লামিনে ইয়ামালকে নিয়ে এখন বিশ্বজুড়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। বিশ্বের ফুটবল মহল ইয়ামালকে বিস্ময়কর ফুটবলার হিসেবে তুলে ধরতে দ্বিধা করছেন না। অনেকে তঁার খেলার স্টাইল দেখে মনে করছেন, আগামী দিনে ইনিই হবেন বিশ্ব ফুটবলার মহাতারকা। সেই লামিনে ইয়ামালের প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন প্রাক্তন ফুটবলার তথা বিশ্বকাপার থিয়েরি অঁরি। প্রাক্তন ফরাসি তারকা তথা বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার মনে করছেন, লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর চেয়েও পারফরম্যান্সের নিরিখে অনেক এগিয়ে থাকবেন ইয়ামাল।
২৪ ঘন্টা আগে অলিম্পিক স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে বার্সেলোনা বনাম ইন্টার মিলান ম্যাচ নিয়ে সাড়া পড়ে গিয়েছে। প্রথমত খেলা শেষ হয়েছে ৩-৩ গোলে। তাও আবার খেলা শুরুর ২১ মিনিটে বার্সেলোনার মাঠে এসে ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল মিলান। যদিও বিরতির আগে খেলার ফল হয়ে যায় ২-২। পরবর্তীকালে ফের মিলান গোল করে ৩-২ এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে ফের খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনে বার্সেলোনা। এমন রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ শুধু নাটকীয়তায় পরিপূর্ন ছিল তা নয়, ইয়ামাল সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে বার্সেলোনার হয়ে প্রথম গোল করে রেকর্ড গড়েন।
“আমি অনেকের কথা বলতে পারি যারা বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে সিংহাসনে বসেছে। তবে একটা ব্যাপার আমাকে অবাক না করে পারেনি। অনেকে এখন ভাবতেই পারে না মেসি ও রোনাল্ডোর চেয়ে ভাল ফুটবলার হতে পারে। আমার সময় যেমন ছিল পেলে-মারাদোনা। কোনও সন্দেহ নেই এবার সেই জায়গা নিতে এসে গিয়েছে ইয়ামাল।” বার্সা বনাম মিলান ম্যাচের শেষে সিবিএস স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাতকার দিতে গিয়ে একথা বলেছেন অঁরি। ইয়ামাল গোল করেছেন ১৭ বছর ২৯১ দিনে। দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে গোল করে রেকর্ড গড়লেন ইয়ামাল। ২০১১ সালে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের জুলিয়ান ড্রাক্সলার শালকে ০৪-এর বিরুদ্ধে ১৭ বছর ২২৬ দিন বয়সে গোল করেছিলেন। তিনিও গোল করেছিলেন সেমিফাইনালে। তাছাড়া ইয়ামাল চলতি মরশুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রাউন্ড অব ১৬ ও কোয়ার্টার ফাইনালে গোল করে রেকর্ড গড়েছিলেন। সেই রেকর্ডও ছিল সবচেয়ে কম বয়সী ফুটবলার হিসেবে গোল করার। বুধবার তিনি ১০০তম ম্যাচে ২০তম গোল করলেন। “মিলানের বিরুদ্ধে রাতে যে খেলা ইয়ামাল দেখাল তা জোর দিয়ে বলছি ১৭ বছর বয়সে করা সম্ভব নয়। বল তার কাছে থাকলে যা খুশি তাই করতে পারে। মাঠের মধ্যে তার সক্রিয়তা, ধীর, স্থির, শান্ত প্রকৃতির। কীভাবে প্রতিপক্ষের উপর চাপ সৃষ্টি করবে কীভাবে রক্ষণ করবে, এসব নিয়ে বলার কোনও মানে হয়না। এসব তার কাছে খুব স্বাভাবিক পর্যায়ে এসে গিয়েছে। আমরা কিনা এখন বলছি তার ১০০তম ম্যাচের কথা। যা আমাদের কাছে বোকামি মনে হওয়াটা স্বাভাবিক। তাই আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়, কী দেখলাম তার খেলায়। মাঠের মধ্যে মাঝে মাঝে তাকে দেখে মনে হচ্ছিল উন্মাদের মতো খেলছে। একজন মানুষ হিসেবে যা করেছে তা মনে পড়লে চমকে উঠছি। মোটেই স্বাভাবিক একজন ফুটবলার সে নয়।” বলেন অঁরি। পরে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে অঁরি জানিয়েছেন, ইয়ামাল এখনই ছাপিয়ে গিয়েছেন মেসি ও রোনাল্ডোকে। পরিসংখ্যান তুলে ধরে অঁরি বুঝিয়ে দিয়েছেন, মেসি ও রোনাল্ডোর চেয়ে এখনই এগিয়ে গিয়েছেন ইয়ামাল। তাহলে ভবিষ্যতে কোথায় গিয়ে দঁাড়াতে পারেন এই স্প্যানিশ ফুটবলার

সিনার শীর্ষে, দ্বিতীয় স্থানে আলকারাজ
গতবার জকোভিচকে ফাইনালে হারিয়ে ট্রফি তুলে ধরেছেন উইম্বলডন বিজয়ী আলকারাজ।