পাকিস্তানকে নিয়ে সমস্যায় ভারত

গতবার স্পেনের কাছে ৩-১ গোলে হেরে ব্রোঞ্জ পদক থেকে বঞ্চিত হয়েছিল ভারত।
মরক্কোর স্ট্রাইকার হামিদ ইস্টবেঙ্গলে

মরক্কোর স্ট্রাইকার হামিদ আহাদাদের সঙ্গে চুক্তি সারা ইস্টবেঙ্গলের।
রোহিত বুঝেছিলেন, দলে রাহুলের বিকল্প খুঁজে পাওয়া যাবে না

এটাই সত্যি। তাই কে এল রাহুলের উপর বাড়তি নজর দিতে চেয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ভারতীয় দলের সহকারি কোচ হিসেবে অভিষেক নায়ার যোগ দেওয়ার পর রোহিত বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁকে কি করতে হবে। কার কার দিকে নজর দিতে হবে। কার পিছনে বাড়তি সময় দিতে হবে। সেভাবেই অভিষেক নিজের রুটিন তৈরি করে ফেলেন। এক সাক্ষাৎকারে কথা বলতে গিয়ে অভিষেক পুরনো ঘটনাকে সামনে টেনে আনলেন। বললেন, ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজে আমি দলে যোগ দেওয়ার পর একদিন রোহিত আমাকে ডেকে বলে কি কি কাজ করতে হবে। বিশেষ করে রাহুলের দিকে আমাকে নজর দিতে হবে। ওর সঙ্গে কথা বলতে হবে। ওর ভাবনা জানতে হবে। সে সব বুঝে রুটিন ঠিক করে এগোতে হবে। আসলে সেই সময় রোহিত মানসিক দিক থেকে কিছুটা ভেঙ্গে পড়েছিলেন। টি২০ বিশ্বকাপ দলে জায়গা হয়নি। এটা রাহুলকে ধাক্কা দিয়েচিল। ভেবেছিলেন, তিনি দলে অবশ্যই থাকবেন। কিন্তু দলে সুযোগ না পেয়ে রাহুল অনেকটা ভেঙ্গে পড়েছিলেন। ভারতীয় দলের প্র্যাকটিসে অভিষেককে ডেকে রোহিত বলেছিলেন, আমাদের সামনে অনেক খেলা আছে। অস্ট্রেলিয়া সিরিজ খেলব। তারপর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও ইংল্যান্ড সিরিজ। এই সব ম্যাচগুলিতে রাহুলকে আমাদের দরকার। দলে ওর বিকল্প নেই। তাই তোমার কাজ হবে ওকে বাড়তি সময় দেওয়া। রোহিতের কথা শোনার পর অভিষেক নিজের পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেলেন। রোহিত বুঝতে পেরেছিলেন মিডলঅর্ডারে দলের হাল ধরতে রাহুল ছাড়া কারোর উপর ভরসা রাখা যবে না। তখনও তিনি ভাবেননি যে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের সময় তাঁর হয়ে গিয়েছে। অভিষেকের সঙ্গে ক্লাস করে রাহুল নিজেকে নতুনভাবে ফিরে পেলেন। হেডিংলে টেস্টের পর রাহুল নিজেও বলেছেন, অভিষেক শর্মার সঙ্গে ক্লাস করে তিনি নিজেকে অনেকটা গুছিয়ে নিতে পেরেছেন। এখনও সময় পেলে তিনি অভিষেকের কাছে চলে যান। নিজের ঘাটতিগুলির উপর কাজ করেন। তবে এ নিয়ে অভিষেক আর অনেক কথা বলেছেন। সেদিকে তাকানো যেতে পারে। তো অভিষেক কি বলেছেন- রোহিত আমাকে যে বিষয়গুলির উপর নজর দিতে বলেছিল তার মধ্যে একটি ছিল রাহুলের সঙ্গে কাজ করা। কে এল কিাবে খেলছে সে সম্পর্কে আরও আক্রমানত্মক দৃষ্টিভঙ্গি রাখা এবং সেরাটা বের করে আনা। এটা ছিস আমাদের মধ্যে কাজের সূচনা। অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার জন্য আমাদের হাতে ছিল ১৫দিন। সেখানে গিয়ে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামার আগে ১০দিন হাতে পাওয়া যাবে। আমি বলেছিলাম, আমাদের হাতে একমাস সময় আছে। তুমি কী করতে চাও। তোমার ভাবনা কি। তোমার মানসিকতাই বা কি। আমরা নিজেদের মধ্যে কথা বলে একটা রুটিন তৈরি করি। যা রাহুলের ভাবনার থেকে আলাদা। একজন কোচকে ভাগ্যবান বলতেই হবে। অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম টেস্টে প্রথম ইনিংসে ভাল শুরু করতে পেরেছিল। দ্বিতীয় ইনিংসেও রান পেয়েছিল। এটা আমাদের কাজে ওকে বিশ্বাস এনে দিয়েছিল। এইভাবে আমাদের চলা শুরু হয়েছিল। এখন রাহুল নিজেকে প্রমান করতে পেরেছে। বোঝাতে পেরেছে ওকে ছাড়া দল গড়া সম্ভব নয়। এখানেই নায়ারের করিশ্মা। সাফল্য মানুষকে আনন্দ দেয়। রাহুলকে দিয়েছে। আবার অভিষেককে দিয়েছে। আর কি চাই। তবু ভাবতে অবাক লাগে এমন কোচকে ভারতীয় দল থেকে বাইরে বের করে দেওয়া হল। কে করলেন! তা নিয়ে এখন আর কথা বলে লাভ নেই। সফল ক্রিকেটাররা তাঁর নামে অনেক কথা বলছেন। এটাই অভিষেকের বাড়তি পাওয়া। আর কি! তে
নীরজের প্রত্যাবর্তন

নয় মাস পরে আবার শীর্ষ স্থান ফিরে পেলেন নীরজ চোপড়া।
এজবাস্টনে বুমরা না খেললে সম্ভবত দলে অর্শদীপ, জয়সওয়ালের সামনে গাভাসকরকে টপকে যাওয়ার হাতছানি

বুধবার থেকে এজবাস্টনে শুরু হচ্ছে ভারত-ইংল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্ট। এমন একটা ভেন্যু, যেখানে ভারতের অভিজ্ঞতা একেবারেই সুখের নয়। এজবাস্টনে এখনও পর্যন্ত মোট সাতটি টেস্ট খেলেছে টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু এখনও একটি টেস্টও জিততে পারেনি। এর থেকে বেশি খারাপ অভিজ্ঞতা রয়েছে ম্যাঞ্চেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে। এবং বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে। এই দুটি ভেন্যুতে ৯টি ম্যাচ খেলে এখনও একটিও টেস্ট জেতেনি ভারতীয় দল। তেমনি এজবাস্টন। ভারতের জন্য একটি খারাপ ভেন্যু। এজবাস্টনে অষ্টম ম্যাচ খেলতে নামার আগে এখানকার পরিসংখ্যান চাপে রাখবে গিলদের। দ্বিতীয় টেস্টে কি বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে জসপ্রীত বুমরাকে? তাঁর ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের জন্য তাঁকে তিনটির বেশি টেস্টে খেলানো হবে না, এমন ভাবনার কথা আগেই জানানো হয়েছে। ভারতীয় শিবিরে রয়েছেন আরও দুই বিশেষজ্ঞ পেসার – আকাশদীপ ও অর্শদীপ সিং। রয়েছেন পেসার অলরাউন্ডার নীতীশ কুমার রেড্ডি। তবে বুমরা না খেললে সম্ভবত সুযোগ পাবেন বাঁহাতি পেসার অর্শদীপ। নেটে তাই বাড়তি অনুশীলন তাঁর। পাশাপাশি নেটে টেল এন্ডারদের ব্যাটিংয়ের দিকেও বাড়তি নজর দেওয়া হল। হেডিংলেতে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৭২ রানে পড়ে গিয়েছিল ভারতের শেষ ১৩ উইকেট। তাই এবার তাদের দিকে বাড়তি নজর গুরু গম্ভীরের। এজবাস্টনে কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকরকে টপকে যাওয়ার হাতছানি তরুণ যশস্বী জয়সওয়ালের। সানির ৪৯ বছরের রেকর্ড ভাঙার মুখে তিনি। আর ৯৭ রান করলেই দ্রুততম ভারতীয় হিসাবে টেস্টে ২০০০ রানের মাইলস্টোন টপকে যাবেন। গাভাসকর ২৩ টেস্টে ২০০০ রান করেছিলেন। জয়সওয়াল ২০ টেস্টে করে ফেলেছেন ১৯০৩ রান। গড় ৫২.৮৬। তাই এজবাস্টনেই সানিকে টপকে যাওয়ার হাতছানি জয়সওয়ালের সামনে।
অ্যাথলেটিক্সে ‘বাংলার মুখ’ এসিসি

সোদপুরের এসিসি এখন হয়ে উঠেছে বাংলার অ্যাথলেটিক্সের আশা-ভরসা।
তোমাকে বলিউডের হিরো বানাতে চাই, ধোনির সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতে শিখর

আত্মকথা নাকি স্মৃতি কথা! কোনটা সঠিক! যেটাই হোক, দ্য ওয়ানঃ ক্রিকেট মাই লাইফ অ্যান্ড মোর, বইটিতে অনেক অজানা কথা তুলে এনেছেন জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ান। অকপট এবং আন্তরিকতার সঙ্গে লেখা বইয়ে ক্রিকেট মাঠের ভিতরে ও বাইরের অনেক অজানা কথা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন তিনি। অবিস্মরণীয় স্মৃতিকথায় শিখর নিজের জীবন, ক্রিকেট, সম্পর্ক, এমন নানা ঘটনা সামনে এনেছেন। কেউ কি জানতেন শিখর প্রথমে একজন উইকেটকিপার হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিলেন। দিল্লির প্রতিযোগিতমূলক ক্রিকেট পরিবেশে বেড়ে ওঠা শিখর পরে একজন ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে তৈরি করেন। তিনি ভারতের হয়ে ৩৪টি টেস্টে ২৩১৫ রান করেছেন। ১৬৭টি ওয়ান ডে ম্যাচে রান করেছেন ৬৭৯৩। টি২০ ক্রিকেটে ৬৮টি ম্যাচে রান ১৭৫৯। তারপর যখন বুঝে গিয়েছেন এরপর এগিয়ে গেলে ভুল হবে। তখন নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। সেই তিনি প্রথম ধোনিকে দেখার পর কি বলেছিলেন! সেটা এতদিনে কেউ জানতেন না। শিখর বইয়ে সেকথা টেনে এনেছেন। তাঁর লেখা বইয়ের কথা শোনা যাক- যখন ভারতীয় দলে ঢোকা চেষ্টা করছিলাম, তখন মিডিয়ার এমন দাপট ছিল না। সোশ্যাল মিডিয়া তখন কোথায়! ফলে ক্রিকেটারদের উপর নজরদারি বেশি ছিল না। তখন বলতে গেলে টিভি, সংবাদপত্র, কিছু মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের লোকেদের ছাড়া কাউকে দেখা যেত না। মোটামুটিভাবে বলতে গেলে আজকের মিডিয়া বা সোশ্যাল মিডিয়ার ভিড় সেদিন ছিল না। আজকের সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন ক্রিকেটারকে রাতারাতি হিরো থেকে জিরোতে নামিয়ে আনে। সেই সময় এতটা কঠিন ছিল না মিডিয়া। তাই গল্প তৈরি করতে বেশি সময় লাগত। ভারতীয় ড্রেসিংরুমে তাঁর প্রবেশর কথা বলতে গিয়ে তিনি লিখছেন, ২০১০ সালের অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়া ভারতে আসে। তবে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ ছিল না। একটি সংক্ষিপ্ত সফর বলা যেতে পারে। তখনই আমি ভারতীয় সিনিয়র দলে খেলার জন্য ডাক পাই। মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের ঘটনা মজার। আমি তাকে বলেছিলাম, তোমাকে আমি বলিউডের হিরো বানতে চাই। লম্বা চুল, হাল্কা হাসির কারনে তাকে একজন চলচ্চিত্র নায়কের মতো দেখাচ্ছিল। আমরা অনুপ্রেরণা নিয়ে কথা বলছিলাম। হঠাৎ অস্পষ্টভাবে বলে উঠি আমি ভারতের হয়ে খেলতে চাই। আর তোমাকে বলিউডের নায়ক বানাতে চাই। সে মাথা ঘুরিয়ে আমাকে একবার দেখে হেসে ফেলল। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিনটি ওয়ান ডে সিরিজে সুযোগ পেলেন শিখর। কিন্তু কপাল মন্দ। তিনটির মধ্যে দুটি বৃষ্টির জন্য ভেস্তে গেল। তাই কোচি মারগাঁওয়ে খেলা হল না। শিখর লিখছেন, কোচি ম্যাচের আগে আমি মানসিক দিক থেকে প্রচন্ড চাপের মধ্যে পড়ে যাই। সারা রাত ঘুম হল না। সকালে উঠে দেখি প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে। আমার আশায় কেউ যেন জল ঢেলে দিল। সেদিন আর কিছু করার ছিল না। তারপর বিশাখাপত্তনমে দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচের আগের রাতে নিজেকে চাঙ্গা করতে একটা ঘুমের ওষুধ খাই। মনে হয়েছিল কোচিতে রাতে ঘুম হয়নি। এখানে ভাল করে ঘুমোতের পারলে অবেক চাঙ্গা হয়ে মাঠে নামতে পারব। ভারত টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠাল। ওরা ২৮৯ রান করল। জবাব দিতে মুরলি বিজয়কে সঙ্গে নিয়ে আমি মাঠে নামলাম। কিন্তু প্রথম ওভারে ম্যাকের দ্বিতীয় বলে আউট হয়ে গেলাম। মুখে হাসি নিয়ে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে আসি। কিন্তু মনের ভিতর কি হচ্ছিল, সেটা শুধু আমিই জানি। এতক্ষণ ভেবে এসেছিলাম, কভার দিয়ে দারুন একটা শট খেললাম। দলের হয়ে বিশাল রান করছি, কোথায় কি। বাস্তব বড় কঠিন। সেদিন বাস্তবকে মেনে নেওয়া আমার পক্ষে খুব কঠিন ছিল।