মেসির স্বাক্ষর করা জার্সি এলো মোহনবাগানে

স্বয়ং মেসির সই করা মোহনবাগান লেখা জার্সি সচিব সৃঞ্জয় বোস ও সভাপতি দেবাশিস দত্তের হাতে তুলে দিলেন শতদ্রু দত্ত।
সাতটি ক্যাচ পড়ল, ৯৭ রানে দাঁড়িয়ে থাকা ডাকেটকে ফেললেন যশ্বসী

এরপরও ভারত হেডিংলে জয় করবে! প্রশ্ন উঠছে। ওঠাটাই স্বাভাবিক। কারন ম্যাচ জিততে হলে ভাল বল করতে হবে। ব্যাটসম্যানকে চাপে রেখে ক্যাচ উঠলে ধরতে হবে। না হলে ম্যাচ হাত ফস্কে বেরিয়ে যাবে। ভারতীয় দল প্রথম ইনিংসে ফিল্ডাররা ৬টি ক্যাচ ফেলেছিলেন। সেই কারনে ইংল্যান্ড ভারতের ৪৭১ রানের কাছে চলে এসেছিল। না হলে তারা সাড়ে তিনশোর মধ্যে ইনিংস শেষ করত। ভারতের লিড বাড়ত। তা না হওয়ায় ভারত মাত্র ৬ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের খেলা শুরু করে। এমনটা দ্বিতীয় ইনিংসেও চালু রইল। ভারতীয় বোলিংকে চাপে রেখে ইংল্যান্ডের ওপেনিং জুটি দাপটের সঙ্গে খেলছিলেন। বুমরা কোনও উইকেট পেলেন না। ১৩ ওভারে বুমরা দিলেন ৪৩ রান। আর তিনি উইকেট না পাওয়ায় ভারতীয় দলের বোলিং যেন ঘুমিয়ে পড়ল। ওপেনার জ্যাক ক্রলির থেকে আক্রমনাত্মক মেজাজে ছিলেন বেন ডাকেট। তাঁকে থামতে হিমশিম খাওয়ার অবস্থা বোলারদের। লানচে ইংল্যান্ডের রান উঠল বিনা উইকেটে ১২৯। ৩০ ওভারে তারা এই রান তোলে। লানচের পর ডাকেটের সেঞ্চুরির অপেক্ষায় যখন স্টেডিয়াম, তখন সিরাজের বোলিংয়ে ভুল করে ফেললেন ডাকেট। তিনি তখন ৯৭ রানে দাঁড়িয়ে। সিরাজের একটি শর্ট বল হুক করলেন ডাকেট। বল ঠিক মত ব্যাটে লাগল না। উপরের দিকের কানায় লেগে বল উড়ে গেল ডিপ স্কোয়ারলেগে। বাউন্ডারি লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন যশ্বসী। বেশ কিছুটা ছুটে এসে সামনে ঝাঁপিয়ে দুহাতের মধ্যে বল পেয়েও ধরতে পারলেন না। সিরাজের হতাশা চোখে মুখে ফুটে উঠল। এমনটা হওয়ারই কথা। উইকেট পড়ছে না। তর উপর ফর্মে থাকা ডাকেটকে পেয়েও কেন হাতছাড়া হবে। সেটাই করলেন যশ্বসী। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে যশ্বসী দাঁড়িয়েছিলেন গালিতে। সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি দুটি ক্যাচ ফেলেন। প্র্যাকটিসে ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপের কাছে গালিতে দাঁড়িয়ে ক্যাচ ধরেন। অন্তত কুড়ি থেকে পঁচিশটা ক্যাচ নিয়মিত ধরেন। কিন্তু তারপরও ম্যাচে নেমে কিছু করতে পারছেন না। এমনিতে যশ্বসী সেফ হ্যান্ড ফিল্ডার। একসময় জাতীয় দলের হয়ে রাহানে গালিতে ফিল্ডিং করতেন। তাঁর হাত থেকেও ক্যাচ পড়তে দেখা যেত না। সেই জায়গায় পিল্ডিং করতে নেমে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছিলেন যশ্বসী। কিন্তু হেডিংলেতে তাঁর চোখে মুখে অসহায়তার ছবি। ক্যাচ যেন তাঁকে তাড়া করে ফিরছে। আসলে ম্যাচে যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি ক্যাচ না ধরতে পারছেন, ততক্ষণ তাঁর আত্মবিশ্বাস ফিরবে না। সে প্র্যাকটিসে হাজারখানেক ক্যাচ ধরলেও নয়। ডাকেট তারপরই সেঞ্চুরি করেন ১২০ বল খেলে তিনি টেস্ট ক্রিকেটে ছয় নম্বর সেঞ্চুরি করলেন। ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়। পরে অবশ্য বল করতে এসে ইংল্যান্ড জুটিকে ভাঙ্গেন প্রসিদ্ধ। প্রথমে আউট করেন ক্রলিকে। অফস্ট্যাম্পের বাইরে যাওয়া বল খোঁচা দিয়ে তিনি স্লিপে রাহুলের হাতে ধরা পড়েন। পরের ওভারে তিনি বোল্ড করেন লি পোপকে। প্রসিদ্ধর ভিতরে আসা বল পোপের উইকেট নড়িয়ে দেয়। দুওভারের মধ্যে দুটি উইকেট পেয়ে ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন প্রসিদ্ধ। দুই উইকেট পড়ার পর রুট এসে প্রসিদ্ধর সামনে ঝামেলায় পড়েন। তবে এই উইকেট পেয়ে গেলে ভারত ভালভাবে ম্যাচ ফিরতে পারবে।
বুধবার শুরু প্রিমিয়ার লিগ

প্রিমিয়ার লিগ এবার পিকে বা প্রদীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে তুলে ধরা হচ্ছে। প্রয়াত পিকের মেয়ে প্রক্সি ও ভাই তথা সাংসদ প্রসূন বন্দে্যাপাধায় সেই নামকরণকে উদ্বোধন করছেন।
ডুরান্ডে মোহনবাগানের খেলা অনিশ্চিত

গত ডুরান্ড কাপের ফাইনালে গোল করে এভাবেই জেসন কামিন্স-রা উত্্সবে মেতে ছিলেন।
সমাজে পিছিয়ে পড়া মেয়েদের নিয়ে অ্যাকাডেমি গড়ল আদিত্য গ্রুপ

পুরুষদের মতো মেয়েদের দলগঠনে এগিয়ে এল আদিত্য গ্রুপ ।
বিশ্বকাপে ইরানের খেলা নিয়ে সংশয় তুঙ্গে

ইরানের বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে সংশয় বাড়ছে।
জন্মদিনে ম্লান দেখাল মেসিকে

মাঠ ছাড়ছেন হতাশ মুখে। জন্মদিনের ম্যাচকে উপভোগ করতে পারলেন না ৩৮-এ পা দেওয়া মেসি।
শেষ দুবছরে জানতাম না, আমার ব্যাটিং অর্ডার কোথায়ঃ রাহুল

প্রথম ইনিংসে ৪২। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৭। বর্তমান ভারতীয় ক্রিকেটে সব থেকে সিনিয়র ক্রিকেটার। বয়সে তো বটেই, এমনকি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতাতেও। সতীর্থকে গাইড করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সব সময় হাত বাড়িয়ে দেন। কখনও অধিনায়ক শুভমান গিলকে, কখনও মেজাজি ঋষভ পন্থকে। এমন একজন ক্রিকেটার আছে বলে ভারতীয় দলকে চাপের মধ্যেও কখনও নুয়ে পড়তে দেখা যায় না। তিনি কে এলে রাহুল। দলের প্রয়োজনে সবার হাত তুলে দেন। সে ব্যাটসম্যান রাহুল হোন, কিংবা উইকেটরক্ষক রাহুল হোন। সব ব্যাপারেই তিনি সতীর্থদের থেকে এক কদম এগিয়ে। হেডিংলে টেস্টের চতুর্থদিনের শেষে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে এসে তিনি সোজাসুজি বলে দেন যে শেষ দুবছরে জানতাম না আমার ব্যাটিং অর্ডার কোথায়! কখনও ওপেনার, কখনও মিডলঅর্ডার। কখনও পিছিয়ে যাইনি। চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগিয়ে যেতে ভাল লাগে। তাই করে এসেছি। টিম ম্যান বললে আমি তেমনই। টেস্ট ক্রিকেট খেলতে ভাল লাগে। মনে করি, এখানে নিজেকে মেলে ধরার ক্ষেত্রে আলাদা চ্যালেঞ্জ আছে। এই লড়াই আমাকে আনন্দ দেয়। তাই কখনও প্রতিবাদ করিনি। কখনও বলিনি কেন আমার জায়গা নিচের দিকে হবে। সে টেস্ট ক্রিকেট হোক বা ওয়ান ডে ক্রিকেট। দলের কথা ভেবে আমি সব জায়গায় খেলতে রাাজি। টেস্ট ক্রিকেটের শুরু থেকে এই অদল বদল চলছে। মনে আছে, শ্রীলঙ্কার মাটিতে একবার টেস্টে রাহুলকে ওপেনিং করার কথা বলা হল। তিনি রাজি হয়ে গেলেন। কিন্তু শুরুতে ছন্দপতন। বোলারের বল ভিতরে আসছে বুঝতে না পেরে ব্যাট তুলে রাখেন। বল ভিতরে এসে রাহুলের উইকেট ভেঙ্গে দেয়। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দ্বিতীয় ইনিংসে। দুই ইনিংসে ব্যাট তুলে রেখে বোল্ড হওয়া দেখে প্রাক্তন অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড় বলেছিলেন, কে এল কি ভুলে গিয়েছিল যে ওর হাতে ব্যাট আছে। সেটা ব্যবহার করল না কেন! এসব শুরুর কথা। তারপর ধীর ধীরে এগিয়ে গিয়েছেন। জায়গা মোটামুটি সিমেন্ট করেছেন। টেস্ট দলে জায়গা পাক হওয়ার পর নিজেকে পালিশ করতে নেটে সময় দিয়েছেন। এ বছরের গোড়ায় অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরে আসার পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে যান। সেখানে মিডলঅর্ডারে দাঁড়িয়ে আলাদা দায়িত্ব নিয়ে খেলতে দেখা যায়। তবে মাথায় ছিল সামনে ইংল্যান্ড সিরিজ। সেখানে ভাল খেলতে হবে। তখনও রোহিত ও বিরাট টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেননি। মনে হয়েছি, ইংল্যান্ডের মাঠে মিডল্অর্ডারে ব্যাট করবেন। কিন্তু এক সপ্তাহের মধ্যে দুই তারকা ক্রিকেটার অবসর নেওয়ায় রাহুল নিশ্চিত হয়ে যান সামনের সিরিজে নিজেকে আলাদাভাবে প্রমান করতে হবে। রোহিত ও বিরাট যে জায়গা ফাঁকা রেখে গিয়েছেন, সেটি তিনি ভরাট করবেন। তাই টেস্টের প্রস্তুতি চলছিল। আইপিএলের মাঝে এ নিয়ে ভেবেছেন। আইপিএল শেষ হওয়ার পর আবার নিজেকে মাজাঘষা করার জন্য নেটে বাড়তি সময় দিয়েছেন। এখন তিনি পরিনত। তাই দরকার পড়ে না কেউ এসে তাঁকে আলাদা করে বুঝিয়ে দিক। নিজেরটা ভাল করে বুঝে প্র্যাকটিসে সময় দেন। ইংল্যান্ডের পরিস্থিতি, পরিবেশ অজানা নয়। ব্রিটিশদের ডেরায় দুটি সেঞ্চুরি আছে। তবু আর একবার নিজেকে দেখে নেওয়ার জন্য তিনি বোর্ডকে জানিয়ে দেন ভারতীয় এ দলের হয়ে একটি ম্যাচ খেলতে চান। বোর্ড কর্তারা রাহুলের কথা মেনে নিলেন। তিনি গেলেন। সেঞ্চুরি করলেন। বুঝে গেলেন, এবারও কিছু একটা করে দেখাতে পারবেন। সোমবার রাহুলকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রাক্তন ক্রিকেটার দীনেশ কার্তিক বলছিলেন, আমি দেখেছি ঘরের মাঠে রাহুলের পরিশ্রম। এখন ও অনেক পরিনত। মার্চে মেয়ের বাবা হয়েছে। তাই এই রাহুলকে আলাদা করে কিছু বোঝাবার দরকার পড়ে না। শুধু নেটে নেমে নিজেকে ঘষে মেজে নেওয়া। সেটাই করেছে। সময় দিয়েছে বলে ফলও হাতেনাতে পাচ্ছে। প্রথম ইনিংসে রাহুলের ৪২ রানের ইনিংসে এক পরিনত ক্রিকেটারের ছাপ ছিল। আমরা ভেবেছিলাম হয়তো সেঞ্চুরি করবে। হয়নি। কিন্তু দেরি হল না। তিনদিনের মধ্যে লক্ষ্যে পৌঁছে গেল রাহুল। কোন বল কীভাবে খেলতে হবে তা সবই জানা। তাই গুডলেংথ বল ডিফেন্স করেছে। কারন এখানে বল কিছুটা দেরিতে মুভ করে। আবার একটু শর্ট পেলে স্ট্রোক করেছে। অফস্ট্যাম্পের কিছুটা বাইরে বল পড়লে ব্যাট তুলে জায়গা করে দিয়েছে। অফস্ট্যাম্প কোথায় এটা জানা একজন বড় ব্যাটসম্যানের উদাহরন। রাহুল সেটি ঠিকভাবে করেছে বলে বড় রান করতে পেরেছে। আশা করি এই সিরিজে আরও অনেক রান করবে। আমাদের কাজ শুধু অপেক্ষা করা।
৭৭ বছর বয়সে প্রয়াত বাঁহাতি স্পিনার দিলীপ দোশি

চলে গেলেন দিলীপ দোশি। কদিন আগেও লর্ডসে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে তাঁকে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। সেদিন বোঝা যায়নি যে কদিন পর তিনি পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে যাবেন। কিন্তু বাস্তবে সেটাই হল। হঠাৎ করে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সব শেষ হয়ে গেল। আশির দশকের একেবারে গোড়ায় ভারতীয় ক্রিকেটে দেখা যায় দিলীপ দোশিকে। আম্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩২ বছর বয়সে প্রথমবার তাঁকে দেখা যায় ১৯৭৯ সালে। আসলে বিষেন সিং বেদির ছায়ায় তিনি ঢাকা পড়ে গিয়েছিলেন। যেমন ঢাকা পড়ে গিয়েচিলেন রাজিন্দর সিং ও পদ্মকর শিভালকরও। ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত ভারতীয় দলের হয়ে দোশি খেলেন। এই সময়ে ৩৩টি টেস্টে ও ১৫টি ওয়ান ডে ম্যাচে তাঁকে খেলতে দেখা গিয়েছে। ভারতের হয়ে দেরিতে অভিষেক হলেও তিনি অনেক উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছেন। সকলে তাঁকে একজন ম্যাচ উইনার হিসেবে চিনতেন। ২৮টি টেস্টে ১০০ উইকেটের ক্লাবের সদস্য হয়েছিলেন দিলীপ। ৩৩ টেস্ট খেলে পেয়েছিলেন ১১৪টি উইকেট। যার মধ্যে পাঁচ উইকেট পেয়েছিলেন ছয়বার। ২৩৮টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে ৮৯৮টি উইকেট পেয়েছিলেন। যার মধ্যে ৪৩বার পাঁচ উইকেট পেয়েছিলেন। ১০ উইকেট পেয়েছিলেন ছয়বার। আর ওয়ান ডে ক্রিকেটে ১৫টি ম্যাচে পেয়েছিলেন ২২টি উইকেট। তাঁর ক্রিকেট কেরিয়রে সব থেকে বড় সাফল্য ১৯৮১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মেলবোর্ন টেস্টে। ক্রিকেট কেরিয়রে সেরা পারফরম্যান্স বললেও ভুল হয় না। কপিল দেবের থাই মাসলে চোট ছিল। ইনজেকশন দিয়ে তিনি মাঠে নেমেছিলেন। আর দিলীপের পায়ের আঙ্গুলের হাড় ভাঙ্গার কারনে তীব্র ব্যথা অনুভব করেও মাঠে নেমেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করেছিলেন, এই ম্যাচ ভারতীয় দল জিততে পারে। সেটাই শেষপর্যন্ত দেখতে পাওয়া য়ায়। কপিল ও দিলীপের বোলিং দাপটে অস্ট্রেলিয়া মুখ থুবড়ে পড়ে। ভারতও ম্যাচ জেতে। দোশির মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন বোর্ডের প্রাক্তন সচির নিরজ্ঞন শাহ। বলেন, এই আমার জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক। ব্যক্তিগত ক্ষতিও বলা যেতে পারে। দিলীপ শুধু কিংবদন্তী ক্রিকেটারদের একজন ছিল না, আমার পরিচিত সেরা মানুষদের মধ্যে একজন ছিল। ওর মহৎ হৃদয়, সততা এবং খেলার প্রতি নিষ্টা একটা আলাদা জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল। দোশি যে শূন্যতা রেখে গিয়েছে তা ভাষায় প্রকাশের বাইরে।
রাহুল-পন্থের শতরান, শেষ দিন জাড্ডুর ভেল্কির আশায় টিম ইন্ডিয়া

ক্যাচ জেতো, ম্যাচ জেতো। ক্যাচ ফস্কাও, ম্যাচ ফস্কাও। ভারতীয় শিবিরে বোধহয় এই কথাটাই এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে। কারণ অন্য কিছু নয়, হেডিংলে টেস্টের যা পরিস্থিতি, তাতে প্রথম ইনিংসে অতগুলো ক্যাচ না ফেললে প্রায় ম্যাচ জেতার জায়গায় থাকত টিম ইন্ডিয়া। সেক্ষেত্রে চতুর্থ দিন আরও আগে ইংল্যান্ডকে ব্যাট করানোর সুযোগ থাকত। এখন যা পরিস্থিতি, পঞ্চম দিন জেতার জন্য সবকটি উইকেট হাতে নিয়ে ৩৫০ রান করতে হবে ইংল্যান্ডকে। ভারতকে জেতার জন্য একদিনে ইংল্যান্ডর সবকটি উইকেট তুলে নিতে হবে। ম্যাচ অবশ্যই ভারতের দিকে ঝুঁকে। কিন্তু ওই ক্যাচগুলো না ছাড়লে এখন জয় আরও কাছে চলে আসত গিলদের। এবার আসতেই হবে কেএল রাহুল ও ঋষভ পন্থের প্রসঙ্গে। ইংল্যান্ডের মাটিতে তৃতীয় শতরান করে ফেললেন রাহুল। ১৪৭ রানের দুরন্ত ইনিংস খেললেন কেএল। অন্যদিকে প্রথম ইনিংসে শতরানের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও পন্থ করলেন ১১৮ রান। দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটার হিসাবে টেস্টের দুই ইনিংসেই শতরান করলেন। সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে জবাবটা ভালই দিলেন ঋষভ। তবে দ্বিতীয় ইনিংসেও রান পেলেন না ৮ বছর পর প্রত্যাবর্তন করা করুণ নায়ার। আউট হলেন ২২ রান করে। কিন্তু লোয়ার মিডল অর্ডারে দ্বিতীয় ইনিংসেও একই ছবি। প্রথম ইনিংসে ৪১ রানে পড়েছিল শেষ ৭ উইকেট। আর দ্বিতীয় ইনিংসে ৩১ রানে পড়ল শেষ ৬ উইকেট। ৩৬৪ রানে শেষ হল ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস। জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের সামনে ৩৭১ রানের টার্গেট রাখলেন গিলরা। চতুর্থ দিনের শেষে ইংল্যান্ড বিনা উইকেটে ২১। পঞ্চম দিন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে রবীন্দ্র জাদেজার ভূমিকা। শেষ দিনের উইকেটে তিনি কি পারবেন ঘুর্ণি বলে স্টোকসের বিপাকে ফেলতে? অনেক কিছুই নির্ভর করছে তার ওপর। পাশে অবশ্য পাবেন যে কোনও উইকেটে, যে কোনও পরিস্থিতিতে জ্বলে উঠতে পারেন এমন একজনকে – জসপ্রীত বুমরা। ইংল্যান্ডের পক্ষে পঞ্চম দিনে ৩৫০ রান তোলা বেশ কঠিন। ড্র হতেই পারে ম্যাচ। তবে অনুকুল পরিস্থিতিতে জাড্ডু যদি ভেল্কি দেখাতে পারেন তাহলে স্মরণীয় জয়ের মুখ দেখতেই পারে টিম ইন্ডিয়া।