নীরজের বিজয়রথ ছুটছে

অস্ট্রাভা গোল্ডেন স্পাইকেও সাবলীল থ্রো করে সোনা জিতে নিলেন নীরজ ।
দুই ছাত্র ক্ষুদে ফুটবলার যাচ্ছে ব্রাজিলের মার্সেলো অ্যাকাডেমিতে, এবার উপজাতি ফুটবলারদের জন্য অ্যাকাডেমি মলয়ের

মলয় সেনগুপ্ত – ভারতের গন্ডী পেরিয়ে অনেক আগেই বিশ্বের অন্যান্য দেশে ডালপালা মেলেছেন এই ফুটবল কোচ। বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কাতেও রয়েছে এই বাঙালি কোচের প্রশিক্ষণ শিবির। এবার তাঁর হাত ধরেই বিদেশে উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য পাড়ি দিচ্ছে তাঁর দুই ছাত্র দীপান রায় ও হুসেন আব্বাস। বাঁকুড়ার দীপান ও পার্ক সার্কাসের হুসেন যাচ্ছে ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী তারকা মার্সেলোর অ্যাকাডেমিতে। মুম্বইয়ে মলয়ের নিজের অ্যাকাডেমি আন্ধেরি ফুটবল অ্যাকাডেমি কয়েক দিন আগে গিয়েছিল ব্রাজিলে গো কাপ টুর্নামেন্টে খেলতে। সেই সফরই এই দুই ক্ষুদে ফুটবলারের সামনে এই সুযোগ এনে দিল। মার্সেলোর অ্যাকাডেমিতে উন্নত প্রশিক্ষণ নেবে দীপান ও হুসেন। স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত তাদের বাবা মা-রা। তাঁরা কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন আন্ধেরি ফুটবল অ্যাকাডেমি ও মলয় সেনগুপ্তকে। আর স্বয়ং মলয় জানাচ্ছেন, “এবার ওদের আন্তর্জাতিক ফুটবলের চাপটা বুঝতে হবে। এই সুযোগ ওদের আরও শক্তিশালী করবে। নিত্য নতুন স্ট্র্যাটেজি শিখবে।“ এর পাশাপাশি এবার নতুন পথ খুঁজে নিয়েছেন মলয়। এবার তাঁর অ্যাকাডেমি হচ্ছে আলিপুরদুয়ারে। শুধু তাই নয়, সেখানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে উপজাতি শিক্ষার্থীদের। উত্তরবঙ্গের উপজাতি সম্প্রদায় থেকে এবার ফুটবলার তুলে আনতে চান মলয়। এই ব্যাপারে সেখানকার প্রশাসনের সঙ্গেও তাঁর যাবতীয় কাজ সারা। সেখানকার প্রশাসনও নানাভাবে পাশে আছে মলয়ের। তিনি জানিয়ে দিলেন এখানে অনেক প্রতিভা আছে, তাদের ভারতীয় ফুটবলে তুলে ধরতে চান। এভাবেই ফুটবলার তৈরির নেশায় বুঁদ হয়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন বাঙালি কোচ মলয় সেনগুপ্ত।
হেডিংলেতে ইংল্যান্ডের কাছে হার, জঘন্য বোলিং-ফিল্ডিংয়ে মাশুল দিল টিম ইন্ডিয়া

মর্মে মর্মে উপলব্ধি করল ভারতীয় দল, ক্যাচ ফস্কালে ম্যাচও ফস্কাতে হয়। একটা ম্যাচে পড়ল সাতটা ক্যাচ। পাল্লা দিয়ে খারাপ বোলিং। হেডিংলেতে প্রথম টেস্টে যে ৫ উইকেটে হারতে হল, তার পিছনে আর একটা বড় কারণ লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যর্থতা। গোটা ম্যাচে ৭২ রানে লোয়ার মিডল অর্ডারের ১৩টি উইকেট হারিয়েছে ভারত। সে কারণেই যে ম্যাচে দলের পাঁচটি শতরান আছে সেই ম্যাচও এভাবে হারতে হল। শেষ দিন জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ৩৫০ রান। ভারতীয় বোলিং ফিল্ডিংয়ের এমনই অবস্থা, শেষ দিনের পরিস্থিতিতেও সহজেই সেই রান তুলে নিয়ে গেলেন ডাকেট-ক্রলিরা। এই মাঠে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জিতল ইংল্যান্ড। ওপেনিং জুটিতে ক্রলি আর ডাকেট তুলে ফেললেন ১৮৮ রান। তখনই কী হতে যাচ্ছে, সেটা অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়। ডাকেট করলেন ১৪৯ রান। ক্রলি ৬৫ রান করে যোগ্য সঙ্গত দিয়ে গেলেন। এরপর স্টোকস ৩৩ রানে আউট হলেও রুট ৫৩ রানে ও জেমি স্মিথ ৪৪ রানে অপরাজিত রইলেন। অথচ টেস্টটা কী দুর্দান্তভাবে শুরু করেছিল ভারত। প্রথম ইনিংসে যশস্বী, গিল ও পন্থ তিনজনই শতরান করেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও শতরান পন্থ ও রাহুলের। তবু হার ওই তিন কারণে। ক্যাচ মিস, বাজে বোলিং ও লোয়ার মিডল অর্ডারের নির্ভরতা দিতে না পারা। অ্যঠান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফিতে পাঁচ টেস্টের সিরিজে ০-১ এ পিছিয়ে পড়ল টিম ইন্ডিয়া। তরুণ ভারতীয় দলের আত্মবিশ্বাসে যেমন বড়সড় ধাক্কা লাগল, তেমনি প্রশ্ন উঠে গেল জসপ্রীত বুমরার ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের জন্য তাঁকে কীভাবে বিশ্রামে রাখা যাবে? এরপর হয়ত দলে ঢুকতে পারেন অর্শদীপ সিং, কিন্তু তাতে ছবি কতটা বদলাবে?