দুরন্ত জয় সিন্ধুর

দুরন্ত ছন্দে সিন্ধু।
হ্যাটট্রিকের সন্ধানে ভারত

কোচ মানোলো মার্কেজের সঙ্গে ছাংতে।
রিয়ালে কোনওদিন যাবেন না ইয়ামাল

না, রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে কোনওদিন খেলবেন না বলে জানিয়ে দিলেন লামিনে ইয়ামাল। বিশ্ব ফুটবলে সকলেই জানে, রিয়াল মাদ্রিদে খেলার জন্য সকলে মুখিয়ে থাকে। অনেকে আবার এও বলেন, রিয়ালে খেলা তঁার জীবনের স্বপ্ন। স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যমে এক সাক্ষাত্্কারে ইয়ামাল জানিয়েছেন, তঁার ফুটবল জীবনে কখনও রিয়ালে খেলা অসম্ভব। বার্সেলোনার হয়ে এবার বিশ্ব ফুটবলে সাড়া ফেলে দিয়েছেন ১৭ বছরের ইয়ামাল। একদিকে যেমন গোল করেছেন, আবার গোলও করিয়েছেন প্রচুর। মরশুমের শেষে তবু আক্ষেপের অন্ত নেই ইয়ামালের। কেন? একটাই, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ঘরে তুলতে না পারার আক্ষেপ। প্রশ্ন হল, বার্সেলোনার হয়ে খেললেও রিয়াল মাদ্রিদের প্রতি তঁার ক্ষোভ কিসের? কিসের জন্য তিনি বার্সা ছেড়ে যেতে চাইছেন না? উত্তর পাওয়ার জন্য আপনাকে ফিরে যেতে হবে আজ থেকে ২৫ বছর আগে। ২০০০ সালে এখনও একটা ঘটনা বিশ্ব ফুটবল কখনও ভুলতে পারেনি। সেই বছর লুইস ফিগো বার্সা ছেড়ে যোগ দিলেন রিয়াল মাদ্রিদে। ঘটে গেল ধুন্ধুমার কান্ড। চর্তুদিকে রিয়ালের উপর ক্ষোভ উগরে দিতে লাগলেন বার্সেলোনার সমর্থকরা। কিন্তু সব কিছুকে ছাপিয়ে গেল ক্যাম্প নু্যতে যখন বার্সেলোনার বিরুদ্ধে খেলতে এলো রিয়াল। তখন খেলার মাঝে ছঁুড়ে মারা হয়েছিল শূকরের কাটা মুন্ডু। তখন থেকেই দু-দল লিখিতভাবে না হলেও মৌখিক স্তরে ঠিক করে নিয়েছে, একে অপরের দল থেকে ফুটবলার সই করাবে না। তাছাড়া ইয়ামাল ভালমতো জানেন, তিনি এখন বার্সেলোনার তারকা বনে গিয়েছেন। শুধু স্পেন নয়, সারা বিশ্বের ফুটবল মহল ইয়ামালের নাম জেনে গিয়েছে। তাই তারকা হওয়ার পর যদি বার্সেলোনা ছেড়ে রিয়ালে চলে যান তাহলে তঁাকে কোনওভাবে ভালমতো নিতে পারবে না বার্সার সমর্থকরা। তাছাড়া রিয়ালের সমর্থকরা মন থেকে মেনে নিতে পারবে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে স্প্যানিশ তারকার। তার উপর বার্সার আতুঁড়ঘর লা মাসিয়া থেকে উঠে এসেছেন ইয়ামাল। বয়স মাত্র ১৭ বছর। কিন্তু এখন থেকেই তিনি দলের অপরিহার্য একজন ফুটবলার। তাই এই দলের প্রতি তঁার দুর্বলতা থাকা স্বাভাবিক। সেই সঙ্গে ফুটবলার ও ক্লাবের মধ্যে সম্পর্ক যথেষ্ঠ ভাল। সেইজন্য ইয়ামাল চাইবেন না চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের পথে এগোতে। ঠিক যেমনটা হয়েছিল লিওনেল মেসির ক্ষেত্রে। যিনি ফুটবল জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়ে গিয়েছেন বার্সেলোনায়। সাক্ষাত্্কারে ইয়ামাল এও জানিয়েছেন, আগামী মরশুমে তঁার লক্ষ্য কী থাকবে। সেখানে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এবারের চেয়ে বেশি গোল করাই হবে তঁার প্রধান লক্ষ্য। তাছাড়া পারফরম্যান্সের আরও উন্নতি ঘটাতে চান তিনি। “আমার প্রধান লক্ষ্য থাকবে আগামী বছর আরও বেশি গোল করা। যাতে সমর্থকরা খেলা দেখতে এসে দারুন খুশি হন। শুধু গোল করলে হবে না, আরও বেশি ম্যাচ জিততে চাই। গোল করার জন্য সতীর্থকে সাহায্য করতে চাই। চেষ্টা করব পারফরম্যান্সের আরও উন্নতি ঘটাতে। আমার ধারণা, শারীরিক দিক দিয়ে যদি উন্নতি ঘটাতে পারি তাহলে আরও বেশি নিজেকে তুলে ধরতে সক্ষম হব।” জানিয়ে দিয়েছেন ইয়ামাল। সেই সঙ্গে তিনি চাইছেন সমর্থকরা যেন তঁাদের উপর থেকে আস্থা না হারান। বিশেষ করে ইন্টার মিলানের কাছে ড্র করার পর বার্সার সমর্থকরা যেন ধরেই নিয়েছিলেন তঁাদের দল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বেশিদূর এগোতে পারবে না। “আর্সেনালের কাছে নিজেদের মাঠে হারার পরও রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থকরা তঁাদের উপর থেকে আস্থা হারাননি। বরং রিয়াল সমর্থকরা বিশ্বাস করছিলেন, দল ঠিক তঁাদের ঘুরে দঁাড়াবে। সেইভাবে আমাদের উপরও ভরসা রাখতে হবে। সমর্থকরা যদি আমাদের উপর বিশ্বাস না রাখেন তাহলে আমরা বেশিদূর এগোব কী করে। তাই সমর্থকদের অনুরোধ করব, আপনারা আমাদের উপর ভরসা রাখুন। তাহলেই আমরা প্রতিকূল পরিস্থিতিকে জয় করতে পারব।”
রাজ্য মিট নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে

বাংলার অ্যাথলিটরা এখন পড়েছে অথৈ জলে। একদিকে রাজ্য অ্যাথলেটিক্স মিট। অন্যদিকে ফেডারেশন কাপ। বাংলার অ্যাথলিটদের জানা নেই, কোনটা ছেড়ে কোনটায় নামবেন। যদি রাজ্য মিটে নামেন তাহলে ফেডারেশন কাপে নামা সম্ভব নয়। আবার ফেডারেশন কাপে গেলে রাজ্য মিট তঁাদের কাছে অধরা থেকে যাবে। যেহেতু রাজ্য মিট হবে ২০-২২ জুন। প্রয়াগরাজে ফেডারেশন কাপ হবে ২২-২৪ জুন। তাহলে বাংলার অ্যাথলিটরা কোন দিকে ফোকাস করবেন? ফেডারেশন কাপ যেহেতু ২২-২৪ জুন হচ্ছে তাহলে রাজ্য মিট কেন এগিয়ে আনা হল না? ঠঁুটো জগন্নাথ হয়ে তাহলে রাজ্য অ্যাথলেটিক্স সংস্থার কর্তারা বসে আছেন ধরে নিতে হবে। নাহলে এভাবে চলার মানে হয়না। যদি তঁারা সক্রিয় থাকতেন তাহলে দুটো প্রতিযোগিতার তারিখ কখনও এক হয়ে যেত না। এই নিয়ে রাজ্য অ্যাথলিট মহলে হইচই পড়ে গিয়েছে। বহু অ্যাথলিট বুঝে উঠতে পারছেন না তঁারা কোন দিকে পদক্ষেপ ফেলবেন। আবার রাজ্য অ্যাথলেটিক্স সংস্থার কর্তারা যা বলছেন তাতে পুরোপুরি দায়ী করা যাচ্ছে না রাজ্য সংস্থাকে। কেন? সেই উত্তরে এবার আসা যাক। প্রথমত, রাজ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যখন রাজ্য মিটের তারিখ ঘোষণা করা হয় তখনও ফেডারেশন কাপ কোথায় কবে থেকে শুরু হবে তার নাকি ঠিক ছিল না। রাজ্য মিট ঘোষণার পর ফেডারেশন কাপের সূচী ঘোষিত হয়েছে। দুই, ফেডারেশন আগে থেকেই নাকি ক্যালেন্ডার দিয়ে দেয়। বছরের মধ্যে কবে থেকে কী মিট হবে তার দিনক্ষণ ঠিক করা থাকে। ফলে রাজ্য মিট কবে থেকে কোথায় হবে তার দিনক্ষণ আগে থেকেই ঠিক করা আছে। প্রশ্ন জাগে, তাহলে ফেডারেশন পারে কি ক্যালেন্ডার দেওয়া সত্ত্বেও তার বাইরে কেন মিট করতে যাবে? তিন, রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হয়ে যুবভারতীতে মিট হওয়ার ব্যাপারটা ঠিক করা হয়েছে। যেহেতু রাজ্য সরকার জানিয়ে দিয়েছে, ওই দিন ছাড়া মাঠ পাওয়া যাবে না, তাই বাধ্য হয়ে নির্দিষ্ট দিনে (২০-২২ জুন) মিট করতে রাজি হয় রাজ্য সংস্থা। চার, এখনকার সময়ে রাজ্য মিট থেকে নির্বাচিত হওয়ার কোনও ব্যাপার নেই। তেমনই বলছেন রাজ্য অ্যাথলেটিক্স সংস্থার সচিব কমল মৈত্রি। যদি কোনও অ্যাথলিট ফেডারেশন কাপে যেতে চায় তাহলে সে নাম এন্ট্রি করতে পারে। শুধু প্রয়োজন রাজ্য সংস্থার একটা অনুমতি। তাহলে কি যে কেউ এই মিটে যোগ দিতে পারেন? একদম নয়। রাজ্য সংস্থা সংশ্লিষ্ট অ্যাথলিটের প্রাক্তন রেকর্ড দেখে নেয়। ভাল না হলে জাতীয় মিটে রাজ্য সংস্থা নাম এন্ট্রি করার অনুমতি দেবে না। আসলে এখন অ্যাথলিটদের নিজের গঁ্যাটের পয়সা খরচ করে জাতীয় মিটে নামতে হয়। না, রাজ্য সরকার কিংবা রাজ্য সংস্থা কোনও আর্থিক সাহায্য করে না। ফলে অ্যাথলিটদের যাওয়া না যাওয়ার দিকে খুব একটা নজর রাখার প্রয়োজন হয়না। যদিও নিয়ম বলছে, রাজ্য মিট না করে কোনওভাবে ফেডারেশন কাপে যোগ দেওয়া যাবে না। রাজ্য অ্যাথলেটিক্স সংস্থার সচিব তথা সর্বময় কর্তা কমল মৈত্র অসহায়ের ভঙ্গিতে বললেন, “আমরা জানতাম না, ফেডারেশন কাপ কখন হবে। যেহেতু ফেডারেশন কাপ নিয়ে দিনক্ষণ ঘোষণা করেনি জাতীয় অ্যাথলেটিক্স সংস্থা। আমরা কিন্তু আগে থেকেই রাজ্য মিট ঘোষণা করে দিয়েছিলাম। তার উপর ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছে আমাদের মাঠ নেওয়া হয়ে গিয়েছে। সেখানে আমরা কীভাবে রাজ্য মিট পিছোব। তাছাড়া ফেডারেশন আমাদের আগে থেকে ক্যালেন্ডার দিয়েছে। কবে থেকে রাজ্য মিট করতে হবে তাও জানিয়ে দিয়েছে। সেখানে আমাদের হাত-পা বঁাধা। আমরা তো আগ বাড়িয়ে কিছু করতে পারিনা।” এবার রাজ্য মিট দুটো ভাগে ভাগ করে হচ্ছে। একটা হচ্ছে জুনিয়রদের নিয়ে। যেখানে প্রতিযোগীরা নামতে পারবেন ১৪-১৫ জুন। তারপর হবে সিনিয়র বিভাগের প্রতিযোগিতা। সিনিয়র বিভাগে আবার তিনটে গ্রুপে হবে। একটা হল, অনূর্ধ্ব-২০, ২৩ ও সিনিয়র ছেলে-মেয়েরা। অনূর্ধ্ব-২০ বিভাগকে নিয়েই যত ঝামেলা। কমল মৈত্র স্বয়ং প্রশ্ন তুলে দিলেন, “ফেডারেশন কাপে বাংলা থেকে কজন যোগ দেয় বলতে পারেন? খুব কম সংখ্যক। যাইহোক আমরা আগে থেকে সবকিছু জানিয়ে রেখেছিলাম। তাহলে আমাদের দোষটা কোথায়। আমরা পুরোপুরি অসহায়। একমাত্র ইস্টার্ন রেল থেকে একজন ফোন করেছিলেন। তাও কোনও অভিযোগ পত্র দেননি। বাকিরা তো কেউ কিছু বলছে না। যাইহোক আমরা ঠিক করেছি, নির্দিষ্ট তারিখে সকলকে যোগ দিতে হবে। নাহলে চলবে না। আর যদি কেউ রাজ্য মিটে না নেমে ফেডারেশন কাপে যেতে চায় যাবে। আমরা তাকে বাধা দেব কেন।” (ছবি–প্রয়াগরাজের মদন মোহন মালব্য স্টেডিয়াম। এখানেই হবে জুনিয়র ফেডারেশন কাপ।)
১৮ নম্বর জার্সি বিরাটেরই, বিতর্ক থামিয়ে নয়া সিদ্ধান্ত বোর্ডের

ক্যান্টারবারিতে ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে ভারতীয় এ দলের বেসরকারি টেস্ট ম্যাচ না থাকলে বিতর্ক মাথা চাড়া দিত না। কিন্তু চারদিনের টেস্ট ম্যাচে একটি ঘটনা বোর্ডকে চাপে ফেলে দিল। বাধ্য হয়ে বোর্ড কর্তারা তাঁদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল। বলে দিল ১৮ নম্বর জার্সি বিরাটেরই। সেটা নিয়ে ভবিষ্যতে কোনও কথা উঠবে না। টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন বিরাট কোহলি। তারও আগে টি২০ বিশ্বকাপ জেতার পর এই ফরম্যাট থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। পড়ে রয়েছে ওয়ান ডে ক্রিকেট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেই ফরম্যাটে তাঁকে খেলতে দেখা যাবে। তারই মাঝে এমন কান্ড। তা নিয়ে বিতর্ক বেড়ে চলেছে দেখে বোর্ড এগিয়ে এল। ঘটনাটি কি! ম্যাচের প্রথমদিন ব্যাপারটি চোখে পড়েনি। কিন্তু দ্বিতীয়দিন ভারতীয় এ দল ফিল্ডিং করতে নামার সময় দেখা যায় যে মুকেশ কুমার ১৮ নম্বর জার্সি গায়ে খেলছেন। সেই ছবির ভিডিও সামনে আসতেই যত গন্ডগোল। কী করে বিরাটের জার্সি গায়ে খেলতে নামেন মুকেশ কুমার। জাতীয় দলের হয়ে মুকেশ খেলেন ৪৯ নম্বর জার্সি গায়ে। তা হলে এই ম্যাচে কেন জার্সি বদলে তিনি ১৮ নম্বর বেছে নিলেন। এতে তো বিরাটকে অপমান করা হয়। তিনি এখনও ওয়ান ডে ক্রিকেট খেলবেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে পুরোপুরি সরে যাননি। তার আগে এমন কান্ড কী করে ঘটল! ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ১০ ও ৭ নম্বর জার্সি তুলে নিয়েছে। জাতীয় দলের কোনও ক্রিকেটারকে সেই নাম্বার লেখা জার্সিতে খেলতে দেখা যায় না। তবে এটা নিয়েও ঝামেলা হয়েছিল। শ্রীলঙ্কায় অভিষেক ম্যাচে শার্দুল ঠাকুর ১০ নম্বর লেখা জার্সিতে মাঠে নেমেছিলেন। প্রথমদিনই বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। কী করে শচীনের ১০ নম্বর জার্সি গায়ে শার্দুল খেলেন। তড়িঘড়ি বোর্ড এগিয়ে এসে ব্যবস্থা নেয়। তারপর থেকে জাতীয় দলের কোনও ক্রিকেটারকে ১০ নম্বর জার্সিতে খেলতে দেখা যায়নি। ধোনির ৭ নম্বর জার্সি নিয়েও ঝামেলা হওয়ার পরিস্থিতি হয়েছিল। জাতীয় দলের আসার পর শুভমান গিলের পছন্দ ছিল ৭ নম্বর জার্সি। কিন্তু তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে এই জার্সি তিনি ব্যবহার করতে পারবেন না। তখন গিল ৭৭ নম্বর জার্সি গায়ে মাঠে নামেন। বোর্ড জানিয়েছিল, ১০ ও ৭ নম্বর জার্সি জাতীয় দলের কোনও ক্রিকেটার ব্যবহার করতে পারবেন না। কিন্তু হঠাৎ করে বিরাটের জার্সি গায়ে চাপিয়ে মাঠে নামলেন কেন মুকেশ! দুদিন কেটে যাওয়ার পর বোর্ডের এক কর্তা এ নিয়ে মুখ খুললেন। বোর্ডের শীর্যস্থানীয় কর্তা জানিয়ে দিলেন, সাইড ম্যাচগুলিতে জার্সি কখনও ভাবা হয়নি। সেভাবে জার্সি পাঠানো হয়ও না। এবার থেকে এ নিয়ে ভাবব। আশা করি ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঘটবে না। মুকেশ ৪৯ নম্বর জার্সি গায়েই খেলবে। ভাল কথা। দেরিতে হলেও সুমতি হল। কিন্তু এটা তো প্র্যাকটিস ম্যাচ ছিল না। ভারতীয় এ দলের বেসরকারি টেস্ট ম্যাচ। সেই ম্যাচে ১৮ নম্বর জার্সি কী করে ইংল্যান্ড পৌঁছে গেল। তবে কি বিরাটের কথা ভেবে এই জার্সি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেটাই বা কি করে হয়। দল রওনা হওয়ার আগেই বিরাট টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছিলেন। তার আগে অবশ্য বিরাট ঘনিষ্টমহলে জানিয়েছিলেন, ভারতীয় এ দলের হয়ে তিনি খেলতে চান। দুটি না হলেও একটি বেসরকারি টেস্ট খেলবেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ টেস্ট সিরিজের আগে নিজেকে তৈরি করতে এমন ভাবনা ছিল বিরাটের। তার জন্য কি আগে থেকে বিরাটের লাগেজ তৈরি হয়ে গিয়েছিল! সেটাই বা হয় কী করে! অনেক ধোঁয়াশা থেকে যাচ্ছে এই জার্সি নিয়ে। তবে বোর্ড এবার থেকে এমন কিছু হবে না বলে জানিয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে পুরোপুরি অবসর নেওয়ার পর ভারতীয় দলে ১৮ নম্বর জার্সি গায়ে কাউকে খেলতে দেখা যাবে না। ১০, ৭ ও ১৮ বাতিল হয়ে যাবে। সেই জার্সি কোনও ক্রিকেটার নিতে পারবেন না। আরও আছে। বিরাটের মতো রোহিত শর্মাও টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। তিনিও শুধু ওয়ান ডে ক্রিকেট খেলতে চান। ভারতীয় ক্রিকেটে রোহিতের অবদানের কথা মাথায় রেখে ৪৫ নম্বর জার্সিও তো তুলে রাখা উচিত। এটা ক্রিকেটারদের সন্মানের ব্যাপার। এটাও ভেবে দেখতে পারেন বোর্ড কর্তারা।
আইপিএল ফাইনালে প্রত্যাশার চাপ বিরাটের উপর তো থাকবেই: সৌরভ

আইপিএল ফাইনালের আগেরদিন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে সামনে পেলে ক্রিকেট থাকবে না, তা হয় নাকি! সোমবার বিকেলে সিএবি এসেছিলেন অ্যাপেক্স কমিটির মিটিংয়ে যোগ দিতে। তার সঙ্গে মিশে গেল ঘরোয়া ক্রিকেটের লিগ ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল ও ভবানীপুরের ম্যাচ নিয়ে গোলমাল। সেটা প্রথমে সামলালেন। তারপর অ্যাপেক্স কমিটির মিটিং শেষ করলেন। মিটিংয়ে বেঙ্গল প্রো লিগ নিয়ে নানা কথা হল। ১১ জুন থেকে শুরু হচ্ছে বেঙ্গল প্রো লিগ। হাতের সামনে এসে যাওয়ায় নিজেদের মধ্যে আলোচনা সেরে নিলেন। এসব করে বাড়ি ফিরতে যাওয়ার জন্য গাড়িতে ওঠার আগে চলে এল আইপিএল ফাইনাল। আগে ট ঠিক ছিল ৩ জুন ইডেনে আইপিএল ফাইনাল হবে। সেটা যদি হত তা হলে সোমবার বিকেল থেকে সাজ সাজ রব দেখা যেত নন্দন কাননে। কিন্তু বৃষ্টিকে সামনে এনে বোর্ড অনেক আগে তা নিয়ে গিয়েছে আমেদাবাদের মাঠে। তাই ইডেন শান্ত। নেই হুডে়াহুড়ি। কেন ম্যাচ সরল তা নিয়ে এখন আর কথা বলে লাভ নেই। সবাই জানেন কেন ম্যাচ সরিয়ে নেওয়া হল। কিন্তু আমেদাবাদে ফাইনাল সরে গেলেও ইডেনে তার আলোচনা হবে না সেট কি করে হয়। সৌরভের সামনে প্রশ্ন তুলে ধরা হলে তিনি বলেন, কে জিতবে তা বলা মুশকিল। কাউকে এগিয়ে বা পিছিয়ে রাখাও সম্ভব নয়। দুটো দলই ভাল খেলে ফাইনালে এসেছে। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে পাঞ্জাব অসাধারন ক্রিকেট খেলল। শ্রেয়সের ব্যাপারে কোনও প্রশংস যথেষ্ট নয়। একার হাতে ম্যাচকে টেনে নিয়ে গেল। আর আরসিবি কদিন আগে পাঞ্জাবকে সহজে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে। তাই দুদলের এই খেতাবি লড়াই অনেক জমজমাট হবে। যে ভাল খেলবে সে জিতবে, এর বাইরে তো কোনও কথা বলার জায়গা নেই। পাঞ্জাব ১১ বছর পর আবার ফাইনাল খেলছে। তারা এর আগে ট্রফি জেতেনি। আর আরসিবি! বিরট কোহলি টানা ১৮ বছর এই দলের হয়ে খেলে চলেছেন। অনেক ট্রফি জিতেছেন। কিন্তু আইপিএল জয় হয়নি। এবার আরসিবি ফ্যানদের চাহিদা ট্রফি চাই। এই প্রত্যাশার চাপ বিরাটকে নিজের খেলা থেকে সরিয়ে দেবে না তো! সৌরভ শুনে বললেন, এমন অনেক চাপ নিয়ে বিরাট আগেও খেলেছে। বিরাটের মতো ক্রিকেটারের উপর চাপ তো থাকবেই। নিজের পারফরম্যান্সের কারনে ফ্যানরা ওর উপর চাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে নিজের সেরাটা কি করে বের করে আনতে হয় তা বিরাট জানে। আর জানে বলে ওর কাছ থেকে অনেক ভাল ইনিংস আমরা দেখতে পেয়েছি। আশা করি ফাইনালে আমাদের একটা ভাল ইনিংস বিরাট উপহার দেবে। আইপিএল থেকে অনেক ভাল ক্রিকেটার আলোচনায় চলে আসে। জাতীয় দলে নিজেদের জায়গা পাকা করে নেয়। এবার কাকে তাঁর চোখে পড়ল। একথা শুনে সৌরভ কিছুটা সময় নিলেন। তারপর বললেন, অনেকে চোখে পড়েছে। এই যেমন শ্রেয়স। এই মরশুমে দারুন খেলছে। ওর সঙ্গে আরও অনেকের নাম করতে হয়। সকলের নাম এই মুহুর্তে মনে পড়ছে না। তবে পাঞ্জাবের নেহাল, আরসিবির জিতেশ শর্মা, সিএসকের ব্রেভিস। অনেকে আছে। যারা এবারের আইপিএল থেকে নিজেকে আলোচনায় নিয়ে এসেছে। বৈভবের কথা বললেন নাা! সৌরভ বললেন, বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের খেলা এমনিই সকলের ভাল লাগে। বৈভবের মধ্যে ট্যালেন্ট আছে। মানসিক জোরও চোখে পড়ার মতো। তবে সামনের দিনে নিজেকে কোন জায়গায় নিয়ে যায়, সেটা দেখতে হবে। তারপর ওকে নিয়ে কথা বলার সময় আসবে।
মহামেডানের ত্রাণকর্তা শ্রী সিমেন্ট !

একদিকে দেনার দায়ে জর্জরিত। অন্যদিকে আগামী দিনের দলগঠন কী করে হবে কেউ জানেনা। কেন? ইনভেস্টার টাকা ঢাললে তবেই তো দলগঠনের ভাবনা আসবে। ভঁাড়ে মা ভবানি সেখানে কে আর ভাবতে বসে। অক্টোপাসের মতো যেন ঘিরে ফেলেছে মহামেডান স্পোর্টিংকে। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয়েছেন ক্লাব কর্তারা। তাও আবার এক মাস হয়ে গেল। এমতাবস্থায় শোনা যাচ্ছে মহামেডানে ঢাকা ঢালতে আসছে ময়দানের পরিচিত মুখ। শ্রী সিমেন্ট। গত কয়েকবছর আগে যারা ইস্টবেঙ্গলে লগ্নি করেছিল। ক্লাবকর্তাদের সঙ্গে মনোমালিন্যের দরুন তঁারা সরে যেতে বাধ্য হন। শোনা যাচ্ছে সেই শ্রী সিমেন্ট নাকি এখন ভরসা মহামেডান কর্তাদের। কথাটা চাউর হয়ে গিয়েছে ময়দানে। যদিও মহামেডানের পক্ষ থেকে এই খবরের সত্যতা স্বীকার করা হয়নি। বরং তঁারা এককথায় উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, আমরা যেখানে জানিনা সেখানে যদি শ্রীসিমেন্ট আসে তাহলে তো ভালোই। গত কয়েকবছর আগে ইস্টবেঙ্গলে লগ্নি করতে যে শ্রীসিমেন্ট এসেছিল তার নেপথ্যে ছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। এবারও নাকি নবান্ন থেকে তঁার িনর্দেশেই শ্রীসিমেন্ট আগ্রহী হয়ে উঠেছে। তবে আঁটঘাট বেঁধে এবার আসরে নামবে শ্রীসিমেন্ট। গতবার ইস্টবেঙ্গলের মতো ভুল তারা করতে আগ্রহী নয়। তাই যা শোনা যাচ্ছে, পবিত্র ঈদের দিন শ্রীসিমেন্টের নাম ঘোষণা করবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। আর বেশিদিন অপেক্ষা করতে পারছেন না মহামেডান কর্তারা। যেহেতু দলগঠনের কাজে তাঁরা এখনও সেভাবে নামতেই পারেননি। অথচ আইএসএল খেলা দলগুলো সকলে তলে তলে নেমে পড়েছে ফুটবলারদের ধরতে। বিশেষ করে পড়শি ক্লাব ইস্টবেঙ্গল অনেক আগে থেকে আসরে নেমেছে। মোহনবাগানের কথা ছেড়ে দিতে হবে। যেহেতু তাদের দলগঠনের ব্যাপার কিছু নেই। অধিকাংশ ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি পর্ব আগেই শেষ করা আছে। কেউ তিন বছর তো কেউ দু-বছর। নুন আনতে যাদের পান্তা ফুরোয় তাদের অন্তত আগে থেকে নামা উচিত ছিল। অথচ এবার ইনভেস্টার না পাওয়ায় তঁারা নিধিরাম সর্দার হয়ে চুপচাপ বসে। লক্ষ্য সেই নবান্ন। অন্যদিকে পাওনাদারদের ফোন তো আছেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহামেডানের এক প্রথম সারির কর্তা আক্ষেপের সুরে বলছিলেন, “আমরা এখন কী করব তাই জানিনা। মুখ্যমন্ত্রীকে আমরা মাসখানেক আগে ক্লাবের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি জানিয়ে একটা চিঠি দিয়েছিলাম। সেই চিঠির উত্তর এখনও আমরা কিছু পাইনি। জানিনা তিনি কী করছেন।” শ্রী সিমেন্টের প্রসঙ্গ উঠতে তিনি হাস্যচ্ছলে বলে ফেললেন,“তাই নাকি! আমরা অন্তত জানিনা। রিপোর্টারদের কাছে খবর থাকতেই পারে। তবে এটুকু বলতে পারি, মুখ্যমন্ত্রী আমাদের পাশে আছেন। তাই আশাকরছি, ভাল কিছু আমাদের হবে।” দেনা যে বিশাল তাও স্বীকার করে নিলেন তিনি। “মানছি, আমাদের দেনা প্রায় ১৮-২০ কোটি টাকা। এখন আমাদের কাছে দেনাটা মাথাব্যথার কারণ হয়ে দঁাড়িয়েছে। যেই আসুক তাকে আগে এই টাকা শোধ করতে হবে। তারপর আসবে দলগঠন।” এখন বিদেশিদের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে। সুতরাং চুক্তি অনুযায়ী সেই অর্থ দিতে ক্লাব বাধ্য। তাই সংশ্লিষ্ট ক্লাব কর্তাটি জানিয়ে দিলেন, মহামেডানের উচিত হয়নি বিদেশিদের সঙ্গে এক বছরের বেশি চুক্তি করা। যা মোহনবাগান পারে তা যে মহামেডান পারে না তাও কথা প্রসঙ্গে জানিয়ে দিলেন তিনি।
বিরাট জরিমানা শ্রেয়স আইয়ার ও হার্দিক পাণ্ডিয়ার

পঞ্জাব কিংস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মধ্যে কোয়ালিফায়ার টুর পর আলোচনায় দুই অধিনায়ক। বড় শাস্তি পেলেন পঞ্জাব ও মুম্বই অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার ও হার্দিক পাণ্ডিয়া। স্লো ওভার রেটের জন্য বড় জরিমানার কবলে পড়লেন দুই অধিনায়ক। টুর্নামেন্টে দ্বিতীয়বার একই ঘটনা ঘটায় শ্রেয়সের জরিমানা হল ২৪ লক্ষ টাকা। এবং মুম্বই তৃতীয়বার একই ঘটনা ঘটানোয় অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়ার জরিমানা হল ৩০ লক্ষ টাকা। দুই দলের বাকি ক্রিকেটাররাও বাঁচলেন না। পঞ্জাবের হয়ে যাঁরা খেলেছেন, তাঁদের জরিমানা হল ৬ লক্ষ টাকা বা ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ। মুম্বই ক্রিকেটারদের জরিমানা হল ১২ লক্ষ টাকা অথবা ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ। নিয়ম পরিবর্তন হওয়ায় নির্বাসন থেকে বাঁচলেন হার্দিক। আগের নিয়মে ওভার রেট কম হওয়ার ঘটনা তিনবার হলে অধিনায়ককে এক ম্যাচ ননির্বাসিত হতে হত। যেমন ২০২৪ আইপিএলের শেষ ম্যাচে তিনবার ওভার রেটের জন্য অভিযুক্ত হয়েছিলেন অধিনায়ক হার্দিক। ফলে ২০২৫ আইপিএলের প্রথম ম্যাচে তিনি নির্বাসিত ছিলেন তিনি। তবে এবার সেই নিয়ম পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। তাই নির্বাসন হল না হার্দিকের। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ওই ম্যাচে হারিয়ে আইপিএল ফাইনালে চলে গিয়েছে শ্রেয়স আইয়ারের পঞ্জাব কিংস। মঙ্গলবার রয্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে ফাইনালে নামবে পঞ্জাব। ফাইনাল শেষে পাওয়া যাবে আইপিএলের নতুন চ্যাম্পিয়নকে।
একদিনের ক্রিকেট থেকে অবসর ম্যাক্সওয়েলের, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেন ক্লাসেন

একই দিনে দুই তারকার অবসর। একদিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে গেলেন হেনরিচ ক্লাসেন। ম্যযাক্সওয়েল অবশ্য টি টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে খেলা চালিয়ে যাবেন। তিনি শারীরিক কারণেই ওডিআই ছাড়লেন। অন্যদিকে পরিবারকে আরও সময় দেওয়ার জন্যই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেন ক্লাসেন। ৩৬ বছরের অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ম্যাক্সওয়েল ১৩ বছরের একদিনের কেরিয়ার শেষ করলেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দুটি একদিনের বিশ্বকাপ জিতেছেন। রান করেছেন চার হাজারের কাছাকাছি। এবং যাঁরা দু হাজারের বেশি রান করেছেন, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্ট্রাইক রেট ম্যাড ম্যাক্সেরই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময়ই তিনি অজি নির্বাচক প্রধান জর্জ বেইলিকে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন। বলেছিললেন, ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত তিনি খেলবেন না। পাশাপাশি মাত্র ৩৩ বছর বয়সেই বিস্ময়করভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিলেন হেনরিচ ক্লাসেন। সাদা বলের ক্রিকেটে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসাবে দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটারের মারকাটারি ব্যাটিংয়ের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্লাসেন লিখেছেন, আমার ও পরিবারের ভবিষ্যতের ভালোর জন্য এই সিদ্ধান্ত নিতে অনেকটাই সময় লেগেছে। দুজনেই দুর্দান্ত আকর্ষণীয় ক্রিকেটার। তাঁদের অবসরে রসিক ক্রিকেট অনুরাগীরা বেশ হতাশ। ২০২৭-এ পরের বিশ্বকাপে যেমন দেখা যাবে না ম্যাক্সওয়েলকে তেমনি বিস্ফোরক ক্লাসেনকে মিস করবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দুনিয়া।