ফুটবলারদের পারফরম্যান্স নিয়ে বিশেষ বার্তা অস্কারের

বৃহস্পতিবার রাতেই শহরে চলে এলেন ইস্টবেঙ্গলের(Eastbengal) নতুন বিদেশি হিরোশি ইবুসুকি(Hiroshi Ibusuki)। সবকিছু ঠিকঠাক চললে আগামী শনিবার থেকেই ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে শিল্ডের(IFA Shield) প্রস্তুতিতে নেমে পড়বেন তিনি। তবে দ্বিতীয় ম্যাচ থেকেই এই তারকা জাপানিজ ফুটবলারকে পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও নিশ্চয়তা নেই। তবে অস্কার(Oscar Bruzon) এখন তাঁর দিকেই চেয়ে রয়েছে। প্রথম ম্যাচ ইস্টবেঙ্গল জিতলেও অস্কার ব্রুজোঁ(Oscar Bruzon) যে খুব একটা খুশি নন, তা ড্রেসিংরুমে ফিরেও বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ফুটবলারদের সাফ বার্তা দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের হেড স্যার। শ্রীনিধির পারফর্ম্যান্স ভুলে তাদের পারফরম্যান্স যে আরও ভালো করতে হবে সেই বার্তা দিয়েছেন লাল-হলুদ কোচ। সামনে রয়েছে নামধারী। শ্রীনিধির বিরুদ্ধে যেসমস্ত ভুল ভ্রান্তি গুলো হয়েছে, সেগুলো যাতে নামধারীর বিরুদ্ধে না হয় সেই কথাই ফুটবলারদের ভালো ভাবে বলে দিয়েছেন অস্কার(Oscar Bruzon)। আগামী শনিবার থেকে প্রস্তুতি শুরু করবে লাল-হলুদ ব্রিগেড। ধারেভারে ইস্টবেঙ্গলের(Eastbengal) থেকে বহু পিছিয়ে থেকেই নেমেছিল শ্রীনিধি। লাল-হলুদ কোচ তাঁর পূর্ণশক্তির দল নামিয়েছিলেন। তার আশা ছিল অন্তত ছয় থেকে সাত গোলে ম্যাচ জেতা। যদিও সেটা হয়নি। ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ জিতেছিল চার গোলে। আর সেটাই ঠিক মেনে নিতে পারছেন না লাল-হলুদের কোচ। ম্যাচ শেষেই দলের খেলায় যে তিনি খুশি নন সেই কখা জানিয়ে দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের হেড কোচ অস্কার ব্রুজোঁ(Oscar Bruzon)। ফুটবলারদের উদ্দেশ্যেও দিয়েছেন বিশেষ বার্তা। ম্যাচ জয়ের জন্য অবশ্যই তাদের শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছেন, কিন্তু সেই সঙ্গেই ফুটবলারদের পারফরম্যান্সের মান আরও উন্নত করার কথাও স্পষ্ট করে বলে দিয়েছিল অস্কার। নামধারীর বিরুদ্ধে আরও ভালোভাবে যাতে জয় আসে সেই কথাই বলে দিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের। এই মঞ্চটাকে অস্কার ব্রুজোঁ সুপার কাপের প্রস্তুতি মঞ্চ হিসাবে দেখছেন। সুপার কাপে নামার আগে নিজেদের শক্তি থেকে দুর্বলতা ভালো ভাবে দেখে নিতে চাইছেন লাল-হলুদ কোচ। সেখানেও কোনওরকম ভুল মেনে নিতে পারছেন না তিনি। তবে বৃহস্পতিবার রাতেই শহরে চলে আসছেন হিরোশি ইবুসুকি। তাঁকে নিয়ে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা যেমন উচ্ছ্বসিত, তেমনই অস্কার ব্রুজোঁও তাঁকে নিয়েই আশায় বুক বেঁধেছেন। শেষপর্যন্ত কী হয় সেটাই দেখার।
অস্কারের নির্দেশে মোহনবাগান ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের দুই গুপ্তচর

মোহনবাগান ম্যাচে অস্কারের(Oscar Bruzon) গুপ্তচর। আইএফএ শিল্ডে(Ifa Shield) গোকুলামের বিরুদ্ধে নেমেছিল মোহনবাগান(MBSG)। আর সেখানেই কিশোরভারতীয় গ্যালারীতে অস্কারের(Oscar Bruzon) দুই গুপ্তচর হাজির। চির প্রতিদ্বন্দ্বীকে এখন থেকেই মেপে নিতে চাইছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজোঁ। মোলিনার স্ট্র্যাটেজি থেকে ফুটবলারদের শক্তি দুর্বলতা নিয়ে হিসাবটা এখন থেকেই কষে রাখছেন তিনি। সেই কারণেই শ্রীনিধির বিরুদ্ধে জেতার পরই ভিডিও অ্যানালিস্ট এবং সহকারী কোচকে অস্কারের বিশেষ নির্দেশ। মোহনবাগান ম্যাচে উপস্থিত থাকতে হবে তাদের। সেই মতো এদিন চলেও গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের(Eastbengal) ভিডিও অ্যানালিস্ট এবং সহকারী কোচ। মোহনবাগানের প্রতিটা পদক্ষেপ এখন থেকেই জেনে নিতে চাইছেন অস্কার(Oscar Bruzon)। আপাতত দুদিন প্রস্তুতিতে ছুটি। সেই সময়ই মোহনবাগানের খেলা নিয়ে ভিডিও অ্যানালিসিস হয়ে যাবে ইস্টবেঙ্গলে। তাঁর দুই গুপ্তচর গোটা ম্যাচটাই দেখলেন। সহকারী কোচ এবং ভিডিও অ্যানালিস্টের থেকে পাওয়া নানান তথ্য নিয়েই এবার চলবে কাটা ছেঁড়া। আইএফএ শিল্ডে এখনই তাদের মুখোমুখি সম্ভাবনা না থাকলেও, ফাইনাল কিংবা নক আউটে চির প্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানের মুখোমুখি হতে পারে ইস্টবেঙ্গল। গতবার ডুরান্ড ডার্বিতে মোহনবাগানকে হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। এবার আইএফএ শিল্ড। সেখানেও মোহনবাগানের জন্য সমস্তরকম ভাবে তৈরি থাকতে চাইছেন অস্কার ব্রুজোঁ। সেই কারণেই তো নিজে না গেলেও, ভিডিও অ্যানালিস্ট এবং সহকারী কোচকে সেখানে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন অস্কার ব্রুজোঁ। মোহনবাগান বনাম গোকুলামের এই ম্যাচের ভিডিও নিয়েই চলবে ইস্টবেঙ্গলের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যেই কোচ এবং ভিডিও অ্যানালিস্টের সঙ্গে কথাবার্তাও হয়ে গিয়েছে তাঁর। প্রথম ম্যাচে জিতলেও এখনও বেশ কয়েকটা জায়গায় যে মেরামতি প্রয়োজন তা অস্কার শ্রীনিধিকে হারিয়েই জানিয়ে দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতেই আবার শহরে আসছেন হিরোশি ইবুসুকি। শনিবার থেকে দলের সঙ্গে প্রস্তুতিতে নেমে পড়বেন তিনিও। শিল্ড জয়ের নীল নক্সা যে এখন থেকেই অস্কার প্রস্তুত করতে শুরু করে দিয়েছেন তা বলাই বাহুল্য।
রোবিনহো-ম্যাকলরেন-রডরিগেজ ত্রয়ীতে বিধ্বস্ত গোকুলাম, বিরাট জয় মোহনবাগানের

দুর্ধর্ষ রবসন রোবিনহো(Robson Robinho)। গোল করলেন, এবং গোল করালেনও। আইএফএ শিল্ডের(IFA Shield) প্রথম ম্যাচে গোকুলাম এফসিক ৫-১ গোলে উড়িয়ে যাত্রা শুরু করল মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট(MBSG)। ম্যাচের শুরু থেকে শেষপর্যন্ত ছিল মোহনবাগানের দাপট। সেখানেই জোড়া গোল জেমি ম্যাকলারেন(Jamie Maclaren) এবং অ্যালবার্তো রডরিগেজের(Alberto Rodriguez)। আর বেশিরভাগ গোলেরই নেপথ্য নায়ক ব্রাজিলিয়ান তারকা রবসন রোবিনহো(Robson Robinho)। ম্যাচের ১০ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল মোহনবাগানের(MBSG)। অ্যালবার্তো রডরিগেজের(Alberto Rodriguez) পা থেকেই আসে প্রথম সাফল্যটা। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ফের আক্রমণ। রবসন রবোনিহোর(Robson Robinho) সাজানো বল, সেখানেই জেমি ম্যাকলরেনের দুর্ধর্ষ ভলি। ২৭ মিনিটের মধ্যেই ২ গোলে এগিয়ে যায় সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। কিন্তু তাদের আক্রমণের ঝাঁঝ একেবারেই কমেনি। রবসনের(Robson Robinho) একের পর এক বাড়ানো দুরন্ত পাস, তবে কিয়ান, মনবীর(Manvir Singh), ম্যাকলারেনরা(Jamie Maclaren) তা কাজে লাগাতে পারেনি। সেগুলো গোল হলে যে প্রথমার্ধেই মোহনবাগান(MBSG) ব্যাবধানটা বাড়িয়ে নিতে পারত তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিরতির পর কিছুক্ষণ গোকুলামের দাপট। তবে সেটা ছিল প্রথম দশ মিনিট। ফের মাঠে শুরু সবুজ-মেরুন ঝড়। তারই মধ্যে অবশ্য আপুইয়ার আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান কমায় গোকুলাম। কিন্তু সেই সুখ তাদের বেশিক্ষণ ছিল না। রক্ষণের পাশাপাশি আক্রমণেও এদিন বিধ্বংসী ফর্মে ছিলেন রডরিগেজ। তাঁর গোলেই বিরতিরও এগিয়ে যায় মোহনবাগান। এর কিছুক্ষণের মধ্যে অবশেষে সাফল্য রবসন রোবিনহোর। একের পর এক গোল করানোর পরে দুরন্ত শটে গোল পেলেন ব্রাজিলিয় তারকা। এরপর থেকে আর গোকুলাম ম্যাচে ফেরার কোনওরকম সুযোগই পায়নি। একটা দুটো আক্রমণ তারা চালিয়েছিল ঠিকই, কিন্তু তা গোল করার জন্য যথেষ্ট ছিল না। বারবারই মোহনবাগানের রক্ষণের পাঁচিলের কাছে আটকে যেতে হয় গোকুলাম ফুটবলারদের। বরং ৭৫ মিনিটের মাথায় নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে পাঁচ গোলের বৃত্ত সম্পূর্ণ করে দেন ম্যাকলারেন। ম্যাচের একেবারে শেষ লগ্নে গোকুলাম একটা সুযোগ পেয়েছিল ঠিকই, কিন্তু সেই অ্যালবার্তো রডরিগেজের কাছেই আটকে যায় গোকুলাম। এরপর মাসুদ কর্ণার থেকে চেষ্টা করলেও সেটাও ব্যর্থ। এরপরই রেফারির ফাইনাল বাঁশি। শিল্ডের শুরুটা যে মোহনবাগান বেশ ভালোভাবেই করল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
“গো ব্যাক”, “শেম” স্লোগানে বিক্ষোভে উত্তাল মোহন জনতা

গোকুলামের বিরুদ্ধে মোহনবাগান সুপারজায়ান্টের(MBSG) ম্যাচ। কিন্তু সমস্ত কিছু ছাপিয়ে গেল মোহনজনতার বিক্ষোভে। ম্যাচ বয়কটের ডাক আগে থেকেই দিয়েছিলেন মোহনবাগান(MBSG) সমর্থকরা। ম্যাচের দিন মাঠে উঠল “গো ব্যাক”(Go Back) থেকে “শেম”(Shame) স্লোগান। মোহনবাগান ম্যাচের বিক্ষোভে উত্তাল সবুজ-মেরুন জনতা। ছিঁড়ে দেওয়া হল তাদের প্রতিবাদী টিফো। পুলিশের সঙ্গে ঝামেলাতেও জড়ালেন মোহনবাগান সমর্থকরা। কিন্তু তাদের প্রতিবাদ থামানো যায়নি এদিন। একদিকে ম্যাচ যেমন চলল, তেমনই গ্যালারী থেকে বারবার উঠল গো ব্যাক ম্যানেজমেন্ট স্লোগান। এএফসি ম্যাচ খেলার জন্য ইরানে যায়নি মোহনবাগান(MBSG)। মোহনবাগানের অস্ট্রেলিয়ান ফুটবলারদের ইরানে যাওয়াতে অসুবিধা। সেই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে টালবাহানা চলছিল। শেষপর্যন্ত গোটা দলই না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সবুজ-মেরুন ম্যানেজমেন্ট(MBSG Management)। আর সেই সিদ্ধান্তটাই মেনে নিতে পারেনি মোহনবাগানের অসংখ্য সমর্থকরা(Mohunbagan Supporters)। তাদের সাফ বক্তব্য বিদেশিরা না হয় যেতে পারবে না, দেশীয় ফুটবলারদের নিয়ে কেন যাওয়া হল না। মোহনবাগানের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রাক্তনরাও। এরপরই রাস্তায় নামার সিদ্ধান্ত মোহনবাগান সমর্থকদের। ক্ষোভটা বহুদিন ধরেই জমছিল। একপ্রকার সমর্থকদের চাপে পড়ে মোহনবাগানকে খেলতে হচ্ছে আইএফএ শিল্ড(IFA Shield)। এরপর এএফসির ম্যাচে না খেলার সিদ্ধান্ত জানার পরই ক্ষোভের আগুনে বিস্ফোরণ। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাতে শুরু করেন সমর্থকরা। গত বুধবার থেকেই মোহনবাগান অনুশীলনে শুরু হয়েছিল ক্ষোভ প্রদর্শন। “গো ব্যাক কাওয়ার্ড”- এই স্লোগানে মোহনবাগান ফুটবলার থেকে ম্যানেজমেন্টকে বিঁধতে থাকেন তারা। এরপরই চরম সিদ্ধান্ত নেন মোহনবাগান সমর্থকরা। শিল্ডে মোহনবাগানের প্রথম ম্যাচই বয়কট করে তারা। বেছে নেওয়া হয় টিফো, গান, স্লোগানের মাধ্যমে প্রতিবাদ দেখানোর রাস্তা। বৃহস্পতিবার ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে থেকেই প্রতিবাদে সোচ্চ্বার হয়েছিলেন তারা। কিশোর ভারতী স্টেডয়াম জুড়ে কখনও “গো ব্যাক ম্যানেজমেন্ট” তো কখনও আবার “শেম.. শেম” স্লোগানের ধ্বনি শোনা যাচ্ছিল। টিফো নিয়ে স্টেডিয়ামেই প্রতিবাদ দেখাচ্ছিলেন বিক্ষুব্ধ মোহনবাগান জনতা। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে বচসা। টিফো ছিড়েও ফেলা হয় তাদের। কিন্তু উন্মত্ত মোহনবাগান সমর্থকদের প্রতিবাদ এদিন থামানো যায়নি। তাদের মুখে বারবার কটাই কথা কেন মোহনবাগানকে খেলানো হল না এফসির ম্যাচ। সেই নিয়ে ম্যানেজমেন্ট তাদের সঙ্গে কথা বলুক। একইসঙ্গে সমর্থকদের সাফ বার্তা, যতক্ষণ না ম্যানেজমেন্ট তাদের সঙ্গে মুখোমুখি হচ্ছে, ততক্ষণ নাকি এই প্রতিবাদ, বিক্ষোভ চলবেই। অর্থাৎ মোহনবাগান জনতার এই প্রতিবাদ যে দীর্ঘমেয়াদী হতে চলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
অধিনায়ক গিলের পরিকল্পনায় বিশ্বকাপে রয়েছেন রোহিত, কোহলি

ভারতীয় ওডিআই দলের নতুন অধিনায়ক শুভমন গিল(Shubman Gill)। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট চলাকালীনই অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য দল ঘোষণা হয়েছে। সেখানেই ভারতের ওডিআই দলের নতুন অধিনায়ক হয়েছেন শুভমন গিল। রোহিত শর্মাকে(Rohit Sharma) দায়িত্ব থেকে সরানোর পর থেকেই নতুন জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। তবে কি এই অস্ট্রেলিয়া সিরিজই রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির শেষ সিরিজ হতে চলেছে। শুভমন গিলের(Shubman Gill) সাফ বার্তা, ২০২৭ বিশ্বকাপেও ভারতীয় দলের পরিকল্পনাতে রয়েছেন রোহিত(Rohit Sharma) এবং বিরাট কোহলি(Virat Kohli)। আইপিএল চলাকালীনই ভারতীয় টেস্ট দল থেকে অবসর নিয়েছিলেন রোহিত শর্মা(Rohit Sharma) এবং বিরাট কোহলি(Virat Kohli)। সেই থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল নতুন জল্পনা। তবে ভারতীয় দলে শেষ হতে চলেছে হিটম্যান, কোহলি জামানা। যদিও ওডিআই দলে ছিলেন দুই তারকা ক্রিকেটারই। কিন্তু রোহিতের(Rohit Sharma) অধিনায়কত্ব নিয়ে একটা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। এরপরই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজের আগে অধিনায়কের পদ থেকে সরেছেন রোহিত শর্মা(Rohit Sharma)। আর তাতেই তর্জা এখন তুঙ্গে। প্রাক্তন থেকে বিশেষজ্ঞরা অনেকেই বলতে শুরু করেছিলেন যে এবার হয়ত অবসরের পথেই হাঁটবেন রোহিত এবং বিরাট(Virat Kohli)। শুধুমাত্র তাই নয়, আগামী ওডিআই বিশ্বকাপেও নাকি এই দুই তারকাকে আর দেখা যাবে না। সেই নিয়েই মুখ খুললেন খোদ শুভমন গিল। তাঁর সাফ বার্তা, ভারতীয় দলের ওডিআই বিশ্বকাপের পরিকল্পনাতে সবসময়ই রয়েছেন রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির। তাদের অভিজ্ঞতাটা যা ভারতীয় দলের এখনও অনেকটা প্রয়োজন তা বলতে কোনও দ্বিধা নেই গিলের। এই প্রসঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনে শুভমন গিল(Shubman Gill) জানিয়েছেন, “যে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা রোহিত এবং বিরাটের কাছে রয়েছে, তা খুব কম ক্রিকেটারই দেখাতে পারেন। তারা দুজন ভারতকে যত ম্যাচ জিতিয়েছেন, খুব কম ক্রিকেটারই তত ম্যাচ ভারতকে জেতাতে পেরেছেন। ২০২৭ বিশ্বকাপের পরিকল্পনাতে ভীষণভাবে রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি রয়েছেন”। চলতি মাসেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নামবে টিম ইন্ডিয়া। দীর্ঘদিন পর ফের একবার মেন ইন ব্লুজ জার্সিতে দেখা যাবে রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলিকে। তাদের দিকেই এখন সকলে তাকিয়ে রয়েছেন।
থমথমে প্র্যাকটিস.. ঝড়ের পূর্বাভাস মোহনবাগান ম্যাচে!

যুবভারতীর বাইরে সমর্থকদেরগলায় প্রতিবাদের স্লোগান, ভেতরে নিঃশব্দ প্র্যাক্টিস। সবুজ-মেরুন(MBSG) শিবিরে যেন নেমে এসেছে এক অচেনা অন্ধকার। মঙ্গলবারও যেখানে ক্লাব গেটের সামনে ব্যানার হাতে দাঁড়িয়েছিলেন ক্ষুব্ধ সমর্থকরা, বুধবার যুবভারতী ছিল অদ্ভুতভাবে নিস্তব্ধ। চারদিক কালো কাপড়ে মোড়া। একে একে এসে প্র্যাক্টিস সারলেন মোহনবাগানের(MBSG) ফুটবলাররা— কারও মুখে কথা নেই, কারও চোখে হাসি নেই। মাঠের বাইরে পুলিশ নেই, কিন্তু চারপাশে টহল দিচ্ছেন বাউন্সাররা। যেন একটা শব্দও ছড়িয়ে পড়লে অশান্তি তৈরি হবে। প্র্যাক্টিস শেষে খেলোয়াড়রা যেমন নিঃশব্দে এসেছিলেন, তেমনই নিঃশব্দে বেরিয়েও গেলেন। যেন কোনও কিছুই ঘটছে না— অথচ সেই নীরবতার মধ্যেই জমছে অশান্তির মেঘ। ফ্যান ক্লাবগুলির মধ্যে তৈরি হয়েছে স্পষ্ট বিভাজন। এক পক্ষ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, “আমরা ৯ তারিখের ম্যাচে যাচ্ছি না। কিন্তু প্রতিবাদ থামবে না— হবে কিশোরভারতীর বাইরে।” অন্য পক্ষের মনোভাব আলাদা। তাদের বক্তব্য, “দলকে এখনই একা ফেলে দেওয়া যাবে না। যত ঝড়ই আসুক, পাশে থাকব।” ম্যানেজমেন্ট অবশ্য স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে— “কোনও ফুটবলার বা কোচ কারও সঙ্গে কথা বলবে না।” সবমিলিয়ে, আইএফএ শিল্ডের আগে যেন এক গভীর গুমোটে ঢেকে যাচ্ছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। মাঠের ভেতরে প্র্যাক্টিস চলছে ঠিকই, কিন্তু মাঠের বাইরে দানা বাঁধছে অনিশ্চয়তা। এখন প্রশ্ন একটাই— এই নীরব ঝড়ের প্রভাব কি পড়বে ম্যাচে?