শতায়ুর লক্ষ্য এবার জাতীয় মিটে ফাইনালে ওঠা

অ্যাথলেটিক্স পরিবার। বাবা- বরুণ ও মা রীনা দেবনাথ মন্ডলের পর ছেলে শতায়ু ও মেয়ে জিনিয়া ট্র্যাকে নেমে ঝড় তুলছেন।
দুই প্রাক্তনের বার্তা নিয়ে বুমরাকে সঞ্জনা, পুরো সিরিজটা খেল

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ভারতীয় দলে জসপ্রীত বুমরা না খেললে ভারতীয় দল কোথায় গিয়ে দাঁড়াত। প্রশ্ন শেষ করতে না দিয়ে সবাই বলতেন, এতক্ষণে ভারতীয় দল চাপে পড়ে যেত। হয়তো প্রথম টেস্ট ম্যাচও হাতছাড়া হত। আসলে বুমরা আছে বলেই ভারতীয় দল মেজাজে আছে। না হলে তারা শুরুতেই শেষ হয়ে যেত। তাই হয়তো সনি টিভির অ্যাঙ্কর কমেন্ট্রি বক্স থেকে দৌড়ে মাঠে যাওয়ার মুহূর্তে দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার তাঁর পথ আগে দাঁড়ালেন। বললেন, আমাদের একটি বার্তা জসপ্রীতের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। ওকে বলবে, পুরো সিরিজটা যেন খেলার চেষ্টা করে। আমরা চাই ইংল্যান্ডের মাঠে পাঁচটি টেস্টই বুমরা খেলুক। না হলে সব গরমিল হয়ে যাবে। সনি টিভির অ্যাঙ্কর সঞ্জনা গনেশন অনেকদিন থেকে এই কাজ করছেন। তারপর বুমরার সঙ্গে আলাপ। বাকিটা খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যায়। বিয়ে হয়। দুবছর আগে তাঁদের ছেলে অঙ্গাদের জন্ম হয়। সঞ্জনা বলেন, অঙ্গাদ জন্মানোর পর বুমরার খেলা পুরোপুরি পাল্টে গিয়েছে। ও এখন দলের ভরসা হয়ে উঠেছে। এই ভাবনা সঞ্জনার। কিন্তু তার আগেই বুমরাকে ভারতীয় দলে নিয়মিত খেলতে দেখা গিয়েছে। সেদিন থেকেই দলর ভরসা তিনি। তো মাঠে ঢুকে তিনি জসপ্রীত বুমরাকে ধরেন। স্ত্রী ইন্টারভিউ নেবে। তিনি কি সরে দাঁড়িতে পারেন। বুমরা তৈরি ইন্টারভিউ দিতে। সঞ্জনা প্রথমেই বলেন, আমি দুজনের বার্তা নিয়ে তোমার কছে এসেছি। একজন সুনীল গাভাসকর। অন্যজন চেতেশ্বর পুজারা। দুজনেই জানিয়েছেন, তুমি চেষ্টা কর যেন পাঁচটি টেস্ট ম্যাচ খেলে দেশে ফিরতে পার। বুঝতেই পারছ কেন ওঁরা তোমার কাছে এই বার্তা পাঠিয়েছে। তাঁরাও বুঝে পারছেন, তুমি ন থাকলে ভারতীয় দল চাপে পড়ে যাবে। বুমরা হাসলেন। তর আগে তিনি সাক্ষাৎকারে জানিয়ে দিয়েছেন, এখানে খেলতে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না। এখানে বেশ ভাল ঠান্ডা। তাই আমি কাহিল হয়ে পড়ছি না। নিজেকে অনেক ফ্রেশ লাগছে। দেখা যাক, এভাবে কতদিন নিজেকে সামনে নিয়ে যেতে পারব। গাভাসকর, পুজারাউ শুধু নন, তাঁদের সঙ্গে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও আশা করেছেন, ইংল্যান্ড বলেই হয়তো বুমরা সহজে কাহিল হয়ে পড়বে না। আমি চাই বুমরা পাঁচটি টেস্ট ম্যাচ খেলুক। ও থাকলে ভারতীয় দল সিরিজে মানসিক দিক থেকে অনেকটা এগিয়ে শুরু করতে পারবে। না হলে ইংল্যান্ড ম্যাচ ধরে নেবে। প্রথম টেস্ট শুরুর আগে আর এক প্রাক্তন ক্রিকেটার ডেভিড গাওয়ার বলেছিলেন, ৭৫ ভাগ ফিট থাকলে বুমরা পাঁচটি টেস্ট ম্যাচ খেলে দেবে। জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামতে সব ক্রিকেটার চায়। বুমরা সহজে হেরে যাওয়ার বান্দা নয়। তাই ড্রেসিরুম ও হোটেলে সাপোর্টস্টাফদের কাজ অনেক বেড়ে যাবে। ওকে সারাক্ষণ মনিটর করে যেতে হবে। তা হলে বুমরার পক্ষে মাঠে নামতে অসুবিধা হবে না।
শার্দুলে ভরসা নেই! অধিনায়ক গিলকে নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল

ভারতীয় ক্রিকেটের লর্ডের উপর ভরসা নেই শুভমান গিলের। ইংল্যান্ড ইনিংসের স্কোর বোর্ডের দিকে তাকাল তেমনটাই মনে হবে। ভারতীয় বোলাররা বল করছেন ১০০.৪ ওভার। এর মধ্যে শার্দুল ঠাকুর করেছেন মাত্র ৬ ওভার। রান দিয়েছেন ৩৮। কোনও উইকেট পাননি। বুমরার পাশে বাকিরা যখন মানিয়ে নিতে পারছেন না, তখন শার্দুলকে দিয়ে আরও বেসি বল করানা হল না কেন! এই প্রস্ন উঠে গিয়েছে। এর জন্য ভারত অধিনায়ক শুভমান গিলকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে। কিন্তু এর উত্তর দেবেন কে! গিল উত্তর দিতে পারেন। না হলে ভারতীয় দলের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর জবাব দিতে পারেন। আসলে টেস্টের মাঝে এঁদের দুজন নাগালের বাইরে। তাই শার্দুল ঠাকুরকে দিয়ে বল না করানোর অজানা কাহিনী জানা যাচ্ছে না। ভারতীয় দলের শেষ ইংল্যান্ড সফরে শার্দুল ঠাকুর খেলেছিলেন। সেখানেই তাঁকে সতীর্থরা লর্ড নাম দেন। তারপর সেই নামেই তাঁকে ডাকা হয়। এবার জাতীয় দলে তিনি ঢুকেছেন। কিন্তু অধিনায়কের ভরসা নিতে ব্যর্থ। সব থেকে বড় ব্যাপার এটাই যে তৃতীয় দিনের চাপানের বিরতির ঠিক আগের ওভারে গিল বল করতে ডাকেন শার্দুলকে। তিনি আম্পায়ারের কাছে এসে সোয়েটার খুলে তাঁর হাতে দেন। ফিল্ডিং সাজানো নিয়ে কথাও গয় গিলের সঙ্গে। হঠাৎ করে গিলের নজর যায় বুমরার দিকে। তিনি ডকেন। কথা বলেন। শেষ ওভারটি বুমরা করতে পারবেন কিনা তা জানার চেষ্টা করেন। বুমরা রাজি হতে তাঁর হাতে বল তুলে দেন গিল। বোকার মতো কিছুটা সময় দাঁড়িয়ে আম্পায়ারের কাছ থেকে সোয়েটার নিয়ে ফিল্ডিং করতে যান শার্দুল। এটা কি ঠিক হল। এবং এটা দেখার পর প্রাক্তনরা গিলের অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁরা জানতে চান, বুমরাকে দিয়ে বল করাতে হলে কেন শার্দুলকে তিনি ডেকেছিলেন। প্রথমে বুমরাকে ডেকে কথা বলে নিতে পারতেন। বুমরা রাজি না হলে তখন অন্য কাউকে ডাকতে পারতেন। তা না করে গিল উল্টোটাই করলেন। এ এক অদ্ভুত ব্যাপার। হেডিংলে টেস্টের আগে ভারতীয় দলের সাত নম্বর জায়গা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে নীতিশ রেড্ডি নাকি শার্দুল ঠাকুর! কেন খেলবেন! এ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে রবি শাস্ত্রী বলেছিলেন, ভারতীয় দলকে ভাবতে হবে তারা বোলার অলরাউন্ডার চায় নাকি ব্যাটসম্যান অলরাউন্ডার চাইছে। সেটা ভেবে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। নীতিশ ১২ থেকে ১৪ ওভার বল করতে পারলে দলে আসা উচিত। না হলে নয়। এত সব ভাবনার পর শার্দুলকে দলে নিয়ে আসা হয়। প্রথমে ভারতীয় দল ব্যাট করায় কোনও পরীক্ষা হয় না। শার্দুল ১ রানে আউট হন। এরপর ফিল্ডিং করতে নামার পর শার্দুলের সঙ্গে কি ঘটল তা সবাই দেখলেন। অনেকে বলেন ম্যাচে পঞ্চম বোলার সব সময় আন্ডার বোল হন। সেটা মেনে নিয়েই বলতে হচ্ছে ১০০ ওভারের ইনিংসে শার্দুল মাত্র ৬ ওভার বল করার সুযোাগ পেলেন। এমন নয় যে অন্যরা দারুন বল করছেন। সেটা হলে না হয় অন্যরকম ভাবা যেত। সেটাও যখন হল না, তখন গিল কেন এটা করলেন। টেস্ট অধিনায়ক হয়ে খেলতে নেমে প্রথমেই বড় ভুল করে ফেললেন শুভমান গিল। এ নিয়ে ভাবতে হবে। না হলে পরে আরও মুশকিলে তিনি পড়বেন।
আমার মধ্যে এক মিনিটের বেশি হতাশা কাজ করে নাঃ বুমরা

ভারতীয় ড্রেসিংংরুমে বেশ কিছুদিন ধরে একটা ছবি বারবার সামনে আসছে। খেলার শেষে ড্রেসিংরুমে ফিরতে সেরা ফিল্ডারের হাতে একটি পদক তুল দেওয়া হয়। বাকিরা হাততালি দিয়ে সেই সেরা ফিল্ডারকে অভিনন্দন জানান। কখনও দলের কোনও সিনিয়র ক্রিকেটারকে নিয়ে এসে সেরা ফিল্ডারের হাতে পদক তুলে দেওয়া হয়। কখনও দলেরই সিনিয়র ক্রিকেটাররা সেই এক কাজ করেন। তার আগে ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপের একটি ছোট ভাষনও শোনা যায়। প্রশ্ন উঠছে, হেডিংলে টেস্ট শেষ হওয়ার পর সেই এক ছবি কি দেখতে পাওয়া যাবে! সেরা ফিল্ডারের হাতে কি এবারও পদক তুলে দেওয়া হবে! নিয়ম মেনে তাই যদি হয়, তা হলে এবার কে হতে পারেন সেরা ফিল্ডার! ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। যে দলের ম্যাচে এখনও পর্যন্ত ছটি ক্যাচ ফেলে, সেই দলের কাউকে সেরা হিসেবে বেছে নেওয়া যায় না। গত পাঁচ বছরে ভারতীয় দল এত বাজে ফিল্ডিং করেছে বলে কেউ মনে করতে পারছেন না। ফিল্ডিং ঠিকঠাক হলে বুমরার একাই ইংল্যান্ডকে শেষ করে দিতেন। তাঁকে পাঁচ উইকেট নিয়ে ড্রেসিংরুমে পিরতে হত না। শচীন থেকে শুরু করে গাভাসকর, শাস্ত্রীরা বলছেন, ভারতীয় দলকে এত বাজে ফিল্ডিং করতে সাম্প্রতিক অতীতে দেখেছি বলে মনে পড়ছে না। শচীন বলছেন, হেডিংলেতে বুমরার ৯ উইকেট পাওয়া উিচত ছিল। শাস্ত্রী জানাচ্ছেন, বুমরার দাপটে কোনঠাসা ইংল্যান্ড অন্তত ভারতের প্রথম ইনিংস ৪৭১ রানের থেকে ১৫০ রান পিছিয়ে থেকে মাঠ ছাড়ত। কিন্তু কোনটাই হল না। ইংল্যান্ড দুর্বল ফিল্ডিংয়ের সুযোগ নিয়ে ভারতের থেকে মাত্র ৬ রানে পিছিয়ে থেকে ইনিংস শেষ করে। যাঁকে নিয়ে এত কথা, সেই জসপ্রীত বুমরা এ নিয়ে কি বলছেন! তাঁর বোলিংয়ে অন্তত চারটি ক্যাচ পড়েছে। হতাশ করেছেন যশ্বসী জয়সওয়াল। তিনি দুটি ক্যাচ ফেলেছেন। দলের সেরা ফিল্ডার রবীন্দ্র জাদেজার হাত থেকেও ক্যাচ পড়েছে। এগুলি না হলে ম্যাচের দ্বিতীয় দিনই ইংল্যান্ড চাপে পড়ে যেত। ইংল্যান্ড ইনিংস শেষ হওয়ার পর বুমরাকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। জানতে চাওয়া হয় তাঁর বোলিংয়ে এত ক্যাচ পড়ছে দেখে কি হতাশা গ্রাস করে না। বুমরা বলেন, হতাশা আসে। মনে হয়, ইস ক্যাচটি যদি ধরতে পারত। বলতে পারেন ক্ষোভও মনে জন্মায়। তবে তা মিনিট খানেকের বেশি আমার মধ্যে থাকে না। পরের বল করার আগে এটাই ভাবি যে কেউ তো আর ইচ্ছে করে ক্যাচ ফেলেনি। ও চেষ্টা করেছে। হাতে রাখতে পারেনি। তাই এমন হয়েছে। এটা নিয়ে বেশি ভাবতে গেলে পরে নিজেকে ঠিকভাবে মেলে ধরা যায় না। তবে অনেকদিন পর এভাবে অনেকগুলি ক্যাচ আমাদের হাত থেকে পড়ল। না হলে আমাদের ফিল্ডাররা অনেক ভাল ফিল্ডিং করে। এর পাশাপাশি বুমরা একটি ভাল খবরও জানিয়ে দিয়েছেন। বলছেন, ইংল্যান্ডের আবহাওয়ায় বল করতে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না। পিঠের অস্ত্রোপচারের পর অনেকদিন মাঠের বাইরে তিনি ছিলেন। ডাক্তাররা বলেছিলেন, ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের দিকে নজর রাখতে হবে। তাই হেডিংলেতে তিনি একটা স্পেলে চার থেকে পাঁচ ওভারের বেশি বল করছেন না। বুমরা বলছেন, ঠান্ডার কারনে নিজেকে কখনও কাহিল বলে মনে হচ্ছে না। এখন দেখা যাক, পরের ম্যাচগুলিতে কি হয়। এটাই ভারতীয় ড্রেসিংরুমকে চাঙ্গা করার পক্ষে যথেষ্ট। বুমরা যদি পাঁচটি টেস্ট খেলতে পারেন, তা হলে গোটা সিরিজে ইংল্যান্ড চাপের মধ্যে থাকবে। না হলে মানসিক দিক থেকে অনেক চাঙ্গা হয়ে তারা মাঠে নামবে। ফিল্ডারদের হতাশার দিনেও ভাল খবরের ইঙ্গিত দিয়ে গেলেন বুমরা। হেডিংলেতে পাঁচ উইকেট নিয়ে বুমরা ধরে বিদেশের মাঠে রেকর্ডও গড়লেন। তবে আর এক প্রাক্তন দীনেশ কার্তিক বলছেন, বুমরার স্ট্রাইক রেট দেখুন। বুঝতে পারবেন নিজেকে কোন জায়গায় নিয়ে গিয়েছে। ওর বোলিং গড় হিংসে করার মতো। দুশো উইকেট নিয়েছে ১৯.৩৩ গড় নিয়ে। ভাবা যায়! ওর পিছনে আছে কিংবদন্তী ম্যালকম মার্শাল। ক্রিকেট বিশ্বে মার্শাল, ম্যাকগ্রা, আক্রমরা আলাদা জায়গায় নিজেদের দাঁড় করিয়েছেন। বুমরা তাঁদের সঙ্গে এক সারিতে থাকবে। ভারতের সর্বকালের সেরা পেসার বললে কি বুমরার নাম চলে আসবে! আসতে পারে। ওকে বাইরে রেখে দল গড়া সম্ভব নয়।
বর্ণবাদের অভিযোগ তুললেন রুডিগার

পাচুকার গুস্তাভোর বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ আনলেন রুডিগার ।
স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়লেন আলোনসো

খেলা চলাকালীন ফুটবলারদের নির্দেশ দিচ্ছেন রিয়াল কোচ জাবি আলোনসো।
গোলের বান ডেকেছে সিটি

ম্যাঞ্চেস্টার সিটির জোড়া গোলদাতা ইলকায় গুন্দোয়ানের একটা গোলের মুহূর্ত।
পাঁচ উইকেট নিয়ে কপিলকে ছুঁলেন বুমরা, হেডিংলেতে টক্কর সমানে সমানে

হেডিংলেতে লড়াই জমজমাট। ভারত-ইংল্যান্ড প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষে দাঁড়িপাল্লা সেভাবে কোনও দিকেই ঝুঁকে নেই। বুমরার পাঁচ উইকেট সত্ত্বেও ভারত ৬ রানের বেশি লিড নিতে পারল না, কারণ ইংল্যান্ডের লোয়ার মিডল অর্ডারের দৃঢ়তা। ভারতের শেষ ৭ উইকেট যেখানে মাত্র ৪১ রানে পড়ে গিয়েছিল সেখানে ইংরেজ লোয়ার মিডল অর্ডারের জন্যই তাদের স্কোর ভারতের কাছাকাছি ৪৬৫ রানে পৌঁছে গেল। নিচের দিকে ব্যাট করতে এসে জেমি স্মিথ ৪০, ওকস ৩৮ ও কার্স ২২ রান করে দলকে সেখানে পৌঁছে দিলেন। তার আগে দিনের শুরুতে ১০৬ রানে ফিরে যান ওলি পোপ। হ্যারি ব্রুককে ৯৯ রানে ফেরান প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। তবে এদিন নজির গড়লেন সেই জসপ্রীত বুমরা। ৮৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ছুঁয়ে ফেললেন কপিল দেবকে। অ্যাওয়ে সিরিজে ১২ বার ৫ উইকেট নিয়ে কপিলের রেকর্ড ছুঁলেন। তবে কপিল যেখানে ৬৬টি টেস্টে এই নজির গড়েছেন সেখানে বুমরা নিলেন ৩৪টি টেস্টে। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মোট ১০বার ৫ উইকেট নিলেন, যা আর কোনও ভারতীয় বোলার পারেননি। এরপর দ্বতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দ্রুত ফিরে যান যশস্বী জয়সওয়াল। সাই সুদর্শন অভিষেকে প্রথম ইনিংসে শূন্য করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে করলেন ৩০ রান। আইপিএলে দুর্দান্ত সাফল্য পেয়েছেন, তবে এদিন ব্যাটিং দেখে মনে হল, টেস্টের মানসিকতায় এখনও পুরোপুরি নিজেকে হয়ত নিয়ে আসতে পারেননি। রাহুল অবশ্য একই রকম ধারাবাহিক। উইকেটে আছেন ৪৭ রান করে। সঙ্গে ৬ রানে অধিনায়ক শুভমন গিল। দিনের শেষে ভারতের রান ২ উইকেটে ৯০। মোট লিড ৯৬ রানের। চতুর্থ ইনিংসে ইংল্যান্ডকে ব্যাট করতে হবে ঠিকই কিন্তু তার আগে ভারতকে একটা বড় রানের লিড নিতে হবে। এই ম্যাচের কি নাটকীয় পরিসমাপ্তি হবে? নাকি নিষ্প্রাণ ড্র?