কঠিন কাজ কত সহজে করা যায়, দেখালেন শ্রেয়স আইয়ার। তবে কাজটা আরও অনেক কঠিন হতে দেননি যজুবেন্দ্র চাহাল। ১৯তম ওভারে বল করতে এসে হ্যাটট্রিকসহ চার চারটি উইকেট তুলে নিয়ে চেন্নাইকে বেঁধে ফেললেন চাহাল। নাহলে আরও অন্তত ১৫ রান বাঁধা ছিল ধোনিদের। সেটা হতে না দিয়ে চেন্নাইকে ১৯০ রানে থামিয়ে দিলেন ওই রিস্ট স্পিনার। তবু যে উইকেটে বল আসছে বেশ ধীর গতিতে, সেখানে কাজটা সহজ ছিল না। ৪১ বলে ৭২ রানের ইনিংস খেলে শ্রেয়স সেটা করলেন অনায়াসে। বুঝিয়ে দিলেন কোহলি যদি চেজ মাস্টার হন, তাহলে তিনিও চেজ এক্সপার্ট।
চেন্নাই দিনের শুরুটা করেছিল খুব খারাপভাবে। পাওয়ার প্লেতেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। তবে সেখান থেকে দলকে টেনে বার করে আনেন ট্র্যাজিক হিরো স্যাম কারেন। ৪৭ বলে ৮৮ রান করে চেন্নাইকে অনেকটাই স্বস্তিদায়ক জায়গায় পৌঁছে দিয়েছিলেন। তাঁর ও ব্রেভিসের জুটিতে দারুনভাবে খেলায় ফিরে আসে সিএসকে। ব্রেভিস করেন ৩২ রান। জুটিতে ওঠে ৭৮ রান। ধোনি ৪ বলে ১১ করে একেবারে বাউন্ডারি লাইনের ধারে আউট হয়ে গেলেন। ধোনির আউট দিয়েই ১৯তম ওভারে ভেল্কিটা শুরু করেছিলেন চাহাল। ধোনি, হুডা, কামবোজ ও নুরকে একই ওভারে তুলে নিয়ে আইপিএল কেরিয়ারের দ্বিতীয় ও এবারের আইপিএলের প্রথম হ্যাটট্রিকটা করে ফেললেন চাহাল।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে এদিন প্রিয়াংশ আর্য খুব বেশক্ষণ না থাকলেও প্রভসিমরন একই রকম ধারাবাহিক। ৩৬ বলে ৫৪ রান করে গেলেন। তারপর শুধু শ্রেয়স আর শ্রেয়স। জয় থেকে দলকে মাত্র ৩ রান দূরে রেখে তবেই তিনি ফিরলেন। ৬ উইকেট হারিয়েই পঞ্জাব পৌঁছে গেল লক্ষ্যে। এখন লিগের সেকেন্ড বয় প্রীতির টিম।
চিপকে টানা ৫ ম্যাচ হেরে প্রথম দল হিসাবে প্লে অফের দৌড় থেকে ছিটকে যাওয়ার পর ধোনি বললেন এদিনই তাঁরা সেরা উইকেট পেয়েছিলেন, তাই তাঁর মুখেও সেই ১৫-২০ রান হাতছাড়া করার হতাশা। আর শ্রেয়স অকপটে জানিয়ে গেলেন, তিনি রান তাড়া করতে ভালোবাসেন। শুধু কি বললেন? ধোনির ডেরায় গিয়ে ধোনির সামনে সেটা যে বুঝিয়েও দিলেন।