ক্রমাগত ব্যর্থতা। পরপর ম্যাচে হেরে প্রিমিয়ার লিগে প্রায় হারিয়ে গিয়েছে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। দলটা যে জিততে পারে, বোধহয় সেই বিশ্বাসও এখন করতে ভুলে গিয়েছেন সমর্থকরা। এখন প্রিমিয়ার লিগে যারা ১৪ নম্বর স্থানে রয়েছে তাদের নিয়ে সত্যিই কী ভাববার কারও সময় আছে। না, কেউ ভাবতে বসবে। অথচ সেই ম্যাঞ্চেস্টার কিনা অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে গিয়ে হারিয়ে দিল অ্যাথলেটিক বিলবাওকে। তাও কিনা ৩-০ গোলে। শুধু এখানেই থেমে গেলে চলবে না, ম্যাঞ্চেস্টার তিনটে গোল করল বিরতির আগেই। ৩০ মিনিটে প্রথম গোল করা শুরু করেছিলেন কাসেমিরো। তারপর জোড়া গোল করে দলকে নিশ্চিত জয়ের জায়গায় পৌছে দিলেন ব্রুনো ফার্নান্ডেজ। প্রথম গোলটা পর্তুগিজ স্ট্রাইকার করলেন ৩৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে। ৪৫ মিনিটে দ্বিতীয় গোল। তারমাঝে অবশ্য বিলবাওয়ের ডিফেন্ডার দানি ভিভিয়ান লালকার্ড দেখে বসেন। স্প্যানিশ সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারটি মাঠ থেকে বেরিয়ে যান ৩৫ মিনিটে।
ইউরোপা লিগের ফাইনালে ওঠার রাস্তা প্রায় পাকা করে ফেললো ইউনাইটেড। যেহেতু ফিরতি সেমিফাইনাল ম্যাচ নিজেদের মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে খেলবেন ফার্নান্ডেজরা। কোনও সন্দেহ নেই শুরুতে কিন্তু বিলবাও-এর হাতেই খেলার রাশ ছিল। যদি সহজ সুযোগ দুটো থেকে গোল করতে পারত বিলবাও। ইনাকি উইলিয়ামস গোল করার জায়গায় এসেও হেডটা সঠিকভাবে নিতে পারলেন না। আর একবার অ্যালেক্স বেরেঙ্গুয়ারের নিশ্চিত গোলমুখী শট আটকে দেন ভিক্টর লিন্ডেলফ। ম্যাঞ্চেস্টার ম্যাচের রাশ হাতে নিয়ে নেয় ৩০ মিনিটের পর থেকে। যখন কাসেমিরো গোল করে যান। তার আগে বেশ কয়েকবার বিলবাও রক্ষণে ত্রাস ছড়িয়ে দেন হ্যারি ম্যাগুয়ের। তঁারই বাড়ানো ক্রশ থেকে হেডে গোল করে বসেন কাসেমিরো। গোল খাওয়ার ৭ মিনিট পরেই বিলবাও ডিফেন্ডার দানি ভিভিয়ান মারাত্মক ভুল করে ফেললেন। বক্সের মধ্যে ফাউল করেন রাসমাস হোজলুন্ডকে । ভারের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি। সেই পেনাল্টি থেকে গোল করে যান ব্রুনো ফার্নান্ডেজ। শুধু তাই নয়, রেফারি ফাউল করার জন্য দানিকে লালকার্ড দেখান। ব্যস সেখানেই শেষ হয়ে যায় বিলবাওয়ের যাবতীয় উদ্যম। বিরতির ঠিক আগে তৃতীয় গোলটি ফের করে দলকে নিশ্চিত জয়ের ঠিকানায় পৌছে দেন ব্রুনো ফার্নান্ডেজ। এবার বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে পাশটা বাড়িয়ে ছিলেন ম্যানুয়েল উগার্তে। বিরতির পরও রুবেন আমোরিমের দল আরও ব্যবধান বাড়াতে পারত, কিন্তু সহজ সুযোগ তারা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়।
স্পেনের মাটিতে দলের খেলা দেখে বেজায় খুশি ইউনাইটেডের কোচ রুবেন আমোরিম। তিনি মনে করছেন, তঁার কোচ হয়ে আসার পর ইউনাইটেড এটাই সেরা ম্যাচ খেললো। “কোনও দ্বিধা না রেখে বলতে পারি, আমি কোচ হয়ে আসার পর এটাই হল ইউনাইটেডের সেরা পারফরম্যান্স। খুব ভাল খেলেছে দল। প্রত্যেকের খেলায় আমি দারুন খুশি।” হ্যারি ম্যাগুয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন আমোরিম। ইউনাইটেড কোচ মনে করছেন, ম্যাগুয়ের যে ভূমিকা নিয়ে বিলবাওয়ের বিরুদ্ধে খেলেছে সেই কাজটা যেন পরবর্তী ম্যাচগুলোতে করে। “জেতার পেছনে দারুন অবদান রেখে গেল। বল ধরেছে। কোনও জায়গায় গেলে আক্রমণকে আরও ক্ষুরধার করা যাবে তার চেষ্টা করেছে। প্রচুর দৌড়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে বল বাড়িয়েছে দেখার মতো। তাই হ্যারি ম্যাগুয়েরকে নিয়ে আর বিশেষ কিছু বলার নেই আমার।” তবে আমোরিম চাইছেন ম্যাগুয়েরের সঙ্গে গোটা দলকে বুঝতে হবে, সবকিছু বদলে দেওয়ার মতো ক্ষমতা তাদের মধ্যে রয়েছে। শুধু গভীর মনযোগের প্রয়োজন। তিনি এও জানিয়েছেন অতীতকে ভেবে লাভ নেই। বরং ভবিষ্যতের দিকে ছেলেরা তাকাক। তারজন্য তিনি রবিবার ও বৃহস্পতিবারের ম্যাচে সকলকে ঝঁাপানোর জন্য শপথ নিতে বলেছেন।

এজবাস্টনে কুলদীপকে চাই, ফিল্ডিংয়েও নজর দিতে হবেঃ ক্লার্ক
শুরুতেই সিরিজে ভারত পিছিয়ে পড়েছে। এবার ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। সেই লড়াইয়ে জিততে হলে দলে কিছু বদল দরকার। সঙ্গে আগের