যশ্বসী, গিল, পন্থরা প্রতিভাবান, আমরা ভুল করিনিঃ সাউদি

ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকসকে পারলে ছিঁড়ে ফেলেন মাইকেল ভন। টস জিতে কেন আগে স্টোকস ফিল্ডিং নিয়েছিলেন! এমনটাই অভিযোগ ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়কের। তিনি বলছেন, ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা দেখিয়ে দিয়েছে স্টোকসের কোথায় ভুল হয়েছিল। আমি টসের সময় একটু বাইরে গিয়েছিলাম। তাই টস জিতে বেন কি করেছে তা জানতে পারিনি। পরে যখন শুনলাম, তখন আমার মনে হয়েছিল, বোকার মতো এমন সিদ্দান্ত কেন নিয়েছে স্টোকস। হেডিংলের পিচ শুষ্ক। আবহাওয়া বোলারদের তেমন সাহায্য করবে না। তা হলে কোন যুক্তিতে এমন সিদ্ধান্ত! হ্যাঁ, মানছি এর আগে ইংল্যান্ড পরে ব্যাট করে ম্যাচ বের করে এনেছে। সেদিন পেরেছে বলে এবারও পারবে! আর অতীতকে আঁকড়ে ধরে এগোবার যে কোনও মানে হয় না। ম্যাচে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা দেখিয়ে দিল পিচে কিছু নেই। ইংল্যান্ড ভুল সিদ্ধান্তের শিকার। তবে একা স্টোকসকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। তাঁর একার সিদ্ধান্তে এমনটা হতে পারে না। কোচ ম্যাকুলাম ছিলেন। বোলিং কোচ টিম সাউদি ছিলেন। টস করতে যাওয়ার আগে স্টোকস নিশ্চয় তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে নিয়েছিলেন। এমনটাই তো স্বাভাবিক। তা হলে একা স্টোকসকে কাঠগড়ায় তুলে লাভ কি! দলের বোলিং কোচ সাউদি বলছেন, এখনও আমরা মনে করি আগে বল করার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল না। আমরা ঠিক জায়গায় আছি। আসলে ভারতীয় ব্যাটাররা দারুন ব্যাটিং করেছে। ওদের কৃতিত্ব তো দিতে হবে। যশ্বসী জয়সওয়াল, শুভমান গিল. ঋষভ পন্থরা প্রতিভাবান। ট্যালেন্টেড। ওরা যে কোনও সময় ম্যাচের রং বদলে দিতে পারে। হেডিংলেতে তাই হয়েছে। তিনটি সেঞ্চুরি আমাদের কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে। তার জন্য আমাদের বোলিং করাটা ভুল হয়েছে, এমনটা ভাবলে ভুল হবে। আমরা বিশ্বাস করি টস জিতে ফিল্ডিং করাটা ভুল ছিলনা। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার গ্রেম সোয়ান প্রথম টেস্টের আগে বলেছিলেন, অ্যাশেজে খেলতে নামার আগে ইংল্যান্ড ক্রিকেটাররা একটা প্রস্তুতি সিরিজ পেয়ে গেল। এখানে নিজেদের তৈরি করার সুযোগ তারা পাবে। কিন্তু বোর্ডে ভারতের ৪৭১ রানের ইনিংস দেখার পর সোয়ানের কাছ থেকে কোনও বক্তব্য শোনা যায়নি। ব্রিটিশ মিডিয়া বরাবর জাতীয় দলের পাশে দাঁড়িয়ে উদ্ধুদ্ধ করার চেষ্টা করে। এবারও সেখানেই আছেন। সে নাসের, আথারটন, যার নাম সামনে আসুক না কেন, তারা কেউ স্টোকসদের কাজের সমালোচনা করেন নি। বরং ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের প্রশংসা করেছেন। করারই কথা। না হলে সবই ভুল হয়ে যাবে।
এফএসডিএলের প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ দুই প্রধান

এফএসডিলের প্রস্তাব নিয়ে ক্ষুব্ধ মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বোস।
সেঞ্চুরি পেলেন, গাভাসকরের কাছে পন্থ আর স্টুপিড নন

ছবিটা এখনও চোখের সামনে ভাসছে। মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে সুনীল গাভাসকর বলছেন, স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড। তাঁর এই বক্তব্য ভাইরাল হতে বেশি সময় নেয়নি। পরে একটি বিজ্ঞাপনেও তা ব্যবহার হয়েছে। কিন্তু হেডিংলেতে ইংল্যান্ডর বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ঋষভ পন্থের ব্যাটিংয়ে গাভাসকর মুগ্ধ। এখন আর স্টুপিড কথা তাঁর কাছ থেকে শোনা যায়নি। বরং তিনি বলছেন, ঋষভ নিজেকে বদলে ফেলেছে। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দলের হয়ে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি সে়ঞ্চুরি করলেন। এবং এতেই যেন তাঁর পিঠ চাপড়ে দিলেন প্রাক্তন অধিনায়ক। আজকের পন্থকে দেখে কি বলছেন গাভাসকর। তাঁর নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিং দেখে গাভসকর বলছেন, পন্থ ব্যাট করতে নামলে শুরুতে সামনে এসে বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠায় । এটাই ওর খেলার স্ট্র্যাটেজি। এতে খোলা মনে খেলতে পারে। সেভাবে খেলে নিজের আত্মবিশ্বাস পায়। কিন্তু হেডিংলেতে দেখলাম মানসিকতায় বদল এসেছে। উইকেটে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেছে। বোলাররা টায়ার্ড হয়ে যাওযার পর আক্রমনে গিয়েছে। বাউন্ডারিও পেয়েছে। পেস বোলারদের বিরুদ্ধে পন্থের ডিফেন্সিভ ব্যাটিং দেখে মুগ্ধ গাভাসকর। বলছেন, এমন মেজাজের পন্থকে আগে দেখিনি। উইকেটে সময় দেওয়ার কারনে ওর পক্ষে আক্রমনত্মক স্ট্রোক খেলা সহজ হয়ে যাচ্ছে। ডিফেন্স করর সময় ওর হাতে অনেকটা সময় থেকে যাচ্ছে। পন্থের প্রতিভা দারুন। এটা প্রশংসা করতেই হবে। ওকে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিন আফ্রিকার মাটিতেও সেঞ্চুরি করতে দেখেছি। যা মোটেও সহজ কাজ ছিলনা। এবার পিছনে ফিরে তাকাই। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে স্পিনারকে সুইপ মারতে গিয়ে প্রথমে ফস্কান। তাঁর শট দেখে প্রতিপক্ষ ডিপ স্কোয়ার লেগে একজন বাড়তি ফিল্ডার রাখেন। পরের বল পন্থ একই কায়দায় আবার সুইপ মারেন। এবং সোজা সেই ফিল্ডারের হাতে ক্যাচ যায়। পন্থের আউট দেখে হতাশ গাভাসকর বলে ওঠেন, স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড। তারপরই ভাইরালের ছবি সকলের সামনে আসে। সামনে আসে বিজ্ঞাপনে একই কায়দায় কথা বলা। এখন মেজাজ বদলেছে। পন্থ নিজেকে বদলে ফেলেছেন। আর গাভাসকর নিজেও পন্থ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সব কিছু বদলালেন।
বড় রান করতেই হবে, প্রথম টেস্টের আগে বলেছিলেন যশ্বসী

পরিসংখ্যান কি বলছে! ইন্টারনেট যা জানাচ্ছে তা দেখে চমকে উঠতে হবে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৬টি টেস্টের ১০ ইনিংসে যশ্বসী জয়সওয়াল রান করেছেন ৮১৩। গড় ৯০.৩৩। সেঞ্চুরি তিনটি। হাফ সেঞ্চুরিও তিনটি। ভাবা যায়! এ তো অবিশ্বাস্য বললেও কম বলা হয়। কী করে পারলেন ২৩ বছরের বাঁহাতি ওপেনার। অবাক করার ঘটনা আরও আছে। যশ্বসী হলেন প্রথম বাঁহাতি ওপেনার, যিনি ইংল্যান্ডের মাঠে নেমেই সেঞ্চুরি করলেন। তাঁর ও রাহুলের পার্টনারশিপ দলকে ভরসা দিতে প্রথম টেস্টে ভাল জায়গায় পৌঁছে যায় ভারতীয় দল। এখানেই শেষ নয়, যশ্বসীর ছেলেবেলার কোচ জেয়ালা সিং বলছেন, এখানেই থেমে যাবে না। আমার বিশ্বাস সিরিজে আরও দুটি সেঞ্চুরি করবে যশ্বসী। ছেলেবেলা বলতে যশ্বসী ১১ বছর বয়সে জোয়ালার হাতে আসেন। তখন কে জানত এই ছেলে একদিন ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে দাপাবে। গতবছরের শেষে অস্ট্রেলিয়ার মাঠেও ভাল খেলেছিলেন যশ্বসী। জোয়ালা বলছেন, আমি আশা করেছিলাম সেখানে অন্তত দুটি সেঞ্চুরি করবে। কিন্তু আমার স্বপ্ন বাস্তবে দেখা যায়নি। কিন্তু হেডিংলের মাঠে যশ্বসী যা খেলেছে, তারপর মনে হচ্ছে এবার কিছু একটা দেখাবে। রোহিত ও বিরাট নেই। সকলেই বলছিলেন, নতুনদের নিয়ে এবারের ভারতীয় দল কি এঁটে উঠতে পারবে! আগে ঠিক ছিল, ইংল্যান্ডে গিয়ে ভারত দশদিনেরর ক্যাম্প করবে। তার মাঝে ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে দুটি প্র্যাকটিস ম্যাচও খেলে। শেষ ম্যাচে ভারতীয় এ দলের বিরুদ্ধে তাঁদের খেলতে দেখা যায়। প্রথমদিনের টেস্টের পর মাঠে সতীর্থ ধ্রুব জুরেলকে সাক্ষাৎকার দেন যশ্বসী। সেখানে জুরেল প্রশ্ন করেন, এখন কি মানসিক শান্তি মিলেছে। জুরেলর প্রশ্ন শুনে যশ্বসী বলেন, হ্যাঁ কিছুটা হলেও আমি শান্ত। আসলে মাঠের বাইরে আমরা চরিত্র বলতে গেলে এমনই। নিজেকে নিয়ে থাকতে বেশি ভালবাসি। ইয়ার্কি-ঠাট্টা যে করি না তা নয়। কিন্তু একা হয়ে গেলে ফোকাস থেকে সরে আসতে চাই না। এখনে আসর পর মাথায় একটা জিনিস ঘুরপাক খাচ্ছিল যে ইংল্যান্ডে রান করতে হবে। সবাই বলছে এখানে রান করা কঠিন কাজ। সেই কঠিন কাজকে সহজ করতে গেলে কি করতে হবে, তা নিয়ে নিজের সঙ্গে লড়াই করেছি। তাই এই সেঞ্চুরির কথা বলতে গেলে একট কথাই বলব যে ১০১ রান সহজে আসেনি। এর পিছনে অনেক পরিশ্রম আছে। যশ্বসী থামতে জুরেল বলেন, আমরা তো শুরু দেখছি নেটেও বুমরা, রানাকে বলছিলে কোথায় বল ফেলতে হবে। ওরা সেটাই করে গিয়েছে। আর তুমি খেলেছ। জুরেলকে থামিয়ে যশ্বসী বলেন, আমি জানি এখানে বল বেশি সুইং করবে। সিমও হবে। তাই সুইং করলে বল কোথায় এসে শেষ হবে, সেটা আন্দাজ করে ওদের বল করতে বলছিলাম। রানা ও বুমরা ভাল বল করে গিয়েছে। আমাদের প্র্যাকটিস ম্যাচে ওর ভাল করল। চাইছিলাম ওদের বলের সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে টেস্ট খেলার জন্য তৈরি করেছি। তাই ম্যাচে খুব একটা অসুবিধা হয়নি। এটা সবে শুরু। এবার লম্বা সিরিজ। ব্যাটে আর রান চাই। সহজে থেমে গেলে চলবে না। বিসিসিআই টিভিতে শনিবার সকালে জুরেল ও যশ্বসীর ভিডিও দেখা গেল। ম্যাচের শেষে ওঁরা দুজনে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বললেন। আর সেটাই বিসিসিআই টিভিতে পাওয়া গে
মোহনবাগান রত্ন টুটু বোস

শনিবার কার্যকরী কমিটির সভার শেষে সভাপতি দেবাশিস দত্ত ও সচিব সৃঞ্জয় বোস ঘোষণা করলেন মোহনবাগান রত্ন টুটু বসুর নাম।
এখনও তরুণ তুর্কি ডি মারিয়া

পেনাল্টি থেকে ডি মারিয়ার একটা গোলের মুহূর্ত।
বিরতিতে নেওয়া শপথ ফেরাল ফ্ল্যামেঙ্গোকে

খেলার শেষে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লেন ফ্ল্যামেঙ্গোর ফুটবলাররা।
প্যারিসে জিতেই মূল পেশীগুলোর দিকে নজর দিতে চান নীরজ

প্যারিসের মাটিতে বিজয় হাসি হাসলেন নীরজ চোপড়া ।
জোড়া শতরানে টেস্টের প্রথম দিনে লেটার মার্কস তরুণ ভারতীয় দলের

দুরন্ত শুরু। অনেক সংশয় ছিল। অনেক উদ্বেগ ছিল। অনেক সন্দেহও ছিল। কিন্তু তাগিদ, প্রয়োগ দক্ষতা ও দুর্দান্ত মানসিকতায় সেসব কিছুকে দূরে সরিয়ে দিয়ে হেডিংলে টেস্টের প্রথম দিনে শুধু সসম্মানে পাস করা নয় রীতিমত লেটার মার্কস পেয়ে পাস করল তরুণ ভারতীয় দল। প্রথম দিনের শেষে ভারতের স্কোর ৩ উইকেটে ৩৫৯। শতরান করলেন শুভমন গিল ও যশস্বী জয়সওয়াল। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে বাদ দিয়ে ইংল্যান্ডে টেস্ট খেলতে নেমেছে তরুণ ভারতীয় দল। চাপ ছিল বৈকি! টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। আত্মবিশ্বাসী শুরু করেন রাহুল ও জয়সওয়াল। রাহুল ব্যক্তিগত ৪২ রানে ও সাই সুর্দশন শূন্য রানে আউট হলেও গিলের সঙ্গে জুটি বেঁধে দুর্দান্ত ইনিংস খেললেন যশস্বী জয়সওয়াল। শতরান করে ব্যক্তিগত ১০১ রানে আউট হওয়ার আগে তৃতীয় উইকেটে জুড়ে দিয়েছেন ১২৯ রান। ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথম ও কেরিয়ারের পঞ্চম শতরান করলেন জয়সওয়াল। এরপর হাল ধরেন অধিনায়ক গিল ও সহঅধিনায়ক পন্থ। অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেট দুজনে যোগ করেছেন ১৩৮ রান। শুভমন গিল ১২৭ রান করে ও ঋষভ পন্থ ৬৫ রান করে অপরাজিত আছেন। গিল হলেন চতুর্থ ভারতীয় যিনি অধিনায়ক হিসাবে অভিষেকেই শতরান করলেন। তাঁর আগে এই নজির আছে বিজয় হাজারে, সুনীল গাভাসকর ও বিরাট কোহলি। প্রথম দিনেই শুভমন গিলের তারুণ্যেভরা ভারতীয় দল এভাবে ইংল্যান্ডকে চাপে ফেলে দেবে সেটা অনেক ভারতীয় যেমন ভাবেননি, তেমনি ইংল্যান্ড তো ভাবতেই পারেনি। প্রথম দিনেই গোটা সিরিজের জন্য অন্তত আত্মবিশ্বাসটা পেয়ে গেল গিলের ভারত।