পুলিশি আক্রমণে ঘটলো নৌকোডুবি

পুলিশের বিরুদ্ধে বারবার ধরা পড়েছে মোহনবাগান।
সাত মাসের যন্ত্রণা থেকে মুক্ত হয়ে সাহিল এখন আরও শক্তিশালী; চোখ ভারতের জার্সিতে

সুদীপ পাকড়াশী কোনওদিন ভোলা যাবে না ওই সাতটা যন্ত্রণাবিদ্ধ মাস! যার শুরু গতবছর দ্বিতীয় ডিভিশন আই লিগে গোয়ায় ইউনাইটেড স্পোর্টসের শেষ ম্যাচ। সেই ম্যাচেই গোড়ালির গুরুতর চোট। কলকাতায় ফিরে অস্ত্রোপচার এবং ফুটবল মাঠ থেকে সাত মাঠের নির্বাসন। আইএসএল, আইপিএল, ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানে মজে থাকা বাংলার মিডিয়া জানতে চায়নি চোট পেয়ে নির্বাসনে যাওয়ার আগে ১৯ বছরের ছেলেটি ওই দ্বিতীয় ডিভিশন আই লিগেই ৭টি গোল করে ফেলেছিলেন। ভাগ্যিস তার আগের বছর, ২০২৩-এর কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে দুর্গাপুরে সার্দাণ সমিতির বিরুদ্ধে বাইসাইকেলে করা দুর্দান্ত গোলটা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল! সাংবাদিকদের একাংশ ছুটেছিলেন শ্যাম থাপার প্রতিক্রিয়া জানতে। ভিডিওটি দেখে কিংবদন্তি সেই স্ট্রাইকারের ছোট্ট প্রতিক্রিয়া ছিল, “ছেলেটির সময়জ্ঞান বেশ ভাল।” ২৮ জুন, শনিবার রবীন্দ্র সরোবরের কাদায় প্রচণ্ড ভারি হয়ে যাওয়া মাঠে আবার কলকাতা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ। প্রতিপক্ষ এরিয়ান। বল ধরে অসাধারণ হাফ-টার্নে চারজনকে অনায়াস ঔদ্ধত্যে প্রতিপক্ষের চারজনকে টপকে ১৮ গজের বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের একটা কার্লিং শটে গোল করার পর সেই সাহিল হরিজন ভাবছিলেন সাতটা মাসও তো একটা সময়! “কেউ মনে রাখে না। ২০২৩-এ যে আমার প্রথম কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে ১৪টা গোল ছিল, সেই বছরই দ্বিতীয় ডিভিশন আই লিগে যে ১১টা গোল করেছিলাম, এমনকী গতবছর চোট পাওয়ার আগেও ইউনাইটেড স্পোর্টসের হয়ে যে গতবছরের দ্বিতীয় ডিভিশন আই লিগে ৭টা গোল করেছিলাম, কে মনে রেখেছে?” সাহিলের প্রশ্ন। বাবা-মা আর তার নবাব কাকু, ইউনাইটেড স্পোর্টসের ডিরেক্টর-এই তিনজনের কথা সাহিলের বার বার মনে পড়ছে আজ। “নবাব কাকু অনেকবার বাড়িতে এসেছেন দেখতে। শুধু বলতেন মনের জোরটা ধরে রাখতে। ঠিক পারবি,” রবিবার কথা বলার সময় সাহিলের গলায় ক্লাবকর্তার প্রতি অপার কৃতজ্ঞতা। আর বাবা-মা? সাহিল বলছে, “একদিনের জন্য হতাশা প্রকাশ করেননি। সবসময় বলে গিয়েছেন মনকে শক্ত করতে। মনই ফেরার লড়াই শুরু করে।” ওদের কথা রেখেছেন সাহিল। গোড়ালিতে প্লাস্টার বাঁধা। বিছানায় বসে বসেই শরীরের ওপর অংশের কসরৎ চালিয়ে যাওয়া। টিভিতে নিজের পুরোনো ম্যাচ দেখে, আদর্শ ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর ম্যাচ দেখে, সুস্থ থাকার জন্য তার ফিজিক্যাল ট্রেনিংয়ের ভিডিও দেখে মানসিকভাবে চাঙ্গা থাকার চেষ্টা করা। তারপরও তো মন মানতে চায় না। কলকাতা লিগের ম্যাচ চলছে। বন্ধু ফুটবলাররা খেলছে আর আমি বাড়িতে প্লাস্টার বেঁধে বসে আছি! চোখে জল এসে যায়। কত রাত কেটেছে, ঘুম আসেনি। “খেলোয়াড় জীবন শুরু হওয়ার পর কোনওদিন হয়নি যে আমি ফুটবল ছুঁইনি। প্রায় মাঝরাত পর্যন্ত জেগে ভাবতাম কবে রিহ্যাব শুরু হবে, কবে আবার বলটাকে স্পর্শ করব,” সাহিলের স্মৃতিচারণ। কী শেখালো ওই যন্ত্রণার সাতটা মাস? “মানসিকভাবে আরও শক্তিশালী হয়েছি। বুঝেছি মূলস্রোতে থেকে পারফর্ম করতে না পারলে তোমাকে কেউ মনে রাখবে না।” শনিবার রবীন্দ্র সরোবরে ম্যাচের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বোঝা যায়নি সাহিলের ভেতরটা আরও কত শক্তিশালী হয়েছে! এই উপলব্ধি আরও গাঢ় হল খুব সম্প্রতি কলকাতার এআইএফএফের সেন্টার অফ এক্সেলেন্সে সিনিয়র জাতীয় দলের বিরুদ্ধে একটা প্রীতি ম্যাচের দিন। “খুব খারাপ খেলিনি। ম্যাচের পর সুনীল ছেত্রীর অভিনন্দনে সেটা বুঝেছি। খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বাক্য আমাকে বলেছিল যে, নিজেকে চেনাতে হলে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে।” ভারতের জার্সি পরা সুনীলের সঙ্গে ছবিটা বাঁধিয়ে বাড়িতে রেখে দিয়েছেন সাহিল। ছবিটা দেখেন শুধু দেখার জন্য নয়। নিঃশব্দে তৈরি করছেন একটা লক্ষ্য। “ভারতের জার্সি পরা সাহিল হরিজনের সঙ্গেও একদিন কোনও ‘প্রমিসিং ফুটবলার’ এভাবেই ছবি তুলবে,” সাহিলের লক্ষ্য! আর এই লক্ষ্যে সাহিলের নিজের পরিশ্রমের সঙ্গে অন্যতম সঙ্গী তার বর্তমান কোচ লালকমল ভৌমিক। “কোচ নন, বন্ধু, অভিভাবক। নিজেও তো সৃষ্টিশীল ফুটবলার ছিলেন। তাই যে কোনও সৃষ্টিশীল ফুটবলারকে প্রচণ্ড সাপোর্ট করেন,” সাহিলের গলায় আত্মবিশ্বাস।
আইপিএলে ধোনিদের বাসের পিছনে ছুটে নেট বোলার হয়ে গেলামঃ বরুন

আইপিএল অনেক ক্রিকেটারের কেরিয়র তৈরি করে দিয়েছে। সবাই যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন তা নয়। কিন্তু নিজেকে মেলে ধরার পাশাপাশি আর্থিক দিক থেকেও লাভবান হয়েছে। ১৪০ কোটি দেশের মানুষের মধ্যে থেকে ১৫ জন ক্রিকেটার জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পান। সেই ১৫ জনের দলে ঢুকতে কতটা লড়াই করতে হয় তা সকলেই জানেন। আর যাঁরা জাতীয় দলে জায়গা করে নেন, তাঁদের আর পিছন ফিরে তাকাতে হয় না। এমনই একজন কলকাতা নাইট রাইর্ডাসের বরুন চক্রবর্তী। একটু বেশি বয়সে ক্রিকেটে আসেন। এলেও জাতীয় দলের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলে ফেললেন তিনি। এখন ওয়ান ডে বা টি২০ ক্রিকেটে জাতীয় দল বাছাই করতে হলে প্রথমেই চলে আসবেন বরুন চক্রবর্তী। কীভাবে সম্ভব হল। সেকথাই তিনি বলেছেন রবিচন্দ্র অশ্বিনের ইউটিউব চ্যানেলে। অ্যাশ কি বাত অনুষ্ঠানে খোলামেলা কথা বললেন বরুন। অশ্বিনের সঙ্গে আড্ডায় বরুন ব্যাখ্যা করেছেন কীভাবে সিএসকের নেট বোলার হলেন। যদিও তিনি সিএসকের হয়ে খেলার সুযোগ পাননি। তবু আইপিএলে প্রবেশের পথ তাঁর সামনে খুলে গিয়েছিল। চেন্নাই থেকে কলকাতায় এসে মাঠে দাপালেন। সেখান থেকে একেবারে জাতীয় দলে। এই লম্বা পথ মসৃন ছিল না। অনেক লড়াই করে তিনি নিজের জায়গা করতে পেরেছেন। বরুন বলছিলেন, আমি দীনেশ কার্তিককে বল করেছিলম। যিনি আমার বোলিংয়ে মুগ্ধ হয়ে বলেছিলেন পরে আমাক ফোন করবেন। দুবছর ব্যান থাকার সেবারই চেন্নাই আইপিএলের মূলস্রোতে ফিরে আসে। সেবার একটি মজার ঘটনা ঘটেছিল। আমি জানতে পারি টি এস মোহন সিএসকের নেট বোলারদের দেখাশোনা করছেন। একদিন আমি সিএসকে দলের বাসের পিছনে স্কুটার নিয়ে ছোটা শুরু করি। টিম মাঠে এসে ভিতরে চলে গেল। আমি বাইরে দাঁড়িয়ে রইলাম। কিছুক্ষণ পর মোহনকে ফোন করি। তাঁকে বলি, আমি একজন রহস্যময় স্পিনার। আমি সিএসকে দলের নেট বোলার হতে পারি। তিনি আমার কাছে জানতে চান কোন ডিভিসনে খেলি। পঞ্চম ডিভিসনে খেলি শুনে তিনি বলেন, আমরা প্রথম ডিভিসনের বোলারদের নেটে ডাকছি। তাই তোমার তো সুযোগ নেই। ঠিক আছে, তুমি কাল আমাকে ফোন কর। পরেরদিন বরুন স্টেডিয়ামে যান। মোহনের সঙ্গে কথা বলে নেট বোলার হওয়ার সুযোগও হয়ে যায়। প্রচন্ড খুশি হয়ে পরেরদিন স্টেডিয়ামে যান। বরুন বললেন, নেটে গিয়ে দেখি সব বোলারই প্রথম ডিভিসনের। একজন শুধু নিচের ডিভিসনের বোলার ছিল। তার সঙ্গে কি হল জানি না, হঠাৎ করে তার কাছ থেকে বল নিয়ে আমার হাতে দেওয়া হল। আসলে মোহন দেখতে চাইছিলেন আমি কি করতে পারি। তখন আমার পিছনে প্রথম ডিভিসনের বোলার। নেটে তখন ব্যাট করছে ব্র্যাভো। সত্যি কথা বলতে কি বল হাতে নিয়ে নার্ভাস হয়ে পড়ি। তাই হয়তো প্রথম দুটি বল বিমার হয়ে গেল। কিন্তু তারপুর নিজেকে ফিরে পাই। সেদিন নেটে ব্র্যাভো, রায়না, ধোনিদের বল করি। ওরা মুগ্ধ হয়ে জানতে চেয়েছিল আমি আইপিএলে নাম লিখিয়েছি কিনা। কিন্তু সে সব তো কিছুই হয়নি। শুরুতে চমক দিয়েও আমাকে হতাশ হতে হয়েছিল। কিছু রাজনৈতিক কারনের জন্য সিএসকের বেস ক্যাম্প পুনেতে চলে যায়। সেখানেই প্র্যাকটিস চলে সিএসকের। নেট বোলার হিসেবে আমার যাওয়া হয় না। তবে বেশিদিন মাঠের বাইরে বসে থাকতে হয়নি। দীনেশ কার্তিক আমাকে কেকেআরে নেট বোলার হওয়ার সুযোগ করে দেয়। চেন্নাই থেকে কলকাতায় চলে এলাম। তখনও ভবিষ্যত নিয়ে কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। ভাল লাগছে ক্রিকেট খেলতে। তাই নেট বোলার হয়ে লেগে থাকলাম। ২০১৯ সালে বরুন পাঞ্জাব কিংসে সই করলেন। যদিও বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলেন না। একবছর সেখানে কাটিয়ে ২০২০ সালে কেকেআরে চলে এলেন বরুন। সেই থেকে দলের প্রধান চরিত্র। পরেরটা তো ইতিহাস। কেকেআরে খেলে নিজেকে প্রমান করলেন। সেখান থেকে জাতীয় দলে খেলার টিকি়টও হাতে চলে এল। এখন শুধু সামনের দিক চলা।
জাতীয় দলে নেমারকে চান না ব্রাজিলিয়ানরা

নেমারের এভাবে ঘন ঘন মাঠে চোট পাওয়াকে মানতে পারছেন না ব্রাজিলিয়ানরা।
এজবাস্টনে খেলার সুযোগ পেলে কেপির টিপস কাজে লাগাতে তৈরি কুলদীপ

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে ভারতীয় দলের প্রথম একাদশে বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার কুলদীপ যাদবকে কি খেলতে দেখা যাবে। নানা মুনির নানা মত হলেও একটি ব্যাপারে সবই একমত, এজবাস্টনে কুলদীপকে চাই। সিরিজে ভারত পিছিয়ে রয়েছে। এজবাস্টন টেস্ট হাতছাড়া হয়ে গেলে বেন স্টোকসদের ধরা যাবে না। তাই যা করার হোক, বার্মিংহামে করতে হবে। তারই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ভারতীয় দল। এজবাস্টনের উইকেট শুষ্ক। পেসাররা কতটা সুবিধা পাবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তার উপর আবার বুমরাকে নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। ভারতীয় নেটে বল করলেও বুমরা দ্বিতীয় টেস্টে খেলবেন কিনা তা এখনও কেউ বলতে পারছেন না। সবাই ধরে নিয়েছেন এজবাস্টনে দেখা না গেলেও লর্ডস টেস্টে তিনি খেলবেন। তাই বোলিং নিয়ে আরও চাপে পড়েছেন অধিনায়ক শুভমান গিল। টিম ম্যানেজমেন্টের আলোচনায় কি বেরিয়ে এসেছে, তা সামনে আসেনি। ধরে নেওয়া হচ্ছে যে কুলদীপকে প্রথম একাদশে রেখে ভারতীয় মাঠে নামবে। সঙ্গে কি জাদজো থাকবেন। প্রথম টেস্টে তাঁর বোলিং দেখে কেউ সন্তুষ্ট হতে পারেননি। আক্রমানত্মক বোলিং তাঁর কাছ থেকে দেখতে পাওয়া যায়নি। লাইনে গরমিল করে তিনি ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের সুবিধা করে দিয়েছেন। তাই ভারত এক স্পিনারে যাবে নাকি দুই স্পিনার নিয়ে খেলবে তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। ধরে নেওয়া যাক, কুলদীপ এজবাস্টনে খেলবেন। ইংল্যান্ড পৌঁছে তিনি যে প্রস্তুতি শুরু করেছেন তা নয়। নির্বাচকদের উপর ভরসা ছিল। নিজের উপর বিশ্বাসও ছিল। তাই আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের পরামর্শদাতা হয়ে ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক কেভিন পিটারসেন আসার পর কুলদীপের সুবিধা হয়ে যায়। প্রায় প্রত্যেকদিন কেপির সঙ্গে ইংল্যান্ডে খেলা নিয়ে ক্লাস করেন। কেপির পরামর্শ মেনে নেটে বোলিংয়ের প্রস্তুতি শুরু করেন। এক সাক্ষাতকার কুলদীপ বলছেন, ইংল্যান্ডে স্পিনাররা কীভাবে বোলিং করবে। পেসারদের উপর সব কিছু ছেড়ে দিয়ে ব্যাটসম্যানদের উইকেটে আটকে রাখতে চেষ্টা করবেন। ইংল্যান্ডে খেলতে যাওয়া মানে পেসারদের দাপট দেখা যাবে। তাই রান আটকে দিতে পারলে পেসারদের কাজের সুবিধা হয়ে যাবে। এই ধারণা ভেঙ্গে দিয়েছেন কেপি। তিনি বলেছেন, ভুলেও সে পথে পা বাড়াব না। তোমাকে মাথায় রাখতে হবে রান আটকে দেওয়া নয়, তোমাকে উইকেট নিতে হবে। একজন স্পিনারের কাজ রান আটকে রাখা নয়। উইকেট চাই। ত হলে প্রতিপক্ষ চাপ পড়ে যাবে। ২০১২ সালে ইংল্যান্ডের হয়ে ভারত সফরে এসেছিলেন কেপি। রানও করেছিলেন। স্পিনারদের বিরুদ্ধে কীভাবে খেলতে হবে, তার প্রস্তুতি নিয়ে তিনি ভারতে এসেছিলেন। তাই সফল হতে অসুবিধা হয়নি। কুলদীপ বলেন, আইপিএলে পরও কেপির সঙ্গে ইংল্যান্ডের প্রতিটি ব্যাটসম্যানের দুর্বল জায়গাগুলি নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। আসলে ইংল্যান্ড সফর নিয়ে তিনি আমাকে অনেক ইনপুট দিয়েছেন। বিভিন্ন সেন্টারে পিচ কেমন হবে, কোন ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধে কেমন ফিল্ডিং সাজাতে হবে। ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন আপ নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। সেখানে একজন বোলারের মানসিকতা কেমন হবে তা বলে দিয়েছিলেন কেপি। এই আলোচনায় কেপি বলেছিলেন, যদি খেলার সুযোগ পাও, যদি ১৫ থেকে ২০ ওভার বল করতে হয়, তা হলে তোমাকে ভাবতে হবে কীভাবে ব্যাটসম্যানকে আউট করা যায়। এই মানসিকতা নিয়ে খেলতে নামলে তুমি সফল হবে। আসল পরীক্ষা তোমার বোলিংয়ের লাইন কেমন হবে। সেটা ঠিক করে ফেলতে পারলে তুমি সফল হবে। কেপির পরামর্শ নিয়ে এগোবার কথা ভাবছেন কুলদীপ। এখন অপেক্ষা এজবাস্টনে প্রথম একাদশে তিনি জায়গা পাবেন কিনা। পেলে নিজেকে প্রমান করতে হবে। না হলে হারিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনও পথ খোলা থাকবে না।
পিএসজিকে নিয়ে ভাবনায় হ্যারি কেন

দর্শকদের অভিনন্দন গ্রহণ করে মাঠ ছাড়ছেন হ্যারি কেন।
আইপিএলে ১২, জাতীয় দলে ১৮ নম্বর জার্সি , বিরাটের বিকল্প বৈভব সূর্যবংশী!

শুরু হল যুবরাজ সিংকে দিয়ে। আপাতত চলে এসেছেন বিরাট কোহলিতে। বৈভব সূর্যবংশীর সংক্ষিপ্ত ক্রিকেট কেরিয়র নিয়ে অনেক ঘটনার মাঝে এটাও চলে এসেছে। তা হলে কি তিনি বিরাট কোহলির বিকল্প হতে চলেছেন। টি২০ ও টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে ফেলেছেন বিরাট। এখন শুধু ওয়ান ক্রিকেটে তাঁকে খেলতে দেখা যাবে। তার আগে বৈভবকে মাঠে নামিয়ে দেওয়া হল! আইপিলে তাঁর মারকাটারি ইনিংস দেখে ছেলেবেলার কোচ বলেছিলেন ব্রায়ান লারা ও যুবরাজ সিংয়ের মিশেল বৈভবের ব্যাটিংয়ে। এখন শোনা যাচ্ছে বৈভব নাকি বিরাটের ভক্ত। ক্রিকেট কেরিয়র শুরু করার দিন থেকে টিভিতে বিরাটকে দেখে সেরকম হতে চেয়েছিলেন বৈভব। তাই হয়তো জার্সি নম্বর বদলে গেল। তবে যাই হোক না কেন, জাতীয় দলে তাঁকে ১৮ নম্বর জার্সি তে খেলতে দেখে সবাই বলছেন, আগামির বিরাটকে পেয়ে গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট। আইপিএলে তারকা বোলরদের মেরে রান করেছিলেন বৈভব। লখনউ সুপার জায়ান্টাসের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে একটুও কেঁপে যাননি তিনি। শার্দুলের প্রথম বল কভারের উপর দিয়ে বাউন্ডারির বাইরে ফেলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে গুজরাট টাইটান্সের ৩৮ বলে সেঞ্চুরি করার পথে সিরাজ, রশিদদের মেরে মাঠে ঝড় তোলেন। সেদিন থেকে ক্রিকেট মহলে তাঁকে নিয়ে নানা কথা শুরু হয়ে যায়। আইপিএলে ৭ ম্যাচে আড়াইশোর উপর রান করলেন। স্ট্রাইক রেট ২০৬। ভাবা যায়। তবে বড় আসরে পরীক্ষার জন্য তিনি কতটা তৈরি তা নিয়েও কাটাকাটি হয়। এবার ইংল্যান্ডে ভারতীয় অনুধ্ব ১৯ দলের হয়ে খেলতে নেমে প্রথম ম্যাচে করলেন ১৯ বলে ৪৮ রান। এর মধ্যে তিনটি বাউন্ডারি ও পাঁচটি ওভার বাউন্ডারি। শুরুতেই চমক। সিরিজে শেষে সেটা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় তা নিয়ে জল্পনা চলছে। ভারতীয় অনুধ্ব ১৯ দল ইংল্যান্ডের মাঠে পাঁচটি ওয়ান ডে ম্যাচ খেলবে। তারপর দুটি চারদিনের ম্যাচ। ওয়ান ডে ক্রিকেটে বৈভবের খেলার চরিত্র বোঝা গিয়েছে। আসল পরীক্ষা চারদিনের ম্যাচে। সেখানে নিজেকে প্রমান করতে পারলে বোঝা যাবে সাদা বলের মতো লাল বলের ক্রিকেটেও সমান পারদর্শী বৈভব। তবে ক্রিকেট মহল মনে করছে, চারদিনের ম্যাচে তাঁর খেলার চরিত্রে বিরাট কিছু বদল হবে না। এভাবে তো অনেকেই আগে ব্যাটিং করেছেন। শেহবাগের কথা ধরা যাক। তিনি সব ফরম্যাটে এক মেজাজে ব্যাটিং করতেন। বৈভব সেভাবে গেলে অসুবিধা কোথায়! মনে হয় না খেলায় কোনও বদল আনবে বৈভব। কলকাতায় খেলতে আসার পর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। কথাও হয়। সৌরভ অবাক হয়ে প্রশ্ন করেছিলেন, ভারি ব্যাটে কীভাবে তুই ব্যাট করিস। আরও বলেছিলেন, খেলায় এখন কোনও বদল আনার দরকার নেই। যেভাবে খেলছিস, সেভাবেই খেলে যা। বৈভব সেভাবেই খেলছেন। তার প্রমান ইংল্যান্ডের মাঠে শুরুতে মিলল। ইংল্যান্ড উড়ে যাওয়ার আগে বলেছিলেন, আমি সেখানে গিয়ে আগে খেলিনি। সেখানেকার পরিবেশ নিয়ে অনেক কথা শুনেছি। তবে ইংল্যান্ডের মাঠে রান করতে চাই। সিরিজ জিতে দেশে ফিরতে চাই। এখন সবে শুরু। ওয়ান ডে ক্রিকেটে আরও চারটি ম্যাচ বাকি। দেখা যাক,বৈভব সিরিজে কেমন খেলেন। অভিষেকে স্পটলাইট খুঁজে নিয়েছেন। সেই আলো সিরিজ শেষে দেখতে পাওয়া যাবে তো!