সেই এক ছবি। সেই এক গল্প। যেন ম্যাচের পর ম্যাচ অ্যাকশন রিপ্লে। সাই-গিল-জস শুরুর এই তিন ব্যাটসম্যানই গুজরাটকে চালকের আসনে বসিয়ে দিচ্ছেন। তারপর তো প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা-সিরাজ-রশিদরা আছেনই। এদিন আবার নিজেকেও যেন ছাপিয়ে গেলেন কৃষ্ণা। নিট ফল সানরাইজার্সকে ৩৮ রানে হারিয়ে দুইয়ে পৌঁছে গেল টাইটানস।
কী দুরন্ত ধারাবাহিকতা টপ থ্রির! এদিনও শুভমন করলেন ৩৮ বলে ৭৬, সাই সুদর্শন ২৩ বলে ৪৮ ও বাটলার ৩৭ বলে ৬৪। এরপর টোটাল যেখানে যাওয়ার সেখানেই গেল। ৬ উইকেটে ২২৪। সবচেয় বড় কথা সেনসেবল ব্যাটিং করেও যে বড় রান করা যায়, ম্যাচের পর ম্যাচ দেখিয়ে চলেছেন গুজরাটের এই থ্রি মাস্কেটিয়ার্স।
উল্টোদিকে যেহেতু ছিলেন ট্রভিস হেড ও অভিষেক শর্মা নামের দুজন এবং তাঁদের দোসর হেনরিক ক্লাসেন, তাই তখনও ম্যাচটা শেষ হয়নি। সানরাইজার্সের দুই ওপেনার শুরুও করেছিলেন নিজেদের মেজাজেই, কিন্ত ২০ রান করে হেড ফিরে গেলেন। তবে যতক্ষণ অভিষেক ততক্ষণ শ্বাস। ১৪তম ওভারের শেষ বলে দলের ১৩৯ রানে যখন অভিষেক আউট হলেন ম্যাচটা আসলে তখনই শেষ হয়ে গেল। অভিষেক ফিরলেন ৪১ বলে ৭৪ রান করে।
টাইট বোলিং ফিল্ডংয়ের সামনে দম বন্ধ হয়ে গেল সানরাইজার্সের। সবরমতীর তীরে আবার বাজল কৃষ্ণার বাঁশি। ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ২ উইকেট। ২২৫ রানের পুঁজি নিয়ে একজন এমন বোলিং করে দিলে এবং বাকিরা যোগ্য সঙ্গত দিলে যা হয়, তাই হল। ৬ উইকেটে ১৮৬-তে থেমে গেল হায়দরাবাদ। আপাতত লিগ টেবিলের দুইয়ে, তবে বড় কোনও অঘটন না ঘটলে গিলের হাতে ট্রফিটা যেন দেখা যাচ্ছে। তা টি টোয়েন্টি যতই অনিশ্চয়তার খেলা হোক। এই সাই-গিল-বাটলার-কৃষ্ণাদের থামানো যে বেশ কঠিন কাজ!