ডার্বি জিততে সমর্থকদের মাঠে আসার আহ্বান মোলিনার, ছক প্রস্তুত শুভাশিসদের

শিল্ড ফাইনাল(Ifa Shield Final), তাও আবার ডার্বি(Kolkata Derby)। এই ম্যাচটাই এই মুহূর্তে মোহনবাগান(MBSG) কোচ হোসে মোলিনার(Jose Molina) কাছের সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। ইস্টবেঙ্গলের(Eastbengal) বিরুদ্ধে জিততে মরিয়া সবুজ-মেরুন কোচ। সেইসঙ্গে বারবার সতর্কতার কথাও শোনা গেল তাঁর মুখে। মোহনবাগানকে এই ম্যাচ চ্যাম্পিয়ন করানোটা তাঁর কাছে একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ। সেইসঙ্গে ডুরান্ডে হারের জ্বালা যে এখনও মেটেনি তাঁর। ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে তাদের বিরুদ্ধে নিজেদের সেরা প্রমাণ করাটাই হোসে মোলিনার(Jose Molina) কাছে প্রধান লক্ষ্য। সেই জন্যই তো শনিবারের ডার্বির গুরুত্বটা মোলিনার কাছে সবচেয়ে বেশি। একইসঙ্গে সকলে যখন রবসন(Robson Robinho) বনাম মিগুয়েল লড়াইয়ের কথা বলছেন, সেটা শুরুতেই নস্যাত করে দিলেন মোলিনা(jOSE mOLINA)। একইসঙ্গে ক্ষুব্ধ মোহন জনতাদেরও(Mohunbagan Fan) মাঠে আসার আহ্বান জানালেন হেসো মেলিনা(Jose Molina)। সমর্থকরা মোহনবাগান(MBSG) ম্যাচ বয়কট করেছেন। কিন্তু ডার্বির মতো মঞ্চে সমর্থকদের ভূমিকা যে কতটা তা ভালোভাবেই জানেন মোহনহাগান সুপারজায়ান্টের স্প্যানিশ কোচ। সেই কারণেই তো বারবার সেই টুয়েলভথ ম্যানদের মাঠে আসার অনুরোধ করছেন তিনি। ডার্বির আগে হোসে মোলিনা(Jose Molina) জানালেন, “লড়াইটা হবে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের মধ্যে। এই ম্যাচ জয় এখন আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের একটা দল হয়ে খেলতে হবে। আমি বুঝতে পারছি সমর্থকরা খুবই অসন্তুষ্ট। তবে আমি চাইব সমর্থকরা আমাদের সমর্থন করুন। এই ম্যাচটা জিততে আমাদের সাহায্য করুক। সমর্থকরা নিশ্চই আমাদের সমর্থন করবেন”। শিল্ডে যোগ দেওয়া থেকে একের পর এক ম্যাচ জেতা। কিন্তু মোহনবাগানের পারফরম্যান্সের থেকেও বেশি চর্চা শুরু হয়েছে তাদের ড্রেসিংরুমের পরিবেশ নিয়ে। মাঝেমধ্যেই শোনা যাচ্ছে মোহনবাগান(MBSG) ড্রেসিংরুমের পরিবেশ নাকি ভালো নেই। কিছু কিছু ফুটবলারের সঙ্গে নাকি কোচ সহ অন্যান্যদের দুরত্বও বেড়েছে। ডার্বিতে এর প্রভাব পড়বে না তো। মোহনবাগান ফুটবলার শুভাশিস বোসের(Subhasish Bose) সাফ জবাব। তাদের ড্রেসিংরুম নাকি একেবারেই স্বাভাবিক। ছন্দে রয়েছে। তবে ডার্বিতে দুই দলেরই অন্যতম প্রধান ভরসা সমর্থকরা। ক্ষুব্ধ সমর্থকদেরও ম্যাচে আহ্বান করলেন শুভাশিস(Subhasish Bose)। শুভাশিস বোসের সাফ জবাব, “বর্তমানে আমাদের ড্রেসিংরুমের পরিবেশ অত্যন্ত ভালো আছে। গোটা ম্যাচে আমরা আমরা চাই সমর্থকরা আমাদের সমর্থন করুন। আমি অবশ্যই মাঠে আমার সেরাটা দেব। তবে আমি একা কিছুই করতে পারব না। আমরা দল হিসেবে খেলতে পারলেই সাফল্য আসবে। সব ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ, তবে ডার্বি সবসময়ই অত্যন্ত স্পেশ্যাল”। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে নামার আগে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সারা হয়ে গিয়েছে। দলের সব জায়গাই দেখে নিয়েছেন হোসে মোলিনা(Jose Molina)। রবসন, দিমিত্রি(Dimitri Petratos), কামিন্সদের(Jason Cummins) নিয়ে যে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছক সাজাচ্ছেন তা বেশ স্পষ্ট। তবে এই ম্যাচেও ম্যাকলারেনকে(Jamie Maclaren) শুরু থেকে ব্যবহার নাও করতে পারেন মোহন কোচ। মনবীর(Manvir Singh) অবশ্য ডার্বিতে অনিশ্চিত। তবে বাকিরা সকলেই প্রস্তুত। এখন শুধুই মাঠে নামার অপেক্ষায় মোলিনার সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলনে গুপ্তচর অস্কারের প্রাক্তন ছাত্র রবসন

অস্কারের(Oscar Bruzon) প্রাক্তন ছাত্রই এবার মোহনবাগানের(Mohunbagan) গুপ্তচর। ইস্টবেঙ্গলের(Eastbengal) প্রস্তুতিতে গোপনে নজর রাখলেন রবসন রোহিনহো(Robson Robinho)। আর তাতেই কার্যত হৈচৈ। কলাতা ডার্বি(Kolkata Derby) মানেই উত্তেজনা, উন্মাদনা। আর পড়শী ক্লাব কী করছে তার দিকে নজর রাখার প্রবল চেষ্টা। কয়েকদিন আগে মোহনবাগানের ম্যাচে নিজের গুপ্তচর পাঠিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) কোচ অস্কার ব্রুজোঁ(Oscar Bruzon)। এবার হোসে মোলিনার(Jose Molina) গুপ্তচর অস্কারেরই প্রাক্তন ছাত্র রবসন রোবিনহো। ডার্বির আগে লাল-হলুদের প্রস্তুতির সময় একেবারে ক্যামেরা হাতে হোটেল থেকে নজর রাখলেন তিনি। শিল্ডের ফাইনালের(Ifa Shield Final) পাশাপাশি এই ডার্বি হল মোহনবাগানের কাছে আবার ডুরান্ডের প্রতিশোধেরও মঞ্চ। অস্কারের ছক বুঝতে মরিয়া মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট কোচ হোসে মোলিনা(Jose Molina)। সেই কারণেই তো রবসন রবিনহোকে(Robson Robinho) কাজে লাগিয়েছেন তিনি। রবিনহো অতীতে অস্কারের কোচিংয়ে খেলেছেন। তাঁর থেকে যে মোলিনা তথ্য পেয়েছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আবার অস্কারের(Oscar Bruzon) ওপর নজরও রাখছেন সেই রবসনই। এদিন সকালবেলা প্রস্তুতি রেখেছিল ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। সব মিলিয়ে মোট ৩০ মিনিট প্রস্তুতি সেরেছে তারা। অন্যদিকে আবার যুবভারতীয় লাগোয়া হোটেল হায়াতেই রয়েছে মোহনবাগান দল। ইস্টবেঙ্গলের প্রস্তুতি শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরই কোচিং স্টাফেদের কয়েকজনের নজর পড়ে হায়াতের হোটেলের জানলায়। আর তাতেই চমকে যান তারা। অস্কারকে ডেকে দেখাতে একেবারেই দেরী করেননি তারা। সেই সময়ই ধরা পড়ে আসল ছবিটা। দেখা যায় হোটেলের জানলায় দাঁড়িয়ে ইস্টবেঙ্গলের প্রস্তুতির ভিডিও করছেন মোহনবাগানের ব্রাজিলিয়ান তারকা রবসন রোবিনহো(Robson Robinho)। অস্কারের নজর এলেও, তিনি অবশ্য দলের প্রস্তুতি থামাননি। তবে সময়টা একেবারেই কমিয়ে দিয়েছিলেন। মাত্র ১৫ মিনিট লাল-হলুদ ফুটবলারদের ঠিক ঠিক প্রস্তুতি হয়। সেই সময় অবশ্য সেটপিসই প্র্যাকটিস করেন হিরোশি, কেভিন থেকে রশিদ, আনোয়াররা। তবে সেটা মাত্র ১৫ মিনিটের জন্যই করেন তারা। রবসনের ভিডিও করাতে অস্কারের কী খুব একটা অসুবিধা হয়ে গেল। ইস্টবেঙ্গল শিবিরের অন্দরের খবর অবশ্য তারা নাকি এটা নিয়ে খুব একটা ভাবছেই না।
ডার্বির আগে সেটপিসে জোর অস্কারের, হিরোশিকে নিয়ে বিশেষ ছক!

মাঝে আর একটা রাত। এরপরই ডার্বির(Kolkata Derby) মহারণ। সেখানেই শেষ মুহূর্তের দল গোছাতে ব্যস্ত দুই শিবির। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে নামার আগে সেটপিসেই সবচেয়ে বেশি জোর দিলেন ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) কোচ অস্কার ব্রুজোঁ(Oscar Bruzon)। তবে কী মোহনবাগানের বিরুদ্ধে হিরোশির(Hiroshi Ibusuki) উচ্চতার অ্যাডভান্টেজ নিতে চাইছেন অস্কার(Oscar Bruzon)। তেমনটা হলে কিন্তু অবাক হওয়ার মতো কিছুই থাকবে না। কারণ হিরোশিকে(Hiroshi Ibusuki) তো পিটার ক্রাউচের সঙ্গে তুলনা করা হয়। শটের পাশাপাশি তাঁর হেডের যথেষ্ট সাফল্য রয়েছে। এই ডার্বি(Kolkata Derby) দিয়েই ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে অভিষেক হতে চলেছে জাপানিজ তারকা হিরোসি ইবুসুকির(Hiroshi Ibusuki)। তবে প্রথম থেকেই অস্কার তাঁকে খেলাবেন কিনা তা নিয়ে একটা ধোঁয়াশা কিন্তু রয়েই যাচ্ছে। সূত্রের খবর হামিদ এবং হিরোশির মধ্যে কাকে প্রথম একাদশে রাখবেন তা নিয়েই নাকি খানিকটা হিসাব কষছেন ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ বস। এছাড়া প্রথম একাদশে খুব একটা পরিবর্তন বোধহয় আনতে চাইছেন না অস্কার। গত ম্যাচেই ইস্টবেঙ্গলের(Eastbengal) গোলে খেলেছিলেন প্রভসুখন গিল(Prabhsukhan Gill)। ডার্বিতেও তিনিই থাকছেন অস্কারের(Oscar Bruzon) প্রথম একাদশে। ফিরে এসেছেন আনোয়ার আলি(Anwar Ali)। অর্থাৎ তিনি এবং লালচুঁলুঙ্গা থাকছেন শুরু থেকেই। এছাড়া তাদের সঙ্গে ডিফেন্সে থাকছেন কেভিন(Kevin)। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসাবে রশিদই(Mohammed Rashid) যে ডার্বিতেও অস্কারের প্রথম পছন্দ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এছাড়া নাওরেম মহেশ তো রয়েছেনই উইংয়ে। কিন্তু সকলের কৌতূহল একটা বিষয় নিয়েই। হিরোশি কী খেলবেন প্রথম একাদশে। সেই সম্ভাবনাও কিন্তু একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার তিনটি দল করে অস্কার খেলিয়েছিলেন, সেখানে হিরোশি ইবুসুকির দিকেই ছিল প্রধান নজর। তবে এটা ডার্বির মঞ্চ। অনেকটাই সাবধানে পা ফেলতে চাইছেন অস্কার ব্রুজোঁ। আপাতত হিরোশি এবং হামিদকে নিয়েই চলছে হিসাব নিকাশ। ডার্বির আগের দিন অবশ্য ফুটবলারদের হাল্কা প্রস্তুতিতেই রেখেছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার। সব মিলিয়ে আধ ঘন্টা মতো অনুশীলন হয় তাদের। তবে এদিন বেশীরভাগ সময়টাই সেটপিস প্রস্তুতির ওপর জোর দেন তিনি। হয়ত হিরোশির কথা মাথায় রেখেই এমন নতুন ছক কষছেন লাল-হলুদ স্প্যানিশ কোচ।
অস্কারের নীল নক্সা প্রস্তুত, পরিকল্পনা গোপন রাখতে বিশেষ স্ট্র্যাটেজি

রাত পোহালেই ডার্বি। তার আগে শেষ মুহূর্তের ছক সাজাতেই ব্যস্ত ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) কোচ অস্কার ব্রুজোঁ(Oscar Bruzon)। আর সেই পরিকল্পনা লুকোতেই তিনি নন, ডার্বির মতো ম্যাচের আগে ইস্টবেঙ্গলের সাংবাদিক সম্মেলনে এলেন বিনো জর্জ(Bino George)। ভারতীয় ফুটবলের সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচ। উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। কিন্তু তার আগেই ইস্টবেঙ্গল কোচের বিশেষ স্ট্র্যাটেজি। মোহনবাগানকে(MBSG) আটকাতে তাঁর ছক যাতে কেউ বুঝতে না পারে, সেজন্য ডার্বির মতো ম্যাচেরও সাংবাদিক সম্নেলনেই এলেন না ইস্টবেঙ্গল কোচ(Eastbengal) অস্কার(Oscar Bruzon)। ডুরান্ড কাপের(Durand Cup) ডার্বিতে মোহনবাগানকে হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। কিন্তু সেইসময় সবুজ-মেরুন ব্রিগেডে ছিলেন না রবসন রবিনহো(Robson Robinho)। এই মুহূর্তে মোহনবাগানের হয়ে দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে গোলের মধ্যে রয়েছেন দিমিত্রি পেত্রাতস। সেই কথা মাথায় রেখেই অতি সাবধানী ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজোঁ(Oscar Bruzon)। ম্যাচের আগের দিন প্রতিপক্ষ শিবিরের শক্তি নিয়ে কথা শোনা গেল বিনো জর্জের(Bino George) মুখেও। একইসঙ্গে হিরোশি ইবুসুকিকে(Hiroshi Ibusuki) নিয়েও বেশ আত্মবিশ্বাসের সুরই শোনা গেল ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) দলের অন্দর থেকে। শনিবারই লাল-হলুদ জার্সিতে অভিষেক হতে চলেছে তাঁর। সাংবাদিক সম্মেলনে বিনে জর্জ জানান, “মোহনবাগান অত্যন্ত শক্তিশালী দল। ওদের রিজার্ভ দলও বেশ শক্তিশালী। আনরা সবটাই জানি। সেই কারণেই তো প্রতিটি অনুশীলনে ফুটবলারদের মোটিভেট করে গিয়েছি আমরা। ফুটবলাররা ডার্বির জন্য অত্যন্ত তেঁতে রয়েছে”। গতবারের তুলনায় এবার ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) দলের পারফরম্যান্স গ্রাফ অনেকটাই ওপরের দিকে। সেইসঙ্গে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে নামার আগে যেটা লাল-হলুদ শিবিরের কাছে সবচেয়ে বড় স্বস্তির, তা হল তাদের দলে কোনওরকম চোট আঘাত নেই। সেটাই মোহনবাগানের বিরুদ্ধে নামার আগে সবচেয়ে অন্যতম প্রধান আত্মবিশ্বাস ইস্টবেঙ্গলের কাছে। বিনো জর্জ জানিয়েছেন, “আমাদের দলের প্রত্যেকে চোটহীন অবস্থায় রয়েছেন। সেটা আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়াচ্ছে। সেইসঙ্গে আমাদের দলের ফুটবলাররাও ভালোভাবেই এই ম্যাচের গুরুত্ব জানেন। তাদের মোটিভেট করেই চলেছি আমরা। লড়াই করতে প্রস্তুত আমাদের দল”। এই ম্যাচ দিয়েই আবার অভিষেক হবে হিরোশি ইবুসুকির। প্রথম ম্যাচেই ডার্বি। সেখানে কি হিরোশি পারবেন তিনি পারফরম্যান্স দেখাতে। ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট কিন্তু বেশ আত্মবিশ্বাসী। হিরোশিকে প্রথম দিনই নাকি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে এই ম্যাচের গুরুত্ব। তিনিও প্রস্তুত, এখন শুধুই মাঠে নামার অপেক্ষা।
বেঙ্গল সুপার লিগের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর লোথার ম্যাথুজ, শ্রাচীর উদ্যোগকে কুর্নিশ সকলের

আইএফএ-র(IFA) সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাংলার ফুটবলের স্বার্থে বিরাট উদ্যোগ শ্রাচীর(Srachi Sports)। আগামী ৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে বেঙ্গল সুপার লিগ(Bengal Super League)। সেইসঙ্গেই ঘোষণা হয়ে গেল বহু প্রতীক্ষিত এই লিগের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরের নামও। কিংবদন্তী জার্মান ফুটবলার লোথার ম্যাথুজের(Lother Mathews) নাম ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসাবে ঘোষণা করল শ্রাচী স্পোর্টস(Srachi Sports)। জার্মানির কিংবদন্তী ফুটবলারের হাত ধরেই এবার বাংলার ফুটবলারদের ভাগ্য বদল হতে চলেছে। আইএফএ-র সঙ্গে ১০ বছরের চুক্তিতে পথ চলতে শুরু করল বেঙ্গল সুপার লিগ(Bengal Super League)। তারই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়ে গেল শিল্ড ফাইনালের ঠিক ২৪ ঘন্টা আগে। বাংলার ফুটবলার তুলে আনার স্বার্থেই শুর হচ্ছে এই প্রতিযোগিতা। সম্পূর্ণ আইপিএলের ধাঁচে তৈরি হয়েছে লিগের খেলার সূচী। প্রাথমিক ভাবে ৮টি ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে শুরু হচ্ছে বেঙ্গল সুপার লিগ। তাদেরই প্রতিনিধিত্ব করবেন আটটি জেলা। শিলিগুড়ি, মালদা, বোলপুর, দুই চব্বিশ পরগনা সহ হাওড়া, হুগলীর মতো জেলা গুলোই প্রতিনিধিত্ব করবে একেকটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে। একেবারে আইপিএলের মতো ধাচেই হবে এই বেঙ্গল সুপার লিগ(Bengal Super League)। সেইসঙ্গে বাংলার ফুটবলারদের প্রাধান্য দেওয়ার জন্য থাকছে বিশেষ নিয়মও। দুটোর বেশি যেমন বিদেশি খেলানো যাবে না। তেমনই জাতীয় স্তরের ফুটবলারও মাঠে দুজনের বেশি নামানো যাবে না। বাকি সবই খেলাতে হবে বাংলার ছেলেদের। সেইসঙ্গে অনুর্ধ্ব-১৯ দলেরও ফুটবলার রাখতে হবে প্রথম একাদশে। এই প্রথম বাংলার মাটিতে শুরু হতে চলেছে এমন প্রতিযোগিতা। যার মূল উদ্দেশ্য হল বাংলা থেকে ফুটবলারদের জাতীয় মঞ্চে পৌঁছে দেওয়া। বাংলার পুরনো গৌরব ফের ফিরিয়ে আনা। আর সেখানেই ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসাবে লোথার ম্যাথুজের উপস্থিতি যে সকলকে আরও বেশি উদ্বুদ্ধ করবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আগামী নভেম্বর মাসেই শহরে পা রাখছেন তারকা জার্মান ফুটবলার লোথার ম্যাথুজ। ৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে বহু কাঙ্খিত এই বেঙ্গল সুপার লিগ(Bengal Super League)। শ্রাচী স্পোর্টসের সিইও অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Ayan Banerjee) জানিয়েছেন, “এটা এই ভেবেই শুরু হয়েছে যে ভারতীয় দলে কোনও বাঙালি নেই। মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল সহ অন্যান্য আইএসএল দলেও বাংলার পুটবলার নেই। আমাদের আসল প্রতিভারাই রয়েছে বিভিন্ন জেলাতে। আর ওরা সেভাবে এসে খেলতে চায় না। বেশিরভাগই খেপ খেলতে চলে যাচ্ছে। তাদেরকেই একটা প্রফেশনাল প্ল্যাটফর্ম দিতে চাই। যেখানে দেশীয় তারকা, বিদেশিদের পাশাপাশি বাংলার সেই সমস্ত জেলার ফুটবলাররাও খেলতে পারেন। আটটি জেলা নিয়ে হবে এই প্রতিযোগিতা। সেখানে থাকছে হোম এবং অ্যাওয়ে ম্যাচ। এছাড়া প্লেঅফ হবে তিনটি”। অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়(Ayan Banerjee) আরও জানান, “স্কোয়াডে বিদেশি তিনজন থাকলেও, খেলানো যাবে দুজনকে। ভারতের অন্যান্য ফুটবলার পাঁচজন স্কোয়াডে থাকলেও খেলবেন দুজন। বাকি সবই নিজেদের জেলার ফুটবলারদের খেলাতে হবে”। বাংলার প্রাক্তন ফুটবলারদেরও এই প্রতিযোগিতার মেন্টর হিসাবে রাখা হয়েছে। মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল জিতলেও বারবারই বাংলার ফুটবলার কমে যাওয়ার কথা উঠে আসে। সেই বাংলার ফুটবলার তুলে আনতে এমন প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়ছেন মেহতাব হোসেন, বিকাশ পাঁজি থেকে সঞ্জয় সেন, সুলে মুসারা। তারা সকলেই এমন একটা উদ্যোগে বাংলার ফুটবলের উন্নতি হবে বলেই মনে করছেন। আগামী ৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে বেঙ্গল সুপার লিগ।
বিরাটের অটোগ্রাফ পেয়ে আনন্দে আত্মহারা খুদে ভক্ত

বিরাট(Virat Kohli) ভক্তের গোটা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু তাদের মধ্যে নজর কাড়ল বিরাটের(Virat Kohli) এক খুদে ভক্ত। তাও আবার সুদূর অস্ট্রেলিয়াতে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজের প্রস্তুতি শুরু করেছে ভারতীয় দল। দীর্ঘদিন পর ফের মাঠে নেমেছেন বিরাট কোহলি(Virat Kohli)। তাঁকে দেখার ভিড় উপচে পড়ছে প্রতিদিন। সেখানেই বিরাটের থেকে এক খুদে ভক্ত অটোগ্রাফ পাওয়ার আনন্দে আত্মহারা। বিরাটের থেকে সই পেতেই তাঁর দৌড়। মাঠেই খেলেন গড়াগড়ি। হবে নাই বা কেন ভক্তদের কাছে যে বিরাট ভগবানের থেকে কম কিছু নয়। টি টোয়েন্টির পর টেস্ট থেকেও অবসর নিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। আইপিএলের(IPL) পর থেকে আর দেশের জার্সিতে মাঠে দেখা যায়নি ভারতীয় দলকে। তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়েও ছিল বহু গুঞ্জন। সেই বিরাটই এবার অস্ট্রেলিয়ার(Australia) বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজে দেশের জার্সিতে মাঠে নামছে। তবে বিরাট(Virat Kohli) ভক্তরা আর ধৈর্য ধরতে পারেননি। বিরাট কোহলির প্রস্তুতি দেখতেই মাঠে হাজির তারা। সেখানেই এক খুদে ভক্ত বহু ভিড় ঠেলে পৌঁছন বিরাট কোহলির কাছে। তারপর বহু কাঙ্খিত সেই অটোগ্রাফ পাওয়ার পর তাঁর যেন আনন্দের সীমা ছিল না। বিরাটের থেকে অটোগ্রাফ পাওয়ার পরই শুরু দৌঁড়। মাঠে গিয়ে একেবারে শুয়ে পড়লেন তিনি। আর চোখে মুখে ছিল এক তৃপ্তির হাসি। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হতে খুব একটা বেশি সময়ও নেয়নি। বিরাট কোহলির দিকেই তো এই মুহূর্তে তাকিয়ে রয়েছেন সকলে। The happiness of a Kid after getting Virat Kohli’s autograph 🥹❤️pic.twitter.com/e5dhcAPVw8 — Suprvirat (@Mostlykohli) October 16, 2025 অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এই ওডিআই সিরিজে বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মার দিকে নির্বাচকদেরও রয়েছে নজর। কারণ এই সিরিজে তাদের পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করছে ওডিআই বিশ্বকাপে খেলার বিষয়টা। যদিও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বরাবরই বিরাট কোহলি বেশ সফল হয়েছেন। এবারও তাঁর ব্যাটের দিকেই তালিকেয় রয়েছেন সকলে। প্রথম দিনের প্রস্তুতি থেকেই বেশ খোশ মেজাজে বিরাট কোহলি। তিনি বড় রানের ইনিংস খেলতে পারেন কিনা সেটাই দেখার অপেক্ষায় সকলে।
শিল্ড ফাইনালে ডার্বির রেফারি হরিশ কুণ্ডু!

বড়সড় কোনও অঘটন না ঘটলে আইএফএ শিল্ড(IFA Shield) ফাইনালে ডার্বির বাঁশি উঠতে চলেছে হরিশ কুণ্ডুর(Harish Kundu) মুখেই। আগামী শনিবার দীর্ঘ প্রতিক্ষিত সেই ডার্বি(Kolkata Derby)। স্বভাবতই ডার্বি পরিচালনা করতে কলকাতার নয়, বাইরের রাজ্যেরই রেফারির ওপর ভরসা রেখেছে আইএফএ(IFA)। আর সেই সেখানেই দেখা যেতে চলেছে হরিশ কুণ্ডুকে। আর এই খবরটা ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) সমর্থকদের কাছে খুব একটা স্বস্তির নাও হতে পারে। কারণ শেষবারের আইএসএলে এই হরিশ কুণ্ডুর(Harish Kundu) বিরুদ্ধেই তো বারবার সরব হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। আবার ফাইনালে বাইরের রাজ্যের রেফারি হওয়ায় অসন্তোষ দেখা দিয়েছে বাংলার রেফারিদের মধ্যেও। কানাভুসো শোনাযাচ্ছে বাইরের রেফারি আসায় তারা নাকি একেবারেই খুশি নয়। ইতিমধ্যে নাকি রাজ্য রেফারি অ্যাসোসিয়েশনের কাছে তারা তাদের ক্ষোভের কথা জানিয়েওছে। পরবর্তীতে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান ম্যাচ পরিচালনা নিয়েও নাকি বড়সড় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাঁটতে পারে তারা। কার্যত রেফারির টেন্টের অন্দরেও অসন্তোষের বাসা বেঁধেছে। এই মুহূর্তে শিল্ড(IFA Shield) ফাইনাল নিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করেছে। সেখানেই ম্যাচের রেফারির দায়িত্বে কে থাকবেন তা নিয়ে জোর জল্পনা চলছিল। বাইরে থেকে রেফারি আনা হয়েছে তা আগেই জানা গিয়েছে। কিন্তু সেই রেফারির নাম কী, সেটা নিয়েই চলছিল জোর গুঞ্জন। আবারও সেই হরিশ কুণ্ডুই পরিচালনা করতে চলেছেন শিল্ড ফাইনালের ডার্বি। সূত্রের খবর ইতিমধ্যে শহরে চলেও এসেছেন তিনি। শেষ কয়েকবছরে বারবারই ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচে বিতর্কে জড়িয়েছেন হরিশ কুণ্ডু। এবারও আইএফএ-র তরফে ফেডারেশনের কাছ থেকেই ডার্বির জন্য নিরপেক্ষ রেফারি চাওয়া হয়েছিল। আর সেখানেই ফের একবার ডার্বি পরিচালনা করতে চলেছেন হরিশ কুণ্ডু।