগামী দিনে তঁার জামাই হতে চলেছে। এমন দিনে তিনি ঘোষণা করলেন যেদিন বাংলার হিন্দুদের ঘরে ঘরে পালিত হচ্ছে জামাইষষ্ঠী। যেদিন জামাইদের বরণ করে নেন শাশুড়িরা। রবিবার কি সেই দিনকে মনে রেখে রিঙ্কুর নাম ঘোষণা করলেন শ্বশুরমশায়? ২৬ বছরের প্রিয়া উত্তর প্রদেশের জৌনপুরের মাছলিশহর আসন থেকে জয়লাভ করে প্রথম সাংসদ হন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রিয়ার বাবা তুফানি বলেন, “রিঙ্কু ও প্রিয়া বেশ কিছুদিন হল একে অপরকে চেনে। প্রিয়ার বন্ধুর বাবার মাধ্যমে পরিচয় হয়েছিল রিঙ্কুর সঙ্গে। সেই বন্ধুর বাবা একজন ক্রিকেটার ছিলেন। উভয় পরিবারের আশীর্বাদ নিয়ে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছে।” তুফানি এও জানিয়েছেন, নভেম্বরের বিবাহ অনুষ্ঠানে ক্রিকেট থেকে রাজনীতি, বলিউড থেকে ব্যবসায়িক মহলের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের দেখা যাবে। তবে বাগদান অনুষ্ঠান হবে অনাড়ম্বর ভাবে। যেখানে দুটো পরিবারের আত্মীয়-পরিজন, ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধবরা কেবলমাত্র উপস্থিত থাকবেন। কোনওভাবে বাগদান পর্বকে জমকালো করতে রাজি নয় উভয় পরিবার। ২৭ বছরের রিঙ্কু জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দুটো ওয়ান ডে ও ৩৩টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন। কোনও সন্দেহ নেই, আইপিএল থেকেই তঁার উত্থান। তারচেয়েও বড় কথা, কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলতে এসেই তিনি ক্রিকেট মহলে নজর কেড়ে নেন। কেকেআরের একজন যে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার তা না বললেও চলে। চলতি আইপিএলে সেভাবে তিনি প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি। পুরো মরশুম জুড়ে তিনি মাত্র ২০৬ রান করেছেন। গড় ছিল ২৯.৪২। স্ট্রাইক রেট ১৫৩.৭৩। কিছু কিছু ম্যাচে নিজের পরিচয় তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন ঠিকই। তবু কেকেআরকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলতে পারেননি। তাই প্লে-অফ খেলা থেকে বঞ্চিত হয় গতবারের চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স। ১৪টা ম্যাচের মধ্যে জিতেছে মাত্র পঁাচটা ম্যাচে। পয়েন্ট অর্জন করে মাত্র ১২। নেট রান রেট ছিল -০.৩০৫। তাই কেকেআর এবার লিগ টেবিলে স্থান পায় অষ্টমে। আসলে কেকেআর এবার ধারাবাহিকতা মোটেই বজায় রাখতে পারেনি। বরং এক একটা ম্যাচে ঝলক দেখিয়ে পরের ম্যাচে আবার চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু রিঙ্কুর বিয়ের পিঁড়িতে বসার খবর আপাতত কেকেআর প্রেমীদের কিছুটা হলেও হতাশার মাঝে আনন্দের সুবাতাস বইয়ে দেবে। (ছবি-রিঙ্কু সিং ও ভাবী পত্নী সাংদস প্রিয়া সরোজ)
পিএসজি সমর্থকদের উন্মত্ত উৎসব থেকে ট্র্যাজেডি, মৃত দুই, গ্রেফতার প্রায় ৬০০

উন্মত্ত সেলিব্রেশন কী হতে পারে দেখা গেল আবার। শনিবার রাতে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে পিএসজি। তারপরই গোটা ফ্রান্স জুড়ে শুরু হয়ে যায় উৎসব। যার এপিসেন্টার ছিল প্যারিস। কিন্তু সেই সেলিব্রেশন এমনই উন্মত্ত হয়ে উঠল যে প্রাণ গেল দুজনের। ভাঙচুর, অগ্নসংযোগ, গ্রেফতার করা হয়েছে প্রায় ৬০০ জনকে। বুকে ছুরি খেয়ে মারা গিয়েছে একটি ১৭ বছরের ছেলে। গাড়ির ধাক্কায় মারা গিয়েছেন ২৩ বছরের এক স্কুটার আরোহী। আহতের সংখ্যা অন্তত ২০০। আহত প্রচুর পুলিশ কর্মী। এক পুলিশ কর্মী কোমায় চলে গিয়েছেন। উদ্দাম, উন্মত্ত মানুষ যা খুশি তাই করল। চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ল বাজির আগুন। বিভিন্ন জায়গায় লাগানো হল আগুন। আগুনে আড়াইশোর বেশি গাড়ি পুড়ে ছাই। অনে্ককে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়েও ঘুরতে দেখা যায়। তবে এণন উন্মত্ত সেলিব্রেশন হতে পারে সেটা অনুমান করেই আগে থেকে প্রচুর পুলিশকে নামানো হয়েছিল নিরাপত্তার কাজে। তবু এড়ানো গেল না ট্র্যাজেডি। এদিকে রবিবার আরও সেলিব্রেশন হওয়ার কথা। ভিকট্রি প্যারেড হওয়ার কথা। সেখানে উপস্থিত থাকার কথা ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের। প্রেসিডেন্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় পিএসজিকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন। তবে অনভিপ্রেত ঘটনায় উৎসবের মাঝেও বিষাদের সুর ফ্রান্সে।
অভিনন্দন জানালেন এমবাপে-নেমার

পিএসজি-র সাফল্যে বিশ্ব জুড়ে অভিনন্দন বার্তা আসতে শুরু করেছে। সকলেই সন্তোষ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, পিএসজি যেভাবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ পেয়েছে তাকে বাহবা জানাতেই হবে। বিশেষ করে ৫ গোলের ব্যবাধানে ফাইনালের নিষ্পত্তি ঘটায় অনেকে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছেন। সেই অভিনন্দন বার্তায় দেখা গেল ঢুকে পড়েছেন পরিচিত দুজনের মুখ। যার মধ্যে একজন হলেন, কিলিয়ান এমবাপে। অপরজন নেইমার জুনিয়র। এই দুজন একসময় যে এই ক্লাবেই খেলে গিয়েছেন। কিলিয়ান এমবাপে ও নেইমার শুধু নয়, একটা সময় পিএসজি ইউরোপ সেরা হওয়ার জন্য কঁাড়ি কঁাড়ি অর্থ খরচ করেছে। এমন কী এমবাপেকে ধরে রাখার জন্য দেশের প্রেসিডেন্টকে ব্যবহার করতে ছাড়েনি পিএসজি। তবু সেই সাধ পূর্ণ হয়নি। একটা সময় হতোদ্যম হয়ে ক্লাব কর্তারা ঠিক করেন তারকাদের পেছনে আর ছুটবেন না। তাই এক এক করে সকল তারকাকে বিদায় জানায়। গতকাল মিউনিখে আলিয়াঞ্জ এরিনায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে হারানোর পর সব সাধ যেন একসঙ্গে পূর্ণ হল। “অবশেষে সেই বড় দিনটা এলো। চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পিএসজি। ক্লাবের সকলের প্রচেষ্টার ফসল ফলতে আমরা প্রত্যেকে দেখলাম। অভিনন্দন পিএসজি।” ইনস্টাগ্রামে নিজস্ব বক্তব্য তুলে ধরতে গিয়ে একথা বলেছেন এমবাপে। এবার পিএসজি ছেড়ে তিনি যোগ দিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদে। সাত সাতটা মরশুম কাটিয়ে গিয়েছেন ফ্রান্সের ক্লাবে। এক এক করে লিগ আঁ, ফ্রেঞ্চ কাপ, লিগ কাপ জিতলেও কখনও ইউরোপ সেরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ক্লাবের হাতে তুলে দিতে পারেননি। এমন কী ২০২০ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেছিল পিএসজি। তবু সেই ট্রফি অধরা থেকে যায়। এবার তো রিয়াল মাদ্রিদে গিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের বেশি এগোতে পারেননি এমবাপে। শুধু তিনি নন, নেইমারের পেছনে ২২ কোটি ইউরো ট্রান্সফার ফি দিয়ে বার্সেলোনা থেকে নিয়ে এসেছিল ফরাসিদের ক্লাব। এখনও অব্দি এই অর্থই রেকর্ড বুকে তোলা আছে। সেই নেমার ২০২৩ সালে পিএসজি ছেড়ে চলে যান। তবু সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে পারেননি। সেই ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার বেজায় খুশি পিএসজি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ পাওয়ায়। ইনস্টাগ্রামে তিনিও জানিয়েছেন, “পিএসজিকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।” সঙ্গে দিয়েছেন পঁাচটা হাত তালির ইমোজি। শনিবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সাথে সাথে দশটা রেকর্ড গড়ল পিএসজি। তারা যে শুধু প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করল তাই নয়, এক এক করে এমন কিছু রেকর্ডের অংশীদার হল যা অতীতে কোনও দল হতে পারেনি। (১)-পিএসজি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল সহ মোট ১৬৮টি ম্যাচ খেললো (ইউরোপিয়ান কাপ ধরে)। প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার আগে এত বেশি সংখ্যক ম্যাচ কোনও দল খেলেনি। (২) চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পিএসজির হয়ে গোল করেছেন মাইয়ুলু (১৯ বছর) ও দেজিরে দুয়ের (১৯)। ইউরোপিয়ান কাপের ফাইনালে একাধিক টিনএজের ফুটবলার এই প্রথম কোনও দলের হয়ে গোল করে গেলে। (৩) চ্যাম্পিয়ন্স লিগ-সহ ট্রেবল জিতল পিএসজি। ইউরোপের নবম ক্লাব হিসেবে ট্রেবল জেতার রেকর্ড গ়ড়ল ফরাসি দল হিসেবে। এর আগে ফ্রান্সের কোনও ক্লাব ট্রেবল জেতেনি। তবে ফ্রান্সের মার্শেই জিতেছিল ১৯৯৩ সালে। ফরাসি ক্লাব হিসেবে পিএসজি জিতল দ্বিতীয় ক্লাব হিসেবে। (৪)-লুইস এনরিকে কোচ হয়ে দুবার ট্রেবল জয়ী হলেন। এর আগে ২০১৪-১৫ সালে বার্সেলোনার কোচ হয়ে তিনি এই কীর্তি গড়েন। তবে এই সাফল্য আর একজনের আছে। তিনি হলেন পেপ গুয়ার্দিওলা। (৫)-ইন্টার মিলানকে ৫-০ ব্যবধানে হারিয়ে ইউরোপ সেরা হয়েছে পিএসজি। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে এত বড় ব্যবধানে কোনও দল জেতেনি। (৬)-চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে কোনও ফুটবলার তিন গোলের পেছনে অবদান রাখতে পারেনি। যা রাখলেন দেজিরে দুয়ের। প্রথম গোল আশরাফ হাকিমিকে তিনি ফাইনাল পাশ বাড়িয়ে করান। বাকি দুটি গোল করেন তিনি নিজে। (৭)-ইন্টার মিলান হল সেই দল যারা ৫ গোল ফাইনালে হজম করল। অতীতে ফাইনালে পঁাচ গোল হয়নি তা নয়। তখন অবশ্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগকে ইউরোপিয়ান কাপ বলা হত। ১৯৬২ সালে বেনফিকা ৫-৩ গোলে হারিয়ে ছিল রিয়াল মাদ্রিদকে। (৮)-চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে ইন্টার মিলান হল প্রথম দল যারা ৩৫ বছরের উর্ধ্বে ৩জন ফুটবলারকে প্রথম একাদশে রেখে খেলতে নেমেছিল। সেই তিনজন হলেন ইয়ান সমার, ফ্রানচেস্কো অ্যাকারবি ও হেনরিখ মেখিতারিয়ান। (৯)-চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে দেজিরে দুয়ে হলেন সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার যিনি গোল করতে সাহায্য করে রেকর্ড গড়লেন। গতবার ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে গোল করতে অ্যাসিস্ট করেছিলেন জুড বেলিংহাম। তখন তঁার বয়স হয়েছিল ২০ বছর ৩৩৮ দিন। দেজিরে দুয়ের বয়স হল ১৯ বছর ৩৬২ দিন। (১০)-এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৯টা গোল করার পেছনে অবদান রেখে গেলেন ডিফেন্ডার আশরাফ হাকিমি। এর আগে ইয়ান হার্ট ২০০০-০১ মরশুমে একই সংখ্যক গোল করার রেকর্ড গড়েন। তবে হাকিমি হলেন সেই ফুটবলার যিনি পুরোন দলের বিরুদ্ধে গোল করলেন।
প্রয়াত জানাকে খঁুজে পেলেন এনরিকে

সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন লুইস এনরিকে।
গিলের পর এবার ঝামেলার গুজব উড়িয়ে দিলেন হার্দিক, তিন শব্দে বন্ধুত্বের বার্তা

নিজেদের মধ্যে ঝামেলার গুজব আগেই উড়িয়ে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন শুভমন গিল। এবার তিন শব্দের বার্তায় বন্ধুত্বের কথা জানিয়ে ঝামেলার গুজব উড়িয়ে দিলেন পার্দিক পাণ্ডিয়া। শুভমন গিল ও হার্দিক পাণ্ডিয়ার মধ্যে কি সম্পর্কের ভাঙন শুরু হয়েছে শুক্রবারের পর থেকে এই নিয়ে জোর আলোচনা, জল্পনা। শুক্রবার ছিল গুজরাট টাইটানস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মধ্যে আইপিএল এলিমিনেটরের ম্যাচ। ম্যাচের আগে টসের সময় দুজনের মধ্যে নাকি বিতর্কিত ঘটনা ঘটেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ঘুরছে। তারপর থেকেই আলোচনা। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে গণ্ডগোলের সব গুজব উড়িয়ে দিয়ে গিল জানিয়ে ছিলেন, ভালবাসা ছাড়া আর কিছুই নয়। এবার তার উত্তরে পোস্ট করলেন হার্দিক, সব সময় শুভু বেবি। টসের সময় প্রথামত হ্যান্ডশেক করার জন্য গিলের দিকে হাত বাড়িয়ে দেন হার্দিক। কিন্তু উপেক্ষা করে হেঁটে চলে যান শুভমন। তারপর গুজরাটের ব্যাটিংয়ের সময় শুরুতেই গিল আউট হয়ে যাওয়ার পর তাঁর সামনে যেভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন হার্দিক, যে তারপরই ছড়িয়ে পড়ে গণ্ডগোলের গুজব, জল্পনা। গিল সব গুজব উড়িয়ে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দুজনের বন্ধুত্বের কথা বলে একসঙ্গে দুজনের ছবি পোস্ট করেছিলেন। এবার একই কাজ করলেন হার্দিক। এর ফলে আইপিএলে গুজরাট টাইটানস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এলিমিনেটর ম্যাচের পর দুজনের যে ঝামেলার খবর ছড়িয়ে পড়েছিল, সেটার শেষ হল।
গিলের পর এবার ঝামেলার গুজব উড়িয়ে দিলেন হার্দিক, তিন শব্দে বন্ধুত্বের বার্তা
নিজেদের মধ্যে ঝামেলার গুজব আগেই উড়িয়ে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন শুভমন গিল। এবার তিন শব্দের বার্তায় বন্ধুত্বের কথা জানিয়ে ঝামেলার গুজব উড়িয়ে দিলেন পার্দিক পাণ্ডিয়া। শুভমন গিল ও হার্দিক পাণ্ডিয়ার মধ্যে কি সম্পর্কের ভাঙন শুরু হয়েছে শুক্রবারের পর থেকে এই নিয়ে জোর আলোচনা, জল্পনা। শুক্রবার ছিল গুজরাট টাইটানস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মধ্যে আইপিএল এলিমিনেটরের ম্যাচ। ম্যাচের আগে টসের সময় দুজনের মধ্যে নাকি বিতর্কিত ঘটনা ঘটেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ঘুরছে। তারপর থেকেই আলোচনা। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে গণ্ডগোলের সব গুজব উড়িয়ে দিয়ে গিল জানিয়ে ছিলেন, ভালবাসা ছাড়া আর কিছুই নয়। এবার তার উত্তরে পোস্ট করলেন হার্দিক, সব সময় শুভু বেবি। টসের সময় প্রথামত হ্যান্ডশেক করার জন্য গিলের দিকে হাত বাড়িয়ে দেন হার্দিক। কিন্তু উপেক্ষা করে হেঁটে চলে যান শুভমন। তারপর গুজরাটের ব্যাটিংয়ের সময় শুরুতেই গিল আউট হয়ে যাওয়ার পর তাঁর সামনে যেভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন হার্দিক, যে তারপরই ছড়িয়ে পড়ে গণ্ডগোলের গুজব, জল্পনা। গিল সব গুজব উড়িয়ে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দুজনের বন্ধুত্বের কথা বলে একসঙ্গে দুজনের ছবি পোস্ট করেছিলেন। এবার একই কাজ করলেন হার্দিক। এর ফলে আইপিএলে গুজরাট টাইটানস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এলিমিনেটর ম্যাচের পর দুজনের যে ঝামেলার খবর ছড়িয়ে পড়েছিল, সেটার শেষ হল।
ইন্টার মিলানকে পাঁচ গোলে উড়িয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগ খেতাব পিএসজির

মিউনিখে রীতিমত ঝড় বইয়ে দিল পিএসজি। ফাইনালে সামনে ছিল বার্সেলোনাকে ছিটকে দেওয়া ইন্টার মিলান, কিন্তু শনিবার রাতে তাদের খড়কুটোর মত উড়িয়ে দিল লুইস এনরিকের দল। ৫-০ গোলে জিতে প্রথমবার ঘরে তুলল চ্যাম্পিয়নস লিগ খেতাব।নিজের পুরনো ক্লাবের বিরুদ্ধে গোলের খাতা খোলেন হাকিমি। দুটো গোল করেন টিন এজার ডিজায়ার ডুয়ে। অন্য দুটি গোল কাভারাতৃস্কেলিয়া ও সোনি মায়ালুর। টুর্নামেন্টের ৭০ বছরের ইতিহাসে ফাইনালে এত বড় ব্যবধানে জেতেনি কোনও দল। ১৯৬২তে বেনফিকার পর এই প্রথম ফাইনালে কোনও দল ৫ গোল করল। ১৯৯৩ সালে প্রথম ফরাসি ক্লাব হিসাবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিল মার্সেই। তার ৩২ বছর পর ফ্রান্সে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নিয়ে গেল প্যারিস সেন্ট জরমঁ। বার্সেলোনাকে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ খেতাব এনে দেওয়ার পর এবার পিএসজিকে ট্যাম্পিয়ন করলেন কোচ লুইস এনরিকে। অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশেল ঘটিয়ে বাজিমাত করলেন এনরিকে। গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে চলেছিল পিএসজি। এমন পরিস্থিতি হয়েছিল যে ম্যান সিটিকে হারাতেই হত। সেই ম্যাচে প্রথমার্ধ ২ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ৪ গোল করে সেই ম্যাচ জিতেছিল পিএসজি। পাঁচ বছর আগে ফাইনালে উঠেও বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হারতে হয়েছিল, এবার সেই ক্ষতে প্রলেপ পড়ল। জার্মানির বুকে ফরাসি বিপ্লব ঘটিয়ে ইউরোপ সেরা হল পিএসজি।
হার্দিক পাণ্ডিয়ার সঙ্গে গণ্ডগোলের জল্পনা উড়িয়ে দিলেন শুভমন গিল

শুভমন গিল ও হার্দিক পাণ্ডিয়ার মধ্যে কি সম্পর্কের ভাঙন শুরু হয়েছে শুক্রবারের পর থেকে এই নিয়ে জোর আলোচনা, জল্পনা। শুক্রবার ছিল গুজরাট টাইটানস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মধ্যে আইপিএল এলিমিনেটরের ম্যাচ। ম্যাচের আগে টসের সময় দুজনের মধ্যে নাকি বিতর্কিত ঘটনা ঘটেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ঘুরছে। তারপর থেকেই আলোচনা। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে গণ্ডগোলের সব গুজব উড়িয়ে দিয়ে গিল জানিয়েছেন, ভালবাসা ছাড়া আর কিছুই নয়। টসের সময় প্রথামত হ্যান্ডশেক করার জন্য গিলের দিকে হাত বাড়িয়ে দেন হার্দিক। কিন্তু উপেক্ষা করে হেঁটে চলে যান শুভমন। তারপর গুজরাটের ব্যাটিংয়ের সময় শুরুতেই গিল আউট হয়ে যাওয়ার পর তাঁর সামনে যেভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন হার্দিক, যে তারপরই ছড়িয়ে পড়ে গণ্ডগোলের গুজব, জল্পনা। গিল সব গুজব উড়িয়ে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দুজনের বন্ধুত্বের কথা বলে একসঙ্গে দুজনের ছবি পোস্ট করেছেন। এভাবেই ভারতীয় দলের সতীর্থ হার্দিকের সঙ্গে গণ্ডগোলের সম্ভাবনাকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন। যে ম্যাচের ঘটনা নিয়ে এই জল্পনা শুরু হয়েছিল, শুক্রবার সেই এলিমিনেটরে গুজরাট টাইটানসকে ২০ রানে হারিয়ে কোয়ালিফায়ার টু-তে উঠে এসেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। আর ম্যাচের পরই দুই অধিনায়ক শুভমন গিল ও হার্দিক পাণ্ডিয়াকে নিয়ে এমন অস্বস্তিকর পরিস্থিত তৈরি হয়েছিল। তবে এসব ঝেড়ে ফেলে সামনের ইংল্যান্ড সফরের দিকেই তাকিয়ে ভারতীয় দলের তারকারা।