এজবাস্টনে কুলদীপকে চাই, ফিল্ডিংয়েও নজর দিতে হবেঃ ক্লার্ক

শুরুতেই সিরিজে ভারত পিছিয়ে পড়েছে। এবার ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। সেই লড়াইয়ে জিততে হলে দলে কিছু বদল দরকার। সঙ্গে আগের ম্যাচের ভুলগুলি শুধরে নিতে হবে। না হলে সমস্যা বাড়বে। কলকাতায় মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক একথা জানান। কলকাতায় বেশ কিছুদিন আছেন ক্লার্ক। এক বেসরকারি চ্যানেলে বেঙ্গল প্রো লিগে বিশেষজ্ঞর কাজ করছেন। তারই ফাঁকে ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা। আর তাঁকে সামনে পেলে ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ উঠে আসবে তা আর নতুন করে বলার দরকার পড়ে না। বৃহস্পতিবার তাই আলোচনায় উঠে এল হেডিংলে ও এজবাস্টন টেস্ট। হেডিংলে এখন অতীত। সামনে লড়াই এজবাস্টন জয়ের। সেদিকে তাকিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট ফ্যানরা। ভারত কি পারবে সিরিজে সমতা ফিরিয়ে আনতে। এই প্রশ্নের সামনে দাঁড়িয়ে ক্লার্ক বলেন, এজবাস্টন টেস্টে সবার আগে দরকার কুলদীপ ফিরিয়ে আনা। জাদেজার উপর ভরসা আছে। আমি চাইব জাদেজার সঙ্গে কুলদীপ খেলুক। সঙ্গে তিন পেসার। জানি না বুমরা খেলবে কিনা। খেললে ভাল, না হলে অন্য ক্ছু ভাবতে হবে টিম ইন্ডিয়াকে। হেডিংলে টেস্ট শেষ হওয়ার পর থেকেই এজবাস্টন টেস্ট ভারতীয় ফ্যানদের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। কেমন হতে পারে এজবাস্টনের প্রথম একাদশ! সেদিনই গাভাসকর, শাস্ত্রীরা জানিয়েছিলেন, কুলদীপকে দলে নিয়ে আসতে হবে। গাভাসকর বলেছিলেন, এজবাস্টনে স্পিনাররা কিছুটা সুবিধা পায়। সেই সুবিধা কাজে লাগাতে হবে জাদেজা ও কুলদীপকে। এক অর্থ ভারত এবার দুই স্পিনারে খেলবে। তা হলে তো একজন ব্যাটসম্যান কম নিয়ে খেলতে হবে ভারতীয় দলকে। কোচ গম্ভীর আবার আট ব্যাটসম্যান নিয়ে প্রথম একাদশ সাজাতে চান। তাই তাঁর পছন্দ অলরাউন্ডার নেওয়ার। কুলদীপকে দলে রাখলে সেই ভাবনা মিলবে না। তা হলে কি করা যেতে পারে। ক্লার্ক বলছেন, জাদেজা ভাল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনেক অভিজ্ঞতা। ওর সঙ্গে কুলদীপ থাকলে ভারত সুবিধা পাবে। তাই আমি কে চাইছি। ভারতীয় দলের শুরুর দিকের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে কথা বলার দরকার নেই। ওরা প্রমান করেছে ইংল্যান্ড মাঠে কেমন খেতে পারে। না হলে ভারতীয় দল টেস্টে পাঁচটি সেঞ্চুরি কি করে করল। একজন ব্যাটসম্যান কম নিয়ে খেললে অসুবিধা হবে না। ে এজবাস্টনে আরও দুটি জিনিস ভারতকে করতে হবে। প্রথম হচ্ছে লোয়ার অর্ডারে রান করতে হবে। হেডিংলে টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে লোয়ার অর্ডার ১৩ উইকেটে মাত্র ৭২ রান করেছে। এমনটা না হলে প্রথম ইনিংস ভারত পাঁচশোর উপর রান করত। দ্বিতীয় ইনিংসেও রান বাড়ত। সেটা হল না লোয়ার অর্ডারদের ব্যাটিং ব্যর্থতায়। এজবাস্টনে এমন কিছু যেন না হয়। এর থেকেও বড় কথা ভারতীয় দলকে ফিল্ডিংয়ে উন্নতি করতে হবে। সাতটি ক্যাচ ফেলে দেওয়ার পর কোনও দলের ম্যাচ জেতার কথা নয়। ভারতও জেতেনি। এমন চলতে থাকলে কি করে সিরিজে সমতা আনা যাবে। প্রথম লক্ষ্য এজবাস্টন জয় করে সিরিজে সমতা আনা। তারপর অন্য কিছু ভাবা যেতে পারে। এখন অবশ্য এর বাইরে অন্য কিছু ভাবনা নেই।
লক্ষ্য স্থির ইস্টবেঙ্গলের

লক্ষ্য যেন স্থির করে দিচ্ছেন বিনো জর্জ ।
সিনার শীর্ষে, দ্বিতীয় স্থানে আলকারাজ

গতবার জকোভিচকে ফাইনালে হারিয়ে ট্রফি তুলে ধরেছেন উইম্বলডন বিজয়ী আলকারাজ।
চার বছর পর ইংল্যান্ড দলে আর্চার, বুমরাকে নিয়ে অনিশ্চয়তা

ছবিটা কেমন দাঁড়াল। একপক্ষ বোলিংয়ের ধার বাড়াতে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল ছোটানো ক্রিকেটারকে দলে নিয়ে এল। আর এক পক্ষ দলের সেরা ক্রিকেটারকে এজবাস্টন টেস্টে খেলাবে কিনা তা নিয়ে দ্বিধায়। বলা যায়, অনিশ্চয়তার মেঘ উড়ছে ভারতীয় শিবিরে। এবার খুলেই বলা যাক। চার বছর পর ইংল্যান্ড দলে ফিরলেন জোর্ফা আর্চার। তাঁকে নিয়ে আলদা করে বলার কিছু নেই। শেষ টেস্ট খেলেছিলেন ভারতীয় দলের বিরুদ্ধেই। ২০২১ সালে আমেদাবাদ টেস্ট খেলার পর তিনি চোটের কারনে দলের বাইরে চলে যান। আইপিএলে আর্চারকে খেলতে দেখা গেলেও হতে চোট পেয়ে তিনি আবার মাঠের বাইরে চলে যান। দেশে ফিরে চিকিৎসা করিয়ে মাঠে ফিরে আসার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড জানিয়ে দেয় যে কাউন্টি ম্যাচ না খেলে তাঁকে নিয়ে নির্বাচকরা ভাববেন না। তাই ডারহামের বিরুদ্ধে সাসেক্সের হয়ে তিনি মাঠে নেমে পড়েন। ব্যাট হাতে ৩১ রান করার পাশাপাশি ১৮ ওভারে ৩২ রান দিয়ে একটি উইকেট পান। পারফরম্যান্সের থেকেও নির্বাচকরা দেখতে চাইছিলেন আর্চার কতটা ছন্দে আছেন। সেই পরীক্ষায় পাশ করার পর জাতীয় দলে ঢুকে পড়তে অসুবিধা হয়নি। হেডিংলেতে প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ড বোলারদের বোলিংয়ে খুশি হতে পারেননি নির্বাচকরা। কারন তাদের বল পিটিয়ে ভারত তোলে ৪৭১ ও ৩৬৪। তাই ওকস, কার্স. টং ও স্টোকসকে নিয়ে গড়া বোলিং আক্রমনের ধার বাড়াতে তারা নিয়ে এলেন আর্চারকে। সম্ভবত তিনি এজবাস্টন টেস্ট খেলবেন। আর আর্চার খেলা মানে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা কিছুটা হলেও চাপে পড়বেন। আবার নতুন করে পরীক্ষা বলা যেতে পারে। আর্চারকে নিয়ে ইংল্যান্ড শিবিরে কিছুটা স্বস্তির হাওয়া বইলেও ভারতীয় দলে অনিশ্চয়তার মেঘ উড়ে বেড়াচ্ছে। কারন বুমরাকে ঘিরে দুশ্চিন্তা বেড়েই চলেছে। প্রথম টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৪৪ ওভর বল করা বুমরাকে বিশ্রাম দিতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট। তাঁরা মনে করছেন এজবাস্টনের পর লর্ডস টেস্টে বুমরাকে খেলানো হবে। কিন্তু এজবাস্টনে সিরিজ ইংল্যান্ডের পক্ষে ২-০ হয়ে গেল বারত সিরিজে ফিরে আশতে পারবে তো! এমনটাই আশঙ্কা প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রীর। তিনি বলছেন, আমি সবসময় চাইব ইংল্যান্ডকে যেন বাড়তি সুবিধা দেওয়া না হয়। বুমরা না থাকা না মানে মানসিক দিক থেকে স্টোকসরা বেশ কিছুটা এগিয়ে থাকবে। প্রথম টেস্টে ভারতীয় বোলিং দেখে ওরা বুঝে গিয়েছে বুমরা সরে গেলে বাকিদের দিয়ে দারুন কিছু করে দেখাতে পারবে না ভারত। অনেকে বলছেন, বুমরাকে নিয়ে অনিশ্চয়তার কথা দেশ ছাড়ার আগে কেন জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল! এর ফলে ইংল্যান্ড সিরিজ শুরুর আগে তৈরি ছিল, বুমরাকে তিন টেস্টের বেশি খেলতে হবে না। এটা একটা অ্যাডভান্টেজ বলা যেতে পারে। সেটাই হয়তো শেষপর্যন্ত হতে চলেছে। বুমরা না খেললে কি হতে পারে! তিনি যদি খেলতে না পারেন তা হলে অর্শদীপের টেস্ট অভিষেক হবে। বাঁহাতি পেসারকে প্রথম টেস্টে দলে নেওয়া উচিত ছিল। কেন নেওয়া হয়নি তা নির্বাচকরা বলতে পারবেন। আর বলবেন গম্ভীর। অর্শদীপের সঙ্গে দলে আসতে পারেন কুলদীপ। শার্দুল ঠাকুরের জায়গায় তিনি খেলতে পারেন। নায়ারকে সুযোগ দেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। প্রথম টেস্টে ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ নায়ার। তিনি বাইরে গেলে নীতিশ আসবেন। আর একজনের কথাও উঠছে। শোনা যাচ্ছে, হেডিংলে টেস্টে হাতে চোচ পেয়েছেন সাই সুদর্শন। চোট না সারলে অভিমন্যু ঈশ্বরন খেলতে পারেন। প্রথম টেস্ট হারের পর প্রথম একাদশ থেকে একসঙ্গে এতজনকে বাইরে রাখা হবে! এ নিয়েও প্রশ্ন আছে। তবে ২ জুলাই দ্বিতীয় টেস্ট শুরু। হাতে সময় আছে। জল কোনদিকে গড়ায় তার একটা আভাস কদিনের মধ্যে পাওয়া যাবে।
ইংল্যান্ড সিরিজে কে এল রাহুলকে অধিনায়ক করা যেতে পারতঃ মঞ্জরেকর

সঞ্জয় মঞ্জরেকর এমনই। কোন কথায় বিতর্ক দানা বাঁধবে, সবসময় সেটাই তিনি খোঁজেন। এবং তাঁকে ঘিরেই বিতর্ক বেড়ে ওঠে। এই তো কদিন আগে ( হেডিংলে টেস্টের মধ্যে) ইংল্যান্ডের একটি উইকেট পড়ার পর ভারত অধিনায়ক শুভমান গিলের ছুটে আসা দেখে সতীর্থরা প্রশ্ন করেন, সঞ্জয় এভাবে ছুটে আসা দেখে কার কথা তোমার মনে পড়ছে। অন্য সময় হলে তিনি হয়তো নিশ্চিত করে বিরাটের নাম বলে দিতেন। কিন্তু তিনি তা করলেন না। প্রথমে বললেন, রোহিতের কথা মনে পড়ছে। তারপর টেনে আনলেন অজিত ওয়াদেকরকে। তাঁর কথা শুনে সতীর্থরা হাসছেন। তাঁরাও বুঝতে পেরেছেন সঞ্জয় পাশ কাটিয়ে যাচ্ছেন। অবশেষে নভজ্যোত সিং সিধুর কাছে প্রশ্ন গেল। সিধু শুরুতেই বিরাটের নাম বললেন। শুনে সঞ্জয় তখন হাসছেন। কারন কিছুদিন আগে বিরাটকে নিয়ে কথা বলে তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। তাই হয়তো তিনি এড়িয়ে গেলেন। এমন মানুষ সঞ্জয়। এবার ভারত অধিনায়ক নির্বাচন নিয়ে উল্টোপথে হাঁটলেন। হেডিংলে টেস্টের শেষদিনে তিনি হঠাৎ বলে বসলেন, সিরিজে গিলের বদলে কে এলে রাহুলকে অধিনায়ক করা যেতে পারত। ৩৩ বছর বয়স হয়ে গিয়েছে বলে কেন রাহুলকে সরিয়ে রাখা হবে। নির্বাচকরা লম্বা দৌড়ে যেতে চাইছেন বলে শুভমানের নাম নিয়ে এলেন। কিন্তু রাহুলের মতো একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে অধিনায়ক করা হলে কী এমন দোষের হত। না, এ ব্যাপারে সঞ্জয়কে নিয়ে কোনও ঝড় ওঠেনি। তা হলে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর কথা অনেকে মেনে নিয়েছেন। হতে পারে। কারন অধিনায়ক শুভমানকে অনেক না পসন্দ। তাই সঞ্জয় এ যাত্রায় বেঁচে গেলেন। কিন্তু সঞ্জয়ের কথায় যুক্তি ছিল। কেন হঠাৎ করে রাহুলের নাম তিনি করলেন। একটা ছবি আমাদের সকলের চোখের সামনে আসে। কোনও সেশন শুরু হওয়ার আগে ক্রিকেটাররা বাউন্ডারি লাইনের ধারে গোল হয়ে দাঁড়ান। তখন অধিনায়ক দলের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে কথা বলেন। কি করতে হবে, কি করা দরকার, এসব নিয়ে কথা বলে উইকেটের দিকে সবাই ছুটে যান। প্রথম সেশন শুরুর আগে দেখা গেল, শুভমান ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বললেন। খেলা শুরু হল। কিন্তু প্রথম সেশনে ভারতীয় বোলাররা কোনও সাফল্য আনতে পারলেন না। লাঞ্চে কোনও উইকেট পড়ল না ইংল্যান্ডের। দ্বিতীয় সেশন শুরুর আগে আবার ক্রিকেটাররা বাউন্ডারি লাইনের ধারে গোল হয়ে দাঁড়ালেন। এবার গিল নন, রাহুলকে দেখা গেল সতীর্থদের সঙ্গে কথা বলছেন। কী কথা তিনি বলেছেন তা জানা নেই। তবে মাঠে বোলার বদল, কে কোন প্রান্ত থেকে বল করবেন, এসব রাহুল করলেন। বুমরা যে প্রান্ত থেকে বোলিং করেছিলেন, সেদিকে নিয়ে এলেন প্রসিদ্ধকে। অবাক করার মতো ব্যাপার এটাই যে প্রসিদ্ধ বল করতে এসে উইকেট পেলেন। একটা নয় দুওভারে দুটি উইকেট। তারপর শার্দুল এসে পরপর দুওভারে দুটি উইকেট নিলেন। খেলা হঠাৎ করে জমে উঠল। ইংল্যান্ডের চার উইকেট পড়ার পর অনেকে মনে করেছিলেন, এবার হয়তো ভারতীয় দল ম্যাচ ধরে ফেলবে। না, তা আর হয়নি। রুট ও স্টোকস দলকে টানলেন। স্টোকস আউট হওয়ার পর স্মিথ এসে রুটের সঙ্গে জুটি বাঁধলেন। এবং দলকে ম্যাচ জেতালেন। রাহুল যে শেষদিন লাঞ্চের পর বাকি সময় দল চালিয়েছিলেন তা নয়। বোলার বদল, কোন প্রান্ত থেকে কাকে আনলে ভাল হয়, এসব কথা গিলকে বলছিলেন। কোনও কোনও ক্ষেত্রে ফিল্ডিংও সাজিয়ে দিচ্ছিলেন। এই সব দেখে সঞ্জয় বলছিলেন রাহুলকে অধিনায়ক করা যেতেই পারত। কেন ওর কথা ভাবা হল না জানি না। নির্বাচকরা আস্থা রেখেছেন গিলের উপর। তাকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। ভাল কথা। আগামির কথা ভেবে এগোবার চেষ্টা আর কি। সেটা ইংল্যান্ড সিরিজ থেকেই না করলেই বোধহয় ভাল হত।
ডুরান্ড খেলুক মোহনবাগান ঃ ব্যারেটো

পোর্তো আলেগ্রের অ্যাকাডেমিতে ব্যারেটো সন্তান জন প্র্যাকটিশে মত্ত।
ঋষভ ফের প্রমান করল সাহসীদের কাছেই সাফল্য ধরা দেয়ঃ ডিভিলিয়ার্স

তিনিও এমন ব্যাটিং করতেন। ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে তাঁকে এই মেজাজে সবাই দেখেছেন। টেস্টে বিরাট কিছু করতে না পারলেও সাদা বলের ক্রিকেটে নিজের জাত চিনিয়েছেন দক্ষিন আফ্রিকার প্রাক্তন ক্রিকেটার এ বি ডিভিলিয়ার্স। ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে তিনি আরও চেনা আইপিএলের কারনে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে তিনি যে দাপট দেখিয়েছেন তা মানুষ ভুলবে কী করে। সেই ডিভিলিয়ার্স হেডিংলেতে ভারত-ইংল্যান্ডের খেলা দেখে উচ্ছ্বসিত। আবার আতঙ্কিতও। তিনি ভাবতে পরছেন না ক করে ঋষব পন্থ ইংল্যান্ড বোলারদের উপর রোলার চালিয়ে দিলেন। নিজের ইউ টিউব চ্যানেলে কথা বলতে গিয়ে ডিভিলিয়ার্স বলেছেন, ঋষভের খেলা দেখে একটা কথাই বলার আছে যে সাহসীদের কাছে সাফল্য ধরা দেয়, সেটা আরও একবার প্রমানিত হল। ওর দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি দেখে এটাই সবার আগে মনে হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, এমন ইনিংস খেলার পর টেস্ট জিততে না পেরে দলের সকলেই হতাশ। এমনটা হওয়া স্বাভাবিক। একটা টেস্টে পাঁচটি সেঞ্চুরি আসার পর সেই ম্যাচ কেউ হারতে পারে! না, এখানেই হতাশা বেশি করে কাজ করে। হেডিংলে টেস্টে ভারতীয় দল নিয়ে আরও অনেক কথা বলেছেন ডিভিলিয়ার্স। তিনি বলেছেন, জানি এই ম্যাচ হারের পর দেসের মিডিয়া নান কথা বলা শুরু করে দিয়েছে। এজবাস্টন টেস্টে কী কী বদল আনতে হবে, তা নিয়ে পরামর্শ দেওয়াও শুরু হয়েছে। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, একটা হারে সব কিছু বদলে যায় না। আবার আতঙ্কিত হয়ে পড়ার কোনও কারন খুঁজে পাচ্ছি না। ২ জুলাই ভারত দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামবে। তার মধ্যে নিজেদের ভুলগুলি নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। তারপর মাঠে নেমে পড়। আমার কাছে দলের লোয়ার অর্ডারের ব্যাটিং অনেক বেশি জরুরি। ওরা রান করতে পারলে ভারত নিজেদের ফিরে পাবে। আবার তিনি ফিরে গিয়েছেন ঋষভে। বলছেন, খেলা দেখতে দেখতে একটা মনে হয়েছে, এত ঝুঁকি নিয়ে খেলার কি দরকার ছিল। বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটে। আমি হাতে গুনে দেখেছি, দুই ইনিংসে কুড়িবার ঋষভ আউট হওয়ার সুযোগ দিয়েছিল। এবং সেটা ৩০ রান করার আগে। তারপর নিজের রান টেনে নিয়ে গিয়েছে। এই যেমন দ্বিতীয় ইনিংসের কথা যদি ধরি তা হলে দেখতে পাই, প্রথম সেশনের শুরুতে বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ স্ট্রোক খেলার চেষ্টা করেছে। তারপর নিজে বুঝতে পেরেছে ঠিক হচ্ছে না। পরে নিজেকে শুধরে নেয়। দায়িত্ব নিয়ে খেলে। সেঞ্চুরিও করে। এটাই আমরা সবাই দেখতে চেয়েছিলাম। ঋষভ সেটা করে দেখিয়েছে। এটাও ঘটনা যে দুই ইনিংসে ওর ব্যাট থেকে বড় রান ইনিংস দেখা না গেলে ভারতীয় দল এই জায়গায় আসতে পারত না।শুধু নিজের রানের কথাই বলি কি করে, সঙ্গে বড় পার্টনারশিপও করেছে। একটি টেস্ট ম্যাচে দুটি বড় পার্টনারশিপ দরকার। এবং সেটা করতে পারলে ম্যাচ নিজেদের দখলে নিয়ে আসা যায়। ঋষভ উইকেটে দাঁড়িয়ে সেটা করে দেখিয়েছে। তাই ভারত প্রথম ইনিংসে ৪৭১ রান করেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৬৪ রান করেছে। বাকিরা থাকলেও ঋষভের ইনিংস দেখা না গেলে ভারত এই জায়গায় আসতে পারত না। তাই আবার বলছি, সাহসীকতার পুরস্কার পেয়েছে ঋষভ। তার প্রমান দুই ইনিংসে দুটি সেঞ্চুরি।
বিরাট নয়, টি২০ বিশ্বকাপে খেলা ঘুরিয়ে দেয় অন্য এক ক্রিকেটারঃ রোহিত

ছবিটি দুবছরের আগের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১১ বছরের খরা কাটিয়ে ভারত টি২০ বিশ্বকাপ জিতল। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর মাঠে আনন্দে ভেসে গিয়েছিলেন ক্রিকেটাররা। কোনও কিছু করতে বাকি রাখেননি তাঁরা। আবার সেদিনই টি২০ ক্রিকেট ফরম্যাট থেকে নিজেদের সরিয়ে নেন রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। প্রায় কুড়ি বছরের টি২০ ক্রিকেট কেরিয়রে দাড়ি টানেন তাঁরা। অনেকদিন পর আবার সেদিনে ফিরে গেলেন রোহিত। এক সাক্ষাৎকারে রোহিত ফিরে গেলেন বিশ্বকাপ জয়ের কথায়। বিরাট কোহলির ৫৯ বলে ৭৬ রানের ইনিংসকে কে ভুলবেন। তবে অ্যাঙ্কাারম্যান বিরাটের থেকেও তিনি এগিয়ে রাখলেন দলের অন্য এক ক্রিকেটারকে। বললেন, সেই ক্রিকেটার আসলে গেম চেঞ্জার। ওর জন্য আমাদের কাজ সহজ হয়ে গিয়েছিল। কে সেই ক্রিকেটার! বিরাট নয় তা বলে দিয়েছেন রোহিত। তা হলে কি সূর্যকুমার যাদব! নাকি হার্দিক পান্ডিয়া, জসপ্রীত বুমরা বা অর্শদীপ সিং! না, এঁরা কেউ নন। রোহিতের ডায়েরি থেকে উঠে এল বাপুর নাম। তিনি ছিলেন বলে দক্ষিন আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেদিনের ফাইনালে ভারতের কাপ জয় কিছুটা হলেও সহজ হয়েছিল। তাঁর ঝোড়ো ইনিংস না এলে ভারত প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৭৬ রান করতে পারত না। আর সেই রান তাড়া করতে নেমে দক্ষিন আফ্রিকার ইনিংস ৮ উইকেটে ১৬৯ রানে থেমে যায়। এবার সেই ক্রিকেটারের নাম জেনে নেওয়া যেতে পারে। তিনি হলেন অক্ষর প্যাটেল ওরফে বাপু। হ্যাঁ, এটাই ঘটনা। বিরাটদের পারফরম্যান্সের থেকেও রোহিতের কাছে অক্ষর বেশি ভোট পেয়ে গেলেন। রোহিত বলছিলেন, শুরুতে উইকেট হারিয়ে আমরা চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। একদিকে বিরাট ছিল বলে কিছুটা নিশ্চিন্তে থাকলেও মনে হয়েছিল, কাদের নিয়ে বিরাট লড়াই করবে। সেই সময় মাঠে নামে অক্ষর। উইকেটে গিয়ে কী খেলাটাই না খেলল অক্ষর। দক্ষিন আফ্রিকার বোলারদের উপর রোলার চালিয়ে দিল। ৩১ বলে ৪৭ রান করল চারটি ওভার বাউন্ডারি ও একটি বাউন্ডারির সাহায্যে। আর এতেই আমরা লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে গেলাম। টি২০ ক্রিকেটে ১৭৬ রান যে বিরাট কিছু তা বলা যাবে না। কিন্তু বোলারদের সামনে একটা লড়াই করার মতো রান তুলে দেওয়া দরকার ছিল। আমরা সেটা করতে পেরেছিলাম। বিরাট নিজের খেলা খেলে দিল। তবে খেলা ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য যা দরকার ছিল তা অক্ষর করল। ওর সামনে বেসামাল হয়ে পড়ল দক্ষিন আফ্রিকার বোলিং। মনে হয়েছিল, এই জায়গা থেকে আমরা ম্যাচ জিততে পারব। আসলে ২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের পর ভারতীয় দল কোনও আইসিসি ট্রফি জেতেনি। তাই দলের উপর চাপ ছিল। সেই চাপেই কিনা জানা নেই, ফাইনালে শুরু থেকে ভারতীয় দলকে কেমন যেন অগোছালো লেগেছিল। রোহিত মেনে নিয়েছেন, হ্যাঁ, সেদিন দলের উপর একটা চাপ তো ছিল। কারন এর আগেও আমরা আইসিসি টুর্নামেন্টে ফাইনালে উছে হেরে গিয়েছি। তাই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বাড়তি খিদে দলকে চাপে রাখে। তারপরের কথা তো সকলের জানা। অক্ষরের কথা বললেও বিরাট নিয়ে কিছু বলবেন না রোহিত। বলেছেন। ফাইনালের ম্যান অফ দ্য ম্যাচ বিরাট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে রোহিত বলেন, ফাইনালের আগে বিরাট সেভাবে নিজকে মেলে ধরতে পারছিল না। তবে যখন দরকার পড়ল, তখন নিজেকে উজার করে দিল। যদি তুমি প্রথম ওভারে তিনটি বাউন্ডারি মার, তা হলে তুমি দারুন শুরু করেছ। সবই এটাই চায়। তবে এই সব ম্যাচে অভিজ্ঞতা কাজ করে। আবেগকে নিয়ন্ত্রন করতে হয়। চিন্তাভাবনায় লাগাম দিতে হয়। সেই ম্যাচের মধ্যে শুধু থাকতে হয়। আমি বিশ্বাস করি, সেদিন বিরাট এটাই করেছিল। ভেবেছিল আজ আণার মনোযোগী হওয়ার দিন। আগে কী হয়েছে তা নিয়ে চিন্তা করে লাভ নেই। তাই ও একটা অসাধারন ইনিংস খেলতে পেরেছে। শুধু নিজের ইনিংসই নয়, অক্ষরের সঙ্গে অসধারান একটা জুটি গড়তে পেরেছে।
সঙ্গী হীন মেসি

অভিষেকেই বাজিমাত। ১৯ বছরের ফ্রানচেস্কো পিও পেসপসিতো ইন্টার মিলানের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই গোল করে গেলেন।
চারটি ক্যাচ হাতছাড়া! যশ্বসী কেন বারবার ফেলছেন! ব্যাখ্যা দিলেন কাইফ

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জমানায় ভারতীয় দলের সেরা ফিল্ডার ছিলেন মহম্মদ কাইফ। শুধু তিনিই নন, সঙ্গে ছিলেন যুবরাজ সিংও। দক্ষিন আফ্রিকার জন্টি রোডসকে দেখে সৌরভের মনে হয়েছিল ভারতীয় দলে যদি এমন ফিল্ডার থাকত, তা হলে বিশ্বের যে কোনও দলকে হারানো সম্ভব। তাই তিনি পয়েন্ট ও কভার অঞ্চলে দুই সেরা ফিল্ডারের সন্ধানে ছিলেন। পেয়েও গেলেন। তাঁর আমলে এসে গেলেন কাইফ ও যুবরাজ। তাঁরা কি করেছেন তা সেই সব ম্যাচের ভিডিও দেখলে জানা যাবে। হেডিংলেতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে পাঁচ উইকেটে হারল ভারত। নেপথ্যে ফিল্ডিংয়ে ঘাটতি। ম্যাচে সাতটি ক্যাচ ফেলে ভারতীয় দল সুবিধা করে দিয়েছে ইংল্যান্ডকে। সাতটির মধ্যে যশ্বসী জয়সওয়াল একাই ফেলেছেন চারটি ক্যাচ। সেফ ফিল্ডার হিসেবে যশ্বসীর নাম সবাই বলেন। কিন্তু হেডিংলেতে সেই যশ্বসী কী করে চারটি ক্যাচ ফেললেন! টিভিতে খেলা দেখে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন একসময়ের দলের সেরা ফিল্ডার কাইফ। তিনি বলছেন, ম্যাচ দেখে যেটুকু মনে হয়েছে ক্যাচগুলি ভারতীয় ফিল্ডাররা ধরতে পারলে রেজাল্ট অন্যরকম হত। কিন্তু যা হয়নি তা নিয়ে কথা বলে লাভ কি। এখন দেখা উচিত ক্যাচগুলি পড়ল কেন! দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামার আগে এই বিষয়ে সতর্ক হওয়া উচিত। আমার মনে হয়, এর সমাধান যশ্বসী নিজেই করতে পারবে। প্র্যাকটিসে নিজেকে পরীক্ষায় বসালে বুঝতে পারবে কেন ক্যাচগুলি হাত থেকে পড়েছে। কাইফের চোখে যা পড়েছে তা এইরকম- ফিল্ডিং করতে নামার সময় যশ্বসীর হাতে স্ট্র্যাপ লাগানো ছিল। হয়তো প্র্যাকটিসে ডিউক বল ধরতে গিয়ে লেগেছিল। তাই ম্যাচে ফিল্ডিং করতে নামার আগে দুহাতে স্ট্র্যাপ লাগিয়ে নিয়েছিল। আর এটাই যশ্বসীকে ঝামেলায় ফেলে দেয়। কেন ঝামেলা! যে কেউ হাতে স্ট্র্যাপ লাগিয়ে দেখতে পারেন, আঙ্গুলের মুভমেন্ট ঠিকভাবে করতে পারছেন না। আঙ্গুল আটকে যাচ্ছে। বল এলে স্ট্র্যাপের উপর পড়লে তা স্পঞ্জের মতো কাজ করে। তখন বল পড়লে সেটা লাফিয়ে যায়। হাতে ধরে রাখা যায় না। কিন্তু খালি হাতে থাকলে এই সমস্যা হয় না। আঙ্গুলের মুভমেন্ট সবজ, স্বাভাবিক থাকে। ক্যাচ হাতে এলে তা লাফিয়ে যায় না। যশ্বসীর বোঝা উচিত ছিল স্ট্র্যাপ সমস্যায় ফেলছে। তখন স্ট্র্যাপ খুলে ফেললে বল হাত থেকে লাফিয়ে যেত না। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে কথা বলার সময় কাইফ হাতে একটি স্ট্র্যাপ নিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, কোথায় সমস্যা হয়। আঙ্গুলের ঠিক নিচে স্ট্র্যাপ শক্ত করে বেধে দেখালেন, এভাবে ক্যাচ ধরতে গেলে কোথায় সমস্যা হচ্ছে। স্ট্র্যাপ খুলে দেখিয়ে দিলেন আঙ্গুল কত সহজে মুভ করতে পারছেন। হেডিংলেতে ক্যাচ হাত থেকে পড়ার পিছনে এটাই কারন হিসেবে সামনে এনেছেন কাইফ। তাঁর জমানায় প্র্যাকটিসে দেখতাম হাতে কালো রংয়ের মোটা স্ট্র্যাপ লাগিয়ে তিনি ক্যাচ ধরছেন। সেটা হাতে যেন না লাগে তার জন্য আগাম সতর্কতা। ম্যাচে কিন্তু তাঁকে এভাবে ফিল্ডিং করতে কখনও দেখিনি। তাঁর চোখে ধরা পড়ার পর মনে হচ্ছে এজবাস্টনে প্র্যাকটিসে নেমে যশ্বসী স্ট্র্যাপ লাগিয়ে নিজেকে পরীক্ষায় বসাতে পারেন। তা হলে পুরো ব্যাপারটি পরিস্কার হয়ে যাবে।