অনুশীলনে অনুপস্থিত ম্যাকলরেন, কামিন্স, তুলোধনা মানস ভট্টাচার্যের

ঐতিহ্যের আইএফএ শিল্ড(IFA Shield)। এই শিল্ডের গুরুত্ব অন্যান্য যেকোনও ক্লাবের থেকে মোহনবাগানের(MBSG) কাছে অনেক বেশি। আগামী ৯ অক্টোবর প্রথম ম্যাচে নামবে তারা। কিন্তু সেখানেই অনুশীলনে অনুপস্থিত মোহনবাগানের দুই তারকা ফুটবলার জেমি ম্যাকলরেন(Jamie Maclaren) এবং জেসন কামিন্স(Jason Cummins)। ফেরার বিমান ধরতে পারেননি তারা। আর তাতেই কার্যত ক্ষুব্ধ প্রাক্তন ফুটবলার মানস ভট্টাচার্য। দুই ফুটবলারেরই পেশাদায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন এই প্রাক্তন তারকা ফুটবলার। দীর্ঘ টাল বাহানার পর মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট নামছে আইএফএ শিল্ডের(IFA Shield) ম্যাচে। আগামী ৯ অক্টোবর তাদের প্রথম ম্যাচ। হোসে মোলিনার কোচিংয়ে সোমবার থেকে তারই প্রস্তুতিতে নেমে পড়ল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। কিন্তু সেখানেই যোগ দিলেন না জেমি ম্যাকলরেন(Jamie Maclaren) এবং জেসন কামিন্স(Jason Cummins)। এই মুহূর্তে মোহনবাগানের সেরা দুই ফুটবলার তারাই। কেন তারা আসেননি সেই খোঁজ নিতেই কার্যত সকলে হতবাক। দলের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ভিয়েতনাম থেকে ফিরতে পারলেন না কামিন্স ও ম্যাকলরেন(Jamie Maclaren)। দক্ষিণ কোরিয়ায় ছুটি কাটাচ্ছিলেন দুই তারকা ফুটবলার। শোনা যাচ্চে ফেরার বিমান নাকি মিস করেছেন তারা। এর ফলেই পিছিয়ে গিয়েছে তাদের ফেরার সময়। এমন কথা শোনার পরই দুই ফুটবলারের পেশাদায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন মানস ভট্টাচার্য। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মানস ভট্টাচার্য জানান, “এমনটা কী করে করে তারা। পেশাদার ফুটবলারদের থেকে এমনটা আশা করা যায় না। তারা তো জানত যে অনুশীলনের সূচি তৈরি হয়ে গিয়েছে। আর কী করা যাবে, ৯ তারিখ ম্যাচ, আগামীকালই হয়ত তারা চলে আসতে পারবেন”। আইএফএ শিল্ড ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই মোহনবাগান প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে। এবার শেষপর্যন্ত কী হয় সেটাই দেখার।
ওডিআই দলে হর্ষিত রানা, স্বজন-পোষণের অভিযোগ প্রাক্তন নির্বাচকের

ভারতীয় ড্রেসিংরুমে স্বজন পোষণের অভিযোগ! অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওডিআই ফর্ম্যাটের দল ঘোষণার পরই শোরগোল পড়ে গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট মহলে। হর্ষিত রানার(Harshit Rana) ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়া নিয়েই এবার প্রশ্ন তুললেন প্রাক্তন বিশ্বকাপ জয়ী তারকা তথা প্রাক্তন নির্বাচক শ্রীকান্থ(Krishnamachariya Srikanth)। সরাসরি গৌতম গম্ভীরের(Gautam Gambhir) বিরুদ্ধে স্বজন পোষণের অভিযোগ তুললেন এই প্রাক্তন ক্রিকেটার। তাঁর মতে গম্ভীরের ইয়েস ম্যন হওয়ার জন্যই নাকি ভালো পারফরম্যান্স না করেও ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়ে চলেছেন হর্ষিত রানা(Harshit Rana)। কয়েকদিন আগেই শেষ হয়েছে এসিয়া কাপ। সেখানেও চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছেন ভারতীয় দলের এই পেসার। হর্ষিত রানার(Harshit Rana) পারফরম্যান্স নিয়ে বারবারই প্রশ্ন উঠতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়ে চলেছেন তিনি। এর পিছনে কী কারণ রয়েছে সেটাই যেন বুঝতে পারছেন না অনেকে। শুধুমাত্র এশিয়া কাপই(Asia Cup) নয়, তার আগের বিভিন্ন সিরিজ গুলোতেও ব্যর্থ হয়েছেন হর্ষিত রানা। শ্রীকান্থের মতে, “হর্ষিত রানা নানান সিনেমার মাত কার্যকর করেছেন। কিন্তু ভারতীয় দলে জায়গা করে নিতে তাঁকে ভালো পারফরম্যান্স করতে হবে। আর তিনি যা কিছু করেছেন তা সবই আইপিএলের মঞ্চে। আগ্রাসন দেখানোটা আলাদা। কিন্তু সেখানে শোঅফ করাটা সম্পূর্ণ আলাদা একটা জিনিস”। এবারের এশিয়া কাপে তিনি রান যেমন দিয়েছেন, কিন্তু সেভাবে উইকেট তুলতে পারেননি। গোটা প্রতিযোগিতা ৭৯ রান দিয়েছেন। আর হর্ষিত রানা(Harshit Rana) উইকেট তুলতে পেরেছেন মাত্র দুটো। সেখানেই সুপার ফোরের মঞ্চে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৫৪ রান দিয়ে মাত্র একটা উইকেট তুলতে পেরেছিলেন। কিন্তু এত কিছুর পরও ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েই চলেছেন হর্ষিত রানা। একসময় গম্ভীরের কোচিংয়ে নাইট রাইডার্সে খেলতেন তিনি। সেটাই কী হর্ষিতের ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার প্রধান কারণ, প্রশ্ন তুলছেন কৃষ্ণ্ণামাচারিয়া শ্রীকান্থ। তাঁর মতে আরও অনেক ভালো ক্রিকেটাররা সুযোগ পাচ্ছে না। কিন্তু খারাপ পারফরম্যান্স করেও সুযোগ পাচ্ছেন হর্ষিত রানা। নির্বাচকদের এমন সিদ্ধান্তটাই বারবার হতবাক করছেন প্রাক্তন ভারতীয় বিশ্বকাপ জয়ী তারকাকে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজে হর্ষিত রানা আদৌ সাফল্য পান কিনা সেটাই দেখার।
গিলকে টি টোয়েন্টি অধিনায়ক দেখতে চান ব্রিটিশ তারকা

টেস্ট, ওডিআইয়ের পর শুভমন গিলকে(Shubman Gill) কী টি টোয়েন্টিতেও অধিায়ক হিসাবে দেখা যেতে পারে। না এখনও বোর্ডের তরফে তেমনকিছু জানানো হয়নি। কিন্তু সেটা হলে যে অবাক হওয়ার মতো কিছু থাকবে না তা স্পষ্ট করে দিলেন প্রাক্তন ব্রিটিশ ক্রিকেটার মন্টি পানেসার(Monty Panesar)। তাঁর মতে যেভাবে এই মুহূর্তে শুভমন গিল(Shubman Gill) খেলছেন তাতে ভারতীয় চি টোয়েন্টি দলেরও অধিনায়ক হয়ে যেতে পারেন এই তরুণ ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজের দল ঘোষণার পরই সকলে চমকে গিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতীয় ওডিআই দলের অধিনায়ক হয়েছেন শুভমন গিল। তবে দলে রয়েছেন রোহিত শর্মাও। এবার শুভমন গিলের(Shubman Gill) নেতৃত্বেই মাঠে নামবেন তিনি। সেই নিয়েই চলছে নানান হিসাব নিকাশ। এমন পরিস্থিতিতেই শুভমন গিলকে অধিনায়ক হিসাবে দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন মন্টি পানেসার। মন্টি পানেসার জানিয়েছেন, “আমার মনে হয় শুভমন গিলেকে অধিনায়ক করার এই সিদ্ধান্তটা একেবারেই সঠিক। তিনি এই মুহূর্তে সত্যিই ভালো ফর্মে রয়েছে। রোহিত শর্মা দলে থাকাকালীন গিলকে অধিনায়ক করার সিদ্ধান্তটা সত্যিই ভালো। এরফলে রোহিত শর্মা শুভমন গিলকে পথ দেখাতে পারবেন। এটা সত্যিই একটা ভালো পদক্ষেপ। তাঁকে যখন দায়িত্ব দেওয়া হয় সেই সময়ই শুভমন গিলের থেকে ভালো পারফরম্যান্স দেখা গিয়েছে। তাঁকে শীঘ্রই টি টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হিসাবে দেখলেও আমি একেবারেই অবাক হব না”। সম্প্রতি কয়েকদিন আগে শেষ হয়েছে এশিয়া কাপ। সেখানে চ্যাম্পিয়নও হয়েছে ভারত। তবে শুভমন গিলে সেভাবে বড় রান করতে পারেননি। তবে আইপিএলে দুরন্ত ফর্মে ছিলেন শুভমন গিল। বিশেষ করে নেতৃত্বে তাঁর দক্ষতা নিয়েই প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলে। সেই শুভমনের কাঁধে টি টোয়েন্টির দায়িত্ব উঠলেও তিনি সফল হবে বলেই মনে করছেন মন্টি পানেসার।
কোচিংয়ে নতুন এক ‘উদ্ভাবনের’ নাম স্টেপ আউট!

জিৎ কর্মকার এবং সায়ক ঘোষ। দুর্গাপুর এনআইটি থেকে বি-টেক ডিগ্রিধারী দুই তরুণ তুর্কী। প্রযুক্তি নিয়ে ডিগ্রি অর্জন তারা আরও বাড়াতে পারতেন। বিদেশে গিয়ে নিজেদের আর্থিক স্বাছন্দ্য, লাইফস্টাইলকে আরও উন্নত করার চেষ্টা তাদের কাছে অস্বাভাবিক হত না। কিন্তু তাহলে হয়ত স্টেপ আউট করা হত না! সৃষ্টি হত না বিশ্বজুড়ে ফুটবল কোচিংয়ে এক অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় তৈরি হওয়া যে প্রযুক্তি ফুটবলবিশ্বে কোচেদের উত্তেজিত করে তুলেছে। দীর্ঘ অধ্যবসায় এবং পরিশ্রমের বিনিময়ে করা একটি রিসার্চ অনেকটাই সহজে করে দিচ্ছে এই প্রযুক্তি। একটি পোর্টাল যার নাম স্টেপ আউট। না হলে নেদারল্যান্ডস এবং ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের কিংবদন্তি ডিফেন্ডার জাপ স্ট্যাম, বর্তমানে একজন কোচ বা পর্তুগালের আর এক কিংবদন্তি পাওলো ফুতরে কেন উত্তেজিত হয়ে পড়বেন স্টেপ আউটের আবিষ্কারে? কেন তারা দুই বাঙালি তরুণ তুর্কীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দেবেন? কেনই বা চেলসির মত পৃথিবী বিখ্যাত ক্লাব আগ্রহী হয়ে পড়বে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করার জন্য? কেনই বা জিরোধার মত নামী কোম্পানির ডিরেক্টর নীতিন কামাথ আর্থিক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসবেন? কেনই বা মেজর লিগ সকারের প্রাক্তন ভাইস-প্রেসিডেন্ট যুক্ত হবেন স্টেপ আউটের সঙ্গে! কি করে স্টেপ আউট? এই পোর্টালে আপনার দলের একটি ম্যাচ বা ট্রেনিং সেশনের ভিডিওটি আপলোদ করে দিন। আপনার প্রত্যেকটি ফুটবলারের, যারা মাঠে নামল, তাদের বেসিক স্কিল কোন পর্যায়ে আছে, অ্যাকিউরেসি-লেভেল, ফিটনেস সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানিয়ে দেবে স্টেপ আউট! জিৎ জানালেন, স্টেপ আউটের কাজ শুধু ইউথ ডেভেলপমেন্টে। স্টেপ আউটের ভিশন, আজকের প্রডিজিকে কালকের তারকা তৈরি করা! “একটা ৮ বা ১০ বা ১৪ বছরের ছেলে ফুটবলার হিসেবে ভবিষ্যতে কতটা দক্ষ, কতটা প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে তার বিশ্লেষণ একজন কোচ স্টেপ আউট থেকেই পেয়ে যাচ্ছেন। এই কাজটা সেই কোচকে দীর্ঘদিন ধরে অধ্যবসায়, ধৈর্য্য ধরে হাতে-কলমে করতে হত। তাতে হয়ত তার এক সপ্তাহ বা ১০ দিন লাগত। আমাদের এই প্রযুক্তি সেই কোচকে কাজটা কয়েক ঘন্টায় করে দিচ্ছে,” জিতের বিশ্লেষণ। ২০২৩-এ সরকারিভাবে চালু করলেও স্টেপ আউটের প্রয়োগ কিন্তু শুরু হয় ২০২০-২১ মরশুমে, মহামেডান স্পোর্টিংয়ের বড়দের ওপর। তখন কোচ ছিলেন ইয়ান ল। জিৎ বলছেন, “২০২০-২১-এর দ্বিতীয় ডিভিশন আই লিগ জিতে পরের বছর মহামেডান স্পোর্টিং-এর এলিট আই লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জনের পেছনে আমাদেরও কিন্তু ভূমিকা ছিল।” কেউ মনে রাখেনি! বরং সীমানা ছাড়িয়ে স্টেপ আউট দেশের বাইরে পা রাখার পর ফুটবলের আর্ন্তজাতিক মঞ্চ তাদের স্বীকৃতি দিল। মাত্র চার বছরের মধ্যে পৃথিবীর ১৯টা দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করেছে স্টেপ আউট। যাদের মধ্যে লা লিগার ক্লাব রায়ো ভ্যালেকানো উল্লেখযোগ্য। ভীষণভাবে উল্লেখযোগ্য ইউরোপীয় ফুটবলের অন্যতম সেরা অ্যাকাডেমি এএফসি অ্যাজাক্স। ভারতে বেঙ্গালুরু এফসি-র সঙ্গেও গত দেড় বছর ধরে যুক্ত স্টেপ আউট। আগামি মাসে সায়ক আর জিতের ঝুলিতে আসছে আরও এক বড় স্বীকৃতি। পর্তুগালের লিসবনে আগামি মাসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কেপিএমজি পরিচালিত গ্লোবাল টেক ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্ট। সেখানে ২৫টি দেশ থেকে একটি করে কোম্পানি এই সামিটে অংশ নেবে। ভারত থেকে নির্বাচিত হয়েছে স্টেপ আউট।