মেহতাবের দিকে ফের ঝঁুকলো মোহনবাগান

টাগ অব ওয়্যার শুরু হয়ে গেল মেহতাব সিংকে নিয়ে।
ট্রফি নয়, দলের উন্নতি নজর মোহনবাগানের

লিগ অভিযানে নামার আগে কেক কেটে কোচ কার্দোজোকে খাওয়াচ্ছেন মোহনবাগানের ফুটবলাররা।
গিলের বার্তা পেয়ে ভারতীয় দলের নেটে চলে এসেছিঃ হরপ্রিত

একেই বলে কপাল। না হলে হঠাৎ করে কেন তিনি ভারতীয় দলের নেটে নেমে পড়বেন। তিনিও জানেন, ইংল্যান্ড সিরিজে ভারতীয় দলে কোনও বাড়তি স্পিনার নেওয়া হবে না। তা হলে কিসের জন্য তাঁকে ডাকা হল! ও সব জানা নেই পাঞ্জাব কিংসের বাঁহাতি স্পিনার হরপ্রিত ব্রার। তিনি বলছেন, শুভমান গিলের বার্তা পেয়ে আমি দেলর সঙ্গে যোগ দিয়েছি। তারপর কি হবে জানা নেই। জাতীয় দলের জন্য কিছু করতে পারব, টাই বা কম কিসের। তাই ডাক পড়তেই নেটে নেমে পড়লাম। দ্বিতীয় টেস্ট খেলার জন্য ভারতীয় দল এখন বার্মিংহামে। হেডিংলে টেস্টের পরদিন গিলরা এখানে চলে এসেছেন। ভারতীয় দল এসেছে শুনে আইপিএলে খেলা পাঞ্জাব কিংসের ক্রিকেটার হরপ্রিত ব্রার ( আইপিএলে আট ম্যাচে দশ উইকেট পেয়েচেন) ফোন করেন গিলকে। তাঁর সঙ্গে কথা হওয়ার পর গিল হয়তো ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনা করে ব্রারকে দলের সঙ্গে যোগ দিতে বলেন। এই বার্তা পেয়ে দেরি না করে বাঁহাতি স্পিনার চলে এলেন ভারতীয় দলের হোটেলে। তারপর নেমে পড়লেন নেটে। ব্যস, এটুকুই জানা হরপ্রিতের। এর বাইরে কিছু জানা নেই। এটা ঘটনা যে ভারতীয় দল বাড়তি কোনও স্পিনার দলে নেবে না। এখনই দলে তিনজন স্পিনার আছেন। জাদেজা, কুলদীপের সঙ্গে ওয়াশিংটন সুন্দর। তাঁদের সঙ্গে আবার কেন স্পিনার নিয়ে আসা হবে। জানা যাচ্ছে, ভারতীয় দলের নেটে বল করার জন্য হরপ্রিতকে ডাকা হয়েছে। তা দলে কি জাদেজার উপর থেকে ভরসা উড়ে গেল টিম ম্যানেজমেন্টের! প্রথম টেস্টে জাদেজা নজর কাড়তে পারেননি। ব্যাটেও নয়। বোলিংয়েও তাই। সম্ভবত তিনি এজবাস্টনে দলের বাইরে চলে যাবেন। তাঁর জায়গায় কে আসবেন তা এখনও জানানো হয়নি। হয়তো কুলদীপে বরসা করতে পারেন গম্ভীররা। ইতিমধ্যে তাঁর কথা সকলে বলছেন। তাই ব্রারকে নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি অবশ্য দেশ থেকে উড়ে যাননি। তাঁর স্ত্রী-ও এখন বিদেশে নিজের বাড়িতে। বার্মিংহাম থেকে গাড়িতে ঘন্টাখানেকের পথ। তাঁর সঙ্গে সেখানে ছিলেন হরপ্রিত। তাই গিলের বার্তা পেয়ে তিনি দলের সঙ্গে যোগ দেন। দুদিন দলের সঙ্গে থেকে আবার স্ত্রীর কাছে চলে যাবেন। শুধু হরপ্রিত নন, ভারতীয় দলের নেটে দেখা যাচ্ছে পাঞ্জাবের আর ক্রিকেটার জগজিত সিং সান্ধু। পেসার জগজিত বার্মিংহামে ক্লাব ক্রিকেট খেলেন। ভারতীয় দল বার্মিংহামে পৌঁছনোর পর জগজিত ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তিনি অর্শদীপের বন্ধু। ভারতীয় দলের জুনিয়র স্তরে তারা এক সঙ্গে ক্রিকেট খেলেছেন। হোটেলে এসে ধেকার পর টিম ম্যানেজমেন্ট জগজিতকে ভারতীয় দলের নেটে আসতে বলে। তারপর থেকে জগজিত ভারতীয় দলের নেটে বল করেছেন। বিদেশি বোলারের উপর ভরসা না করে ভারতীয় দল দেশি ক্রিকেটরদের ডেকে নিচ্ছে। তাঁরা নেটে গিলদের প্র্যাকটিস দিচ্ছেন।
এজবাস্টনে কুলদীপকে খেলানোর কথা বলছেন প্রাক্তন অধিনায়ক আজহারও

হেডিংলে টেস্টে পাঁচ উইকেটে হারের পর থেকে ভারতীয় ক্রিকেটে অন্তত একটা জায়গায় বদলের কথা সবাই বলছেন। অনেকে আবার আশা করেছিলেন, প্রথম টেস্টে তাঁকে খেলতে দেখা যাবে। কিন্তু ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবনায় না থাকায় তাঁকে বাইরে বসতে হয়। এবার এজবাস্টন টেস্ট। ২ জুলাই থেকে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে। আবার তাঁর নাম উঠে আসছে। অনেক প্রাক্তন হেডিংলেতে হারের দিন থেকে তাঁর নাম বলে আসছেন। এবার নবতম সংযোজন প্রাক্তন অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিন। আজহার কি বলছেন! এক সাক্ষাতকারে তিনি বলছেন, দলের একজনকে বাইরে রেখে কাউকে আনার কথা ভাবা হলে তার নাম অবশ্যই বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার কুলদীপ যাদব হওয়া উচিত। কুলদীপক বাইরে রেখে ভারতীয় দলের প্রথম একাদশ হতে পারে না। এজবাস্টনে স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পায়। সেখানে উইকেট অনেক শুষ্ক থাকে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভারত প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে পারে। তাই কুলদীপ ছাড়া অন্য কারোর নাম ভাবতেই পারছি নাা। বুমরা খেলবেন কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। ভারতীয় দলের নেটে তিনি অবশ্য বল করছেন। টিম ম্যানেজমেন্ট এখনও লাস্ট কল নেয়নি। তাই বোঝা যাচ্ছে না বুমরাকে নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন গম্ভীর। আজহারের কাছেও এ নিয়ে নিশ্চিত করে কোনও কিছু নেই। তিনি সে পথে হাঁটলেন না। বলছেন, প্রথম টেস্ট দেখে যা বুঝলাম তা হল ভারতীয় বোলিং বিভাগ বুমরার উপর নির্ভরশীল। এতে বাড়তি চাপে পড়ছে বুমরা। সেই চাপ কমাতে পারছে না সতীর্থরা। বুমরাকে সাহায্য করতে দলে অভিজ্ঞ বোলারের প্রয়োজন। তাই কুলদীপকে খেলানো উচিত। হেডিংলেতে ভারত হারল কেন! আজহারের চোখে বোলিংয়ের থেকেও বড় করে ধরা পড়েছে দলের ব্যাটিং ব্যর্থতা। বলছেন, ব্যাটিং ব্যর্থতার কারনে আমরা হেরেছি। যাই হোক, এখন তাদের সঠিক ক্রিকেটার নির্বাচন করতে হবে। পাশাপাশি বোলিং নিঁখুত করতে হবে। ভারত হারলেও অধিনায়ক শুভমান গিলের পাশে দাঁড়িয়েছেন আজহার। বলছেন, অধিনায়ক হিসেবে এটা ওর প্রথম সফর। প্রথম ম্যাচ। দল হেরেছে বলে অধিনায়ককে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যাবে না। সেটা হলে ভুল হবে। অধিনায়ককে নিয়ে এখনই কথা বলতে হলে সেটা খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে। আমাদের সকলের উচিত ওকে সময় দেওয়া। সবে টেস্ট দলের দায়িত্ব নিয়েছে। তাই ওকে সমর্থনের পাশাপাশি সময়ও দেওয়া উচিত। শুধু সমালোচনা করলে হবে না।
২০৩৪ পর্যন্ত সৌদিতে থাকতে চান রোনাল্ডো

আল নাসেরের সঙ্গে রোনাল্ডো চুক্তিবদ্ধ হলেন ২০২৭ অব্দি।
৫ ঘন্টা খেলার পরে উচ্ছ্বসিত চেলসি

একের পর এক গোল করা চেলসি ফুটবলাররা এভাবেই উদযাপন করেছেন।
অধিনায়ক গিলকে তিন বছর সময় দিতে বলছেন শাস্ত্রী

ইংল্যান্ড সিরিজে ভারতীয় দল হারলেও অধিনায়ক গিলকে নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন না রবি শাস্ত্রী। ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ বলছেন, গিল অনেক বদলে গিয়েছে। নিজেকে পরিণত করেছে। তাই একবার যখন তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তখন হঠাৎ করে সরিয়ে দেওয়ার মানে নেই। ওকে সময় দিতে হবে। অন্তত তিনবছর গিলের হাতে ভারতীয় দলের দায়িত্ব দেওয়া উচিত। তারপর না হয় ওর পারফরম্যান্স নিয়ে ভাবা যেতে পারে। ভারত অধিনায়ক নিজেকে কতটা বদলেছেন! শাস্ত্রী এখন ইংল্যান্ডে টিভি কমেন্ট্রি করছেন। তাই খুব কাছ থেকে অধিনায়ক গিলকে দেখছেন। তাঁর মনে হয়েছে অধিনায়কের চেয়ারে বসে হঠাৎ করে সাফল্য এনে দেওয়া সহজ ব্যাপার নয়। একজন অধিনায়ক ততটাই ভাল, যতটা তার দল ভাল। একটা দল তৈরি করতে গেলে সময় দিতে হয়। সেই সময়টা অধিনায়ক আশা করতেই পারে। ধৈর্য ধরতে হবে। কারন টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া কঠিন। ধীরে ধীরে শিখবে। তাই র উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। আমার ধারণা গিলকে সেই সুযোগ দিলে ও সফল হবে। আইপিএলে গিল গুজরাট টাইটান্সকে নেতৃত্ব দিয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা ওর কাজে দেবে। শাস্ত্রী বিশ্বাস করেন, গিল একজন পরিণত ক্রিকেটার। তাই গিলকে ভবিয্যতের জন্য তৈরি করা যেতে পারে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে গিলকে আগাম সতর্কবার্তা দিয়েছেন শাস্ত্রী। বলেছেন, অধিনায়ক হিসেবে কাজ করা কঠিন ব্যাপার। পথটি সহজ নয়। প্রাক্তন অধিনায়কদের উদাহরণ টেনে এনে গিলকে বিচার করলে ভুল হবে। কারোর সঙ্গে মিল খোঁজা উচিত নয়। এখন কেউ যদি কোহলির সঙ্গে ওকে তুলনা করতে যান তা হলে ভুল করে বসবেন। কোহলি একাই তিনজনের কাজ করে দিতে পারত। ওর মধ্যে এমন একটা ব্যাপার ছিল। ব্যাটে রান না পেলেও মাঠে নেমে ক্রিকেটারদের চাঙ্গা করার এক সহজাত ক্ষমতা ছিল। প্রতিপক্ষ ক্রিকেটারদের চাপে ফেলার জন্য ওদের চোখের দিকে চোখ রেখে চাপে ফেলার চেষ্টা করত। এটাই যে গিলের মধ্যে দেখা যাবে তা নয়। ওর উপর ভরসা রাখতে হবে। ও যেন বিশ্বাস করতে পারে যে দল, টিম ম্যানেজমেন্ট , বোর্ড কর্তারা সঙ্গে আছে। এতে একজন অধিনায়কের উপর থেকে চাপ অনেকটাই কমে যায়। আশা করি এই ভরসা ওকে দেওয়া হবে। আমার বিশ্বাস ও পারবে। শুরুতে দেখা গিলের সঙ্গে আজকের ভারত অধিনায়কের সঙ্গে তুলনা টানতে গেলে একটা কথাই বলতে হবে সে নিজেকে অনেকটাই বদলে ফেলেছে। মিডিয়ার সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হবে, কিভাবে প্রেস কনফারেন্সে এসে মিডিয়ার করা প্রশ্ন সামাল দিতে হবে, এসব এখন গিল শিখে গিয়েছে। তাই সময় যত দেওয়া হবে, তত নিজেকে আরও পরিণত করতে পারবে। প্রথম টেস্টে হারলেও সতীর্তদের কাছ থেকে পুরো সপোর্ট পাচ্ছেন গিল। শনিবার এক সাক্ষাৎকারে দলের পেসার প্রসিদ্ধ্ বলেন, অধিনায়ক গিলকে দেখে ভাল লাগল। চাপের মধ্যে থাকলেও সতীর্থদের উপর ভরসা রাখে। বোলার বদল, ফিল্ডিং সাজানো সবই ঠিক আছে। আর একটা বড় গুন হল, দরকার পড়লে সিনিয়রদের কাছে ডেকে পরামর্শ নেয়। এর থেকে বোঝা যায় যে গিল একজন সফল অধিনায়ক হতে পারবে।