বিদেশিহীন শ্রীনিধিকে সমীহ ইস্টবেঙ্গলের, শিল্ডেই সুপার কাপের রিহার্সাল

বিদেশিহীন শ্রীনিধি ডেকান। আইএফএ শিল্ডের(IFA Shield) প্রথম ম্যাচে নামছে ইস্টবেঙ্গল। প্রতিপক্ষের থেকে ধারেভারে এগিয়ে থাকলেও, একেবারেই হাল্কাভাবে নিচ্ছে না ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। আইএফএ শিল্ডের(IFA Shield) গুরুত্ব তারা ভালো ভাবেই জানেন। সেইসঙ্গে এই ম্যাচ থেকেই তাদের সুপার কাপের(Super Cup) ড্রেস রিহার্সালটাও সেরে নিতে চাইছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। ডুরান্ডের পর এবার শিল্ড। বিদেশিদের পাশাপাশি রিজার্ভ দলের ফুটবলাররাও সুযোগ পেতে চলেছে এই ম্যাচে। শ্রীনিধির বিরুদ্ধে সাফল্যের খোঁজেই ইস্টবেঙ্গল। আইএফএ শিল্ডে সব বিদেশি ফুটবলারদের পাচ্ছে লাল-হলুদ ব্রিগেড(Eastbengal)। তাদেরকে যে এখানেই ভালোভাবে দেখে নিতে চাইছেন কোচ থেকে ম্যানেজমেন্ট তা বলার অপেক্ষা রাখে না। শ্রীনিধির বিরুদ্ধে নামার আগে সেই কথাই বারবার শোনা গেল কোচ বিনো জর্জের(Bino George) মুখে। তাঁর মতে সুপার কাপে নামার এই মঞ্চটা তাদের কাছে ড্রেস রিহার্সালেরও। বিনো জর্জ জানাচ্ছিলেন, “আমাদের কাছে প্রতিটা প্রতিযোগিতাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে এবার আইএফএ শিল্ডে নামছি আমরা। হ্যাঁ সামনেই রয়েছে সুপার কাপ। অবশ্যই তার আগে এই প্রতিযোগিতা আমাদের কাছে নিজেদের প্রস্তুতির জন্য অম্যতম মঞ্চ”। ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে হারতে হয়েছিল লাল-হলুদকে। সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। আইএফএ শিল্ডেই এখন সম্পূর্ণ ফোকাস মহম্মদ রশিদ, কেভিন, মিগুয়েলদের। সেই মতোই মঙ্গলবার সকালে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সেরে নিয়েছেন অস্কার ব্রুজোঁ। তাঁর প্রথম একাদশও কার্যত প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। তবে সেই দিকটা নিয়ে অত্যন্ত সাবধানতা অবলম্বন করছেন অস্কার। শিল্ডে সিনিয়র এবং বিদেশিদের সঙ্গে সুযোগ পেতে চলেছেন রিজার্ভ দলের কিছু খেলোয়াড়রাও। কলকাতা লিগে ইস্টবেঙ্গলের বি টিম দুরন্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন। বিনোর মতে সেই দল থেকে কয়েকজন নাকি এই আইএফএ শিল্ডেও সুযোগ পেতে চলেছেন। শ্রীনিধির বিরুদ্ধে শেষপর্যন্ত কী হয় সেটাই দেখার।
শহরে মেসি, আগামী ৯ অক্টোবর থেকে পাওয়া যাবে টিকিট

আগামী ১৩ ডিসেম্বর শহরে আসছেন লিওনেল মেসি(Lionel Messi)। বিশ্বকাপ জয়ের পর এই প্রথমবার ভারতের মাটিতে পা রাখছেন এলএমটেন। শতদ্রু দত্তের(Shatadru Dutta) হাত ধরেই শহরবাসী স্বাক্ষী হতে চলেছে এক বিশেষ মুহূর্তের। যুবভারতীতে নামবেন মেসি(Lionel Messi)। আর সেই খবর শোনার পর থেকেই সকলের মধ্যে কৌতূহল বাড়তে শুরু করেছে। কেমনভাবে তারা দেখবেন এলএন টেনকে। সেই খবরও চলে এল। যুবভারতীতে মেসি ম্যাচের টিকিটের দাম এবার ৩২০০ টাকা। তবে জিএসটি আলাদা। মেসি ম্যাচ দেখার টিকিট পাওয়া যাবে অনলাইনে। ২০২২ সালে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয় ফিফা বিশ্বকাপ জিতেছেন লিও মেসি(Lionel Messi)। গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছে তাঁর অগুন্তী ভক্ত। আর কলকাতার অলিতে গলিতে মেসি ভক্তের ছড়াছড়ি। সেই মেসিই(Lionel Messi) এবার কলকাতার মাটিতে। সেই খবর জানার পর থেকেই উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করেছে। যুবভারতীতে নামবেন মেসি। সেখানে রয়েছে বহু চমক। মেসির(Lionel Messi) সঙ্গে যেমন এক মঞ্চে থাকবেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তেমনই শোনা যাচ্ছে লিও মেসির সঙ্গে নাকি আসতে পারেন আরেক তারকা লুই সুয়ারেজও(Luis Suarez)। অর্থাৎ বছরের শেষটা যে শহরবাসীর উৎসবের মাত্রাটা আরও কয়েকগুন বাড়তে চলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেইসঙ্গেই মেসিকে দেখতে পাওয়ার টিকিটের দামও নির্ধারিত হয়ে গেল। অফ লাইন নয়। মেসি(Lionel Messi) ম্যাচের টিকিট পাওয়া যাবে অনলাইন মধ্যমে। আগামী ৯ অক্টোবর থেকে পাওয়া যাবে টিকিট। একজন অবশ্য চারটের বেশি টিকিট কাটতে পারবেন না। টিকিটের দাম ধার্য করা হয়েছে ৩২০০ টাকা। তবে জিএসটি আলাদা। মেসিকে দেখার জন্য যে সেদিন যুবভারতী কানায় কানায় ভড়তে চলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। শুধুমাত্র কলকাতায় নয়। মেসি যাবেন দিল্লি এবং মুম্বইতেও। মুম্বইতে তাঁর সঙ্গে সচিন এবং দিল্লিতে বিরাট কোহলির থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও বিরাট কোহলি নিয়ে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত নিশ্চয়তা আসেনি। ১৪ বছর পর ফের একবার মেসি আসছেন কলকাতা শহরে। শতদ্রু দত্তের হাত ধরেই ফুটবলের রাজপুত্র আসছেন শহরে। তাঁকে নিয়ে এখন থেকেই উন্মাদনা বাড়তে শুরু করেছে।
মেসির পর জামশেদপুরে যোগ দিলেন মাধিও

সুপার কাপেই(Super Cup) প্রতিশোধের সুযোগ। আর তাতেই বোধহয় খুব একটা দেরী করতে চাননা মাধি তালাল(Madih Talal)। মেসি বাউলি(Mesi Bowli) আগেই যোগ দিয়েছেন। মঙ্গলবার জামশেদপুর এফসির শিবিরে যোগ দিলেন মাধি তালালও। গতবার ইস্টবেঙ্গলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হলেও, অস্কারের তাঁকে পছন্দ নয়। তাই ছেড়ে দিতে হয়েছিল মাধিকে। দল পেতে খুব একটা দেরী হয়নি। জামশেদপুর এফসি তুলে নিয়েছে মাধিকে(Madih Talal)। মঙ্গলবারই জামশেদপুর শিবিরে যোগ দিয়েছেন। সুপার কাপেই প্রথমবার ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে তাঁর দেখা হওয়ার সম্ভাবনা। সেই ম্যাচে যে লাল-হলুদ কোচকে তিনি জবাব দিতে চাইবেন তাও স্পষ্ট। গতবারের আইএসএলের(Indian Super League) মাঝপথেই ছিটকে গিয়েছিলেন মাধি তালাল। এসিএল চোট হয়েছিল তাঁর। এরপর আর লাল-হলুদ জার্সিতে দেখা যায়নি এই তারকা ফরাসি ফুটবলারকে। মরসিম শেষে বেশিরভাগ বিদেশি ফুটবলারদের ছেড়ে দেওয়া হলেও, মাধি তালালকে(Madih Talal) অবশ্য রেখে দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। অস্ত্রোপচারের পর এমনকি ফ্রান্সে তিনি রিহ্যাবও সুরু করে দিয়েছিল। কিন্তু অস্কার ব্রুজোঁর পছন্দের তালিকায় ছিলেন না মাধি তালাল(Madih Talal)। আর সেটা নিয়েই শুরু হয়েছিল জোর জল্পনাষ। অস্কার যে তালিকা জমা দিয়েছিলেন সেখানে মাধি তালালের নাম রাখেননি তিনি। তখন থেকেই ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে তালালের একটা দর কষাকষি শুরু হয়েছিল। অবশেষে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিই মাধি তালালের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে ইস্টবেঙ্গল। এরপর অবশ্য মাধি তালালের নতুন ক্লাব পেতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি। জামশেদপুর এফসি তুলে নিয়েছে তাঁকে। মঙ্গলবার সেই জামশেদপুর এফসিতেই যোগ দিয়েছেন মাধি তালাল। তাঁকে পেয়ে অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত জামশেদপুর এফসিও। সুপার কাপেই জামশেদপুর এফসির সঙ্গে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে। সেই ম্যাচ যে মাধির কাছে প্রতিশোধের মঞ্চ হয়ে উঠবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর মাধি ম্যাজিক যদি সেই ম্যাচে দেখা যায়, তবে অস্কার হাত কামড়াবেন না তো।
গিলদের ডিনারে আমন্ত্রণ গৌতম গম্ভীরের

আগামী ১০ অক্টোবর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে নামতে চলেছে ভারতীয় দল(India Team)। দিল্লিতে এই টেস্ট জিততে পারলেই ক্যারিবিয়ান ব্রিগেডকে হোয়াইট ওয়াশ করতে পারবে টিম ইন্ডিয়া। তার আগেই ভারতীয় দলের ক্রিকেচটারদের নিজের বাস ভবনে নৈশভোজের আমন্ত্রণ কোচ গৌতম গম্ভীরের। শোনা যাচ্ছে আগামী বুধবারই নাকি গৌতম গম্ভীরের(Gautam Gambhir) বাসভবনে যাচ্ছেন শুভমন গিল(Shubman Gill) সহ টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেটাররা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই প্রথম টেস্ট জিতে গেছে ভারতীয় দল। সেখানেই দুরন্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটার থেকে বোলাররা। এক ইনিংস ও ১৪০ রানে জিতেছিল ভারত। এবার দিল্লিতে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে নামবে টিম ইন্ডিয়া। সেখানেই শেষপর্যন্ত কী হয় সেটা তো সময়ই বলবে। তবে তার আগে ক্রিকেটারদের টিম বন্ডিং সেশনের ওপরই জোর দিচ্ছে ভারতীয় দলের হেড স্যার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরই অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে রওনা দেবে ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা। এই দলের অনেকেই রয়েছেন সেই দলে। বিশেষ করে শুভমন গিলের ওপর গুরু দায়িত্ব উঠেছে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই আবার ওডিআই অধিনায়ক হিসাবে যাত্রা শুরু করবেন তিনি। তার আগেই দলের প্রত্যেকের মধ্যে একটা ভালো টিম বন্ডিং সেশন তৈরি করতে চাইছেন গৌতম গম্ভীর(Gautam Gambhir)। শোনাযাচ্ছে তাঁর বাস ভবনের বাগানেই নাকি এই গ্র্যান্ড ডিনারের আয়োজন করা হয়েছে। এই মুহূর্তে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ১-০ ফলাফলে সিরিজে এগিয়ে রয়েছে ভারত। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংয়েও এগিয়ে রয়েছে টিম ইন্ডিয়া। শেষপর্যন্ত কী হয় সেটাই দেখার অপেক্ষায় সকলে।
ভারতের বিরুদ্ধে দল ঘোষণা অস্ট্রেলিয়ার

ভারত(India) আগেই দল ঘোষণা করে দিয়েছে। আগামী ১৯ অক্টোবর থেকে শুরু অস্ট্রেলিয়া বনাম ভারত(AUSvIND) ওডিআই সিরিজ। তারই দল ঘোষণা করল এবার অস্ট্রেলিয়া(Australia)। আর সেথানেই অস্ট্রেলিয়ার সেরা তিন তারকা ক্রিকেটার দলে নেই। এই মুহূর্তে চোট আঘাতে জেরবার অস্ট্রেলিয়া। সেই কারণেই কামিন্স, ম্যাক্সওয়েলদের মতো তারকা ক্রিকেটারদের ছাড়াই দল ঘোষণা করল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। কামিন্সের পরিবর্তে ভারতের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক এবার মিচেল মার্শ(Mitchell Marsh)। ভারতের(India) বিরুদ্ধে তিনটি ওডিআই এবং পাঁচটি টি টোয়েন্টির সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়া(Australia)। ওডিআই দলের পাশাপাশি প্রথম দুটো টি টোয়েন্টি ম্যাচেরও দল ঘোষণা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তবে ওডিআই সিরিজে জায়গা হয়নি ম্যাক্সওয়েল ও প্যাট কামিন্সের। কোমড়ের সমস্যা কাটিয়ে এখনও পর্যন্ত উঠতে পারেননি তিনি। সেরে উঠতে নাকি এখনও বেশ কিছু দিন সময় লাগবে তাঁর। সেইসঙ্গে সামনেই রয়েছে অ্যাশেজ। সেই কথা মাথায় রেখেই কামিন্সকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে এখনই গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের হাতের হঁড়ে চিড় ধরেছে। সেই চোট এখনও সারতে বেশ কয়েক মাস সময় লাগবে। তবে মার্নাস লাবুসেনকে বাদ দেওয়া হয়েছে একেবারে তাঁর পারফরম্যান্সের জন্যই। সম্প্রতি একেবারেই ভালো ফর্মের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন না তিনি। সেই কথা মাথায় রেখেই লাবুসেনকে বিশ্রামের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার ওডিআই স্কোয়াড মিচেল মার্শ, জেভিয়ার বার্টলেট, অ্যালেক্স ক্যারি, কুপার কনোলি, বেন ডোয়ারসুইস, ন্যাথান এলিস, ক্যামেরণ গ্রীণ, জশ হেজেলউড, ট্রেভিস হেড, জশ ইঙ্গলিস, মিচেল ওয়েন, ম্যাথু লেনেশ, ম্যাথু শর্ট, মিচেল স্টার্ক, অ্যাডাম জাম্পা। ওডিআই স্কোয়াডে ক্যামেরণ গ্রীণকে রাখা হলেও, টি টোয়েন্টি স্কোয়াডে অবশ্য নেই তিনি। কারণ একটাই সামনে রয়েছে অ্যাশেজ। সেখানে খেলার আগে ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দিতে চায় অস্ট্রেলিয়া। সেই কারণেই এমন সিদ্ধান্ত। আগামী ১৯ অক্টোবর থেকে শুরু হবে ওডিআই সিরিজ।
নতুন সংবিধানে রাজ্য সংস্থার কর্তারা ফেডারেশনে পদ পাবেন না; নিশ্চিন্ত শুধু কল্যাণ চৌবে

গত ১৯ সেপ্টেম্বর সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের নতুন সংবিধান চূড়ান্ত করেছে সুপ্রিম কোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে তা বাস্তবায়িত করতে বলা হয়েছে। শুধু একটি নিয়মের সংযোজন হয়েছে যা ফেডারেশনের বিভিন্ন পদে থাকা বিভিন্ন রাজ্য সংস্থার শীর্ষকর্তাদের অস্বস্তিতে ফেলবে। আগামী কয়েক দিনে অনেককেই পদ ছাড়তে হতে পারে। নতুন সংবিধান তৈরি করেছেন প্রাক্তন বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও। সেখানে ধারা ২৫.৩ (সি)-এ বলা হয়েছে, ফেডারেশনের কর্মসমিতিতে নির্বাচিত কোনও কর্তা একইসঙ্গে কোনও রাজ্য সংস্থার পদে থাকলে, যে কোনও একটি পদ তাঁকে ছাড়তে হবে। না ছাড়লে রাজ্য সংস্থায় তাকে তার পদ স্বাভাবিকভাবেই (automatically) চলে যাবে। নতুন সংবিধান চালু হলে কর্মসমিতির সদস্যেরা আর নিজেদের রাজ্য সংস্থার কর্তা থাকতে পারবেন না। তবে ফেডারেশনের কর্মসমিতির পদ ছেড়ে দিলে রাজ্য সংস্থায় থেকে যেতে পারেন। আগামী রবিবার ফেডারেশনের বার্ষিক সাধারণ সভা রয়েছে। সেখানেই সংবিধান আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু হবে। নতুন এই সংবিধানে ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবের কোনও সমস্যা নেই। তিনি কোনও রাজ্য সংস্থার কর্তা নন। কিন্তু সমস্যা ফেডারেশনের কর্মসমিতিতে বিভিন্ন পদে থাকা বিভিন্ন রাজ্য সংস্থার শীর্ষ কর্তার। কর্মসমিতিতে ১৬ জন নির্বাচিত কর্তা রয়েছেন। তার মধ্যে অন্তত ১২ জন রাজ্য সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। তাঁরা কী করবেন এখনও জানা যায়নি। এই বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে চাইছেন না। কেউ কেউ নিজের রাজ্য সংস্থার সভাপতি বা সচিবের মতো সর্বোচ্চ পদে রয়েছেন। কেউ আবার কর্মসমিতিতে রয়েছেন। তবে শোনা যাচ্ছে, বেশির ভাগই রাজ্য সংস্থার পদ ধরে রাখবেন। কারণ ফেডারেশনের নির্বাচন হতে এখনও বছর খানেক দেরি। এই নিয়ম প্রথমে এনেছিল কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স (সিওএ), যার শীর্ষে ছিলেন প্রাক্তন নির্বাচনী কমিশনার এসওয়াই কুরেশি। পরে এটি রাওয়ের খসড়া সংবিধানে বাদ দেওয়া হয়। পরে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে সুপ্রিম কোর্টে এটিকে চূড়ান্ত সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করেছে। জানিয়েছে, এমনিতেই তারা একসঙ্গে দুটো পদ ধরে রাখার বিরোধী। পাশাপাশি কোনও কর্তা যাতে দুটো পদ সামলাতে গিয়ে বেশি দায়িত্ব কাঁধে না নিয়ে ফেলেন, তাই এই নিয়ম আনা হয়েছে। মঙ্গলবার কল্যাণ দিল্লিতে একটি কর্মসমিতির বৈঠক ডেকেছেন। সেখানেই এই নিয়মটি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সুপ্রিম কোর্টের বিরোধিতা করার কোনও রাস্তা আর নেই। ফিফাও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে, ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সংবিধান চালু করতেই হবে।