কে এল নিজেকে অনেক বদলে ফেলেছে: জয়রাজ

এই নামে অনকেই তাঁকে চেনেন না। প্রশ্ন করলে সবই জানতে চাইবেন এই স্যামুয়েল জয়রাজ কে! উত্তরে একটা কথাই বলার আছে, তিনি হলেন কে এল রাহুলের ছেলেবেলার কোচ। তাঁর হাত ধরেই ক্রিকেটে উঠে এসেছেন রাহুল। ইংল্যান্ডের মাঠে ৩৩ বছরের রাহুলের সেঞ্চুরির পর অনেক কথাই বললেন জয়রাজ। জাতীয় দলের খেলার কারনে এখন নিয়মিত যোগাযোগ নেই। জয়রাজের কাছে তালিমের প্রয়োজনও হয় না। নানা সময় নানা কোচকে তিনি পেয়েছেন। তবে জয়রাজ ভোলেননি রাহুলকে। তাঁর পুরো জার্সি জয়রাজের কাছে ছবির মতো স্পষ্ট। তাই তো তিনি বলতে পারছেন, রাহুল এখন নিজেকে অনেক বদলে ফেলেছে। মেজাজে, টেকনিকে, পরিস্থিতি বিচারে, কোন কিছুতে আগের রাহুলের সঙ্গে আজকের রাহুলের মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। এখানেই শেষ নয়, ২০২৪-এ টি ২০ বিশ্বকাপ দলে সুযোগ না পেয়ে রাহুলকে হতাশায় ভেঙ্গে পড়তে দেখেননি। রাহুলের মনে হয়েছিল, নিজেকে আরও ভালভাবে তৈরি করতে হবে। এমন খেলতে হবে য়া দেখার পর কেউ তাকে দরে বাইরে ফেলে দিতে পারবে না। সেই জায়গা থেকে ফিরে এসে নিজেকে কীভাবে দাঁড় করিয়েছে রাহুল! এখন সবাই তা দেখতে পাচ্ছেন। তাই বলছিলাম, রাহুল নিজেকে অনেক বদলে ফেলেছে। এটা ঘটনা য়ে টি২০ বিশ্বকাপে রাহুলকে ছেঁটে ফেলা অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। তার আগে ২০২৩-এর ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে দারুন খেলেছিলেন রাহুল। ব্যাটিং বা কিপিংয়ে সকলের নজর তিনি কেড়েছেন। তারপর ছয় মাসের মধ্যে কি এমন ঘটল যা নির্বাচকদের খুশি করতে পারল না। টি২০ বিশ্বকাপে জায়গা না পেলেও টেস্ট সিরিজে জায়গা করে নিল। এমন কি দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কেমন খেললেন রাহুল তা কি আজ নতুন করে মনে করিয়ে দিয়ে হবে! জয়রাজ বলছিলেন, এটা ঘটনা যে টি২০ বিশ্বকাপে জায়গা না পেয়ে ওকে হতশ হতে দেখিনি। রাহুল বিশ্বাস করে হতাশা বাচ্চাদের মানায়। ওর মতো একজন সিনিয়র ক্রিকেটার হতাশায় ডুবে গেলে মনে করতে হবে, তোমার দিন শেষ হয়ে এসেছে। তাই নিজেকে পালিশ করে দারুনভাবে ফিরল রাহুল। এখন দল গড়তে হলে ওর নাম শুরুতেই লিখে ফেলতে হবে। গত দশ বছরের রাহুলকে বিচার করলে দেখা যাবে ও ভিষণ শান্ত। চাপের মধ্যেও মাথা ঠান্ডা রেখে দলকে টেনে নিয়ে চলে। জয়রাজ সেকথা টেনে বলছেন, রাহুল এখন কম্পোজড। লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে নামলেও জানে কীভাবে খেলতে হবে। দেখবেন প্রথম চার বল খেলে স্ট্রোক করার পথে ছোটে। পঞ্চম বা শেষ বলে সিঙ্গলস নিয়ে পরের ওভারে শুরু থেকে খেলার সুযোগের চেষ্ট করে। ওকে দেখে কখনই মনে হবে না যে চাপে পড়ে গিয়েছে। আর এই মানসিকতা প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলে দেয়। আমি আশা করব, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে নিজেকে একভাবে মেলে ধরবে।
অনূর্ধ্ব ১৯ ক্যাম্পেও ছয়ের খেলায় মেতে সূর্যবংশী

আইপিএল শেষ হলেও মাঠের বাইশ গজে বৈভব সূর্যবংশীর দাপট থেমে নেই। একই মেজাজে খেলে চলেছে। সেই বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারির খেলায় মেতে সূর্যবংশী। সামনেই অনুধ্ব ১৯ ভারতীয় দলের ইংল্যান্ড সফর। ২৪ জুন প্র্যাকটিস ম্যাচ) থেকে চলবে ২৩ জুলাই পর্যন্ত। ভারতীয় দল খেলবে বেসরকারি পাঁচটি ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ (শুরু ২৭ জুন, চলবে ৭ জুলাই পর্যন্ত)। তারপর দুটি চারদিনের ম্যাচ। তার আগে একটি প্র্যাকটিস ম্যাচও খেলবে ভারতীয় ক্রিকেট দল। সেই সিরিজের দিকে তাকিয়ে ভারতীয় দলের ক্যাম্প বসেছে বেঙ্গালুরুর এনসিএ-তে। দুবেলার প্র্যাকটিসে ট্রেনিংয়ের পাশাপাশি ম্যাচ সিচুয়েশনও চলছে। তার ভিডিও সামনে আসতে ভাইরাল হতে বেশি সময় লাগল না। ভিডিওতে দেখা গেল, বোলারদের সামনে আতঙ্কের নাম বৈভব সূর্যবংশী। সে পেসার হোক বা স্পিনার। কোনও বোলারই রেয়াদ পাচ্ছে না। পেসারদের বিরুদ্ধে বৈভবের ব্যাটিংয়ের ভিডিও দেখা গেল। লং অন থেকে মিড উইকেট, মাঠের এই অঞ্চল দিয়ে বেশি স্ট্রোক খেলছে বৈভব। অফের দিকে পয়েন্ট থেকে কভার দিয়ে বাউন্ডারি বা ওভার বাউন্ডারি মারছে। যাঁরা আইপিএলে বৈভবকে দেখেছেন, তাঁদের কাছে এই ভিডিও না দেখলেও চলবে। চোখ বুজে আইপিএল ম্যাচ কল্পনা করে নিলে ক্যাম্পের ছবি পরিস্কার হয়ে যাবে। সেই বিধ্বংসী মেজাজ। বোলারকে শেষ করে দেওয়ার মানসিকতা। খুনে মেজাজের ব্যাটিং দেখে অনেকে বলছেন, ইংল্যান্ডের মাঠে এমন ক্রিকেট খেলতে পারলে ভারতীয় দল সিরিজ জিতে দেশে ফিরবে। বৈভব সূর্যবংশীর কথাতেও তাই ফুটে উঠেছে। সে বলছে এর আগে আমি কখনও ইংল্যান্ডের মাঠে খেলিনি। তাই জানি না সেখানকার উইকেট, আবহাওয়া কেমন হবে। শুনেছি বল বেশি সুইং করে সিমও করে। আসলে সেখানে গিয়ে বুঝতে পারব উইকেটে গিয়ে কেমন খেলতে পারব। এখন পর্যন্ত সব ঠিক আছে। বাকিটা ওখানে গিয়ে দেখতে হবে। ওয়ান ডে সিরিডে বৈভবের সঙ্গে অধিনায়ক আয়ুষ মাত্রে সম্ভবত পেন করবে। সিএসকের হয়ে এবারের আইপিএলে শেষদিকে আয়ুষকে খেলতে দেখা গিয়েছে। বৈভবের মতো আক্রমনাত্মক না হলেও বড় স্ট্রোক করে খেলতে পারে। আইপিএলে বড় বড় বোলারদের সামলানের পর মনে হয় না ইংল্যান্ডে গিয়ে জুনিয়র ক্রিকেটাদের সামনে দাঁড়াতে তাদের অসুবিধা হবে। আইপিএলের আগে বৈভব ভারতীয় দলের হয়ে (অনু্ধ্ব ১৯) এশিয়া কাপে খেলেছে। পাঁচ ম্যাচে করেছে ১৭৬ রান। গড় ৪৪। তাই ভারতীয় দলের জার্সির ভার তাকে চাপে ফেলে দেবে না। এই অভিজ্ঞতা তার আছে। এখন দেখার বিষয় এটাই যে শুভমান গিলদের উল্টোদিকে জুনিয়র ক্রিকেটাররা কেমন খেলে। ভারতীয় দলের ওয়ান ডে সিরিজের ম্যাচগুলি হবে হোভ, নর্দাম্পটন, উরস্টারে। লাল বলের ক্রিকেটে প্রথম ম্যাচ ১২ জুলাই। খেলা হবে বেকেনহ্যামে। দ্বিতীয় ম্যাচটি হবে ২০ থেকে ২৩ জুলাই চেমসফোর্ডে।
সেঞ্চুরি করলেও রাহুলকে টেস্ট সিরিজে ওপেনে চান না পন্টিং

২০২৪-এর শেষদিক অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পারথ টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিলেন কে এল রাহুল। যশস্বী জয়সওয়ালের সঙ্গে জুটিতে বড় রান করে দলকে জেতাবার পর তাঁদের ওপেনিং জুটি ভাঙ্গতে চায় নি টিম ম্যানেজমেন্ট। রোহিত শর্মা পরের টেস্টে দলে এলেও খেলেন মিডলঅর্ডারে। পরে অবশ্য রোহিত ওপেনে আসায় রাহুল চলে যান মিডলঅর্ডারে। এবার ইংল্যান্ড সিরিজের আগে টেস্ট ক্রিকেট খেকে অবসর নিয়েছেন রোহিত। সঙ্গে বিরাট কোহলিও। তাই এবারের দলটি কিছুটা হলেও তারুন্যে ভরা। অভিজ্ঞতা কম। রাহুল, বুমরা ছাড়া অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ক্রিকেটার কোথায়! তাই বাড়তি চ্যালেজ্ঞ নিয়ে ভারতীয় দলকে মাঠে নামতে হবে। তবে কিছু করে দেখাবার তাগিদ থাকলে চাপের মুখেও ভাল পারফর্ম করা সম্ভব। আইসিসি রিভিউতে এ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অ্ধিনায়ক রিকি পন্টিং বলেছেন, একটা দল ভেঙ্গে গেলে তাকে নতুন করে গড়ে তুলতে গেলে সময় লাগে। সেই সময়টা এই ভারতীয় দলকে দিতে হবে। আবার এটাও ঘটনা যে এই ঘাটতি পুষিয়ে নিতে অন্য কোনও দেশের যতটা সময় লাগবে, তার থেকে অনেক সময়ে ভারতীয় দল নিজেদের গুছিয়ে নিতে পারবে। কারন একটাই, ভারতীয় দলের রিজার্ভ বেঞ্চ তৈরি। কিছুটা সময় পেলে তারা নিজেদের তৈরি করে নিতে পারবে। যা অন্য দেশের পক্ষে সহজ হবে না। তাই রোহিত, বিরাট, অশ্বিন ও শামি দলে না থাকলেও শুরুতে সমস্যা হলে ভারতীয় দল তাড়াতাড়ি নিজেদের গুছিয়ে নিতে পারবে। ২০ জুন লিডসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতীয় দল প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে। প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডের বোলিং শক্তি আক্রমনাত্মক হতে পারছে না। তাদের প্রথম সারির অনেক পেসার চোটের কারনে দলের বাইরে। তাই ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা শুরুতে নিজেদের ধরে নিতে পারলে বড় রানের ইনিংস খেলতে পারবে। পন্টিং বলছেন, ইংল্যান্ডের আবহাওয়ায় খেলতে গেলে ধৈয্যের পরীক্ষা দিতে হবে। উইকেটে একবার জাঁকিয়ে বসতে পারলে বড় রান করতে অসুবিধা হবে না। ভারতীয় দলের বোালিং নিয়ে খুব বেশি ভাবতে হবে না। বুমরা চলে আসায় পুরো শক্তি নিয়ে মাঠে নামতে পারবে। ইংল্যান্ডে পেসাররা সুবিধা পায়। আহবাওয়াকে কাজে লাগিয়ে সিম বা সুইং দুটোই ঠিকভাবে করতে পারবে। সিরিজের শুরুর দিকের উইকেটে বল বাড়তি বাউন্স পাবে। এটা ভারতকে কাজে লাগাতে হবে। এবং সেটা করতে পারলে সিরিজে ভারতীয় দল এগিয়ে যেতে পারবে। বোলিং তো হল। ভারতীয় দলের ব্যাটিং লাইন আপ কেমন হতে পারে। ইংল্যান্ড পৌঁছে ভারতীয় এ দলের খেলতে নেমে কে এলে রাহুল ১১৬ রানের ইনিংস খেলেছেন। লায়ন্সদের বিরুদ্ধে ভারতীয় এ দল প্রথমে ব্যাট করতে নেমে করেছে ৩৪৮ রান। নায়ার রান পেয়েছেন। রান পেয়েছেন ধ্রুব জুরেলও। টেস্ট সিরিজ এত সহজ হবে না। পন্টিং বলছেন, রাহুল সেঞ্চুরি পেলেও টেস্টে ওকে ওপেনে রাখতে চাই না। যশস্বী বেশিদিন টেস্ট খেলছে না। তবু নিজেকে পরিণত মনে করতে পারে। ওর সঙ্গে ওপেনে চাই সাই সুদর্শনকে। আইপিএলে ওর অনেক ম্যাচ দেখেছি। টেকনিক খুব ভাল। টেস্ট খেলার আদর্শ টেকনিক বল যেতে পারে। তার উপর ইংল্যান্ডে কাউন্টি ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। এবারও আইপিএলে অনেক রান করেছে। রানের খিদে আছে। ওপেনে একবার দাঁড়িয়ে গেলে ওকে নিয়ে চিন্তা থাকবে না। রাহুলকে আসুক তিন নম্বরে। ওপেনিং দুজন অনভিজ্ঞ ক্রিকেটারের পর একজন সিনিয়র ব্যাটসম্যান দরকার। এখানে অনেকে আবার করুন নায়ারকে চাইবে। নায়ার অনেকদিন খেলছে। টেস্টে বড় রানের ইনিংস খেলার অভিজ্ঞতা আছে। কিন্তু আট বছর পর ভারতীয় দলে ফিরেছে। ভারতীয় এ দলের হয়ে প্রথম ম্যাচে ডবল সেঞ্চুরি করার পর দ্বিতীয় ম্যাচেও রান পেয়েছে। তবু আমার মতে নায়ার আসুক পাঁচ নম্বরে। তার আগে চারে চাই শুভমান গিলকে। এবারই প্রথম টেস্ট ক্রিকেটে জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেবে গিল। চাপ তো থাকবে। শুরুটা ভাল হলে চারে এসে গিলের খেলা সহজ হবে। ওর ব্যাটে রান দরকার। রান পেলে নেতৃত্ব বোঝা হয়ে দাঁড়াবে না। তা হলে ভারতীয় দলের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যান কেমন দাঁড়াল- যশস্বী জয়সওয়াল, সাই সুদর্শন, কে এল রাহুল, শুভমান গিল ও করুন নায়ার। এই পাঁচ ব্যাটসম্যানের মধ্যে তিনজন রান করে দিলে ভারতের টেস্ট ম্যাচ নিয়ে চিন্তা কমবে।
ওয়াংখেড়েতে বঞ্চিত কেন শাস্ত্রী? প্রশ্ন তুলে চিঠি এমসিএ প্রেসিডেন্টকে

সচিন তেন্ডুলকর, রোহিত শর্মা, অজিত আগরকর, শরদ পাওয়াররা নানাভাবে সম্মানিত হয়েছেন ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। কিন্তু রবি শাস্ত্রী উপেক্ষিত। কেন এই প্রশ্ন তুলে এমসিএ প্রেসিডেন্ট অজিঙ্ক নায়েককে চিঠি দিলেন মুম্বইয়ের প্রাক্তন অধিনায়ক শিশির হাত্তারাঙ্গি। তিনি বিশদে জানিয়েছেন, শাস্ত্রী শুধু স্যর গ্যারি সোবার্সের মত ৬ বলে ৬ ছক্কাই হাঁকাননি, ক্রিকেটার হিসাবে তাঁর উজ্জ্বল কেরিয়ার, কোচ হিসাবে ভারতকে আরও আধুনিক করে তোলা, দুর্দান্ত ধারাভাষ্যকার – সব উল্লেখ করে ভারতীয় ক্রিকেটে তাঁর প্রভাবকে ব্যাখ্যা করেন। প্রসঙ্গত গত ১৬ মে ওয়াংখেড়েতে রোহিত শর্মা, অজিত ওয়াদেকর ও শরদ পাওয়ারের নামে স্ট্যান্ডের নামকরণ হয়েছে। আগে সুনীল গাভাসকর, সচিন তেন্ডুলকর ও দিলীপ বেঙ্গসরকারের নামেও স্ট্যান্ড হয়েছে। কিন্তু বিস্ময়করভাবে বাদ রবি শাস্ত্রী। এমসিএ প্রেসিডেন্টকে লেখা চিঠিতে হাত্তারাঙ্গি লিখেছেন, স্যর আমি শিধি একজন প্রাক্তন ক্রিকেটারের জন্য লিখছি না, বলতে চাইছি এমন একজনের জন্য, যিনি এক দশকেরও বেশি সময় মুম্বই ক্রিকেটের সেবা করেছেন। তিনি আশা করেছেন মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন এই ব্যাপারটা নতুনভাবে পর্যালোচনা করে দেখবে। পাশাপাশি তিনি এ কথাও জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর এই বক্তব্য কোনও রাজনৈতিক বক্তব্য নয়। রবি শাস্ত্রী দেশের হয়ে ৮০টি টেস্ট ও ১৫০টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন। ১৯৮৩-র বিশ্বজয় ও ১৯৮৫-র চ্যাম্পিয়ন অফ চ্যাম্পিয়নস খেতাব জিতেছিলেন। তাছাড়া মুম্বইয়ের হয়ে রয়েছে বিশাল অবদান। এখন হাত্তারাঙ্গির চিঠির পর এমসিএ কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাই দেখার।
“শ্রেয়স টেস্ট ও টি টোয়েন্ট দলে ফেরার বড় দাবিদার, সাদা বলে নেতৃত্বের চ্যালেঞ্জার”

এবারের আইপিএলের পর ভারতীয় ক্রিকেটে নতুনভাবে প্রভাব বিস্তার করলেন শ্রেয়স আইয়ার। অন্তত ভারতীয় ক্রিকেটের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন, এমন এক কর্মকর্তা তেমনই মনে করছেন। সূতরাং বোঝাই যাচ্ছে, ভালো রকমই প্রভাবিত হয়েছে খোদ বিসিসিআই। গত মরসুমে কেকেআরকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। তারপর এবার পঞ্জাব কিংসকেও ফাইনালে তুলেছেন। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও দারুণ সফল। তাই ওই কর্মকর্তা মনে করছেন শ্রেয়সকে নিয়ে নতুন ভাবনা চিন্তা শুরু হবে। ভারতীয় ক্রিকেটের ওই প্রভাবশালী কর্তা জানান, শ্রেয়স এখন শুধু একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলছে ঠিকই, কিন্তু এখন টি টোয়েন্টি ক্রিকেট বা টেস্টের দলে ঢোকারও বড় দাবিদার। এবং সাদা বলের ক্রিকেটে নেতৃত্বেরও বড় চ্যালেঞ্জার। নেতৃত্বের প্রশ্নে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেবেন রোহিত, মনে করেন তিনি। দারুণভাবে ফিরে এসেছেন শ্রেয়স। খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, শ্রেয়স আইয়ার বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্ত থেকে বাদ পড়লেন। টেস্ট ও টি টোয়েন্টি দল থেকে ছিটকে গেলেন। খুব দুঃখের ব্যাপার যে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করার পরও শ্রেয়সকে ছেড়ে দিল কেকেআর। তাঁর ফিটনেস, ফর্ম ও টেম্পারমেন্ট তাঁকে পিছনে ঠেলে দিল। কিন্তু তিনি মুম্বইয়ের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণভাবে পারফর্ম করতে থাকলেন। সৈয়দ মুস্তাক আলিতে নেতৃত্বও দিলেন। তারপর পঞ্জাব কিংসের নেতৃত্ব নিয়ে দায়িত্বে আসা। সতীর্থদের সঙ্গে এমন আবেগ তৈরি হল, তাঁকে সরপঞ্চ সাহেব বলে ডাকতে শুরু করলেন তাঁরা। সব মিলিয়ে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন। তারপরই প্রভাবশালী কর্তার এই মন্তব্য। নতুনভাবে ফিরে এসে নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার, মেনে নিচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম ডিসিশন মেকার। সরাসরি জানিয়েও দিচ্ছেন। এরপরই শ্রয়সের ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন আলোচনা।
আরসিবি ট্র্যাজেডির নৈতিক দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করলেন কেএসসিএ সচিব ও কোষাধ্যক্ষ

বেঙ্গালুরু ট্র্যাজেডির পর একের পর এক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বেঙ্গালুরু পুলিশ কমিশনার ও অন্যান্য পদস্থ পুলিশ অফিসারদের সাসপেন্ড করার পর গ্রেফতার করা হয়েছে চারজনকে। তার মধ্যে রয়েছে আরসিবির মার্কেটিং হেড নিখিল সোসালো। এমনকা বিরাট কোহলির বিরুদ্ধেও অভিযোগ জানিয়েছেন অনেকেই। এবার পদত্যাগ করলেন কর্ণাটক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সচিব এ শঙ্কর ও কোষাধ্যক্ষ ইএস জয়রাম।মর্মান্তিক ঘটনার নৈতিক দায় স্বীকার করেই পদত্যাগ করলেন তাঁরা। একটি বিবৃতিতে তাঁরা জানিয়েছেন, “দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার জন্য আমাদের ভূমিকা যদিও খুব নগণ্য ছিল, কিন্তু ঘটনার নৈতিক দায় স্বীকার করে আমরা পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দিয়েছি। আমরা সচিব ও কোষাধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্টের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছি।” এদিকে ভবিষ্যতে কোনও সেলিব্রেশনের ব্যাপারে নতুন নির্দেশিকা জারি করতে চলেছে বিসিসিআই। সচিব দেবজিত সইকিয়া জানান, “আমরা নীরব দর্শক হয়ে থাকতে পারি না। কিছু একটা করতেই হবে। যদিও এটা আরসিবির নিজস্ব ব্যাপার, কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটের যে কোনও ব্যাপারে আমরা দায়বদ্ধ। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে তার জন্য আমরা চেষ্টা করব।” ভারতীয় দলের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর আগেই জানিয়েছেন, রোড শোর প্রয়োজন আছে বলে তিনি মনে করেন না। রোড শো হওয়া উচিত নয়। বৃহস্পতিবার আরসিবির পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, এমন মর্মান্তক ঘটনায় আরসিবি পরিবার যন্তণাবিদ্ধ। তবু আরসিবি ম্যানেজমেন্ট বিতর্কমুক্ত হতে পারছে না।
প্যারিসকে বিদায় জানালেন জকোভিচ !

হারার পর কোর্ট ছেড়ে বেরিয়া আসার আগে দর্শকদের উদ্দেশ্যে হাতজোড় করলেন জকোভিচ। শুক্রবার।
বেঙ্গালুরুতে পদপিষ্ট কান্ডে বিরাটের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

বেঙ্গালুরুতে পদপিষ্ট কান্ডে ১১ জনের মৃত্যুর জন্য বিরাট কোহলি কি গ্রেপ্তার হতে পারেন! এই ঘটনায় বিরাট কোহলিকে দায়ী করে বেঙ্গালুরুর কার্বন পার্ক থানায় অভিষোগ দায়ের করা হয়েছে। কর্নাটকের সমাজকর্মী এইচ এম বেঙ্কটেশ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বুধবার বিরাট কোহলিকে দেখতে স্টেডিয়ামের বাইরে প্রায় আড়াই লাখ সমর্থক হাজির হয়েছিলেন। আর সেখানেই প্রচন্ড ভিডে়র চাপে পদপিষ্ট হয়ে ১১ জন প্রান হারান। অবাক কান্ড এটাই যে পদপিষ্ট হওয়ার কবর পাওয়ার পরও কেন স্টেডিয়ামে উৎসব চালিয়ে যাওয়া হয়েছিল! এগুলি জানাতে হবে। কার্বন থানার পক্ষথেকে জানানো হয়েছে বেঙ্কটেশের অভিষোগ খতিয়ে দেখা হবে। শোনা যাচ্ছে, তাঁর অভিষোগের ভিত্তিতে নাকি একটি এফ আই আর দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত চলার সময় অভিষোগের সত্যতা যাচাই করা হবে। তবে এখনই বিরাটের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের অনুষ্টানের পর স্ত্রী অনুষ্কাকে নিয়ে বিরাট মুম্বই চলে যান। তারপর তিনি নাকি দেশের বাইরে চলে গিয়েছেন। তবে বিরাটের ব্যাপারটি এখানে থেমে গেলে কথা ছিল না। কিন্তু সেটা হচ্ছে কোথায়! বলা হচ্ছে, বিরাটকে দেখতে সেদিন সমর্থকরা স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন। ৩৫ হাজার আসন বিশিষ্ট স্টেডিয়ামে লাখ মানুষের জায়গা হবে কী করে! আর এতেই বিপত্তি। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের ঘটনায় ইতিমধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও গ্রেপ্তার হতে পারেন। এই আশঙ্কায় কর্নাটক ক্রিকেট সংস্থার কর্তারা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলায় বিচারপতি জানিয়ে দেন পরবর্তী শুনানীর আগে পর্যন্ত কর্নাটক ক্রিকেট সংস্থার কর্তাদের গ্রেপ্তার করা যাবে না। তবে তাঁদের এই মামলায় সহযোগিতা করতে হবে।
ভারতীয় দল ইংল্যান্ডে ফ্লপ হলে বিরাট ফিরে আসতে পারে: ক্লার্ক

আইপিএল ফাইনালের ৪৮ ঘন্টা আগে শোনা গিয়েছিল যে বোর্ডের তরফ থেকে আরও একবার বিরাটকে বলা হবে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর ভেঙ্গে বেরিয়ে এস। আবার মাঠে নেমে পড়। আইপিএল চেয়ারম্যান অরুন ধুমাল এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন আরসিবি চ্যাম্পিয়ন হলে আমি নিজে বিরাটের সঙ্গে কথা বলব। জানা যায়নি, আরসিবি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বিরাটের সঙ্গে ধুমাল কথা বলেছেন কিনা। সবাই বিশ্বাস করেন, বিরাটকে অবসর ভেঙ্গে আবার টেস্ট ক্রিকেটে মাঠে নামতে বল হলে তিনি রাজি হবেন না। কিন্তু কথা কি আদ হয়েছে! অরুন ধুমালের পর এ ব্যাপারে এবার এগিয়ে এলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ নিয়ে অনেক কথাই শোনালেন। তিনি বলছেন, ইংল্যান্ড সফরে ভারতীয় ক্রিকেট দল ভল পারফরম্যান্স না করলে বিরাটের উপর এ নিয়ে চাপ বাড়তে পরে। ধরে নেওয়া যাক ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারত ৫-০ ম্যাচে সিরিজ হারল। তখন কি সবাই হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন। না, বোর্ড কর্তা থেকে শুরু করে ক্রিকেট ফ্যানরা বিরাটের উপর চাপ তৈরি করবেন। তাঁকে ফিরে আসতে অনুরোধ করবেন। তখন বিরাট সেই অনুরোধ ফেলে দিতে পারবে! নিজের ইচ্ছে কিন্তু হার মানবে। আমি বিশ্বাস করি না ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতীয় দল এমন হতশজনক পারফরম্যান্স করবে। ২০০৭ সালের পর ভারতীয় দল ইংল্যান্ড গিয়ে সিরিজ জিততে পারেনি। এবার তেমন হবে বলে মনে হয় না। কিন্তু যদি তেমন কিছু হয় তা হলে বিরাটকে ফিরে আসর অনুরোধ করা হবে। বিশেষ করে ফ্যানদের চাপের কাছে হার মেনে বিরাট টেস্ট ক্রিকেটে আবার ফিরে আসতে পারে। এবার আইপিএলে ব্যাটসম্যান বিরাট ফ্যানদের হতাশ করেননি। ছশোর উপর রান করেছেন। স্ট্রাইক রেট ভাল না হলেও ফাইনালে ৪৩ রানের ইনিংংস তাঁর কছ থেকে পাওয়া গিয়েছে। আসলে বিরাটের এখন খিদে আছে। প্রচন্ড ফিট বলে মাঠে ছুটতে অসুবিধা হয় না। আজকের ভারতীয় দলে তাঁর মতো ফিট ক্রিকেটার কজ আছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। আর এটাই বিরাটকে ভাল পারফর্ম করতে সাহায্য করে। তাঁর ব্যাডপ্যাচ-এর সময় হতাশায় ভেঙ্গে না পড়ে বাড়তি পরিশ্রম করে রানে ফিরে আসার চেষ্টা করেন। অনেকে নিজেকে হারিয়ে ফেলেন। বাড়তি খাটনির চেষ্টা না করে নিজেকে গুটিয়ে নেন। বিরাট সেই জাতের ক্রিকেটার নন। তাই তিনি আজও রান করে যাচ্ছেন। আরও দুবছর তিনি অনায়াসে টেস্ট ক্রিকেট খেলে দিতে পারেন। সেটাই অনেকে চাইছেন। টেস্ট ক্রিকেটে বিরাট ফিরে আসুন। ভারতীয় দলকে সামনে টেনে নিয়ে যান। তবে ভারতীয় দল ইংল্যান্ডে ভাল খেলে দিলে এই প্রশ্ন উঠবে না। এটা নিশ্চিত করে বলে দেওয়া যায়। গম্ভীর বা আগারকররাও এ নিয়ে কোনও কথা বলবেন না। সিরিজ জিতলে তো কথাই নেই। সন্মানজনক হার হলেও পিছন ফিরে থাকাবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করবেন না। তাই ক্লার্ক বলছেন, ইংল্যান্ডে খারাপ পারফরম্যান্স হলেই বিরাটকে নিয়ে আবার কথা উঠতে পারে। না হলে নয়।
বাবা টেস্ট ক্রিকেটের ফ্যান, আমার অবসরের কথা শুনে হতাশ হয়ে পড়েন: রোহিত

বাবা গুরুনাথ শর্মা। যাঁরা তাঁকে দেখেননি, তাঁরাও তাঁকে চেনেন। আসলে নামেই তাঁর পরিচিতি। তিনি রোহিত গুরুনাথ শর্মার বাবা। এবার সকলেই চিনতে পারবেন। সেই গুরুনাথ শর্মা একজন টেস্ট ক্রিকেটের ফ্যান। তাঁর কাছে আধুনিক ক্রিকেটের তেমন মূল্য নেই। ওয়ান ডে বা টি২০ ক্রিকেট পছন্দ নয়। তাঁর জমানায় টেস্ট ক্রিকেট ছিল একমাত্র ক্রিকেট। যা নিয়ে মুম্বইকররা মেতে উঠতেন। তাই টেস্টে ৩০ বা ৪০ রান করলেও বাবা গুরুনাথ ছেলের কাছে জানতে চাইতেন কীভাবে রান এল। কেন বেশি রান করতে পারলেন না। কোন বোলার বল করছিলেন। এমন নানা প্রশ্ন রোহিতের কাছে করতেন। রোহিত বলতে গেলে পুরো ম্যাচ রিপোর্ট বাবাকে বলে দিতেন। আবার ওয়ান ডে ক্রিকেটে বড় রান করেছে জানতে পারলে বলতেন, ভাল খেলেছ। আমি খুশি। ব্য এটুকুই। এমনকি ওয়ান ডে ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে রোহিতর ২৬৪ রানের ইনিংসের কথা শুনেও ম্যাচের কথা জানতে চাননি। এই হলেন গুরুনাথ শর্মা। টি২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ভারত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর অবসরের কথা শুনিয়েছিলেন রোহিত। এই খবর বাবার কাছে যাওয়ার পর তিনি হতাশ হননি। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেট থেকে রোহিতের অবসরের কথা শুনে কিছুটা হলেও হতাশ হয়ে পড়েন। কারন তিনি বুঝে গিয়েছিলেন, এরপর ছেলেকে আর টেস্ট ক্রিকেটে দেখতে পাবেন না। এমন নানা গল্প নিজেই শোনালেন রোহিত শর্মা। মুম্বইয়ে এক অনুষ্ঠানে এসে বাবা গুরুনাথকে নিয়ে অনেক অজানা কথা সামনে টেনে আনলেন। চেতেশ্বর পুজারার স্ত্রী পূজা সম্প্রতি একটি বই লিখেছেন। বইয়ের নাম- দ্য ডায়েরি অফ এ ক্রিকেটার্স ওয়াইফ। সেখানে এসে বাবা গুরুনাথকে নিয়ে নানা কথা বললেন। এর আগে নানা সাক্ষাৎকারে রোহিত শুনিয়েছেন নিজের রোল মডেলের কথা। তাঁর জীবনের হিরোর গল্প। সেকথা আবার টেনে আনলেন। বলছিলেন, বাবা ও মা আমার জীবন গড়ে দেওয়ার পিছনে যা করেছেন তা ভাষায় ব্যাখ্যা করা যায় না। সকলের বাবা- মা নিজের সন্তানদের জন্য অনেক কিছু ত্যাগ স্বীকার করেন। আমি বাবা-মাকে দেখেছি। ওঁদের ত্যাগের কথা ভুলতে পারব না। ওঁদের জন্য আজা আমি এই জায়গায় এসে দাঁড়াতে পেরেছি। না হলে আমাকে হয়তো অন্য কিছু করে জীবন চালাতে হত। বাবা এক ট্রান্সপোর্ট কোম্পানিতে চাকরি করতেন। হাতে সময় পেলে লাল বলের ক্রিকেট দেখতে মাঠে ছুটতেন। সেই থেকে লাল বলের প্রতি তাঁর ভালবাসা জন্মায়। আমি যখন ক্রিকেট খেলা শুরু করি, তখন থেকে আমার লাল বলের খেলার স্কোর জানতে চাইতেন। টেস্টের পাশাপাশি সাদা বলের ক্রিকেটের রান জানতে চাইলেও তাঁর মধ্যে তেমন আগ্রহ দেখতে পেতাম না। ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে ক্রিকেটে ২৬৪ রান করে বিশ্বরেকর্ড করার পরও নয়। খুশি হতেন। সব বাবা- মা হন। ছেলের কীর্তিতে তাঁরা গর্ব অনুভব করেন। ব্যস এটুকু। কিন্তু টেস্টে ভাল কিছু করতে পারলে তাঁর মুখের চেহারা বদলে যেত। বোঝা যেতে তিনি খুব খুশি হয়েছেন। সেই আমি যেদিন টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের কথা জানিয়ে দিলাম, সেদিন কিছুটা হলেও হতাশ হয়েছিলেন। এটা শুনে খুশি হয়েছিলেন যে আমি নিজে থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। এমন নয় যে দল থেকে বাদ পড়ে অবসরের কথা ঘোষনা করেছি। কদিন আগে (১৭ মে) ওয়ানখেড়ে স্টেডিয়ামে রোহিতের নামে স্ট্যান্ড হওয়ার দিন মাঠে এসেছিলেন বাবা-মা। তাঁরা দুজনেই এতটাই খুশি হয়েছিলেন যে আনন্দে চোখ ভিজে গিয়েছিল। এটা তাঁদের কাছে গর্বের ব্যাপার। এসব দেখতে ভাল লাগে। নিজেকে ধন্য মনে হয়। তাঁদের ছেলে কিছু একটা করতে পেরেছে বলে খুশি হয়েছেন। এর থেকে বড় আর কি হতে পারে।