আই লিগ চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল এখন প্রতিপক্ষের কাছে ত্রাস। কন্যাশ্রী কাপে সেবায়নীকে ৯-০ গোলে হারিয়ে দিল লাল-হলুদ শিবির। প্রথমার্ধে ৩-০ এগিয়ে ছিল। বিরতির পর বাকি গোলগুলি হয়। দুজন হ্যাটট্রিক করেন। একজন হলেন আস্থাম ওঁরাও, অপরজন হলেন কার্তিকা আঙ্গামুথু। বাকি তিনটে গোল করেন যথাক্রমে সন্ধ্যা মাইতি (২) ও ঋতিকা বারিক।
এমনিতেই এবার জাতীয় ক্যাম্পে ১০জন ফুটবলার ডাক পেয়েছে। তারমধ্যে ৯জন ইতিমধ্যে যোগ দিয়েছেন ক্যাম্পে। বাকি একজনও শীঘ্রই যোগ দেবেন। তাসত্ত্বেও দলের খেলায় তার কোনও ছাপ পড়ছে না। শুক্রবার সেবায়নী কোনও সময়ের জন্য দঁাড়াতে পারেনি। খেলার শুরু থেকেই প্রাধান্য নিয়ে খেলতে থাকে ইস্টবেঙ্গল। খেলা শুরুর ৫ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল করে দলকে এগিয়ে দেন সন্ধ্যা মাইতি। পরবর্তী গোলও তিনি করেন। তখন খেলার সময় গড়িয়ে ছিল ২৩ মিনিট। প্রথমার্ধে শেষ গোলটি করেন দলের হয়ে আস্থাম ওঁরাও। বিরতির পরে খেলা শুরু হতেই মিনিট পঁাচেকের মধ্যে ফের গোল করে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ৫০ মিনিটের মাথায় গোলটি করেন কার্তিকা। আস্থাম গোলগুলি করেন যথাক্রমে ৩৫, ৭৮ ও ৯২ মিনিটে। কার্তিকা হ্যাটট্রিক করেন ৫০,৭৪ ও ৮৩ মিনিটে গোল করে। দলের হয়ে সব শেষে গোল করেন ঋতিকা বারিক (৯০+৬)।
কোচ অ্যান্থনি অ্যান্ড্রু দলের খেলা দেখে উচ্ছ্বসিত। জানিয়ে দিলেন, আরও বেশি গোলে তঁার দল জিততে পারত। কিন্তু জাতীয় ক্যাম্পে নয়জন চলে যাওয়া সত্ত্বেও কীভাবে দল গোলের বান ডাকছে? প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে অ্যান্থনি বলছিলেন, “আমরা ঘরোয়া িলগে জুনিয়রদের নিয়ে দল গড়েছি। যাদের মধ্যে অনেকে নতুন। তবু দলটা ভালমতো গড়ে খেলার চেষ্টা করছি। আসলে প্রতিটি মেয়ে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখছে না। তাই আমরা একের পর এক গোল করতে পারছি।”
কার্তিকা হলেন চেন্নাইয়ের মেয়ে। আর আস্থামের বাড়ি ওড়িশায়। মৈত্রী সাংসদকে ৮-১ গোলে প্রথম ম্যাচে হারিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল। উলবেড়িয়া স্টেডিয়ামে ইস্টবেঙ্গলের কাছে বলতে গেলে ধোপে টেকেনি সেবায়নীর ফুটবলাররা। সেবায়নী দলের কোচ কাম অন্যতম কর্মকর্তা প্রবীর সরকার বলছিলেন, “ইস্টবেঙ্গল অনেক বড় দল। তারা অনেক টাকা-পয়সা খরচ করে দল গড়ে। আমরা সেই তুলনায় কিছুই নই। তবু মেয়েরা চেষ্টা করেছিল। কিন্তু খেলার শুরুতেই গোল খেয়ে বসায় সব ওলোট-পালোট হয়ে গেল। তার ওপর বিরতির পর খেলা শুরু হওয়ার মিনিট পঁাচেকের মধ্যে ফের গোল হয়ে গেল।” খেলা শেষের তিন মিনিট আগে তিনটে গোল খেয়ে বসে সেবায়নী। রেফারির সমালোচনা করে প্রবীর বলছিলেন, “আমাদের গোলকিপারকে কনুই দিয়ে মারল। মুখ ফাটিয়ে দিল। তবু রেফারি ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের কোনও কার্ড দেখালেন না। এরচেয়ে আফসোস আর কী থাকতে পারে।”

সিনার শীর্ষে, দ্বিতীয় স্থানে আলকারাজ
গতবার জকোভিচকে ফাইনালে হারিয়ে ট্রফি তুলে ধরেছেন উইম্বলডন বিজয়ী আলকারাজ।