বিশালের বিশ্বস্ত হাতে শিল্ডের রং সবুজ-মেরুন, ব্যর্থ অস্কারের শেষ মুহূর্তের চমক

পেনাল্টি স্পেশ্যালিস্ট বিশাল কাইথ(Vishal Kaith)। তাঁর বিশ্বস্ত হাতেই শিল্ড এবার মোহনবাগানের(MBSG)। জয় গুপ্তার(Jay Gupta) শট বাঁচানর পর থেকেই শুরু হয়েছিল অপেক্ষাটা। মেহতাব সিং( Mehtab Singh)শেষ শট নিতেই যুবভারতীতে শুরু সবুজ-মেরুন উল্লাস। টাইব্রেকারে ইস্টবেঙ্গলকে(Eastbengal) ৫-৪ গোলে হারিয়ে দীর্ঘদিন পর ফের আইএফএ শিল্ড চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান(MBSG)। হিরোশি(Hiroshi Ibusuki) ম্যাজিক দেখতে পেল না যুবভারতী। শেষমুহূর্তে দেবজিতকে নামিয়েও চমক দিতে পারলেন অস্কার ব্রুজোঁ(Oscar Bruzon)। নির্ধারিত সময়ে এদিন ম্যাচ শেষ হয় ১-১ গোলে। অবশেষে টাই ব্রেকারেই নির্ধারিত হয় শিল্ড চ্যাম্পিয়ন। ম্যান অব দ্য ম্যাচ মহেশ হলেও, মোহনবাগান শিবিরের নায়ক যে বিশাল(Vishal Kaith) তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাঁর হাত ধরেই তো ২১ তম শিল্ড(Ifa Shield) জিতল মোহনবাগান। এদিন ইস্টবেঙ্গলের(Eastbengal) বিরুদ্ধে শুরু থেকেই গোল তুলে নিতে মরিয়া ছিল মোহনবাগান(MBSG)। ম্যাচের তিন মিনিটের মাথায় লিস্টন এবং ৮ মিনিটের মুখে ম্যাকলরেন(Jamie Maclaren) সহজ সুযোগ মিস না করলে তখনই এগিয়ে যেতে পারত সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। যদিও তেমনটা হয়নি। ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) শুরু থেকে বলের দখল রাখলেও, বারবারই মোহনবাগান বক্সে আটকে যাচ্ছিল। ম্যাচের বয়স যখন ৩২ মিনিট। আনোয়ারের ভুলে পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। যে কামিন্স(Jason Cummins) তাদের সবচেয়ে বড় ভরসা, তিনি বল মারলেন বাইরে। এরপর থেকেই যেন গোল পেতে মরিয়া আক্রমণ শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। মুহূর্মুহু ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণে ৩৫ মিনিটের মাথাতেই সাফল্য। মহেশের বাড়ানো পাসে হামিদের(Hamid Ahadad) গোল। মোহনবাগানকে(MBSG) পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার আগেই বারবার আক্রমণে যায় ইস্টবেঙ্গল। কখনও বিপিন তো কখনও মহেশের সাজানো পাস হামিদ মিস না করলে হ্যাটট্রিক করে ফেলেই পারতেন। মোহনবাগান গ্যালারী তখন চুপচাপ। অবশেষে তাদের ত্রাতা সেই আপুইয়া(Apuia)। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে আপুইয়ার(Apuia) দুরন্ত শট। সমতায় ফেরে মোহনবাগান। বিরতির পর কোন পক্ষ এগিয়ে যায় সেদিকেই তাকিয়ে ছিলেন সকলে। কিন্তু প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধেও মোহনবাগানের সুযোগ নষ্টের খেলা ছিল অব্যহত। সেইসঙ্গে খানিকটা অনিয়ন্ত্রিত ফুটবলই যেন খেলছিল ইস্টবেঙ্গলও। আক্রমণে জোর বাড়াতে ৬৩ মিনিটে অস্কারের(Oscar Bruzon) একসঙ্গে তিনটি বদল। একসঙ্গে মাঠে আসেন হিরোশি এবং জয় গুপ্তা। কিন্তু যে হিরোশিকে নিয়ে এত হৈচৈ তিনি কিছুই করতে পারেননি। বেশ কয়েকটা হেড নিলেও তা ছিল নিস্প্রভ। অন্যদিকে মোলিনাও(Jose Molina) পরপর বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করেন। দ্বিতীয়ার্ধের কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠে আসেন রবসন(Robson Robinho)। মিগুয়েল(Miguel) বনাম রবসন লড়াই দেখার জন্য তখন সকলে মুখিয়ে ছিলেন। কিন্তু ডার্বির মঞ্চে দুই দলের ব্রাজিলিয় তারকাই কিন্তু সেভাবে নজর কাড়তে পারল না। রবসন কয়েকটা সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেননি লিস্টন, ম্যাকলরেনরা। কিন্তু সকলের নজরই তখন ছিল দিমি কখন আসবে। মোহনবাগানের(MBSG) হয়ে বরাবরই ডার্বির নায়ক দিমিত্রি(Dimitri Petratos)। এত সুযোগ নষ্টের পরও কেন তাঁকে এত দেরীতে আনলেন মোলিনা, তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন উঠতেই পারে। এদিন মোহনবাগানের হয়ে অবশ্য দুরন্ত পারফর্ম্যান্স দেখিয়েছেন সাহাল। জয় গুপ্তার সঙ্গে কড়া ট্যাকলে তাঁর চোখের পাশে কেটে গিয়ে রক্ত ঝড়লেও মাঠ ছাড়েননি এই তারকা ফুটবলার। বারবারই মোহনবাগানের আক্রমণে রসদ যোগাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু গোল হচ্ছিল না। 🏆🏆🏆 CHAMP21ONS 🏆🏆🏆#MBSG #JoyMohunBagan #আমরাসবুজমেরুন pic.twitter.com/VCeSpa7o9x — Mohun Bagan Super Giant (@mohunbagansg) October 18, 2025 তেমনই উইং দিয়ে ইস্টবেঙ্গলের খেলাটা চালাচ্ছিলেন নাওরেম মহেশ। প্রথমার্ধে বিপিন সিং দুরন্ত ছন্দে থাকলেও, বিরতির পর যেন খানিকটা দমে গিয়েছিলেন তিনি। বদলে গিয়েছিল তাঁর পজিশনও। অন্যদিকে হিরোশিকে আটকাতে ব্যস্ত ছিলেন অলড্রেড এবং রডরিগেজ। যদিও এদিন সেভাবে আক্রমণের ঝড় তুলতে পারেননি হিরোশি ইবুসুকি। রশিদ, মিগুয়েল কয়েকটা শট নিয়েছিল ঠিকই তবে সেগুলো গোল হওয়ার মতো নয়। নির্ধারিত সময়ে ১-১ ফলাফল। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়। সেই অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে আসেন দিমিত্রি পেত্রাতস। সেই সময় কয়েকটা ভালো মুভমেন্ট তিনি করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু বারবারই গোলের সুযোগ হাতছাড়া হয়। খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। আর সেখানেই বাজিমাত সেই বিশাল কাইথের(Vishal Kaith)। অস্কারের বাজি ছিলেন এদিন দেবজিত। হবে নাই বা কেব পেনাল্টি শট বাঁচানোর জন্য তাঁকেই তো বলা হত সেভজিৎ। কিন্তু ভাগ্য সহায় দেয়নি। মোহনবাগানকে একবারও আটকাতে পারেননি তিনি। অন্যদিকে জয় গুপ্তাকে রুখে দিয়েই মোহনবাগানের জয় নিশ্চিত করে দিয়েছিলেন বিশাল(Vishal Kaith)। মেহতাবের শট জালে জড়াতেই যুবভারতীতে শুরু সবুজ-মেরুন বিজয়োল্লাস।
বাংলার হয়ে সাত উইকেট নিয়েই আগরকরকে পাল্টা জবাব সামির

একদিকে ভারত যখন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজে নামার প্রস্তুতি সারছে, সেই সময় মাঠের বাইরে ভারতীয় ক্রিকেটে শুরু হয়েছে এক নতুন লড়াই। প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকর(Ajit Agarkar) বনাম মহম্মদ সামি(Mohammed Shami)। বাংলার হয়ে প্রথম ম্যাচ জেতার পরই অজিত আগরকরের(Ajit Agarkar) মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিলেন মহম্মদ সামি(Mohammed Shami)। সামির সাফ জবাব আগরকর যাই বলুক না কেন, সকলেই দেখতে পাচ্ছেন যে তিনি ফিট কিনা। উত্তরাখন্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে বাংলা। সেখানেই দুরন্ত পারফরম্যান্স মহম্মদ সামি(Mohammed Shami)। সামিদের জয়ের ঠিক ২৪ ঘন্টা আগেই তাঁর ভারতীয় দলে সুযোগ নিয়ে বিরাট মন্তব্য করেছিলেন অজিত আগরকর(Ajit Agarkar)। বাংলার হয়ে নামার আগেই নিজের ফিট থাকা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন সামি(Mohammed Shami)। তারই জবাব খানিকটা কাটক্ষের সুরে দিয়েছিলেন অজিত আগরকর। সামি নিজেকে ফিট বললেও, আগরকরের সাফ জবাব ছিল যে সামি নাকি ফিট ছিলেন না আর সেই কারণেই দলে সুযোগ পাননি। যদিও এর আগে সামি বলেছিলেন যে তিনি ফিট কিনা সেই খবর নাকি ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট নেওয়ারই চেষ্টা করেনি। মন্তব্য পাল্টা মন্তব্যের লড়াইয়ে হঠাৎই ভারতীয় ক্রিকেট এখন সরগরম। গত শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানে আগরকর বলেছিলেন, “যদি সামি ফিট থাকতেন তবে অবশ্যই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটের মরসুম শুরু হয়েছে। সেখানেই আমরা দেখব তিনি ফিট কিনা”। এই খবর সামির কানে পৌঁছতে খুব একটা বেশি দেরী হয়নি। বাংলার হয়ে দুই ইনিংস মিলিয়ে সাত উইকেট নেওয়ার পরই আগরকরকে পাল্টা দিলেন বাংলার তারকা স্পীডস্টার। সামির জবাব, “তিনি যা চান বলতেই পারেন। আমি এই ম্যাচে কেমন বোলিং করেছি সেটা সকলেই দেখতে পেয়েছেন”। ভারতীয় ক্রিকেটে হঠাৎই শুরু হয়ে গিয়েছে একটা নতুন লড়াই। বেশ কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন চলছিল। এবার একেবারে প্রকাশ্যে যেন লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়লেন নির্বাচক প্রধান ও মহম্মদ সামি।
জমজমাট প্রথমার্ধ, হামিদের গোলে এগোলেও, মোহনবাগানকে সমতায় ফেরালেন আপুইয়া

শিল্ড ফাইনালে কলকাতা ডার্বি(Kolkata Derby)। উত্তেজনার পারদ সকাল থেকেই চড়তে শুরু করেছিল। সেখানেই প্রথমার্ধ শেষে এগিয়ে ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। যুবভারতীর ডার্বি প্রথম মিনিট থেকেই জমজমাট। নাটকীয় প্রথমার্ধ। পেনাল্টি পেয়েও সুযোগ নষ্ট জেসন কামিন্সের(Jason Cummins)। পাল্টা আক্রণণেই লাল-হলুদের মরোক্কান স্ট্রাইকার হামিদের(Hamid Ahadad) গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। তবে শেষ মুহূর্তে আপুইয়ার(Apuia) গোলে সমতায় ফেরে মোহনবাগান(MBSG)। প্রথমার্ধ শেষে ম্যাচের ফলাফল ১-১। দ্বিতীয়ার্ধে কার মুখে ফোটে হাসি সেটাই দেখার। এদিন দুই দলেরই প্রথম একাদশে ছিল একের পর এক চমক। অস্কারের(Oscar Bruzon) প্রথম একাদশে যেমন ছিলেন না হিরোশি ইবুসুকি(Hiroshi Ibusuki)। তেমনই হোসে মোলিনা শুরু থেকেই জোড়া ফলা জেসন কামিন্স(Jason Cummins) এবং জেমি ম্যাকলারেনকে(Jamie Maclaren) মাঠে নামিয়ে দিয়েছিলেন। তবে রক্ষণ খানিকটা দুর্বল করে ফেলেছিলেন মোহনবাগানের কোচ। মোলিনার(Jose Molina) পরিকল্পনাটা হয়ত ছিল শুরুতেই গোল তুলে নেওয়া। সেই সুযোগ যে মোহনবাগানের সামনে আসেনি তেমনটা নয়। কিন্তু সুযোগ নষ্টের খেসারত দিতে হয় মোহনবাগানকেই। প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) শুরু থেকেই বলের রাখছিল নিজেদের দখলে। কিন্তু সুযোগ বারবারই পাল্টা আক্রমণে সুযোগ তৈরি করে ফেলছিল মোহনবাগান(Mohunbagan)। ম্যাচের ৩ মিনিটের মাথাতেই লিস্টন কোলাসোর সামনে সুযোগ। কিন্তু পারেননি তিনি। ৮ মিনিটের মাথায় ফের আক্রমণ মোহনবাগানের। এবার ব্যর্থ জেমি ম্যাকলরেন। ইস্টবেঙ্গল এই সময় আক্রমণ করলেও সেভাবে জমাট আক্রমণ করতে পারছিল না। এরই মাঝে ম্যাচের ৩১ মিনিটে বক্সের ভিতর আনোয়ারের ফাউল। পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। কিন্তু এমন সুযোগ বাইরে মেরে নষ্ট করলেন জেসন কামিন্স। আর সেটাই যেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের আরও বেশি তাতিয়ে দেয়। এরপরই শুরু হয় লাল-হলুদের আক্রমণের ঝড়। পেনাল্টি নষ্টের ২ মিনিটের মধ্যে মহেশের সাজানো পাস। সেটাই জালে জড়াতে ভুল করেননি হামিদ(Hamid Ahadad)। ৩৫ মিনিটেই এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। এরপর লাল-হলুদ আরও চাপ বাড়াতে থাকে। মহেশ এবং বিপিনের পাস কাজে লাগাতে পারলে প্রথমার্ধেই হ্যাটট্রিক করে ফেলতে পারতেন হামিদ। সেই সময় মোহনবাগানও ম্যাচে ফিরতে মরিয়া। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে সাফল্য মোলিনার দলের। বহু সুযোগ নষ্ট করলেও শেষ মুহূর্তে আপুইয়ার দুরন্ত শট থেকে অবশেষে সমতায় ফেরে মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধে কী হয় সেটাই দেখার অপেক্ষায় এখন সকলে।
দুরন্ত সামি, প্রথম ম্যাচেই ছয় পয়েন্ট বাংলার

দুরন্ত মহম্মদ সামি(Mohammed Shami)। মুখের পর এবার মাঠ থেকে প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকরকে(Ajit Agarkar) জবাবটা দিলেন মহম্মদ সামি(Mohanmmed Shami)। একাই তুলে নিলেন দুই ইনিংস মিলিয়ে সাত উইকেট। উত্তরাখন্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে প্রথম ম্যচেই ছয় উইকেট তুলে নিল বাংলা। আর তাতেই উচ্ছ্বসিত বাংলার অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ(Abhimanyi Easwaran)। ম্যাচ শেষেই মহম্মদ সামিদের প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন বঙ্গ অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ। এই পিছনে যে দলের বোলারদের কৃতিত্ব অনেকটাই তা বলতে দ্বিধা করলেন না বাংলার তারকা অধিনায়ক। ম্যাচ শেষে উচ্ছ্বসিত অভিমন্যু ঈশ্বরণ(Abhimanyu Easwaran) জানালেন, “মরসুমের প্রথম জয়। সেইসঙ্গে প্রথমেই ছয় পয়েন্ট। শুরুটা আমরা ভালোভাবেই করতে পারলাম। এদিন আমাদের বোলাররাও দুরন্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন। তাদের হাত ধরেই কার্যত আমরা কামব্যাক করি। সামি, সূরজরা অসাধারণ পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেছেন। প্রথম ম্যাচেই ছয় পয়েন্ট পেয়ে আমরা অত্যন্ত খুশি”। প্রথম ইনিংসে ভালো ভাবে না পারলেও, দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলার বিরুদ্ধে শুরু থেকেই বেশ ছন্দে ছিলেন উত্তরাখন্ডের ব্যাটাররা। সেই জায়গা থেকেই মহম্মদ সামির(Mohammed Shami) দুরন্ত পারফরম্যান্স বাংলাকে ম্যাচে ফেরায়। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি একাই তুলে নিয়েছিলেন চার উইকেট। সঙ্গে দুটো করে উইকেট ঈশান পোড়েল(Ishan Porel) এবং আকাশদীপের(Akashdeep)। তাদের হাত ধরেই ২৬৫ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল উত্তরাখন্ড। বাংলার জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৫৫ রান। সেখানেই প্রথম ইনিংসে না পারলেও, দ্বিতীয় ইনিংসে ক্যাপ্টেন্স নক খেলেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ। ৭১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। সেইসঙ্গে সুদীপ ঘরামির ৪৬ রান। মাত্র দুই উইকেট খুইয়েই ম্যাচ জিতে নেয় বঙ্গ ব্রিগেড। রঞ্জি ট্রফির প্রথম ম্যাচেই ৬ পয়েন্ট নিয়ে যাত্রা শুরু করে বাংলা।
বিরাট, রোহিতের সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে মুখ খুললেন শুভমন গিল

বাইরে নানান কথাবার্তা চললেও, রোহিত(Rohit Sharma) এবং বিরাটের(Virat Kohli) সঙ্গে শুভমন গিলের(Shubman Gill) সমীকরণে যে কোনওরকম বদল আসেনি তা ম্যাচে নামার আগেই স্পষ্ট করে দিলেন ভারতীয় ওডিআই দলের নতুন অধিনায়ক। তাঁর সাফ বার্তা, রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির(Virtat Kohli) সঙ্গে আগেও যেমন সম্পর্ক ছিল অধিনায়ক হওয়ার পর তা যেন আরও ভালো হয়েছে। বরং এখন নাকি প্রতি ক্ষেত্রেই রোহিত শর্মাদের নানান ব্যপারে পরামর্শ পাচ্ছেন শুভমন গিল। অস্ট্রেলিয়ার(Australia) বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজের দল ঘোষণার আগেই সকলকে চমকে দিয়েছিল বিসিসিআই(BCCI)। ভারতীয় ওডিআই দলের অধিায়ক হয়েছিলেন শুভমন গিল(Shubman Gill)। সেই থেকেই শুরু হয়েছিল নানান জল্পনা। রোহিত শর্মাকে সরানো নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। তেমনই নতুন অধিনায়ক হিসাবে শুভমন গিলের(Shubman Gill) সঙ্গে রোহিত(Rohit Sharma), বিরাটদের কেমন সম্পর্ক হবে তা নিয়েও নানান কথাবার্তা হচ্ছিল। রবিবার অস্ট্রেলিয়ার(Australia) বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে নামছে ভারত(India Cricket Team)। তার আগেই বিরাট বার্তা দিলেন শুভমন গিল(Shubman Gill)। তাঁর সাফ জবাব, “বাইরে যাই কথাবার্তা চলুক না কেন, আমার মনে হয় আমাদের তিন জনের মধ্যে সম্পর্ক একেবারেই ঠিক রয়েছে। আর সেটাই অত্যন্ত সাহায্য করছে। বিশেষ করে পিচ থেকে নানা বিষয়ে তারা যা জানে বা বুঝছে সেটা জানতে বারবারই তাদের কাছে আমি যাই। সেইসঙ্গে আমার জায়গায় তারা থাকলে কী সিদ্ধান্ত নিতেন সে ব্যপারেও আমি জানতে চাই। প্রত্যেকের থেকে নানা ভাবনার ব্যপারটা জানার পরই আমি আমার মতো করে সিদ্ধান্ত নেই”। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এই ওডিআই সিরিজ দিয়েই ফের দেশের জার্সিতে মাঠে নামছেন রোহিত শর্মা(Rohit Sharma) এবং বিরাট কোহলি(Virat Kohli)। সামনেই রয়েছে ওডিআই বিশ্বকাপ(Odi World Cup)। তার আগে যে রোহিত এবং বিরাটের পারফরম্যান্সের দিকেই সকলে তাকিয়ে রয়েছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
পাক বোমারু বিমানের গোলায় নিহত ৩ আফগান ক্রিকেটার; ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে নাম প্রত্যাহার আফগানিস্তানের

বুধবার ৪৮ ঘন্টার সংঘর্ষ-বিরতি ঘোষিত হয়েছিল, আফগানিস্তান আর পাকিস্তানের গত কয়েক সপ্তাহের অবিরাম বোমাবর্ষণের। শুক্রবার সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পরই পাক বোমারু বিমানের হানায় নিহত ৮জনের মধ্যে আফগানিস্তানের তিন ক্রিকেটার! এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামী নভেম্বরের ত্রিদেশীয় সিরিজ় থেকে দল তুলে নিল আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। সিরিজ়ে পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তাদের খেলার কথা ছিল। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তারা না-খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিন ক্রিকেটারের নাম এবং ছবি প্রকাশ করেছে বোর্ড। নিহতেরা হলেন কবীর, শিবঘাতুল্লা এবং হারুন। এসিবি-র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘পাকতিকা প্রদেশের উরগুন জেলার ক্রিকেটারদের উপর কাপুরুষোচিত হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। তাঁরা শহিদ হয়েছেন। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এই ঘটনায় গভীর ভাবে শোকাহত। উরগুন জেলার তিন ক্রিকেটার এবং আরও পাঁচ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। সাত জন জখম। এই ক্রিকেটারেরা একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে এর আগে পাকতিকার রাজধানী শারানায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে উরগুনে ফেরার পরেই তাঁদের নিশানা করা হয়।’’ বোর্ডের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘আফগানিস্তানের ক্রীড়াজগতে এটা অপূরণীয় ক্ষতি। ওঁদের পরিবারের প্রতি এবং পাকতিকার মানুষের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী নভেম্বরে পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যে ত্রিদেশীয় টি২০ সিরিজ়ে খেলার কথা ছিল আফগানিস্তানের, তাতে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগান বোর্ড।’’ আফগানিস্তানের টি-২০ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক রশিদ খান সমাজমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। লিখেছেন, ‘‘পাকিস্তানের হামলায় আফগানিস্তানের নাগরিকদের মৃত্যুতে আমি গভীর ভাবে শোকাহত। এই হামলায় অনেক মহিলা, শিশুর প্রাণ গিয়েছে। প্রাণ গিয়েছে তরুণ ক্রিকেটারদের, যাঁরা এক দিন আন্তর্জাতিক মঞ্চে খেলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। এভাবে অসামরিক পরিকাঠামোয় হামলা বর্বরোচিত এবং অনৈতিক। এই হিংস্রতা মানবাধিকারকেও ধ্বংস করে। একে এড়িয়ে যাওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই।’’ বোর্ডের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে এরপর রশিদ বলেন, ‘‘এতগুলো নিষ্পাপ প্রাণের মৃত্যু হয়েছে। আমি আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। এই কঠিন সময়ে আমি আমাদের দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছি। দেশের মর্যাদা সবচেয়ে আগে।’’